‘ইনোভেশন মানে ডিজিটালে আটকে যাবেন না’



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেছেন, ‘ইনোভেশন মানে ডিজিটালে আটকে যাবেন না। কতগুলো গেজেটের ব্যবহার বাড়ালেই চলবে না। মানুষের কল্যাণে যদি না আসে সেই উদ্ভাবনের প্রয়োজন নেই।’

বুধবার (১০ এপ্রিল) বিদ্যুৎ ভবনে ইনোভেশন শোকেসিং-২০১৯ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সমস্ত ফোকাস কিন্তু সাধারণ জনগণের কল্যাণে। এমন কোনো উদ্ভাবনের প্রয়োজন নেই যাতে মানুষের কল্যাণ নেই।’

বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ‘প্রযুক্তি মানে কি, সেভ এনার্জি, সেভ মানি। প্রযুক্তি কিন্তু থেমে নেই, প্রতিমুহূর্তে এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদেরকে প্রযুক্তির সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। না হলে পিছিয়ে পড়ব।’

তিনি বলেন, ‘আমি দেখতে চাই তেল যখন ঢুকল তখন কত দাম পড়ছে। কতজন বিদ্যুতের সংযোগ চেয়ে বসে আছে ড্যাশবোর্ডে দেখতে চাই। অনলাইনে আবেদন করে পরে অফলাইন হয়ে যায়। পরে আবেদন হারিয়ে যায়। অনলাইন মানে পুরোপুরি অনলাইন হতে হবে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘একমাত্র বিদ্যুৎ বিভাগ কয়েক বছর ধরে ইনোভেশিং নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। আপনারা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পড়েছেন। আপনাদের আরও ভালো আইডিয়া থাকতে হবে। ভবিষ্যতে আরও দ্রুত কিছু কাজ পেপার লেস করার চেষ্টা করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘রাজধানীর বিদ্যুতের খুঁটিতে দুনিয়ার তার ঝুলছে। দুই-তিন বছর আগে আমরা কাজ শুরু করি। একটি অপটিক্যাল ফাইবার করার জন্য। অলরেডি আন্ডারগ্রাউন্ড হয়ে গেছে। বিতরণ কোম্পানিগুলো যদি বলত তাহলে কিন্তু এসব তার ঝুলত না। আইসিটি একটি উদ্যোগ নিয়েছে, তারা সারাদেশে ইন্টারনেট সেবা সম্প্রসারণ করবে। তার কাটা পড়বে কতোকিছু হবে। এখানে আরইবির সঙ্গে কাজ করতে পারে। তাহলে আরইবির খুঁটি দিয়ে প্রতি ঘরে ঘরে নেটের সেবা পৌঁছে দিতে পারে। এতে আরইবির বাড়তি আয় হলো। আবার আইসিটির সেবা নিরাপদ হলো। এটা আরইবির লোকজন ভেবে দেখতে পারে।’

বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস বলেন, ‘গ্লোবালি একটা পারসেপশন রয়েছে ইনোভেশন মানেই আইসিটি। আমার মনে হচ্ছে বাস্তব জীবনের সমস্যা সমাধানে নতুন নতুন কৌশলের প্রয়োগও বড় উদ্ভাবন। ঢাকা শহরে উবার নাকি পাঠাও বেশি চলে? আমার মনে হয় পাঠাও বেশি চলে। কারণ এটা বাস্তবতার নিরিখে খুবই যুক্তিসঙ্গত। দ্রুত সময়ে পৌঁছে দিচ্ছে। সে কারণে সবকিছু বাস্তবতার নিরিখে হতে হবে।’

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ( সমন্বয় ও সংস্কার) ড. মো. শামসুল আরেফিন বলেন, ‘এক সময় মানুষ নানা ভোগান্তির শিকার হতো। এখন মানুষ ঘরে বসেই সেবা পাচ্ছে। আরও কিভাবে সেবা সহজলভ্য করা যায় সে বিষয়ে সবার উদ্ভাবনী মনোভাব থাকতে হবে।’

এটুআই প্রকল্পের পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘উদ্ভাবনী কাজের জন্য এখন আর কোনো আর্থিক সংকট নেই। অনেক অর্থ পড়ে আছে চাওয়ার লোক নেই। আমার মনে হয় মন্ত্রণালয়গুলো টাকা চাইলেই তাদের উদ্ভাবনী চিন্তার বিকাশে সহায়তা পেতে পারেন।’

দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হওয়া ইনোভেশন শোকেসিং-২০১৯ এ বিদ্যুৎ খাতের ১১টি প্রতিষ্ঠানের ২৫টি আইডিয়া প্রদর্শিত হয়। এই আয়োজনের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে কোম্পানিগুলোকে আরও উদ্ভাবনী ভাবনায় পরিচালিত করা। এতে পুরস্কারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে যাতে করে কোম্পানিগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতার মনোভাব সৃষ্টির মাধ্যমে উৎসাহি হয়। একই সঙ্গে সবাইকে একই ছাদের নিচে এনে শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে একে অপরকে সমৃদ্ধ করা। ২০১৮ সালে প্রথমবার এমন আয়োজন করা হয়।

   

মাদক কারবারিতে আধিপত্য বিস্তার করতে হত্যা, গ্রেফতার ৮



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
মাদক কারবারিতে আধিপত্য বিস্তার করতে হত্যা, গ্রেফতার ৮

মাদক কারবারিতে আধিপত্য বিস্তার করতে হত্যা, গ্রেফতার ৮

  • Font increase
  • Font Decrease

মাদক কারবারিকে ঘিরে এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রাজধানীর পল্লবী থানার স্বপ্ননগর আবাসিক এলাকায় পাভেল হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) হারুন অর রশিদ। এ ঘটনায় জড়িত ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ। এছাড়াও ৫ জনকে থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলেও জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলো, মো. রায়হান বাবু (২৪), মো. সোহেল তোতা মামা (২৪), মো: বাচ্চু কাজল বাচ্চু (২৩), হাবিব (২৮), আনিস (২২), মিলন হোসেন (৩৭), শাহাবুদ্দীন (২৮) এবং সোহান ইসলাম (২৬)।


এ সময় এই হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি আর.টি.আর মোটরসাইকেল জব্দ করা হয় বলেও জানানো হয়।

এর আগে বুধবার (১৭ এপ্রিল) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা মিরপুর বিভাগের পল্লবী জোনাল টিম তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় টাঙ্গাইল, বরগুনা ও বরিশাল মহানগর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় হত্যা মামলার আসামি মো. রায়হান বাবু , মো. সোহেল তোতা মামা ও মো. বাচ্চু কাজল বাচ্চুকে গ্রেফতার করে।

হারুন অর রশিদ বলেন, আমাদের টিম সিরাজগঞ্জ, বরগুনা, বরিশালসহ বিভিন্ন জায়গা অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তিন জনকে ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করেছে। হত্যাকাণ্ডে যে মোটরসাইকেল ব্যবহার করা হয়েছিল সেটা উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি থানা পুলিশও বেশ কয়েকজন আসামিকে গ্রেফতার করেছে। থানা পুলিশ এবং ডিবি পুলিশ মিলিয়ে এই ঘটনার সাথে জড়িত অধিকাংশ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এই হত্যাকাণ্ডে আসলে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে চাঁদাবাজি ও মাদক কারবারিকে ঘিরে ঘটনাটি ঘটেছে। এর আগে যে ভিক্টিম পাভেলকে তারা হত্যা করেছে সেও কিন্তু ২২ ডিসেম্বর আসামি হাবিবের উপর আক্রমণ করেছিল। সে সময় এই হামলা সংক্রান্ত একটি মামলাও বাড্ডা থানায় রজু হয়েছিল। সেই মামলায় পাভেল জেলও খেটেছিল। জেল থেকে বের হওয়ার পরে ভিক্টিম পাভেলকে একটা মোটরসাইকেলে করে তাজমুল এক জায়গায় নিয়ে যাচ্ছিল। সেখানে যাওয়ার পথে আসামিরা মিলে তার উপর আক্রমণ করে তাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরে তারা সেখান থেকে পালিয়ে যায়।

তিনি বলেন, এ ঘটনায় ভিক্টিম পাভেলের মা পারুল বেগম পল্লবী থানায় একটি মামলা করেছে। সেই মামলার সূত্র ধরে আমাদের ডিবি টিম বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত ৩ জনকে তারা গ্রেফতার করেছে। অন্যান্য৷ আসামিকেও থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার ও পল্লবী জোনাল টিমের টিম লিভার মো. রাশেদ হাসান বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ছিল মূলত মাদক কারবারিকে ঘিরে এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে। মাদক কারবারি ও এলাকার আধিপত্য বিস্তার করতে পূর্বশত্রুতার জের ধরে ভিক্টিম পাভেলকে হত্যা করা হয়েছে।

