চার বছর পূর্তিতে গণমাধ্যম কর্মীদের মুখোমুখি হচ্ছেন মেয়র খোকন



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা, বার্তা২৪.কম
ডিএসএসসি মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন/ছবি: ফাইল ফটো

ডিএসএসসি মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন/ছবি: ফাইল ফটো

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের চার বছর পূর্ণ করলেন মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। এই চার বছরে কি কাজ করতে করেছেন আর আগামী কয়েক মাসে কি করতে চান এসব বিষয়ে তুলে ধরতে গণমাধ্যম কর্মীদের মুখোমুখি হচ্ছেন ডিএসসিসি মেয়র।

শুক্রবার (১৭ মে) বিকেল সাড়ে ৪ টায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের বলরুমে চার বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে মেয়র যেসকল বিষয় তুলে ধরতে পারে তা দেওয়া হলো।

মেয়র খোকন তার আলোচনায় বলতে পারেন বলে জানা গেছে, শূন্য তহবিল, খানাখন্দে ভরা বেহাল রাস্তাঘাট, আর্বজনার ভাগাড়ে পরিণত হওয়া এবং নষ্ট/অকেজো সড়কবাতির কারণে অন্ধকারে ডুবে থাকা এ নগরীর দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলাম। হাজারো সমস্যায় জর্জরিত এ নগরী বিগত ৪ বছরে আমাদের নিরলস ও আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং নগরবাসী ও আপনাদের সার্বিক সহযোগিতায় আজ উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় বদলে যাওয়া এক নগরী। নগরীতে উন্নয়নের ছোঁয়া এখন দৃশ্যমান। নব প্রতিষ্ঠিত ১৮টি ওয়ার্ডকে নিয়ে পরিকল্পিত মডেল শহর গড়ে তোলার পরিকল্পণা গ্রহণ করা হয়েছে।

মেয়র তার উন্নয়নের চিত্রগুলো তুলে ধরবেন, অসহায় বৃদ্ধদের জন্য বৃদ্ধাশ্রম নির্মাণ, কর্পোরেশনের নিজস্ব ব্যয়ে বিনামূল্যে  লাশ দাফন এবং শেষ কৃত্যানুষ্ঠানের ব্যবস্থা গ্রহণ, পরিচ্ছন্ন কর্মীদের জন্য আধুনিক কর্মী নিবাস তৈরি, পাবলিক টয়লেট নির্মাণ, ই-রেভিনিউ ও ট্রেড লাইসেন্স চালু, বিনামূল্যে নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের চিকুনগুনিয়াসহ অন্যান্য রোগের ঔষধসহ পরামর্শ সেবা বাড়িতে পৌঁছে দেয়া, অবৈধ বিলবোর্ড ও ব্যানার অপসারণ করে দৃষ্টিনন্দন ডিজিটাল বিলবোর্ড ও এলইডি বক্স স্থাপন, আধুনিক পুলিশ বক্স নির্মাণ, যানজট নিরসণে  আধুনিক যাত্রী ছাউনি নির্মাণ, ট্রাফিক সাইন, ট্রাফিক সিগন্যাল স্থাপন, গার্ড রেইল, বাস স্টপেজ নির্মাণ, জেব্রা ক্রসিং, অনস্ট্রিট পার্কিং, চক্রাকার বাস সার্ভিস চালুকরণ, কমিউনিটি সেন্টার ও মার্কেট নির্মাণ, ফুটপাত হকারমুক্ত করা ইত্যাদি কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

চার বছরের কাজের বর্ণনা তুলে ধরবেন মেয়র। এরমধ্যে রয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে আধুনিক প্রযুক্তির ৪১ হাজার ১৩৩টি এলইডি সড়ক বাতি স্থাপন করা হয়েছে। ফলে নাগরিকরা নিরাপদে ও স্বাচ্ছন্দে চলাফেরা করতে পারছেন। এছাড়া নবগঠিত ১৮টি ওয়ার্ডে ১৫ হাজার এলইডি বাতি স্থাপনের কাজ চলমান।

