বিদ্যুতের খুঁটি রেখেই চলছে সড়কের উন্নয়ন যজ্ঞ



নূর আহমদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, সিলেট, বার্তা ২৪.কম
খুঁটি রেখেই চলছে সড়কের উন্নয়ন যজ্ঞ / ছবি: বার্তা২৪

খুঁটি রেখেই চলছে সড়কের উন্নয়ন যজ্ঞ / ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি মৌসুমে সিলেট নগরীতে চলছে ব্যাপক উন্নয়ন। এর জন্য যত্রতত্র চলছে খোঁড়াখুঁড়ি। এর অংশ হিসেবে নগরীর হুমায়ুন রশিদ চত্বরে চলছে সড়ক সম্প্রসারণ কাজ। কিন্তু সড়কের প্রায় মধ্যখানে বিদ্যুতের খুঁটি রেখেই চলছে সড়কের এই উন্নয়ন যজ্ঞ কাজ। এতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা যেমন থাকবে, তেমনি পথচারী বা যানবাহন পাবে না প্রশস্ত সড়কের সুফল।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, নগরীর দক্ষিণ সুরমার হুমায়ুন চত্বর মোড়ে কদমতলীগামী উত্তরমুখী রাস্তার প্রশস্থকরণ কাজ চলছে। রাস্তার পশ্চিম পাশে তিনটি খুঁটি ও পূর্ব পাশে একটি খুঁটি যথাস্থানেই রয়েছে। ফুটপাত থেকে খুটিগুলোর দূরত্ব ১৫ থেকে ১৬ ফুট ভেতরে। এক কথায় বলতে গেলে সড়কের প্রায় মধ্যখানে। কাজ অনেকটা শেষের পথে, তবে খুঁটিগুলো স্থানান্তর বা অপসারণের কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না।

ওই সড়কের নিয়মিত পথচারী হাজী এম আহমদ আলী। তিনি বলেন, ‘সড়ক প্রশস্তকরণ কাজ চলছে, তবে এর সাথে দ্রুত বিদ্যুতের খুঁটিগুলো অপসারণ করা দরকার। না হয়, দুর্ঘটনার আশঙ্কার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তা দখলেরও ঝুঁকি রয়েছে। এরই মধ্যে প্রশস্ত রাস্তায় সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ডসহ দোকানপাট বসতে শুরু করেছে।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/31/1554022187623.jpg

আহমদ আলীর দাবি, সিটি করপোরেশন ও বিদ্যুৎ বিভাগের এই সমন্বয়হীনতার সুযোগ নিচ্ছে একটি চক্র। দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেট ডিভিশন ৩-এর নির্বাহী প্রকৌশলী এ এম হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘সিটি করপোরেশন যখন সহযোগিতা চায়, তখন বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে তাদের সহযোগিতা করা হয়। নগরীর ভেতরে খুঁটি অপসরাণ বা স্থানান্তরের দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের। ফলে, সিটি করপোরেশন যখন সহযোগিতা চাইবে বিদ্যুৎ বিভাগ তা করতে প্রস্তুত।’

সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) নূর আজিজুর রহমান বলেন, ‘বিদ্যুৎ বিভাগের সঙ্গে তারা নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। উন্নয়ন কাজ শেষ হওয়ার আগেই খুঁটিগুলো অপসারণ করা হবে।’

   

তামাক পণ্যে কর বৃদ্ধির প্রস্তাব নিয়ে প্রাক-বাজেট সম্মেলন



স্টাফ করেস্পন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধিতে তামাক পণ্যে সুনির্দিষ্ট করারোপের মাধ্যমে দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব নিয়ে ‘কেমন তামাক কর চাই’ শীর্ষক প্রাক-বাজেট সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সিগারেটের মূল্যস্তরভিত্তিক সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক করারোপের মাধ্যমে দাম বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান 'প্রজ্ঞা' এবং এন্টি-টোব্যাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্স 'আত্মা'।

সম্মেলনে সুনির্দিষ্ট করারোপের মাধ্যমে তামাক পণ্যের দাম বাড়ানোর দাবি জানিয়ে প্রাক-বাজেট আলোচনায় তামাক পণ্যের দাম প্রস্তাব করেন সংগঠন দু'টির বিশেষজ্ঞেরা।

