খুলনার পাড়া-মহল্লায় রোহিঙ্গা ছেলেধরা গুজব



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
খুলনায় সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের ধরে গণপিটুনি দিচ্ছেন স্থানীয়রা/ছবি: সংগৃহীত

খুলনায় সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের ধরে গণপিটুনি দিচ্ছেন স্থানীয়রা/ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

 

খুলনার শহর ও গ্রামাঞ্চলে ছেলেধরা রোহিঙ্গা আতংক বিরাজ করছে। অপরিচিত নারী-পুরুষ গ্রামগঞ্জে ছড়িয়ে পরেছে এমন গুজব ধীরে ধীরে ভয়াবহতায় রূপ নিচ্ছে। প্রতিদিনই নগর ও জেলার বিভিন্ন স্থানে ছেলেধরা রোহিঙ্গা সন্দেহে মানসিক ভারসাম্যহীন প্রতিবন্ধী, অন্য অঞ্চলের ভিক্ষুক, সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের ধরে গণপিটুনি দিচ্ছেন স্থানীয়রা। গণপিটুনিতে খুলনায় নিহত হওয়ারও ঘটনা ঘটেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে গুজব ছড়াচ্ছে, আবার অনেকে সতর্কতামূলক পোস্ট দিচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ১১ মে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায় ছেলেধরা রোহিঙ্গা সন্দেহে গণপিটুনিতে অজ্ঞাত (৫৫) এক বৃদ্ধ নিহত হয়। এ ঘটনায় পুলিশ স্থানীয় ২ জনকে আটক করে। পুলিশ ২৫০ জনের নামে মামলা করে।

ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বিপ্লব বার্তা২৪.কমকে বলেন, একজন পাগল বৃদ্ধ ডুমুরিয়া মাগুরখালীর রাস্তায় ঘোরার সময় তাকে ছেলেধরা রোহিঙ্গা সন্দেহ করে এলাকাবাসী। স্থানীয়রা পাগল বৃদ্ধকে অনেক প্রশ্ন করলে বৃদ্ধ কোনো উত্তর দিতে পারেনি। পাগল উত্তর দেবে কি করে? তারপর এলাকাবাসী তাকে গণপিটুনি দেয়। গণপিটুনিতে বৃদ্ধ নিহত হয়। নিহত বৃদ্ধের কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। শুধুমাত্র গুজবের কারণে গণপিটুনিতে পাগল বৃদ্ধ মারা যায়। অনুসন্ধানে তাকে মানসিক পাগল হিসেবে পাওয়া যায়।

গত মঙ্গলবার (১৪ মে) খুলনার দিঘলিয়া উপজেলায় ফুলতলা থেকে আসা ভিক্ষুক মা ও মেয়েকে এলাকাবাসী রোহিঙ্গা ছেলেধরা সন্দেহে ধরে থানায় সোপর্দ করে। দিঘলিয়া থানা থেকে ফুলতলায় যোগাযোগ করে তাদের রোহিঙ্গা না হওয়ার সত্যতা পাওয়া যায়।

একই দিনে নগরীর যোগীপোলের ভাঙা, বৌ-বাজার ও মীরেরডাঙা এলাকা থেকে ৩ জনকে রোহিঙ্গা সন্দেহে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপার্দ করেন এলাকাবাসী।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/16/1558008339920.jpg

খানজাহান আলী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শফিকুল ইসলাম বার্তা২৪. কম‘কে বলেন, স্থানীয়রা রোহিঙ্গা সন্দেহে ৩ জনকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন। খোঁজ নিয়ে আমরা দেখেছি তারা কেউ রোহিঙ্গা না। অন্য অঞ্চল থেকে পাগল আর ভিক্ষুক এলেই লোকজন রোহিঙ্গা ভেবে আইন হাতে তুলে নিচ্ছেন। গুজবের কারণে সবাই রোহিঙ্গা আতঙ্কে ভুগছেন।