এর আগে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত ১৪ এপ্রিল রাত ৮ টার দিকে আসামি মো. হাবিব, মো. হানিফ, মো. আনিছ, মো. রায়হান বাবু, মো. মিলন, মো. জহিরসহ অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জন আসামি পরস্পর যোগসাজশে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ভিকটিম পাভেলকে ডেকে নিয়ে পল্লবী থানাধীন সেকশন-১২, স্বপ্ন নগর আবাসিক এলাকা-১ এর পেছনে টেকের বাড়ি নামক স্থানে গণপূর্তের পুকুরের উত্তর পাড়ে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে উল্লিখিত আসামিসহ অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জন আসামিরা ভিকটিম পাভেল এর শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়িভাবে কুপিয়ে জখম করে আসামিরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভিক্টিম পাভেল মারা যায় এবং ভিকটিমের মা মোছা. পারুল বেগম পল্লবী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

;

নওগাঁয় শান্ত বাহিনীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নওগাঁয় পল্লী বিদ্যুৎ এর ঠিকাদার সাজ্জাদ হোসেনকে প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দিয়ে কুপিয়ে জখম করা মোশারফ হোসেন শান্ত ও তার বাহিনীর সদস্যদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ঝাঁড়ু মিছিল ও মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে শহরের বালুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আদালতের সামনের সড়কে এ মানববন্ধন করা হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা আবুল কালাম আজাদ কবিরাজ এর সভাপতিত্বে পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জামেদ আলী, স্থানীয় বাসিন্দা চাঁন মোহাম্মদ চান্দু, আব্দুস ছালাম, গোলাম রব্বানীসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।

মানববন্ধনে সন্ত্রাসী হামলায় আহত ঠিকাদার সাজ্জাদ হোসেন ও তার পরিবারের সদস্যসহ এলাকার প্রায় দুই শতাধিক এলাকাবাসী ঝাঁড়ু হাতে উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, শান্ত বাহিনীর অত্যাচারে পুরো বাসস্ট্যান্ড এলাকা অতিষ্ট। দোকানদারদের কাছ থেকে সে নিয়মিত চাঁদা নিতো। আর চাঁদা না দিলে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় দোকানীদের। শান্ত স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের ঘনিষ্ঠজন হওয়ায় কাউকেই তোয়াক্কা করে না।

গত ১৪ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টায় শহরের বালুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দেশীয় অস্ত্র রামদা, চাপাতি ও হাসুয়াসহ বিভিন্ন অস্ত্র সজ্জিত হয়ে মোশারফ হোসেন শান্ত ১০-১২ জনকে সঙ্গে নিয়ে প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দেয়। সেখানে পল্লী বিদ্যুৎ এর ঠিকাদার সাজ্জাদ হোসেনের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেওয়ায় সাজ্জাদকে কুপিয়ে জখম করে শান্তসহ তার বাহিনীরা। পরে এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়ে এবং বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ হয়। পরদিন ভুক্তভোগী সাজ্জাদ হোসেন বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। এরপর মোশাররফ হোসেন শান্তসহ তিনজনকে আটক করে আদালতে পাঠায় থানা পুলিশ।

ভুক্তভোগী ঠিকাদার সাজ্জাদ হোসেন বলেন, গত নববর্ষের দিনে বাসস্ট্যান্ডে মোশারফ হোসেন শান্ত আমার পথরোধ করে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। তার সাথে থাকা ১০-১২ জনের প্রত্যেকের হাতেই ধারালো অস্ত্র ছিলো। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা আমাকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি ভাবে কোপাতে থাকে। আমাকে বাঁচাতে ছেলে হৃদয় ছুটে আসলে তাকে বেদম মারপিট করা হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা করলে আমাকে হত্যা করবে বলে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে শান্ত বাহিনীর সন্ত্রাসীরা।

;

