সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে দুই বছরে বার্তা২৪.কম



উবায়দুল হক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
উবায়দুল হক, ছবি: বার্তা২৪.কম

উবায়দুল হক, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সত্য ও বস্তুনিষ্ঠতার মাপকাঠিতে ভর করেই তৈরি হয় সংবাদ। বর্তমানে প্রতি মিনিট বা মুহূর্তের আপডেটের জন্য সবার ভরসার মাধ্যম হয়ে উঠেছে অনলাইন গণমাধ্যম। আর সেই গণমাধ্যম যদি হয় বাংলাদেশে অনলাইন সাংবাদিকতার জনকের হাতে গড়া, তাহলে তো কোনো কথাই নেই। ‘বিসমিল্লাহ বলে শুরু পথচলা’ দিয়ে যাত্রা শুরু যে গণমাধ্যমের, সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে আজ সেটি এক বছরের মাইলফলক স্পর্শ করেছে।

বলছিলাম আমার অনলাইন সাংবাদিকতার হাতেখড়ি, প্রাণের প্রতিষ্ঠান বার্তা২৪.কমের কথা। দেশের দু’দুটি শীর্ষ স্থানীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল প্রতিষ্ঠার পর ডিজিটাল গণমাধ্যমের সফল স্বপ্নদ্রষ্টা আলমগীর হোসেন নতুন চ্যালেঞ্জ নিলেন ‘বাংলার, বাঙালির সংবাদ সারথী-বার্তা২৪.কম’ নিয়ে। গতানুগতিক ধারা থেকে বের হয়ে বার্তা২৪.কমকে গড়েছেন মাল্টিমিডিয়া অনলাইন নিউজপোর্টাল হিসেবে।

তার বদৌলতেই আমার অনলাইন সাংবাদিকতার ক্যারিয়ার শুরু হল। স্বপ্ন ছিল একদিন দেশের প্রথিতযশা সাংবাদিকের সঙ্গে কাজ করব। হঠাৎ সেই স্বপ্ন ধরা দিল আমার ভুবনে। একজন আলমগীর হোসেনের বদান্যতায় তৃণমূলের এই আমি আজ দেশের প্রথম সারির অনলাইন নিউজপোর্টালের স্টাফ করেসপন্ডেন্ট। শুকরিয়া আল্লাহর কাছে, অশেষ কৃতজ্ঞতা বার্তা২৪.কমের ‘প্রাণভোমরা’ আলমগীর হোসেনের প্রতি।

Barta

মফস্বলে অনলাইন সাংবাদিকতা। তিনটি শব্দের এ বাক্যটি শুনলেই অনেকের চোখ বুঝি রীতিমত কপালে ওঠার অবস্থা। সেক্ষেত্রে গণিত বিভাগে অনার্স সম্পন্ন করা আমি চ্যালেঞ্জ নিলাম, নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করব অনলাইন সাংবাদিকতায়।

যে চিন্তা-ভাবনা সেই মোতাবেক কাজ। বার্তা২৪.কমের জন্য আমি দৌড়েছি ময়মনসিংহের এক মাথা থেকে আরেক মাথায়। আমার মোবাইল ফোনের কি-বোর্ড কখনও হয়ে উঠেছে এক প্রকার ল্যাপটপ, আবার এই মোবাইল ফোনেই ধারণ করেছি ভিজ্যুয়াল দৃশ্য। বার্তা২৪.কমকে বলা হচ্ছে, একের ভেতর দুই। অনেকেই নিউজ পড়ছেন, চোখ বুলিয়ে নিচ্ছেন। আবার অসাধারণ সব ভিডিওতে হারিয়ে যাচ্ছেন গভীরে।

যেমন মা দিবসে আমার একটি ভিডিও স্টোরি দেখে বেশ কয়েকজন ফোন করে শুভ কামনা জানালেন। তারা বলেছেন, ভিডিও স্টোরিটি দেখে তারা ছোটবেলায় হারিয়ে গেছেন। মাকে অনুভব করেছেন হৃদয়ের সবটুকু উষ্ণতায়।