গত (১৫ মে) রূপসা থেকে একজন, খালিশপুর থেকে একজন, নগরীর সোনাডাঙ্গা কাঁচাবাজার থেকে একজন, নিউ মার্কেটের সামনে থেকে একজন ও সোনাডাঙ্গা থেকে ১ জনকে রোহিঙ্গা সন্দেহে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপার্দ করেছে এলাকাবাসী।

সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোমতাজুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, রোহিঙ্গা ছেলেধরা সন্দেহে ৩ পাগলকে ধরে এনেছে লোকজন। অপরিচিত কাউকে দেখলেই তাদের রোহিঙ্গা ভাবছেন স্থানীয়রা। রোহিঙ্গা গুজবের সাথে যুক্ত হয়েছে ছেলেধরা আতঙ্ক।

এ বিষয়ে খুলনা জেলা পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ বার্তা২৪. কম’কে বলেন, গত কয়েকদিন ধরেই খুলনাঞ্চলে রোহিঙ্গা ছেলেধরা গুজব ছড়িয়ে পরেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও কিছু লোকজন গুজব ছড়াচ্ছে। এ গুজবের কারণে ডুমুরিয়ায় এক পাগল বৃদ্ধ গণপিটুনিতে নিহত  হয়েছে। এ ঘটনায় দু'যুবক হাজতে আছে।

তিনি  আরো বলেন, সন্দেহভাজন কাউকে দেখলে এলাকাবাসী যেনো তাদের পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। গণপিটুনির দিয়ে যেনো কেউ আইন হাতে না তুলে নেয়। গুজব ছড়ালে বা আইন হাতে তুলে নিলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

উল্লেখ্য, গত একসপ্তাহ ধরে খুলনা মহানগর ও জেলার বিভিন্ন স্থানে ছেলেধরা রোহিঙ্গা গুজব ছড়িয়ে পরেছে। খুলনার ডুমুরিয়া, পাইকগাছা, কয়রা, রূপসা, ফুলতলা, দাকোপ, বটিয়াঘাটাসহ নগরের প্রতিটি পাড়া মহল্লায় গুজব রটায় সবাই আতঙ্কিত হচ্ছেন। তবে এতে আতঙ্কিত না হয়ে গুজব না ছড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছে প্রশাসন।

   

বরিশালে ঋণের চাপে দুই সন্তানের জননীর আত্মহত্যা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশালের উজিরপুর উপজেলার গুঠিয়ায় দুই সন্তানের জননী ডালিয়া বেগম (৩৮) ঋণের চাপে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যার দিকে ঘরের আড়ার সঙ্গে তাকে ঝুলতে দেখে বাড়ির লোকজন উদ্ধার করে বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় বানারীপাড়া থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে মরদেহ বরিশাল শেবাচিম মর্গে পাঠানো হয়।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য শারমিন জানান, ডালিয়া বেগম বিভিন্ন সমিতি ও এনজিও থেকে প্রায় ৬ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে পরিশোধ করতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। তিনি বিভিন্ন এনজিও ও সমিতির লোকজনের চাপে অস্বাভাবিক আচরণ করতেন। ধারণা করছি, তিনি আত্মহত্যা করেছেন।

বরিশাল বানারীপাড়া থানার ওসি মাইনুল ইসলাম বলেন, ডালিয়া বেগমের মরদেহ হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তার মৃত্যু রহস্য উদঘাটনে শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ বরিশাল শেবাচিম হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।

;

