'এফআর টাওয়ারে অবৈধ কাজে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা'



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
সংবাদ সম্মেলনে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, ছবি: সংগৃহীত

সংবাদ সম্মেলনে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বনানীর ফারুক রুপায়ন (এফআর) টাওয়ার নির্মাণে অবৈধ কাজের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

তিনি বলেছেন, 'এফআর টাওয়ারের অবৈধ কাজের সঙ্গে জড়িত রাজউক কর্মকর্তাসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যারা অবসরে গেছেন তাদের বিরুদ্ধেও প্রযোজ্য প্রক্রিয়ায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যারা এখনও কর্মরত আছেন তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহনের মাধ্যমে পরিপূর্ণভাবে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।'

বুধবার (২২ মে) দুপুরে সচিবালয়স্থ গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এফআর টাওয়ারে অগ্নিদুর্ঘটনা সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের তদন্তের বিষয় ছিল, এফআর টাওয়ার নির্মাণে কোনো অনিয়ম, ব্যত্যয় হয়েছে কি না, হয়ে থাকলে তা কী ধরনের হয়েছে? ভবনের বিভিন্ন স্তরে কী কী অনিয়ম হয়েছে। এ অনিয়মের সাথে মালিক পক্ষ, ডেভেলপার পক্ষ এবং রাজউকে তৎকালীন কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী যারা ছিলেন তাদের সম্পৃক্ততা কিভাবে ছিল। কী কী নিয়মের লঙ্ঘন হয়েছে।'

তিনি বলেন, '১৯৯০ সালে এফ আর টাওয়ারের ১৫ তলা পর্যন্ত ভবনের অনুমোদন সঙ্গত ছিল। পরবর্তীতে ১৫ তলা থেকে ১৮ তলা পর্যন্ত নকশা অনুমোদনের প্রক্রিয়া যথাযথ ছিল, কিন্তু অনুমোদকালীন বিদ্যমান বিধির আওতায় অনুমোদন দেওয়া হয়নি, আবেদনকালীন বিদ্যমান আইনের আওতায় অনুমোদন দেয়া হয়েছে। তাই এক্ষেত্রে আইনগত বিষয়ের ব্যত্যয় ঘটেছে। ১৮ তলার ঊর্ধ্বে ভবনের সকল তলা সম্পূর্ণরূপে অবৈধ। এফআর টাওয়ার কর্তৃপক্ষ একটি প্ল্যানের অনুমোদিত কপি দেখানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু রাজউকের রেকর্ডে কোথাও তার কোনো অস্তিত্ব নেই। রাজউকের কোনো অসাধু কর্মকর্তার সঙ্গে অবৈধ যোগাযোগের মাধ্যমে বিল্ডিং এর মালিক ও ডেভেলপার বাইরের একটি প্ল্যান তৈরি করতে পারে, আইনগতভাবে এই প্ল্যানের কোনো বৈধতা নেই।'

পরবর্তীতে অসাধু যোগসাজশে ঋণ গ্রহণের অনুমতি প্রদানের প্রক্রিয়ায় যারা জড়িত তাদেরও তদন্তে দায়ী করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, 'তদন্তে রাজউকের তৎকালীন চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে পরিদর্শক পর্যন্ত, রেজিস্ট্রার ব্যবস্থাপনায় যারা ছিলেন, যারা ঋণ প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত ছিলেন তাদের সকলকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এই ঘটনায় জড়িত হিসেবে রিপোর্টে এসেছে, তাদের সকলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব।'

তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তি হিসেবে আমাদের কাছে অনেক সাক্ষ্য-প্রমাণাদি রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, 'তদন্তে অনেকগুলো অনিয়ম শনাক্ত হয়েছে, সবমিলিয়ে আমরা যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছি তাদের অভিযোগের থেকে অব্যাহতি পাওয়ার সুযোগ নেই।'

