রাজশাহী সিটির বর্জ্যে মরছে সড়কের পুরনো গাছ



হাসান আদিব, স্টাফ করেসপন্ডেট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী,
রাসিকের কারণে শুকিয়ে যাচ্ছে ২৫ বছরের পুরনো গাছ, ছবি: বার্তা২৪

রাসিকের কারণে শুকিয়ে যাচ্ছে ২৫ বছরের পুরনো গাছ, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহী মহানগরীর সিটি বাইপাস মহাসড়ক। ছয় মাস আগেও সড়কের দু’পাশে ছিল সবুজের সমারোহ। রাস্তার দু’ধারে বড় বড় মেহগনি ও কড়ই গাছগুলো ছায়া দিত পথচারীদের। আর কৃষ্ণচূড়ার ফুলের বাহার দেখে বিমোহিত হতো রাস্তায় চলাচলরত মানুষ।

গাছগুলোর দিকে তাকালেই চোখ জুড়াতো বিভিন্ন প্রকারের পাখির উড়াউড়ির দৃশ্য। তাদের কিচিরমিচির ডাকে ক্লান্ত পথিকও ফিরে পেতেন সতেজতা। গোটা এলাকা ছিল পাখির অভয়ারণ্য। অথচ রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) খাম-খেয়ালিপনায় সৌন্দর্য হারাচ্ছে সড়কটি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/13/1557737732553.jpg

নগরীর ময়লা-আবর্জনা ভ্যানে করে নিয়ে ফেলা হচ্ছে সড়কের পাশের গাছগুলোর গোঁড়ায়। মহাসড়কটির কিছুদূরে অবস্থিত ‘সিটি গরুর’ হাট। সেখানে জবাই করা পশুর বর্জ্যও ফেলা হয় এখানে। স্তুপকৃত বর্জ্যে মাঝে-মধ্যে আগুন ধরিয়ে দেয় রাসিকের ‘ক্লিনার’রা। ফলে আগুনের তাপ ও ধোঁয়ায় মরতে শুরু করেছে গাছগুলো। 

সরেজমিন দেখা যায়, আধা কিলোমিটার সড়কে এরই মধ্যে বড় বড় ১৮ থেকে ২০টি গাছ পুরোপুরি মরে গেছে। শুকিয়ে যাচ্ছে আরও অসংখ্য গাছ। গাছগুলোর বয়স ২২ থেকে ২৫ বছর। ফলে তীব্র গরমে রাস্তা দিয়ে যাতায়াতকারী মানুষেরা চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।

BARTA24
শুকিয়ে যাওয়া গাছ, ছবি: বার্তা২৪

এছাড়া পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়া ক্ষতিকর বর্জ্যের ধূলি-ছাই ব্যাপকভাবে দূষিত করছে পরিবেশ। পাশের বিস্তৃর্ণ ফসলি জমিতে চাষাবাদ হচ্ছে না। ক্ষতিকর ধূলি-ছাই ছড়িয়ে পড়ে ক্ষেতের ফসল মরে শুকিয়ে যাচ্ছে। আর বাসস্থান হারাচ্ছে পাখি। একসময়ের অভয়ারণ্য এখন পরিণত হচ্ছে পাখিশূন্য এলাকায়।

পরিবেশ আন্দোলনের কর্মীরা বলছেন, ‘চলতি বছর রাজশাহীতে যেভাবে দাবদাহ শুরু হয়েছে, এভাবে বড় বড় গাছ নষ্ট করলে তা আরও বাড়বে। দ্রুতই বরেন্দ্র অঞ্চল মরুময়তা ও খরাপ্রবণ অঞ্চলে পরিণত হবে। খোদ সিটি করপোরেশন যদি এ ব্যাপারে এতোটা অসচেতন হয়, তবে মানুষের আস্থার জায়গা নষ্ট হয়ে যাবে।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/13/1557737835619.jpg
গাছের গোড়ায় ফেলা হচ্ছে বর্জ্য, ছবি: বার্তা২৪.কম