টেলিভিশনে রিপোর্টিং করার প্রবল ইচ্ছা নিয়েই মূলত আমার সাংবাদিকতায় আসা। কিন্তু চাইলেও সেই সুযোগটা কখনও হয়ে ওঠেনি। তবে দেশের প্রথম ও জনপ্রিয় মাল্টিমিডিয়া অনলাইন নিউজপোর্টাল বার্তা২৪.কম সেই সুযোগটা আমাকে করে দিয়েছে।

এখানে একাধারে আমি অনলাইন পোর্টালের জন্য রিপোর্ট ও টেলিভিশনের মত করে পিটিসিসহ পূর্ণাঙ্গ প্যাকেজ করতে পারছি, যা ছিল আমার চাওয়া। এক্ষেত্রে টেলিভিশনে কাজ করতে না পারার যে আক্ষেপ আমার মনে ছিল সেটি অনেকাংশেই কমে গেছে। সেজন্যই বার্তা২৪.কম হচ্ছে একের ভেতর দুই। আমার স্বপ্নে পূর্ণতা দেওয়া গণমাধ্যম।

আমার প্রাণের প্রতিষ্ঠান বার্তা২৪.কমের প্রথম বর্ষপূর্তিতে মনে পড়ছে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধা বিমল পালের গল্পগাথা। যেটি তুলে ধরেছিলাম আমাদের এই মাল্টিমিডিয়ায়। একজন বিমল পাল দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে পথে-প্রান্তরে এবং স্কুলে ঘুরে ঘুরে তরুণ প্রজন্মকে মুক্তিযোদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে কাজ করছেন। তার এমন মহৎ কাজকে ছড়িয়ে দিতে আমি তাকে নিয়ে রিপোর্ট ও প্যাকেজের মাধ্যমে নতুনভাবে উপস্থাপন করি।

প্যাকেজটি ফেসবুক ও ইউটিউবে প্রচার হবার পর বিমল পাল কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বার্তা২৪.কমের প্রতি। আলাপচারিতায় তার একটি কথা আমার মনে গেঁথে আছে। তিনি বলেছিলেন-এখন মানুষ টিভির চেয়ে অনলাইনমুখী বেশি। চলার পথে ও ব্যস্ততার শেকলবন্দী জীবনে মানুষের টিভি দেখার ফুসরত হয়ে ওঠে না।

তাই টেলিভিশন চ্যানেলগুলোও কিন্তু বেছে নিয়েছে অনলাইনকেই। বার্তা২৪.কম যেমন একটি রিপোর্ট ফেসবুকে বা ইউটিউবে প্রচার করে, টিভি চ্যানেলগুলোও একই কাজ করছে। কারণ দর্শক এখন অনলাইনমুখী।

বার্তা২৪.কম শুধু কি এলিট শ্রেণীর গণমাধ্যম? বিষয়টি অবশ্যই তেমন নয়। খেটে খাওয়া মানুষের স্বপ্ন সাধ মেটানোর অন্যতম প্রধান মাধ্যম হয়ে উঠেছে বার্তা২৪.কম। বিশেষ করে অনলাইন সাংবাদিকতার রূপকারের নির্দেশনায় আমরা সেই বিষয়টিই বারবার আঁচ করতে পেরেছি এবং সেই মোতাবেক সম্পূর্ণভাবে নিজেদের নিয়োজিত করেছি মাঠ সাংবাদিকতায়।

কিছু কথা না বললেই নয়। উদাহরণ দেব বার্তা২৪.কমে আমার প্রকাশিত আরও কয়েকটি সংবাদের। যেসব সংবাদের শিরোনাম যেমন ছিল আকর্ষণীয়, তেমনি গভীর আবেদনও ছিল। সংবাদগুলো প্রকাশে অনেকের জীবন ঘুরেছে, আবার অনেকে ফিরেছেন স্বাভাবিক জীবনে। আবার অনেকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার স্বপ্নে দিন গুজরান করছেন।

একদিন আমার কাছে খবর এল, ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন হাশেম নামে মানসিক ভারসাম্যহীন এক ব্যক্তি। এক সময় তার ছিল সবকিছু, কিন্তু এখন তিনি সব হারিয়ে নিঃস্ব। শেকলবন্দি হয়ে কাটছে তার জীবন।