গরমে বেড়েছে চার্জার ফ্যান ও এসির চাহিদা



খন্দকার আসিফুজ্জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানী ঢাকাসহ দেশজুড়ে চলমান তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ মানুষ। অসহনীয় এই গরম থেকে বাঁচতে সামর্থ্য অনুযায়ী ক্রেতারা বেছে নিচ্ছেন চার্জার ফ্যান কিংবা এসি। যে কারণে ইলেকট্রনিক সামগ্রীর দোকানে বাড়ছে চার্জার ফ্যান ও এসির চাহিদা। সাধারণ সিলিং ফ্যান থেকে শুরু করে অন্যান্য ফ্যানের দাম স্বাভাবিক থাকলেও বেড়েছে রিচার্জেবল ফ্যানের দাম।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাজধানীর নবাবপুরের ইলেকট্রনিক সামগ্রীর পাইকারি মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, শুক্রবার মার্কেটটির সাপ্তাহিক বন্ধ থাকলেও দেশের চলমান তাপপ্রবাহের কারণে চার্জার ফ্যানসহ বিভিন্ন ধরনের ফ্যানের চাহিদা বাড়ায় কিছু কিছু দোকান খোলা রয়েছে। এখানকার দোকানিদের দাবি, ফ্যানের চাহিদা বাড়লেও দেশে অন্যান্য পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী হলেও সে অনুযায়ী বাড়েনি ফ্যানের দাম।

সিলিং ফ্যানের দাম স্বাভাবিক রয়েছে জানিয়ে দোকানিরা বলেন, নন-ব্যান্ড সিলিং ফ্যানের দাম ১৫০০ টাকা থেকে শুরু এবং ব্র্যান্ডের সিলিং ফ্যানের দাম শুরু ২৮০০ টাকা থেকে। বিভিন্ন কোম্পানির স্ট্যান্ড ফ্যান আকার অনুযায়ী বিক্রি হচ্ছে ৩০০০ টাকা থেকে শুরু করে ৮০০০ টাকা এবং তার বেশি দরে। 


তবে দেশজুড়ে রিচার্জেবল ফ্যানের চাহিদার সাথে বেড়েছে দামও। ১২ ইঞ্চি চার্জার ফ্যানের দাম রাখা হচ্ছে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার ৫০০ টাকা এবং ১৪ ও ১৮ ইঞ্চির ফ্যান বিক্রি হচ্ছে ৬ হাজার থেকে ৮ হাজার টাকায়।

নবাবপুরে মামুন এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটর মীর মো. মামুন বার্তা২৪.কমকে জানান, বর্তমান বাজারে ফ্যানের চাহিদা থাকলেও দেশের বাজারের অন্যান্য পণ্যের দাম বাড়লেও ফ্যানের দাম বাড়েনি। শুধুমাত্র চার্জার ফ্যানের দাম গত বছরের তুলনায় আকার অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা বেড়েছে।

একই মার্কেটের হাসান এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. হাসান বলেন, গরমে চাহিদা বাড়লেও ফ্যানের দাম বাড়েনি। তবে ঈদ আর বৈশাখের লম্বা ছুটির কারণে দেশে যে চার্জার ফ্যানগুলো অ্যাসেম্বল করা হতো সেগুলো পর্যাপ্ত করতে না পারায় চার্জার ফ্যানের দাম কিছুটা বেড়েছে।

একটি কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি আক্তার হোসেন এসেছেন চার্জার ফ্যান কিনতে। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, যে গরম পড়ছে, যদি ট্যাকা থাকতো তাইলে একটা এয়ার কন্ডিশনই কিনতাম। কিন্তু চার্জার ফ্যানেরই যে বাজেট নিয়া আইসি অইটা দিয়াও হইবো না। বউরে ফোন দিয়া কইলাম আরও ৫০০ ট্যাকা মোবাইলে পাঠাইতে।


চার্জার ফ্যান কিনতে এসেছেন এমন আরও একজন মহিমা হালদার। ১১ মাসের একটি পুত্রসন্তানের মা তিনি। গরমে বিরক্তি নিয়ে বলেন, এমন গরমে ২৪ ঘণ্টা ফ্যান চালাইয়াও আমরা বড়রাই গরম সহ্য করতে পারতাছি না। আর ১১ মাসের ছোট্ট বাচ্চায় ক্যামনে সহ্য করব। অন্য খরচ বাদ দিয়াই একটা ফ্যান কিনতে আসা।

