বগি সংকট নিয়ে চলছে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের ৯০ ট্রেন



হাসান আদিব, স্টাফ করেসপন্ডেট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন, ছবি: বার্তা২৪.কম

রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের অধীনে বর্তমানে ৪০টি আন্তঃনগর ও ৫০টি লোকাল ট্রেন চলাচল করছে। ট্রেনগুলো ঢাকা-খুলনা, ঢাকা-রাজশাহী, ঢাকা-পার্বতীপুরসহ বিভিন্ন রুটে চলাচল করে।

এছাড়া পাবনা, সিরাজগঞ্জ ও বরেন্দ্র এক্সপ্রেসসহ অর্ধশত লোকাল ট্রেনেও রয়েছে বগি স্বল্পতা। ফলে ঈদ যাত্রায় পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে রুটের ট্রেনে চলাচল করা মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হবে।

আর ‘ঈদ স্পেশাল’ নামে ১৫ দিনের জন্য ট্রেনগুলোতে ‘লক্কড়-ঝক্কড়’ বগি সংযুক্ত করা হচ্ছে। যাতে রঙের প্রলেপ দিয়ে অল্প সময়ের জন্য চকচকে করছে কর্তৃপক্ষ। এতে পশ্চিমাঞ্চল রেলরুটে ট্রেনের গতি কমবে। যথাসময়ে গন্তব্যে পৌঁছানো নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়ার শঙ্কা যাত্রীদের।

তবে রেলওয়ে কর্মকর্তারা বলছেন, মন্ত্রণালয় ট্রেনগুলোর বগি সংকট নিরসনে ব্যাপক উদ্যোগ নিয়েছে। ইন্দোনেশিয়া থেকে ৫০টি অত্যাধুনিক বগি আনা হয়েছে। আরও কিছু বগি আনার প্রক্রিয়া চলছে। যা ট্রেনগুলোতে যুক্ত হলে প্রায় ২০ শতাংশ আসন বাড়বে। ভোগান্তি কমবে যাত্রীদের। কিন্তু সেটা ঈদ-উল-ফিতরের আগে সম্ভব নয় বলে জানান তারা।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে সূত্র জানায়, ঢাকা, খুলনা, কুষ্টিয়া, রাজশাহী, ঈশ্বরদী, নাটোর, চাঁপা্ইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, জয়পুরহাট, বগুড়া, সৈয়দপুর, পার্বতীপুর, চীলাহাটি, পঞ্চগড়সহ বিভিন্ন স্থানে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের ৯০টি ট্রেন যাতায়াত করছে। সবগুলো ট্রেনেই কমপক্ষে ৩টি থেকে ৬টি বগি সংকট।

রাজশাহী-ঈশ্বরদী-ঢাকা রুটে চলাচল করা আন্তঃনগর ট্রেন সিল্কসিটি, পদ্মা ও ধুমকেতূ এক্সপ্রেস নামের তিনটি ট্রেনই ১৫টি বগি নিয়ে চলাচল করছে। অথচ ট্রেন তিনটির ১৮টি বগি নিয়ে চলাচল করার সক্ষমতা রয়েছে।

১৮টি বগি টানার সক্ষমতা থাকলেও ‘নীলসাগর এক্সপ্রেস’ চলছে ১২টি নিয়ে। দেশের সবচেয়ে দীর্ঘ রেলরুট ঢাকা-ঈশ্বরদী-খুলনা রুটে আন্তঃনগর চিত্রা ও সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল করে। গুরুত্বপূর্ণ এই রুটের দু’টি ট্রেনই ৬টি করে বগি কম নিয়ে যাতায়াত করছে।

সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনও চলছে ১৬টির স্থলে ১২টি বগি নিয়ে। আর রাজশাহী-ঈশ্বরদী-খুলনাগামী কপোতাক্ষ, সাগরদাড়ি, মধুমতি এক্সপ্রেসেও ৪টি থেকে ৬টি করে বগি কম রয়েছে। এছাড়া সীমান্ত এক্সপ্রেস, মহানন্দা, তিতুমীর ও বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ট্রেনেও রয়েছে বগি স্বল্পতা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/15/1557901824742.jpg