‘ভারতের সাথে এদেশের সম্পর্ক বিনিসুতোয় গাঁথা মালার মতো’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের সাথে এদেশের সম্পর্ক বিনিসুতোয় গাঁথা মালার মতোই বলে মন্তব্য করেছেন কুষ্টিয়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ। তিনি বলেন, এই সম্পর্ক কোনোদিনও ভাঙবে না।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাতে কুমারখালির শিলাইদহে কুঠিবাড়িতে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মরণে অ্যাম্ফিথিয়েটার চত্বরে 'পদ্মা নৌকায় ঠাকুর' সঙ্গীত ও নৃত্যানুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশনের ইন্দিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের আয়োজনে এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের সহযোগিতায় এ অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে আব্দুর রউফ বলেন, বাংলাদেশের প্রতি ভারতের ভালবাসা ছিল বলেই সে সময়ের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী স্বাধীনতা যুদ্ধে সহযোগিতা করেছিলেন।

কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম মিকাইল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সদর উদ্দিন খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. তারেক জুবায়ের, কুমারখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান খান প্রমুখ।

রবীন্দ্রনাথের সঙ্গীত ও নৃত্যানুষ্ঠান পরিচালনা করেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী প্রখ্যাত রবীন্দ্র বিশেষজ্ঞ ও সঙ্গীত শিল্পী ড. আনন্দ গুপ্ত।

প্রসঙ্গত, জমিদারি দেখাশোনার জন্য ১৮৯১ সালে প্রথম এ কুঠিবাড়িতে আসেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। নিরিবিলি পরিবেশ, জমিদারি আর ব্যবসার কারণে বার বার কুষ্টিয়ার এ কুঠিবাড়িতে ফিরে আসতেন তিনি। নিভৃত বাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চল কুষ্টিয়ার শিলাইদহে কবির জীবনের বেশ কিছু মূল্যবান সময় কেটেছে। এখানে বসে রচিত গীতাঞ্জলি কাব্যই রবীন্দ্রনাথকে এনে দিয়েছে নোবেল পুরস্কার আর বিশ্বকবির মর্যাদা। কুঠিবাড়িতে সংরক্ষিত আছে তার স্মৃতিবিজরিত অনেক কিছু।

;

লক্ষ্মীপুরে গৃহবধুকে হত্যার ঘটনায় র‍্যাবের জালে আটক ৭



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
লক্ষ্মীপুরে গৃহবধুকে হত্যার ঘটনায় র‍্যাবের জালে আটক ৭

লক্ষ্মীপুরে গৃহবধুকে হত্যার ঘটনায় র‍্যাবের জালে আটক ৭

  • Font increase
  • Font Decrease

লক্ষ্মীপুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ঘরে ঢুকে গৃহবধূ জোসনা আক্তারকে (৩০) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলার প্রধান আসামি সিরাজ মিয়াসহ ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। 

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে র‍্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) গোলাম মোর্শেদ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেফতার সিরাজ সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চরভূতা গ্রামের রবু মিয়ার ছেলে।

গ্রেফতারকৃত অন্যরা হলেন- এরশাদ, রিপন, জাকির, রিমন, রাকিব ইব্রাহিম ও সাহেরা বেগম। এর মধ্যে রিপন, রাকিব, জাকির ও রিমন প্রধান আসামি সিরাজের ছেলে। এরশাদ ও ইব্রাহিম একই এলাকার মিজানের ছেলে। অপর আসামি সাহেরা মিজানের স্ত্রী।

র‍্যাব ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, বাড়ির পুকুর থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন ও পানি সেচকে কেন্দ্র করে ভিকটম জোসনাদের সঙ্গে আসামি সিরাজদের ঝগড়া হয়। এর জের ধরে ১২ এপ্রিল মধ্যরাতে হামলা চালিয়ে ঘরে ঢুকে জোসনা ও তার স্বামী আলাউদ্দিনকে কুপিয়ে আহত করে আসামিরা। পরে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থল থেকে আহত অবস্থায় দুইজনকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জোসনাকে মৃত ঘোষণা করে। আহত অবস্থায় আলা উদ্দিন সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) নিহত জোসনার বাবা ইসমাইল হোসেন বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।

র‍্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) গোলাম মোর্শেদ বলেন, মামলার পর থেকে র‍্যাব তদন্ত শুরু করে। অবশেষে মামলার এজাহারনামীয় ৬ জন ও ১ জন অজ্ঞাত আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তাদেরকে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হবে।

;