এদিকে চার্জার ফ্যানের পাশাপাশি চাহিদা বেড়েছে এসিরও। বেড়েছে দামও। বাংলাদেশি ব্র্যান্ড ওয়ালটন ও যমুনা ইলেকট্রনিক্সের কয়েকটি শোরুম ঘুরে দেখা যায়, ওয়ালটনের এক টনের এসি ৬৫ হাজার ও দেড় টন এসি বিক্রি হচ্ছে ৭৪ হাজার টাকায়। কিছুটা কমে যমুনার এক টনের এসি বিক্রি হচ্ছে ইনভার্টারসহ ৪৯ হাজার ও ইনভার্টার ছাড়া ৪২ হাজার টাকায়। আর দেড় টনের এসি ইনভার্টারসহ ৬৭ হাজার এবং ইনভার্টার ছাড়া ৫৭ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তবে ওয়ালটন এবং যমুনার বিক্রয় কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিক্রির সময় পণ্যের মূল দাম থেকে ক্রেতাদের কিছুটা ছাড় দেওয়া হয়।

;

তীব্র তাপপ্রবাহ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আরও ৭ দিন বন্ধের দাবি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র রমজান, ঈদুল ফিতরসহ বেশ কয়েকটি ছুটির সমন্বয়ে টানা ২৬ দিন ছুটি কাটিয়ে আগামী রোববার (২১ এপ্রিল) খুলছে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে এরই মধ্যে দেশের তাপমাত্রা অসহ্য অবস্থায় পৌঁছানোয় কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি আরও ৭ দিন বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে অভিভাবক ঐক্য ফোরাম।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সংগঠনের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মো. জিয়াউল কবির দুলু সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, দেশের বিভিন্ন জেলা ও অঞ্চলে হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। মানুষকে প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হতে নিষেধ করছে প্রশাসন। এর মধ্যে স্কুল কলেজ খুললে অনেক শিশু অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। তাই দেশের সব স্কুল-কলেজ-মাদরাসা আগামী ৭ দিনের জন্য শ্রেণি শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রাখার দাবি জানাচ্ছি।

প্রসঙ্গত, এ বছর শিখন ঘাটতি পূরণে মাধ্যমিকে ১৫ দিন ছুটি কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। রমজানের শুরুতে প্রায় দুই সপ্তাহ ক্লাস হয়েছে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। অন্যদিকে, রমজানের প্রথম ১০ দিন ক্লাস চালু ছিল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। একইভাবে সব কলেজ ও মাদরাসায়ও ছুটি কমিয়ে রমজানের শুরুর দিকে প্রায় দুই সপ্তাহ ক্লাস হয়। ছুটি শেষে রোববার থেকে পুরোদমে চালু হচ্ছে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

 

;

বায়ুদূষণের শীর্ষে দিল্লি, ঢাকার বাতাসে নেই স্বস্তির খবর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় দশম অবস্থানে রয়েছে ঢাকা। কয়েক দিনের তীব্র গরম আর শুষ্ক আবহাওয়ায় ঢাকার বাতাস আবারও অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠেছে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১২১ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় দশম অবস্থানে রয়েছে মেগাসিটি ঢাকা। আজ ঢাকার বাতাস সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত। গতকাল শুক্রবারও ঢাকার বাতাস সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর ছিল।

এদিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ১৭৮ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে ভারতের দিল্লি শহর। এ ছাড়া ১৭৩ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই, ১৬৩ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে আছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা, এরপর নেপালের কাঠমান্ডু ১৬২ স্কোর নিয়ে আছে চতুর্থ স্থানে। ১৫৮ স্কোর নিয়ে পঞ্চম স্থানে আছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে দুবাই শহর।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।

 

;