জানতে চাইলে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও) আবদুল্লাহ আল-মামুন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ট্রেনে বগি সংকট রয়েছে, তা উপচে পড়া ভিড় দেখলেই তো বোঝা যায়। এটা নিয়ে আমরা কথা বললে চাপে পড়তে হয়। সংকট সমাধানের জন্য নতুন কোট আমদানি করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কিছু বগি পৌঁছেছে, সেগুলো বিভিন্ন ট্রেনে যুক্ত করা হচ্ছে। পরিকল্পনামাফিক অন্য বগিগুলো আনা হলে সংকট অনেকটা কমে যাবে।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক খোন্দকার শহিদুল ইসলাম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, গেল কয়েক বছর রেলওয়েতে ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। রেল যাত্রায় মানুষের ভোগান্তি ক্রমে কমছে। ফলে যাত্রীরা এখন ট্রেন ভ্রমণে ঝুঁকছে। প্রধানমন্ত্রীও রেলখাতে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, সংকট কমিয়ে ভোগান্তি সহনীয় মাত্রায় আনতে।

তিনি বলেন, ‘ইন্দোনেশিয়া থেকে বেশ কিছু কোচ আমদানি করা হয়েছে। আরও কোচ আনার প্রক্রিয়া চলমান। সেগুলোও অতিদ্রুত পৌঁছাবে দেশে। আপনার খোঁজ নিলে জানবেন- পশ্চিমাঞ্চল রেলরুটের লাইন দীর্ঘদিন পর মেরামত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। লাইন মেরামতের কাজ শেষ হলে এবং নতুন বগি ট্রেনে যুক্ত হলে স্বাচ্ছন্দে ট্রেন ভ্রমণ করতে পারবেন যাত্রীরা।’ আসন্ন ঈদেও যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে তৎপর রয়েছে কর্তৃপক্ষ।

 

   

ঢাকাসহ ৪ বিভাগে বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকাসহ দেশের চার বিভাগে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। এতে সারা দেশেই অনুভূত হচ্ছে তীব্র গরম। এ পরিস্থিতিতে আবহাওয়া অফিসের তথ্যানুযায়ী,মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা, ময়মনসিংহ, রংপুর এবং সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

তাপপ্রবাহের বিষয়ে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

১৭ এপ্রিলের আবহাওয়ার বিষয়ে বলা হয়েছে, তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি দেশের কিছু কিছু জায়গা থেকে প্রশমিত হতে পারে। উত্তরপূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

১৮ এপ্রিলের আবহাওয়ার বিষয়ে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

এছাড়া বর্ধিত ৫ দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় বলা হয়েছে, সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।

;

উদীচীর কর্মকাণ্ডে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিব্রত: ডিএমপি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
উদীচীর কর্মকাণ্ডে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিব্রত: ডিএমপি

উদীচীর কর্মকাণ্ডে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিব্রত: ডিএমপি

  • Font increase
  • Font Decrease

জননিরাপত্তার স্বার্থে সরকারের জারি করা নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদীচীর অনুষ্ঠান করা ও নেতিবাচক বিবৃতি- আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অনভিপ্রেত ও বিব্রতকর বলে উল্লেখ করেছে ডিএমপি।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাতে ডিএমপির মিডিয়া শাখার পাঠানো বার্তায় এ কথা বলা হয়।

উদীচীর এমন কর্মকাণ্ড অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক উল্লেখ করে ডিএমপি বলেছে, 'বাংলা নববর্ষ উদযাপনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকার যে নির্দেশনা জারি করেছে সেই নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর অনুষ্ঠান করার বিষয়টি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) দৃষ্টিগোচর হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠান না শেষ করা সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ করা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ করার বিষয়টি অত্যন্ত অনভিপ্রেত ও বিব্রতকর।