তাকে নিয়ে বড্ড অসহায় তার বৃদ্ধ বাবা। তার নিদারুণ কষ্ট আর জীবনের গল্প তুলে আনলাম বার্তা২৪.কমে। অতঃপর নজরে এল স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লীরা তরফদারের। তিনি তাকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরানোর ব্যবস্থা করলেন।

ব্রহ্মপুত্র পাড় ঘেঁষা জয়নুল উদ্যানে একদিন হাঁটতে হাঁটতেই চোখে পড়ল বয়স্ক একজন মানুষের অন্যকম জীবনযুদ্ধ। কৌতূহল নিয়ে এগিয়ে গেলাম তার কাছে। জমে গেল আলাপচারিতা।

তিনি জানালেন, তার জীবনের অনন্য সংগ্রামের কথা। তার নাম আব্দুল আজিজ। সংসারে স্বচ্ছলতা থাকা সত্ত্বেও গৌরীপুরে নিজের বাড়ি ছেড়ে ময়মনসিংহ থাকেন শুধু স্বনির্ভর থাকার জন্যই। তাকে নিয়ে করা আমার স্টোরিটি ময়মনসিংহে প্রশংসিত নিউজের মধ্যে অন্যতম।

Barta

সাধারণত সাংবাদিকতার প্রাণ ধরা হয় মাঠ সাংবাদিকতাকে। তৃণমূল সংবাদকর্মীকে বলা হয় সংবাদের ফেরিওয়ালা। যেহেতু সংবাদেরই পেছনে ছুটে চলাই আমাদের কাজ। এক্ষেত্রে আমাদের প্রতি সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে, ভিন্নধর্মী ‘এক্সক্লুসিভ’ সংবাদ তুলে আনার। পাঠকের দৃষ্টি নিবদ্ধ করার।

মাত্র মাস দু’য়েক আগের ঘটনা। এক রাতে নগরীর টাউনহল থেকে সানকিপাড়া বাসার দিকে ফিরছিলাম। হঠাৎ এগিয়ে আসা এক রিকশাচালকের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। এসময় আলাপচারিতায় তিনি জানালেন, তার সংগ্রামী জীবনের দিনলিপি। জানালেন, তার এক ছেলে পড়াশোনা করছেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে আর আরেক মেয়ে অনার্সে পড়ছেন মুমিনুন্নিসা সরকারি মহিলা কলেজে। সংসারের খরচ আর সন্তানদের স্বপ্নপূরণ করতে দিনে কৃষি কাজ ও রাত হলেই রিকশা নিয়ে ঘোরেন শহরের এ মাথা থেকে ও মাথা। তাকে নিয়ে করা সংবাদটি বার্তা২৪.কমে প্রকাশ হলে পাঠক মহলের দৃষ্টি কাড়ে।

মানসিক ভারসাম্যহীন সোহেলের কথা কি মনে আছে? নামটি অবশ্যই ময়মনসিংহবাসীর জন্য খুবই পরিচিত। সাংবাদিক-পুলিশ মিলে তার জীবন পাল্টে দিয়েছিলেন। আর তাদের অসাধারণ ভালো উদ্যোগের খবর প্রথম সচিত্র প্রতিবেদন এবং ভিডিও স্টোরি করে বার্তা২৪.কম।

যেটির উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন ময়মনসিংহ জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারাও। বার্তা২৪.কমের খবরের সূত্র ধরেই চার বছর পর মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকটি ফিরে পায় তার পরিবারকে। তিনি এখন সুখে স্বচ্ছন্দেই জীবন কাটাচ্ছেন। মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকেই এমন খবরই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে বার্তা২৪.কম।

এবার বার্তা২৪.কমকে আরও বেশি দেবার পালা। একজন বটবৃক্ষ আলমগীর হোসেনের আশীর্বাদ আর মানসিক জোরই আমাদের এগিয়ে চলার শক্তি। জয় হোক বার্তা২৪.কমের। রৌদ্রোজ্জ্বল হোক এই মাল্টিমিডিয়ার সামনের দিনগুলো। অশেষ ধন্যবাদ বার্তা২৪.কমের পাঠকমহলকে।

   