‘আত্মা’র কো-কনভেনর নাদিরা কিরণ-এর সঞ্চালনায় সম্মেলনে বাজেট প্রস্তাব তুলে ধরেন ‘প্রজ্ঞা’র তামাক নিয়ন্ত্রণবিষয়ক প্রকল্প প্রধান হাসান শাহরিয়ার।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে তামাক পণ্যে কার্যকরভাবে করারোপ করা অত্যন্ত জরুরি। তামাকের ব্যবহারজনিত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার ২০২২ সালের তথ্যমতে, পৃথিবীর যে সব দেশে সবচেয়ে সস্তায় সিগারেট পাওয়া যায়, সে সব দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম (১৬২টি দেশের মধ্যে ১২১তম)।

অন্যান্য স্তরের তুলনায় নিম্নস্তরে সিগারেটের মূল্যবৃদ্ধি তুলনামূলকভাবে স্বল্প আয়ের তামাক ব্যবহারকারীকে ধূমপান ছাড়তে উৎসাহিত করে। একইসঙ্গে উচ্চ স্তরগুলিতে সিগারেটের দাম বাড়লে ভোক্তাদের মধ্যে সস্তা ব্র্যান্ড বেছে নেওয়ার আগ্রহ কমে।

বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশ অনুযায়ী, সুনির্দিষ্ট করপদ্ধতি প্রবর্তন করলে তামাক করকাঠামোর কার্যকারিতা আরো শক্তিশালী হবে। তামাকপণ্য থেকে রাজস্ব আহরণ সহজ হবে। রাজস্ব আয় বাড়বে এবং আহরণ ব্যয় কমবে।

সম্মেলনে আরো জানানো হয়, তামাক ব্যবহারজনিত রোগে প্রতিবছর ১ লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষ মৃত্যুবরণ করেন। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে তামাক ব্যবহারের অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ ৩০ হাজার ৫শ ৬০ কোটি টাকা, যা একই সময়ে তামাকখাত থেকে অর্জিত রাজস্ব আয়ের (২২ হাজার ৮শ ১০ কোটি টাকা) চেয়ে অনেক বেশি।

তামাকবিরোধীদের কর ও মূল্য প্রস্তাব বাস্তবায়ন করা হলে ৯ হাজার ৬শ কোটি টাকা অতিরিক্ত রাজস্ব আয় অর্জিত হবে এবং ৪ লাখ ৮৮ হাজার প্রাপ্তবয়স্ক এবং ৪ লাখ ৯২ হাজার তরুণ জনগোষ্ঠীর অকালমৃত্যু রোধ করা সম্ভব হবে। করারোপের মাধ্যমে মূল্যবৃদ্ধি করলে প্রায় ১৫ লাখ মানুষ ধূমপান ছেড়ে দেবেন।

সম্মেলনে অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, ‘শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, স্বাস্থ্যের উন্নয়ন না হলে সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। প্রধানমন্ত্রী বারবার বলার পরেও তামাকের ব্যবহার কমানোর ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না।

আইএমএফের ঋণের বিপরীতে বাংলাদেশকে আগামী অর্থবছর থেকে মোট জিডিপি’র অন্তত দশমিক ৫ শতাংশ হারে অতিরিক্ত কর রাজস্ব আদায় করতে হবে। অর্থাৎ ২০২৩-২৪ অর্থবছরেই কর আদায় বাড়াতে হবে, কমপক্ষে ৬৫ হাজার কোটি টাকা।

তামাকবিরোধীদের প্রস্তাব অনুযায়ী, তামাকপণ্যের দাম বাড়িয়ে এই লক্ষ্যমাত্রার উল্লেখযোগ্য অংশ পূরণ করা সম্ভব। বর্ধিত রাজস্ব একইসঙ্গে অর্থনীতিতে কোভিড-১৯ মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় ভূমিকা রাখবে। দাম বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সচেতনতাও বাড়াতে হবে। আইনের সঠিক প্রয়োগ করতে হবে। গরিব মানুষ, পিছিয়েপড়া মানুষকে তামাক মুক্ত করতে আমরা কাজ করছি’।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)-এর রিসার্চ ফেলো সৈয়দ ইউসুফ সাদাত, বি আই আই এস এস-এর ডিরেক্টর ড. মাহফুজ কবির, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস (সিটিএফকে)-এর বাংলাদেশ লিড পলিসি অ্যাডভাইজার মো. মোস্তফিজুর রহমান, আত্মা’র কনভেনর মতুর্জা হায়দার লিটন এবং প্রজ্ঞা’র নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়েরসহ বিভিন্ন তামাকবিরোধী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

;