১৭ নং ওয়ার্ডের স্থানীয় বাসিন্দা সাহেব আলী বলেন, সিটি করপোরেশনের লোকজন ভ্যানে করে প্রতিদিন সকালে এখানে ময়লা ফেলে যান। ময়লার যখন অনেক উঁচু স্তূপ হয়ে যায়, তখন ফেলার জায়গা না পেয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। পুড়ে সেগুলো ছাই হয়ে গেলে ফের তার ওপরে আবার ময়লা ফেলা হয়।’

সাইকেল আরোহী রঞ্জন দেবের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হলে তিনি বলেন, ‘গাছগুলো ২২ থেকে ২৫ বছর আগে লাগানো। আমাদের চোখের সামনেই বড় হয়েছে। রাস্তায় বের হলে গরমের দিনে ছায়া দিতো। শান্তিতে চলাচল করা যেত। কিন্তু এখন খুব বাজে অবস্থা। এই আধা কিলোমিটার রাস্তা পার হতে গিয়ে অবস্থা বেগতিক হয়ে যাচ্ছে।’

বার্তা২৪ BARTA24
গাছের গোড়ায় ফেলা হচ্ছে বর্জ্য, ছবি: বার্তা২৪

রাজশাহী বার্ডস ক্লাবের সংগঠক শোভন আছাদুজ্জামান বলেন, ‘বাইপাস সড়কের গাছগুলোতে বিভিন্ন প্রজাতির পাখির বসবাস। কেউ যদি ওই সড়কে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে তাহলে দেখতে পাবে, কত প্রকারের পাখি ওখানে থাকে। অথচ ময়লা ফেলে গাছ মেরে ফেলে পাখিদের বাসস্থান ধ্বংস করা হচ্ছে। যা পরিবেশেরও ব্যাপক ক্ষতি ডেকে আনছে। এ নিয়ে আমরা বিভিন্ন সময়ে সরব হয়েছি, তবে কর্তৃপক্ষ ভ্রুক্ষেপ করেনি।’

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) রাজশাহীর সভাপতি জামাত খান বলেন, ‘আমরা জোর গলায় রাজশাহীকে ক্লিন সিটি-গ্রিন সিটি বলে থাকি। সিটি করপোরেশনের দায়িত্বে যারা রয়েছেন, তারাও বিভিন্ন সভা-সমাবেশে গিয়ে এ নিয়ে বক্তৃতা দেন। অথচ মাঠের চিত্র ভিন্ন। যেখানে-সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলে পরিবেশ দূষিত করা হচ্ছে।’

বার্তা২৪ BARTA24

তিনি বলেন, সিটি বাইপাসের দু’পাশের যে গাছগুলো মারা গেছে, তা ২৪ থেকে ২৫ বছর বয়সী গাছ। এতো দিন ধরে যে গাছগুলো বড় করা হলো, তার গোড়ায় বর্জ্য ফেলে মেরে ফেলা হলো। কতটা অব্যবস্থাপনা হলে এটা হতে পারে! দ্রুত মরা গাছগুলোর স্থানে নতুন করে গাছ লাগানো এবং ওই সড়কে ময়লা না ফেলার জন্য সিটি মেয়রের কাছে দাবি জানান তিনি।

জানতে চাইলে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি প্যানেল মেয়র সরিফুল ইসলাম বাবু বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘অনেক আগে থেকেই ওখানে ময়লা ফেলা শুরু হয়েছিল। নতুন মেয়র হিসেবে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ও আমরা দায়িত্বগ্রহণের পর পর্যায়ক্রমে নগরীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা একটা নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আনার চেষ্টা করছি।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/13/1557738005140.jpg
ছবি: বার্তা২৪

তিনি বলেন, ‘আমরা বর্জ্য শোধনের মাধ্যমে ডিজেল উৎপাদনের জন্য একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছি। চুক্তি অনুযায়ী কাজ দ্রুত কাজ শুরু হলে, নগরীতে যত্রতত্র বর্জ্য ফেলা বন্ধ হয়ে যাবে। এছাড়া যেখানে গাছগুলো মারা গেছে, ওখানে নতুন করে বৃক্ষরোপণ করা হবে।’