এই চার বছরে সরকার ও কর্পোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নে ৬৬৯ দশমিক ৯১ কিলোমিটার রাস্তা, ৬৩১ দশমিক ৭০ কিলোমিটার নর্দমা ১৩৩ দশমিক ১৬ কিলোমিটার ফুটপাথ নির্মাণ ও সংস্কার করা হয়েছে। এছাড়া প্রায় ৬০০ কিলোমিটার রাস্তা, ৫০০ কিলোমিটার নর্দমা এবং ১০০ কিলোমিটার ফুটপাথ নির্মাণ ও সংস্কারের কাজ চলমান রয়েছে।

পরিচ্ছন্ন কর্মী নিবাস নির্মাণ: পরিচ্ছন্নকর্মীদের জন্য দয়াগঞ্জে আধুনিক পরিচ্ছন্নকর্মী নিবাস উদ্বোধন করা হয়েছে। এছাড়া ধলপুর, লালবাগ ও গণকটুলিতে ছয়তলাবিশিষ্ট ৬টি নিবাস নির্মাণ করা হয়েছে। আরো ৬টির কাজ চলমান রয়েছে।

জলাবদ্ধতা দূরীকরণে ৪৯৭ কিলোমিটার উন্মক্ত নর্দমা এবং ৫৩৭ কিলোমিটার পাইপ ড্রেনের আবর্জনা অপসারণ করা হয়েছে। জেট এন্ড সাকার মেশিনের মাধ্যমে ড্রেনে জমাটবদ্ধ হয়ে থাকা আর্বজনা অপসারণ করা হচ্ছে। ফলে শান্তিনগর, নাজিমউদ্দিন রোড, গণকটুলী এবং বংশাল এলাকায় প্রায় চার যুগের  জলাবদ্ধতা সমস্যা নিরসণ হয়েছে।

নবসংযুক্ত ৮টি ইউনিয়নের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরবেন মেয়র।

এসময় উল্লেখ করা হতে পারে ৭৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে শ্যামপুর, দনিয়া, মাতুয়াইল, সারুলিয়া এলাকার ১৬৭ দশকি ৮৮ কিলোমিটার রাস্তা, ৮ দশমিক ৮১ কিলোমিটার ফুটপাথ ও ১৭১ দশমিক ৬৫ কিলোমিটার নর্দমা নির্মাণের কাজ শেষ পর্যায়ে। এ প্রকল্পের ৮৫ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই বাকি কাজ সমাপ্ত হবে।

এছাড়া ৫১৫ দশমিক ৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে মান্ডা, ডেমরা, নাসিরাবাদ ও দক্ষিণগাঁও ইউনিয়নের জন্য ৮১ দশমিক ৩৬ কিলোমিটার রাস্তা, ৬১ দশমিক ৭৯ কিলোমিটার নর্দমা, ৭ দশমিক ৯৫ কিলোমিটার ফুটপাথ, ১২টি আরসিসি ব্রিজ, ৩৮৩ মি. এপ্রোচ রোড নির্মাণ ও সংস্কারের কাজ চলমান রয়েছে।

খেলার মাঠ-পার্ক উন্নয়ন: “জলসবুজে ঢাকা” প্রকল্পের মাধ্যমে পার্ক এবং খেলার মাঠগুলো বিশ্বমানে উন্নীত করার কাজ চলছে। বেশীর ভাগ খেলার মাঠ ও পার্কের উন্নয়ন কাজ শেষ। উদ্বোধনের অপেক্ষাধীন রয়েছে। ১৯টি পার্কের মধ্যে শহীদ বুদ্ধিজীবী আব্দুল খালেক সরদার পার্কের নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয়েছে। সিরাজ-উদ-দৌলা পার্ক এবং গুলিস্থান পার্কের নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। ১২টি খেলার মাঠের মধ্যে শহীদ আব্দুল আলীম খেলার মাঠের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। রসুলবাগ মাঠ এবং জোড়পুকুর খেলার মাঠের উন্নয়ন কাজও প্রায় সমাপ্ত। অন্যান্য খেলার মাঠ ও পার্কগুলোর উন্নয়ন কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে যা চলতি বছরেই জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হবে।