শ ম রেজাউল করিম বলেন, 'এফ আর টাওয়ারের অবৈধভাবে নির্মিত অংশ ভেঙে ফেলার জন্য আইনগত প্রক্রিয়ায় কাজ শুরু করেছি। এক্ষেত্রে আমরা আইনকে অনুসরণ করে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।'

বিফ্রিং অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, অতিরিক্ত সচিব মোঃ ইয়াকুব আলী পাটোয়ারী, স্থাপত্য অধিদফতরের প্রধান স্থপতি কাজী গোলাম নাসিরসহ তদন্ত কমিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বনানীর এফআর টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় ২৬ জন প্রাণ হারায়। অন্তত অর্ধশতাধিক আহত হয়।

   

সাভারে ভাঙ্গারীর গোডাউনে আগুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভারের ব্যাংক কলোনী এলাকায় একটি ভাঙ্গারীর গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট আধ ঘন্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সাভারের ব্যাংক কলোনী এলাকায় সাবেক সংসদ সদস্য দেওয়ান সালাউদ্দিন বাবুর বাড়ির সামনের কামালের ভাঙ্গারী গোডাউনে এই আগুন লাগার ঘটনা ঘটে।

ফায়ার সার্ভিস জানায়, সন্ধায় আগুনের খবর পেয়ে সাভার ফায়ার স্টেশনের ২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রনে কাজ শুরু করে। পরে ট্যানারী ফায়ার স্টেশনের আরও ২টি ইউনিট এসে যোগ দেয়। মোট ৪টি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে।

সাভার ফায়ার স্টেশনের ওয়ারহাউজ পরিদর্শক মেহেরুল ইসলাম বার্তা ২৪.কমকে বলেন, গোডাউনটিতে থাকা ভাঙ্গারীর মালামাল, প্লাস্টিক পন্য, কাগজপত্র ছিল যা পুড়ে গেছে। এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে কোনো হতাহত ঘটেনি। আগুন লাগার কারন ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমান পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে।

;

‘সরকারের অর্থ জনগণেরও অর্থ, কাউকে ফাঁকিবাজি করতে দেবেন না’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

অর্থপ্রতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য বেগম ওয়াসিকা আয়শা খান বলেছেন, সরকারের অর্থ আপনাদেরও (জনগণের) অর্থ, কাউকে ফাঁকিবাজি করতে দেবেন না।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় আনোয়ারা চাতরী চৌমুহনীর টানেল মুখ সড়কে ‘ঈদপুনর্মিলনী ও বর্ষবরণ উদযাপন পরিষদ’ কতৃক আয়োজিত আনোয়ারা আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীদের “ঈদ পুনর্মিলনী ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বেগম ওয়াসিকা আয়শা খান বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের শিখিয়েছেন উন্নয়নের রাজনীতি। দেশের বড় বড় উন্নয়নগুলো দেশের জনগণ হিসেবে আপনিও তদারকি করতে পারেন। প্রতিটি কাজ ঠিক ভাবে হচ্ছে কিনা সেটা আপনারা পাহারা দেবেন। ফাঁকিবাজি করতে দেবেন না। সরকারের অর্থ আপনাদেরও অর্থ। নিজেকে দুর্বল ভাববেন না। ভদ্রতাকে কেউ দুর্বলতা ভাববেন না। নিজেদের মধ্যে কোন্দল থাকলে দুষ্টুরা সুযোগ নেয়। সে সুযোগ দেবেন না।

তিনি আরও বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে বিদেশ থেকে দেশে ফিরেছিলেন। অনেক চড়াই উৎরাই ফেরিয়ে দলের হাল ধরেছিলেন। শেখ হাসিনা বলেছিলেন, তৃণমূল নেতাকর্মীরাই আওয়ামী লীগের প্রাণ। আমিও বলবো আপনারা তৃণমূল নেতাকর্মীরাই আওয়ামী লীগের প্রাণ। আমার পিতা কখনো দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাননি। আমিও পালাবো না। আমি ১০ বছর এমপি ছিলাম। আনোয়ারায় রাস্তা করলে রাস্তা কেটে দিতো। নামফলক ভেঙে দিতো। এতে মানুষের অনেক কষ্ট হতো।