কুয়াকাটায় জেলের জালে ২৬ কেজির কোরাল



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, (কলাপাড়া-পটুয়াখালী)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পটুয়াখালির কুয়াকাটায় বঙ্গোপসাগরে রাসেল মাঝি (৩৫) নামের এক জেলের জালে ধরা পড়েছে ২৬ কেজি ওজনের একটি কোরাল মাছ।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুর ১.৩০ মিনিটে কুয়াকাটা মেয়র মৎস্য মার্কেটের মনি ফিস আড়তে মাছটি নিয়ে আসা হয়। এসময় মাছটি এক নজর দেখতে ভিড় জমায় উৎসুক জনতা। পরে কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের পাইকারি মাছ ব্যবসায়ী বিক্রম চন্দ্র নিলামের মাধ্যমে ৩০ হাজার টাকায় মাছটি কিনে নেন।

এর আগে গত মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বঙ্গোপসাগরের বলেশ্বর নদীর সাগর মোহনায় মাছটি ধরা পড়ে।

মাছ পাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে রাসেল মাঝি বলেন, প্রতিদিনের মত গত সোমবার (২২ এপ্রিল) ধুলাস্বার ইউনিয়নের বাবলাতলা বাজার থেকে (মায়ের দোয়া) নামের ট্রলার নিয়ে গভীর সাগরে যাই। পরে বলেশ্বর নদীর সাগর মোহনায় জাল ফেলার পর অন্যান্য মাছের সঙ্গে এ কোরাল মাছটি ধরা পড়ে। মাছটির ওজন বেশি হওয়ায় আমাদের ট্রলারে তুলতে অনেক বেগ পেতে হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, এর আগেও আমার জালে ১০ থেকে ১৫ কেজি ওজনের কোরাল মাছ ধরা পড়েছিলো। তবে আমার জালে ধরা এটিই সবচেয়ে বেশি ওজনের কোরাল। মাছটি খুব ভাল দামে বিক্রি করেছি। এত বড় মাছ পেয়ে আমার ট্রলারে থাকা জেলেসহ আমি আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি।

মাছটি ক্রয় করা ব্যবসায়ী বিক্রম চন্দ্র বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে মাছের ব্যবসা করি, এত বড় কোরাল আসলে সব সময় পাওয়া যায় না। মাছটি দেখেই আমার পছন্দ হয়েছে। তাই নিলামে আমিই বেশি দাম হেঁকে এ মাছটি ক্রয় করেছি। মাছটি বিক্রির জন্য আজই ঢাকায় পাঠাবো। আশা করছি আমি ভালো মানের লাভ করতে পারব।

কলাপাড়া সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, কোরাল মাছ খুবই সুস্বাদু। শিশুদের মানসিক বিকাশে কোরাল মাছ গুরুত্বপূর্ণ। আশা করছি বৃষ্টি হলে জেলেদের জালে ইলিশের পাশাপাশি আরও বড় বড় মাছ ধরা পড়বে।

;

বিশ্বনাথে নারী কাউন্সিলরের মামলায় ৭ জনের জামিন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটের বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়রের গাড়ি চাপায় হত্যা চেষ্টার অভিযোগে নারী কাউন্সিলরের দায়ের করা মামলায় ৮ জনের মধ্যে দুই কাউন্সিরসহ ৭ জনকে জামিন দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সিলেটের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রট প্রথম আদালতে জামিন আবেদন করলে আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। তবে মামলার প্রধান আসামি মেয়র মুহিবুর রহমান আদালতে জামিন আবেদন করেননি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আসামী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুমন পারভেজভ

জামিন প্রাপ্তরা হলেন - কাউন্সিলর ফজর আলী, কাউন্সিলর বারাম উদ্দিন, পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও পৌরসভার উদ্যোক্তা সুরমান আলী, দক্ষিণ মীরেরচর গ্রামের মৃত রুস্তম আলীর ছেলে মিতাব আলী, রামকৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত তবারক আলীর ছেলে আনোয়ার আলী, রহমাননগর গ্রামের শমসের আলীর ছেলে মেয়রের গাড়ি চালক হেলাল মিয়া ও জানাইয়া গ্রামের মৃত তোতা মিয়ার ছেলে আব্দুস শহিদ।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিশ্বনাথ থানায় বাদী হয়ে এই মামলাটি দায়ের করে নারী কাউন্সিলর রাসনা বেগম। মামলা নং-(৫)। মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি রাখা হয় আরও ৪/৫ জন।