বাসরুট রেশনালাইজেশন: নগর পরিবহনগুলো ৬টি কোম্পানির আওতায় এনে ২২টি রুটে পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ধানমন্ডি-নিউমার্কেট-আজিমপুর, এয়ারপোর্ট-মতিঝিলসহ কয়েকটি রুটে চক্রাকার বাস সার্ভিস চালু করা হয়েছে। চালকদের দক্ষ করার লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে চালক, পথচারীদের সার্বিক সচেতনতা বৃদ্ধি করে আইন মোতাবেক সড়কে চলার বিষয়ে শিক্ষার্থীসহ নাগরিকবৃন্দের সাথে মতবিনিময় করা হয়েছে।

যাত্রী ছাউনি নির্মাণ: নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ২৮টি আধুনিক যাত্রী ছাউনি নির্মিত হয়েছে। আরও ২টির নির্মাণ কাজ চলছে। এসব যাত্রী ছাউনিতে ওয়াই-ফাই সুবিধা এবং টিকেট বিক্রয় কাউন্টার অন্তর্ভূক্ত রয়েছে।

মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কল্যাণ কর্মসূচি: জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ১৫০০ বর্গফুট আয়তন পর্যন্ত ফ্ল্যাট-বাড়ির হোল্ডিং ট্যাক্স মওকুফ করা হয়েছে। আজিমপুর ও জুরাইন কবরস্থানে দাফনের জন্য স্থান নির্দিষ্টকরণ, তাঁদের ও তাঁদের সন্তানদের জন্য কমিউনিটি সেন্টার অর্ধেক ভাড়ায় ব্যবহারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

   

সমৃদ্ধি ও সুযোগ সৃষ্টিতে যুক্তরাষ্ট্র কাজ করতে চায়: পিটার হাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের সমৃদ্ধি ও সুযোগ সৃষ্টিতে যুক্তরাষ্ট্র কাজ করতে চায় বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর এক হোটেলে ইউএসএআইডি এবং দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস ঢাকার ইউনাইটেড স্টেটস্ এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট (ইউএসএআইডি) এবং দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশন যৌথভাবে আটলান্টিক কাউন্সিলের নতুন বৈশ্বিক স্বাধীনতা ও সমৃদ্ধি প্রতিবেদন (গ্লোবাল ফ্রিডমের অ্যান্ড প্রসপারিটি রিপোর্ট) ফলাফল জানাতে সমৃদ্ধি ও সুশাসন সম্মেলনের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে সেখানে পিটার হাস তার বক্তব্যে জানান, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা সুশাসন প্রতিষ্ঠায় অপরিহার্য। প্রত্যেক দেশ দুর্নীতির মতো বিষয়ে এবং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অধিকার সুরক্ষিত রাখার জন্য লড়াই করছে। কিন্তু মূল সমস্যাগুলো এড়িয়ে না গিয়ে, সক্রিয়ভাবে স্বীকার করে তা মোকাবিলা করতে হবে।

অনুষ্ঠানে এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২২ বছর ধরে প্রায় সবগুলো সূচকে অবনতি হচ্ছে বাংলাদেশের। এ বছর ১৬৪ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪১ তম।

সমৃদ্ধি সূচকে ‘অধিকাংশ ক্ষেত্রে অসমৃদ্ধ’ ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬৪ দেশের মধ্যে ৯৯ তম, যা মধ্যম আয়ের দেশ ও সরকারের রুপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের পথে বিরাট বাঁধা।

সমৃদ্ধি ও সুশাসন সম্মেলনে সরকার, নাগরিক সমাজ, ব্যবসায়ী, দাতা, একাডেমিয়া এবং থিঙ্ক ট্যাংকের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

আটলান্টিক কাউন্সিলের ফ্রিডম অ্যান্ড প্রসপারিটি সেন্টারের পরিচালক জোসেফ লেমোইন অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন। তিনি প্রতিবেদনটির মূল ফলাফল তুলে ধরেন, যা স্বাধীনতা সূচকের মাধ্যমে দেশগুলোর গণতান্ত্রিক এবং শাসন বিষয়ক নির্দেশকগুলো পরিমাপ এবং ক্রম নির্ধারণ করে এবং সমৃদ্ধি সূচকের মাধ্যমে, যা একটি দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি পরিমাপ করে।