অর্থপ্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা সকলে মিলে দেশকে এগিয়ে নেবো। আমার শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত আপনাদের সেবা করে যাবো। মঞ্চে বসা আপনাদের মাঝে আমি আমার প্রয়াত পিতাকে দেখতে পাচ্ছি। অনেকেই এখানে আছেন যারা আমার পিতার সহকর্মী ছিলেন।

দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবুল কালাম চৌধুরী’র সভাপতিত্বে ও সাবেক ছাত্রনেতা জিয়াউদ্দিন বাবলু’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি শাহজাদা মহিউদ্দিন, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডা. নাছির উদ্দিন মাহমুদ, আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি কাজী মোজাম্মেল হক, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইসলাম আহমেদ প্রমূখ।

;

‘ড্রিমলাইনারের ত্রুটির বিষয়ে বিমান বোয়িংয়ের সাথে যোগাযোগ রাখছে’



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ড্রিমলাইনার-৭৮৭ মডেলের উড়োজাহাজের বিষয়ে বোয়িংয়ের সাবেক প্রকৌশলীর পক্ষ থেকে উত্থাপিত কারিগরি ত্রুটির বিষয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বোয়িংয়ের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে বলে জানিয়েছেন বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শফিউল আজিম।

এ বিষয়ে দ্রুতই অধিকতর তথ্য জেনে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খানকে অবহিত করবেন বলে তিনি জানান।

যান্ত্রিক ত্রুটির আশঙ্কায় বোয়িংয়ের হুইসেল ব্লোয়ার স্যাম স্যালেপোর সব ৭৮৭ ড্রিমলাইনার গ্রাউন্ডেড করার কথা জানিয়েছেন। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, সব ড্রিমলাইনারের কার্যক্রম বন্ধ করে উড়োজাহাজগুলোতে কাঠামোতে থাকা ত্রুটি শনক্ত করা প্রয়োজন।

বিষয়টি জানার পর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে নির্দেশ দিয়েছেন বিমান মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান।

শনিবার (২০ এপ্রিল) বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শফিউল আজিমের সঙ্গে ফোনালাপে মন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন।

মন্ত্রী বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে থাকা ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজগুলো নতুন হওয়ায় আপাতত উত্থাপিত কারিগরি সমস্যা নিয়ে আমাদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তবে ভবিষ্যতের কথা ভেবে এবং যাত্রী নিরাপত্তা নিশ্চিত করার স্বার্থে কারিগরি বিষয়গুলো নিয়ে উড়োজাহাজ তৈরিকারী কোম্পানি বোয়িংয়ের সঙ্গে দ্রুত কথা বলে বিষয়টি পরিষ্কার হওয়া প্রয়োজন। কারণ বাংলাদেশ সরকার এবং বিমানের কাছে যাত্রীদের নিরাপত্তাই মুখ্য বিষয়।

;

ফকিরাপুল থেকে অজ্ঞাত মরদেহ উদ্ধার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর ফকিরাপুল থেকে অজ্ঞাত (৫৫) এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়।

শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে ফকিরাপুল ট্রাফিক সিগন্যাল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে মতিঝিল থানা পুলিশ।

মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু জাফর জানান, বিকেলে খবর পেয়ে ফকিরাপুল ট্রাফিক সিগন্যালের পাশের রাস্তা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। আগে থেকেই ওই অজ্ঞাত ব্যক্তির বাঁ পায়ের কিছু অংশ ছিল না। লাঠি দিয়ে ভর দিয়ে চলাফেরা করতেন।

তিনি জানান, রোগে আক্রান্তের পাশাপাশি প্রচণ্ড গরমের কারণেও মৃত্যু হতে পারে।

তিনি আরও জানান, ওই ব্যক্তি ভিক্ষুক প্রকৃতির। ফকিরাপুল এলাকাতে ভিক্ষাবৃত্তি করতেন এবং ওই এলাকায় থাকতেন।

;