নির্দেশনা অমান্য করে এমপির তিন আত্মীয়ের মনোনয়ন দাখিল 



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, নীলফামারী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসনের সংসদ সদস্য আফতার উদ্দিন সরকারের তিন নিকটতম আত্মীয় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়ন দাখিল করেছেন।তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলের মন্ত্রী–সংসদ সদস্যদের স্বজনদের নির্বাচনে অংশ না নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। এতে নির্দেশনা না মানায় বিব্রত উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। 

শনিবার (২০এপ্রিল) বিকালে মনোনয়ন পত্র দাখিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপজেলা নির্বাচন অফিসার শুভ কুমার সরকার ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হতে মনোনয়ন দাখিল করেছন উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ফেরদৌস পারভেজ। তিনি সংসদ সদস্য আফতাব উদ্দিন সরকারের আপন ভাতিজা ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হতে মনোনয়ন দাখিল করেছেন পারুল বেগম। তিনি সংসদ সদস্য আফতাব উদ্দিন সরকারের চাচাতো ভাই শফিকুলের স্ত্রী এবং উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থী হতে মনোনয়ন দাখিল করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক সরকার মিন্টু। তিনি এমপি আফতাব উদ্দিন সরকারের আপন চাচাতো ভাই।

আরও জানা যায়, এ বিষয়ে দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার কথাও জানানো হয়েছে । নির্দেশনা উপেক্ষিত হলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিচ্ছেন দলের বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন-অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কেউ যেন নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করতে না পারে সে বিষয়ে শুরু থেকে কঠোর বার্তা দেওয়া হচ্ছে দলের পক্ষ থেকে।

এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থী হতে মনোনয়ন দাখিল ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক মিন্টু বলেন,আমি এমপি সাহেবের নিকটতম আত্মীয় না ওনার সাথে আমার খুব কাছের সম্পর্ক না ।ওনার নিকটতম আত্মীয় হচ্ছে পারভেজ। তাকে আমার বিরুদ্ধে দাড়িয়ে দিয়েছে। এখন দল যা সিদ্ধান্ত দেয় আমি তাই মেনে নিব।

নীলফামারী ১ আসনের সংসদ সদস্য আফতাব উদ্দিন সরকার বলেন, আমি তাদের নিষেধ করেছি তারা নিষেধ শুনেনি। না শুনলে এখন আমি কি করব। 

 

;

মিরপুরে শিশু র্ধষণ, তিন কিশোর গ্রেফতার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর মিরপুর ১ সনি সিনেমা হলের পাশে ভারসাম্যহীন এক শিশুকে গণধর্ষণের ঘটনায় তিন কিশোরকে গ্রেফতার করেছে মিরপুর থানা পুলিশ।

শনিবার (২০ এপ্রিল) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা ভাসমান ও মাদকাসক্ত বলে জানিয়েছে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলো- সাজ্জাদ হোসেন (১৭), মো. সায়েম (১৬) ও মো. আলহাজ (১২)।

এর আগে, শিশু ধর্ষণের ঘটনায় গতকাল শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে মিরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এদিকে গণধর্ষণের কারণে গুরুত্বর আহত শিশুটি বর্তমানে হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুন্সী সাব্বির আহম্মদ।

তিনি বলেন, গ্রেফতার তিনজনই মানসিক ভারসাম্যহীন ১১ বছরের মেয়েটিকে গণধর্ষণ করে। আসামীরা এলাকার ভবঘুরে শিশু কিশোর। তাদের প্রত্যেকের বয়স ১৮ বছরের কম। ভুক্তভোগী মেয়ে শিশুটি পরিবারের সঙ্গে রূপনগর এলাকায় বাস করে। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে বাসা থেকে নিখোঁজ হয় মেয়েটি। পরদিন সনি সিনেমা হলের কাছে একটি ঝোঁপের মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় পাওয়া যায়। পথচারীরা এ অবস্থা দেখে ৯৯৯ এ কল দিলে মিরপুর মডেল থানার পুলিশ এসে মেয়েটিকে উদ্ধার করে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি করেন। মেয়েটি বর্তমানে হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন।

;

বাইসাইকেলকে রেসিং বাইক ডুকাটিতে রূপ দিলেন রানা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
রেসিং বাইক ডুকাটি