;

ঈদ-বৈশাখের ছুটিতে কক্সবাজারে ৩০০ কোটি টাকার ব্যবসা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদুল ফিতর এবং বৈশাখের ছুটিতে লাখো পর্যটকের ঢল নেমেছিল কক্সবাজারে। ছুটি শেষ হলেও এখনো শেষ হয়নি পর্যটক সমাগম। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতগুলোতে পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত।

টানা ছুটিতে কক্সবাজারে কি পরিমাণ পর্যটক এসেছিল এবং এর ফলে কি পরিমাণ ব্যবসা হয়েছে তার কোনো সুনির্দিষ্ট হিসেব নেই কারও কাছে। তবে কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ বলছে টানা ছুটিতে ঈদের পরদিন থেকে আনুমানিক ৩ লক্ষ পর্যটক সমাগম হয়েছে। যেখানে পরিবহন থেকে শুরু করে হোটেল-মোটেল রেস্তোরাঁসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট সব খাতে ৩০০ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে।

তবে ভিন্ন কথা বলছে হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউজ মালিক সমিতি। টানা ৫ দিন ছুটি থাকলেও ঈদের পরদিন থেকে পহেলা বৈশাখ পর্যন্ত আড়াই লাখ থেকে ৩ লাখ পর্যটক এসেছেন। তখন পর্যটন খাতে দেড়লশো থেকে ২০০ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে।

কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আবু মুর্শেদ চৌধুরী খোকা বার্তা২৪.কমকে বলেন, ঈদুল ফিতরের সাঙ্গে বৈশাখের ছুটি যুক্ত হয়ে একাকার হওয়ায় এবার বিপুল সংখ্যক পর্যটকের সমাগম হয়েছে কক্সবাজারে। যদিও কোনো সরকারি-বেসরকারি সংস্থা কি পরিমাণ পর্যটক এলো এবং এর ফলে কেমন ব্যবসা হলো এর কোনো হিসেব রাখেনি। তবে বিভিন্ন জায়গা থেকে তথ্য নিয়ে জানতে পারলাম ৩ লক্ষাধিক পর্যটক এসেছেন কক্সবাজারে। এরমধ্যে অনেকেই দিনে এসে দিনে চলে গেছেন আবার অনেকেই রাত্রিযাপন করেছেন। এসময় রিকশাওয়ালা থেকে শুরু করে ঝিনুকশামুক ব্যবসা থেকে সব সেক্টর মিলিয়ে আনুমানিক ৩০০ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে।

কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউজ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সেলিম নেওয়াজ বার্তা২৪.কমকে বলেন, এবারের টানা ছুটিতে ঈদের পরদিন থেকে পর্যটকের ঢল শুরু হয়েছে যা এখনো কমেনি। আমরা সবাই ভালো ব্যবসা করতে পেরেছি। আমাদের নির্দেশনা ছিল বেশি দাম নিয়ে বা কোনোভাবে পর্যটকদের হয়রানি করা যাবে না। টানা ছুটিতে ঈদের পরদিন থেকে আড়াই-৩ লাখ পর্যটক কক্সবাজারে এসেছেন। এসময় পর্যটন সংশ্লিষ্ট খাতে দেড় থেকে ২০০ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে।

নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে এই দুই ব্যবসায়ী নেতা বলেছেন, কক্সবাজারে এবার কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই লাখ লাখ পর্যটক নিরাপদে ভ্রমণ করতে পেরেছে। এজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং কক্সবাজার জেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ।

বর্ষা মৌসুমের আগে পর্যন্ত এরকম পর্যটক সমাগম থাকলে ভালো ব্যবসার সুবাতাস বইবে পর্যটন সংশ্লিষ্ট সব খাতে এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

;

খাগড়াছড়িতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের দায়ে অর্থদণ্ড