পহেলা বৈশাখ বাংলা ও বাঙালি জাতির প্রাণের উৎসব। সব ধর্মের মানুষের কাছে এটি একটি সর্বজনীন উৎসব। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবারই উৎসব উদযাপনে থাকে বিশেষ প্রস্তুতি। বাংলা সংস্কৃতির অন্যতম ধারক ও বাহক যেন এই দিনটি। বিশেষত দিনটি রঙিন হয়ে ওঠে বাঙালি পোশাকে-আশাকে, আয়োজনে এবং আপ্যায়নে। কিন্তু ইতোপূর্বে বিভিন্ন সময়ে বাংলা সংস্কৃতির ধারক এই পহেলা বৈশাখ উদযাপনের উপর উগ্রবাদী আঘাত এসেছে। বার বার চেষ্টা করা হয়েছে সংস্কৃতি যাত্রাকে ব্যাহত করার। উগ্রবাদের এই ভয়াল থাবা দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে বিভিন্ন সময়ে আক্রমণ করেছে, আঘাত করেছে সৃজনশীল ও সংস্কৃতমনা মানুষদের। উগ্রবাদীদের এই নৃশংসতায় প্রাণ দিয়েছেন অনেক কবি, সাহিত্যিক, অধ্যাপক, ব্লগারসহ মুক্তমনা এবং রুচিশীল ব্যক্তিত্ব। সর্বোপরি, জঙ্গি সংগঠনগুলোর টার্গেট হলো বাঙালি সংস্কৃতির অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করে দেশের মধ্যে একটি অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করা যা তাদের কার্যক্রমে স্পষ্টরূপে প্রতীয়মান হয়।

ডিএমপি বিবৃতিতে আরও বলেছে, এদেশে প্রথম জঙ্গি হামলা হয়েছিল ১৯৯৯ সালে, যশোরে উদীচীর অনুষ্ঠানে। পরবর্তীতে ২০০১ সালে রমনা বটমূলে ছায়ানটের অনুষ্ঠানে বোমা হামলা, একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলা, যাত্রা প্যান্ডেলে বোমা হামলা, সিনেমা হলে বোমা হামলা, ১৭ আগস্টের সিরিজ বোমা হামলার পর দেশে সবচেয়ে বড় জঙ্গি হামলা হয় গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয়। এসব হামলায় অনেক মানুষের মূল্যবান জীবনহানি হয়েছে এবং অনেকে পঙ্গু হয়েছেন। হামলা প্রতিরোধ করতে ও জনগণের জীবন বাঁচাতে গিয়ে পুলিশের অনেক সদস্য জীবন দিয়েছেন, আহত হয়েছেন বহুজন।

বিগত সময়ে ১৯৯৩ সালে (১৪০০ বঙ্গাব্দ) বাংলা শতবর্ষ উদযাপনে সরকার বাঙ্গালির এই আয়োজনে বাধা দিয়েছিল। কিন্তু উগ্রবাদ দমনে বর্তমান সরকারের গৃহীত 'জিরো টলারেন্স' নীতির ভিত্তিতে কার্যকর পদক্ষেপ ও পরিকল্পনা গ্রহণ করায় সারাবিশ্বে বাংলাদেশ আজ 'রোল মডেল' হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। দেশে জঙ্গি তৎপরতা রোধে পুলিশ সবসময়ই তৎপর। প্রতিটি অনুষ্ঠানে জনগণের জান মালের নিরাপত্তা দিতে সদা সতর্ক থাকায় পরবর্তী সময়ে দেশে কোনো জঙ্গি হামলা বা সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটতে পারে নাই। বর্তমান সরকার সবসময়ে অসাম্প্রদায়িক বাঙালি সংস্কৃতিকে তার নিজস্ব আমেজে উদযাপন করার ক্ষেত্রে আন্তরিক ও পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে আসছে। উদীচীর মতো বিভিন্ন প্রগতিশীল সংগঠনগুলো সারা বছর যে অনুষ্ঠানগুলো আয়োজন করে থাকে তার নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ তথা সরকার নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে ও পেশাদারিত্বের সাথে সেগুলো বিবেচনা করে থাকে। পহেলা বৈশাখ উদযাপনের জন্য 'বাংলা নববর্ষ ভাতার' ব্যবস্থাও করা হয়েছে যাতে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলে মিলিত হয়ে আনন্দের সাথে এই অনুষ্ঠান উদযাপন করতে পারে।

ডিএমপি বলছে, খুব স্বাভাবিকভাবেই নববর্ষ উদযাপনে নিরাপত্তা দেওয়া পুলিশের কর্তব্য। পুলিশের এই নিরাপত্তা কার্যক্রমে সকল জনগণ সার্বিকভাবে সহযোগিতা করবেন এটাই কাম্য, তেমনি আনন্দের এই অনুষ্ঠান বিষাদে পরিণত না হয়ে যায়। নিরাপত্তা বিধানে প্রদত্ত প্রয়োজনীয় নির্দেশনা না মেনে তার বিরোধীতা করে অনুষ্ঠান করা খুবই দুঃখজনক এবং উদীচীর মত প্রগতিশীল একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের নিকট থেকে যা কখনো কাম্য নয়।

উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে অনুষ্ঠান আয়োজন ও সেখানে প্রদত্ত বক্তব্য খুবই হতাশাজনক। মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে তাদের এহেন কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই প্রত্যাশিত নয়। অতীতেও উদীচীর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সময়ে উগ্রবাদী হামলার ইতিহাস রয়েছে বিধায় উদীচী তাদের নিজেদের ও জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে ভবিষ্যতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ প্রদত্ত বিভিন্ন নিরাপত্তামূলক নির্দেশনার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবে বলে প্রত্যাশা। 

এদিকে বর্ষবরণের জন্য সরকারের বেধে দেয়া সময় মানেনি বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী-গোষ্ঠী। বেধে দেয়া সময়ের পরও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করেছে সংগঠনটি। পয়লা বৈশাখে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের সময় সংকোচনের প্রতিবাদে রোববার সন্ধ্যা ছয়টার পর রাজধানীর শাহবাগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে উদীচী। তবে দ্রুত শেষ করার তাগাদা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের পর অনুষ্ঠান করায় প্রশাসনের বাধার মুখে পড়তে হয়নি তাদের।

এর আগে পয়লা বৈশাখকে কেন্দ্র করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, রাজধানীর রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, হাতিরঝিল ও রবীন্দ্র সরোবরসহ বর্ষবরণের অনুষ্ঠান সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে শেষ করতে হবে। অন্যদিকে, শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, বর্ষবরণের সব আয়োজন বিকাল পাঁচটার মধ্যে শেষ করা হবে। সময় সংকোচনের নির্দেশনার মধ্যেই রোববার ‘বর্ষবরণ মানে না শৃঙ্খলা’ শিরোনামে সন্ধ্যায় শাহবাগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে উদীচী শিল্পী-গোষ্ঠী। সন্ধ্যা ছয়টায় শুরু হওয়া সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষ হয় সন্ধ্যা সাতটার দিকে।

;

ফরিদপুরে বাস-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ১৩



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেট, বার্তা ২৪.কম, ফরিদপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফরিদপুরের শহরতলীতে বাস ও পিকআপভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১৩ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুজন।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল পৌনে ৮টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের শহরতলীর কানাইপুরের দিপনগর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে উত্তরা ইউনিক পরিবহনের একটি বাস মাগুরা যাচ্ছিলো। পথে ফরিদপুরের কানাইপুরের দিপনগর এলাকায় পৌঁছালে বিপরীতদিক থেকে আসা পিকআপভ্যানের সঙ্গে ওই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুমড়ে-মুচড়ে যায় পিকআপভ্যানটি। এতে ঘটনাস্থলে পিকআপভ্যানের চালকসহ ১৩ যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হন দুজন। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

ওই পিকআপভ্যানটি মালামালের জায়গায় যাত্রী বহণ করছিলো বলে জানান তারা। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন হাইওয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহিনুল আলম।

তিনি বলেন, পিকআপভ্যানটি ভাড়া করে আলফাডাঙ্গা থেকে ফরিদপুর শহরে যাচ্ছিলেন যাত্রীরা। পথে মাগুরাগামী বাসের সঙ্গে ওই পিকআপভ্যানের মুখোমুখী সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে ১৩ জনের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস।

 

;

ময়মনসিংহে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ১৫



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের তারাকান্দায় দুই বাস মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন ১৫ জন।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে ময়মনসিংহ তারাকান্দা সড়কের কোদালধর বাজারের রামচন্দ্রপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। তারাকান্দা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াজেদ আলী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, তারাকান্দা কোদালধর বাজারের রামচন্দ্রপুর এলাকায় দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত হাসপাতালে অন্তত ১০/১২ জন আহত হয়েছে। এদের মাঝে ৬ জনকে ভর্তি করা হয়েছে।

বিস্তারিত আসছে.....



;