আরও পড়ুন: রাজশাহীতে বর্জ্য থেকে উৎপাদিত হবে ডিজেল

   

প্রয়োজন না হলে ঘরের বাইরে নয়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন

  • Font increase
  • Font Decrease

শিশু ও বয়স্কদের প্রয়োজন না হলে ঘরের বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে সাভারে সিআরপি নার্সিং কলেজের এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, আমি শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি, আমরা আরও এক সপ্তাহ স্কুলগুলো বন্ধ রাখার কথা বলেছি। আমাদের কিছু নির্দেশনা আছে, স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে সেগুলো সব জায়গায় দেওয়া হবে। যারা বয়স্ক ও শিশু তারা যেন প্রয়োজন না থাকলে ঘরের বাইরে না যায়।

স্বাস্থ্যখাতে কি কি চ্যালেঞ্জ রয়েছে জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রথম চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সাধারণ মানুষের কাছে চিকিৎসা ব্যবস্থা পৌঁছে দেওয়া। প্রত্যেকটা হেলথ কমপ্লেক্সকে, কমিউনিটি ক্লিনিককে উন্নত করতে হবে, যেন সাধারণ মানুষ গ্রামেই চিকিৎসা পায়।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সিআরপি প্রতিষ্ঠাতা ড. ভ্যালেরি টেইলর, সিআরপির নির্বাহী পরিচালক ড. মোহাম্মদ সোহরাব হোসেন ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

;

জেলা প্রশাসকের স্বাক্ষর নকল করে ‘জাল সনদ’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ’অবিবাহিত সনদ’ তৈরি করে সেই সনদের মেয়াদ বৃদ্ধি করতে গিয়ে আটক হয়েছেন এক যুবক। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে তাকে জেলা প্রশাসনের কার্যালয় থেকে আটক করা হয়।

আটককৃত ওই ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ আকতার (৪৯)। সে সন্দ্বীপ উপজেলার মাইটভাঙ্গা গ্রামের শহিদুল্লাহ সর্দ্দারের ছেলে। বর্তমানে সে হালিশহর থানার আই ব্লকে ভাড়ায় থাকছে।

পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে সাড়ে ১২টার দিকে জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে গিয়ে স্টাফ অফিসার, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. আল আমিন হোসেনের কাছে জনৈক মো. কামারুল হাসানের ‘অবিবাহিত সনদ’ এর মেয়াদ বৃদ্ধি করার জন্য আবেদন করে অভিযুক্ত আকতার। 

এরপর শনাক্ত হয় যে, ওই সনদটি চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের স্বাক্ষর নকল করে তৈরি। প্রতারণার উদ্দেশ্যে সেটির মেয়াদ বৃদ্ধির চেষ্টা করা হয়।

কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম ওবায়েদুল হক বলেন, আসামির বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

 



;

৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কয়েকদিন ধরে চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে। ভরা গ্রীষ্মের বৈশাখের তাপমাত্রার পারদ দিন দিন ঊর্ধ্বগামী হচ্ছে। এবার তীব্র তাপদাহ থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে এ জেলায়।

শনিবার (২০ এপ্রিল) বেলা ৩টায় চুয়াডাঙ্গা জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৮ শতাংশ।

গত বছর এই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

স্থানীয় আবহাওয়া অফিস বলছে, বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত এ তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। এদিকে, তীর্যক সূর্যের কড়া রোদের তেজে ঝলসে যাচ্ছে চারদিক। গনগনে রোদের আগুনে পুড়ে যাচ্ছে প্রাণ ও প্রকৃতি। টানা খরতাপে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাও ছন্দপতন ঘটছে।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, ঈদের পরদিন ১২ এপ্রিল থেকেই চুয়াডাঙ্গা জেলায় তাপপ্রবাহ শুরু হয়। যা এখনো অব্যাহত রয়েছে। প্রতিদিনই তাপমাত্রা বেড়ে চলতি মৌসুমের রেকর্ড ভাঙছে। আজ শনিবার দুপুর ১২টায় চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ১৮ শতাংশ। বেলা তিনটায় তাপমাত্রা আরও বেড়ে দাঁড়ায় ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৮ শতাংশ। যা অতি তীব্র তাপপ্রবাহ।