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খাগড়াছড়ি
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় যাত্রীদের কাছ থেকে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি আদায়ের অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে দীঘিনালা-খাগড়াছড়ি অভ্যন্তরীণ সড়কের জামতলী এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন দীঘিনালা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আবুল হাসনাত খাঁন।

ঘণ্টাব্যাপী চলা অভিযানে দীঘিনালা-খাগড়াছড়ি সড়কে চলাচলকারী যাত্রীবাহী পরিবহন থামিয়ে যাত্রীদের সাথে কথা বলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এ সময় অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের দায়ে সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এর বিভিন্ন ধারায় তিনজন চালককে ১ হাজার ২ শত টাকা অর্থদণ্ড দেওয়ার পাশাপাশি অনেককে সতর্ক করা হয়।

অভিযানের নেতৃত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবুল হাসনাত খাঁন জানান, টানা ছুটিতে সড়কে যাত্রীর চলাচল বাড়ায় স্বার্থান্বেষী কিছু পরিবহন মালিক-শ্রমিক যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছিল। এ তথ্য পেয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

;

চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪০.৬ ডিগ্রি, হাঁপাচ্ছে মানুষ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪০.৬ ডিগ্রি, হাঁপাচ্ছে মানুষ

চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪০.৬ ডিগ্রি, হাঁপাচ্ছে মানুষ

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপদাহ। এ জেলায় আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি মৌসুমে এ জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বেলা তিনটায় এ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ২৭ শতাংশ। এদিকে, সূর্যের প্রখরতার সাথে তীব্র গরম প্রাণ-প্রকৃতিতে নেমে এসেছে স্থবিরতা। কড়া রোদে শ্রমজীবী মানুষ বাইরে বের হতে পারছেন না। গরমে হাঁপাচ্ছেন তারা।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, ঈদের পরদিন থেকেই এ জেলায় তাপপ্রবাহ শুরু হয়। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) এ জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা মৃদু তাপপ্রবাহ। এরপর থেকে ক্রমেই উপরে উঠতে থাকে তাপমাত্রার পারদ। শনিবার (১৩ এপ্রিল) ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রোববার (১৪ এপ্রিল) ৩৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি ও সোমবার (১৫ এপ্রিল) এ জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

একদিনের ব্যবধানে এ জেলার তাপমাত্রা বেড়েছে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বেলা তিনটায় জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর দুপুর ১২টায় ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল। এর আগে গত ৬ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, আগামী কয়েকদিন আবহাওয়া পরিস্থিতি একই রকম থাকবে। এসময় তাপমাত্রা আরও বাড়বে। আপাতত স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে কালবৈশাখি ঝড় হলে তার সাথে বৃষ্টি হতে পারে। এটা আগে থেকে বলা সম্ভব নয়।

এদিকে, তীব্র গরমে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। বাইরে কড়া রোদ থেকে বাঁচতে অনেকে গাছের ছায়ায় আশ্রয় নিচ্ছেন। কেউবা আবার লেবুর শরবত খেয়ে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন।

চুয়াডাঙ্গা শহরের রিকশা চালক আজিজুর রহমান জানান, 'এই রোদ-গরমে মানুষ খুব একটা বাইরে বেরোচ্ছে না। তাই যাত্রী খুবই কম। একে তো গরম তার ওপর তেমন ভাড়া না হওয়ায় খুব কষ্টে আছি। দিনশেষে বাড়িতে চুলা জ্বলবে কিনা সেই চিন্তা করছি।'

চুয়াডাঙ্গার একটি চাতালে ভুট্টা শুকানোর কাজ করছেন এক নারী। তিনি বলেন, 'গরিবের আবার গরম! পেটে ভাত জুটানোর চিন্তা করলে ওসব রোদ-গরম সব তুচ্ছ মনে হয়।'

শরবত বিক্রেতা আব্দুস সালাম জানান, গরম বাড়ায় তাদের শরবত বিক্রি বেড়েছে। মানুষ পিপাসা মেটাতে ও একটু স্বস্তি নিতে ঠান্ডা লেবুর শরবত পান করছেন।

;