রেসিং বাইক ডুকাটি

  • Font increase
  • Font Decrease

নিজের বাইসাইকেলকে বিশ্বের অন্যতম সেরা রেসিং বাইক ডুকাটিতে রূপ দিয়ে হৈ চৈ ফেলে দিয়েছেন সোহেল রানা নামের এক যুবক। তিনি ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার পিঠাসূতা গ্রামের বাসিন্দা।

প্রতিদিন এলাকা ও আশপাশ থেকে রানার বাইক দেখতে আসছেন অনেকে। বাইকের সঙ্গে তুলছেন সেলফিও।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে রানার বাড়িতে গিয়ে রানা ও তার পরিবারের সঙ্গে আলাপচারিতায় জানায়, রানার স্বপ্ন ছিল মোটরসাইকেল কেনার। কিন্তু অভাব অনটনের সংসারে সে স্বপ্ন বাস্তব করা দুঃসাধ্য। তবে ইচ্ছে থাকলে দুধের স্বাদ ঘোলেও যে মেটানো যায় তারই যেন উদাহারণ রানার ডুকাটি। আর এ কাজে রানের পাশে থেকে সহযোগিতা করেন প্রতিবেশী মাহফুজুল ইসলাম ইকবাল।

সাইকেল থেকে মোটরসাইকেলের অবয়ব তৈরি করতে প্রথমেই লাগানো হয়েছে ইলেকট্রিক বাইকের ব্যাটারি। পরে বিভিন্ন তার ও রড দিয়ে এবং বামির্জ (প্লাস্টিক জাতীয়) দিয়ে ডুকাটি বাইকের বডি তৈরা করা হয়।

সাত হাজার টাকার বাইসাইকেলে আরও প্রায় ২৩ হাজার টাকা খরচ করে রূপ দিয়েছেন মোটরসাইকেলে। বিভিন্ন উপকরণে তৈরি এই মোটরসাইকেলটি দেখে মুগ্ধ এলাকাবাসী। তার এমন সৃষ্টিকর্মে খুশি সবাই।

সোহেল রানা জানান, প্রায় দেড় মাস পরিশ্রম করার পর তার নিজ বাইসাইকেলটিকে মোটরবাইকের আদলে রূপ দেওয়া সম্ভব হয়েছে। এই সময়ে প্রতিদিন কাজের ফাঁকে সময় বাঁচিয়ে মোটরসাইকেল তৈরিতে সময় দেন তিনি। আর এখন এই মোটরবাইক দিয়েই বাড়ি থেকে বিভিন্ন কাজকর্মে যাচ্ছেন, বাজার করেন ঘুরতেও বের হন। মাত্র ১০ টাকার বিদ্যুৎ খরচে ৭০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিচ্ছেন বলে জানান।

তিনি আরও জানান, আর্থিকভাবে যদি কোন সাহায্য আসে তাহলে আরও আধুনিক ও দীর্ঘস্থায়ী প্রযুক্তি ব্যবহার করা সম্ভব।

প্রয়াত স্কুল শিক্ষক দুলাল মিয়ার চার ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে তৃতীয় রানা। ভূগোল বিষয়ে আনন্দ মোহন কলেজ থেকে স্নাতক শেষ করে স্নাতকোত্তর পড়ছেন। টিউশনি করার পাশাপাশি বড় ভাইদের ফিশারি ও ব্যবসায় সহযোগিতা করেন রানা।

ছোটবেলা থেকেই উদ্ভাবনী শক্তি প্রকট রানার। ফেলে দেওয়া নানা জিনিস থেকে বানিয়ে ফেলতেন খেলনা। নিজের তৈরি করা খেলনা দিয়েই খেলতেন তিনি। তার দিয়ে রোবট, ল্যাম্বারগিনি গাড়ির আদলে গাড়ি, নৌকা, বিভিন্ন প্রতিকৃতি তৈরি করছেন তিনি। যার সব কিছুই শখের বসে।

রানার মা সায়েদা খাতুন বলেন, ছোট বেলা থেকেই রানা পড়া ফাঁকি নিয়ে নানা জিনিস বানাতো। এ কারণে তার বাবা ও আমি বকাঝকা করেছি অনেক। আমার ছেলে সাইকেলকে বাইক বানিয়েছে, মানুষ দেখতে আসছে খুব ভালো লাগছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য রুহুল আমিন বলেন, অনেক ধরনের প্রতিভা গ্রামে লুকিয়ে থাকে। রানার প্রতিভা দেখে অন্যরাও অনুপ্রাণিত হতে পারে। সরকারি পর্যায় থেকে তাকে সহযোগিতা করলে ভালো কিছু হতে পারে।

;