এ ব্যাপারে অ্যাডভোকেট সুমন পারভেজ বলেন, এই মামলার প্রধান আসামি মেয়র মুহিবুর রহমান জামিন আবেদন করেননি। তবে মেয়র ছাড়া বাকি ৭ জন আসামি জামিন আবেদন করলে আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।

;

নারী চিকিৎসককে ইভটিজিং করায় যুবকের কারাদণ্ড



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক নারী চিকিৎসককে হয়রানি করার অপরাধে সাগর হোসেন (২৬) নামে এক যুবককে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত সাগর হোসেন দৌলতপুর থানা বাজার এলাকার বিপ্লব হোসেনের ছেলে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওবায়দুল্লাহ।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তোহিদুল ইসলাম জানান, ওই যুবক বেশ কিছু দিন ধরে আমাদের এক নারী চিকিৎসককে নানাভাবে হয়রানি করে আসছিল।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে হাসপাতালে এসে একইভাবে তাকে হয়রানি করতে গেলে আমরা বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করি।

পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওবায়দুল্লাহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বখাটে সাগর হোসেনকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। পরে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।

;

কটিয়াদীতে চেয়ারম্যান-মেম্বারের দ্বন্দ্ব, এমপির সামনেই চেয়ার ছোড়াছুড়ি



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কিশোরগঞ্জ-২, কটিয়াদী পাকুন্দিয়া আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য এড. সোহরাব উদ্দিনের সামনেই করগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান ও এক মেম্বারের সমর্থকদের চেয়ার ছুড়াছুড়ির ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে করগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান নাদিম মোল্লা ও একই ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ড মেম্বার মাহবুবুর রহমান পানুর মধ্যে সৃষ্ট পূর্ব বিরোধ মীমাংসার লক্ষ্যে করগাঁও হাইস্কুল মাঠে এক শালিস দরবার আয়োজন করা হয়। পরে শালিস দরবারের এক পর্যায়ে এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় সাবেক সাংসদ মেজর অব. আখতারুজ্জান রঞ্জন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. এম এ আফজল, কটিয়াদী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান লায়ন মো. আলী আকবর, এড. মাহমুদুল ইসলাম জানু ও স্থানীয় গন্যমাণ্য ব্যক্তি বর্গসহ কয়েক হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

শালিসের এক পর্যায়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ইউপি চেয়ারম্যান নাদিম মোল্লাকে কটাক্ষ করে দেওয়া বক্তব্য নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে শুরু হয় চেয়ার ছোড়াছুড়ি। এক পর্যায়ে পুলিশ লাঠি চার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চেয়ার ছোড়াছুড়ির ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ভাট্টা এলাকায় এক ব্যক্তির নিকট পাওনা টাকা আদায় ও ভিজিডি চাল বরাদ্দের বিষয় নিয়ে গত রমজান মাসে করগাঁও ইউনিয়নের ভাট্টা ৯নং ওয়ার্ড মেম্বার মাহাবুবুর রহমান পানুকে পরিষদ থেকে ধরে নিয়ে করগাঁও এলাকার কিছু লোক অপমান অপদস্ত করে।

তাদের অভিযোগ, চেয়ারম্যান এ ব্যাপারে কোনো প্রতিবাদ ও উক্ত ঘটনার কোনো বিচারও করে নাই। বিষয়টি অন্যান্য মেম্বারসহ একাট্টা হলে করগাঁও ও ভাট্টা এলাকায় অচলাবস্থাসহ উত্তেজনা বিরাজ করে। সুষ্ঠু সমাধানের লক্ষ্যে এমপিসহ নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে গ্রামবাসী শালিস দরবারে বসে। কিন্তু চেয়ারম্যানকে লক্ষ্য করে আক্রমনাত্মক কথার কারণে শালিস দরবার পন্ড হয়ে যায়।

এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান নাদিম মোল্লার সাথে কথা বলতে চাইলে মুঠোফোন বন্ধ থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।

কটিয়াদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দাউদ বলেন, এ ঘটনায় কেউ আহত হয়নি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। তবে করগাঁও এলাকায় বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে।

;