নুসরাত হত্যা মামলা
চার্জশিটের ১৬ আসামির মৃত্যুদণ্ড চেয়েছে পিবিআই
ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলায় ১৬ জনকে আসামি করে চার্জশিট বুধবার (২৯ মে) আদালতে জমা দিচ্ছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। মামলায় পিবিআইয়ের তদন্তের চার্জশিটে থাকা অধ্যক্ষ এস এম সিরাজ উদদৌলাসহ ১৬ জনেরই মৃত্যুদণ্ড চেয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৮ মে) ধানমন্ডিতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের প্রধান কার্যালয়ে নুসরাত হত্যা মামলার তদন্তের সর্বশেষ অগ্রগতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান পিবিআইয়ের প্রধান পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) বনজ কুমার মজুমদার।
তিনি বলেন, 'এরমধ্যে ১২ জন আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। সরাসরি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের মধ্যে ৩ জন পরীক্ষার্থী ছিল। হত্যার পর তারা পরীক্ষায় অংশ নেয়।'
বনজ কুমার মজুমদার বলেন, 'অধ্যক্ষের রুমেই বোরকা পড়ে ৩ জন ছেলে। পরে নুসরাতকে ছাদে ডেকে নিয়ে কেরোসিন দিয়ে আগুন ধরায়। আগুন ধরানোর সময় ২ জন মেয়েও যুক্ত হয়। তাদের মধ্যে শম্পা এবং মণি নুসরাতের গায়ে আগুন ধরার পর পরীক্ষার রুমে প্রবেশ করে এবং পরীক্ষা দেয়।'
তিনি আরও বলেন, 'পুরো শরীর পুড়ে যখন হাত পায়ের বাঁধন খুলে যায়, তখন নুসরাত দৌড় দেয়। সে সময় তার শরীরে কোন কাপড় ছিল না। পুড়ে গিয়েছিল। দৌড়ানোর সময় তার শরীর থেকে মাংস খসে পড়তে থাকে। মূল গেটের সামনে গিয়ে নুসরাত জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।'
তদন্তে ৯২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ২০০০ (সংশোধিত ২০০৩) ৪(১) ও ৪(১)/ ৩০ ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এই চার্জশিট প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানান পিবিআই ডিআইজি।
নুসরাত হত্যা মামলায় পিবিআইয়ের তদন্তের চার্জশিটে থাকা অধ্যক্ষ এস এম সিরাজ উদদৌলাসহ ১৬ জনেরই মৃত্যুদণ্ড চেয়েছে পুলিশ।
চার্জশিটে থাকা অন্য আসামিরা হলেন, নুর উদ্দিন (২০), শাহাদাত হোসেন শামীম (২০) , সাইফুর রহমান মোহা্মাদ জোবায়ের (২১), মাকসুদ আলম (৫০), জাবেদ হোসেন (১৯), হাফেজ আব্দুল কাদের (২৫), আফছার উদ্দিন (৩৩), কামরুন নাহার মনি (১৯), উম্মে সুলতানা পপি (১৯), আব্দুর রহিম শরীফ (২০), ইফতেখার উদ্দিন রানা (২২), ইমরান হোসেন মামুন( ২২), মোহাম্মাদ শমীম (২০), রুহুল আমিন (৫৫), মহিউদ্দিন শাকিল (২০)।