গত শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বুধবার (১৭ এপ্রিল) ৪০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, টানা তীব্র তাপপ্রবাহের পর এবার তাপমাত্রা আরও বেড়ে অতি তীব্র তাপদাহ শুরু হয়েছে। আজ বেলা তিনটায় চুয়াডাঙ্গায় ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। বৃষ্টি না হওয়ায় এ তাপপ্রবাহ চলছে। বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা অনেকটাই হ্রাস পাবে। তাছাড়া মার্চ-এপ্রিল মাসে এমনিতেই এ জেলার গড় তাপমাত্রা অনেক বেশি থাকে। আপাতত বৃষ্টির কোনো পূর্বাভাস নেই। তবে কালবৈশাখী ঝড় হলে তার সঙ্গে বৃষ্টি হতে পারে। যা আগে থেকে বলা সম্ভব নয়।

টানা তাপদাহের ফলে স্থবির হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের জনপদ। সাধারণ মানুষ খুব প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বাইরে বের হচ্ছেন না। সড়ক-মহাসড়কে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় যান চলাচল অনেক কম। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এক প্রকার জনমানব শূন্য হয়ে পড়ছে সড়কগুলো। এছাড়া এই বৈরি আবহাওয়ায় কৃষির ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়ছে। জমিতে পানি সেচের বাড়তি খরচ মেটাতে গিয়ে কৃষকের নাভিশ্বাস অবস্থা।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার মাখালডাঙ্গা ইউনিয়নের কৃষক আজিবর রহমান জানান, তীব্র তাপদাহে ধানের জমি শুকিয়ে ফাটল দেখা দিয়েছে। ধানগাছও কড়া রোদে শুকিয়ে যাচ্ছে। জমিতে পানি ধরে রাখতে প্রতিদিনই শ্যালোমেশিন দিয়ে সেচ দিতে হচ্ছে। এতে আমাদের মোটা অংকের টাকা গুনতে হচ্ছে। মনে হচ্ছে, এ বছর লোকসানের মুখে পড়তে হবে।

জীবননগর উপজেলার পোল্ট্রি খামারি আব্দুস সালাম জানান, এই গরমে প্রতিদিনই হিট স্ট্রোকে মুরগি মারা যাচ্ছে। ফ্যান চালু রেখেও তেমন ভালো ফল পাওয়া যাচ্ছে না। এরকম অবস্থা চলতে থাকলে আর্থিকভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হতে হবে।

;

রাইদা পরিবহনের ঘাতক বাসচালক গ্রেফতার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বিমানবন্দর সংলগ্ন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বেপরোয়া গতিতে চলমান রাইদা পরিবহনের বাসের চাপায় পিষ্ট হয়ে সিভিল অ্যাভিয়েশনের ইঞ্জিনিয়ার মাইদুল ইসলামের নির্মম মৃত্যুর ঘটনায় ঘাতক বাসচালক হাসানকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে বরিশালের হিজলা উপজেলা র‍্যাব-১ ও র‍্যাব-৮ এর যৌথ অভিযানে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সিনিয়র সহকারী পরিচালক ইমরান খান।

তিনি বলেন, শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে রাইদা পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তৃতীয় টার্মিনালের নিরাপত্তা বাউন্ডারি ভেঙে ঢুকে যায়। এসময় রাস্তা দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন সিভিল অ্যাভিয়েশনের সিনিয়র সাব অ্যাসিস্টেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মাইদুল ইসলাম। তার মোটরসাইকেলটি রাইদা পরিবহনের বাসটির নিচে চলে যায়। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পরপরই ঘাতক বাসের চালক ও তার সহকারী পলিয়ে যায়।

এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে রাজধানীর উত্তরায় র‌্যাব-১ এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছে। শনিবার বিকেল পাঁচটায় সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানাবেন র‌্যাব-১ উপ-অধিনায়ক।

;