জালিয়াতিতে প্রাণ গ্রুপ, বন্দরে আটকা ৩০ কন্টেইনার



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিড়ম্বনা পিছু ছাড়ছে না, না কি হাজারো শাস্তির পরও সংশোধন হচ্ছে না প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ? প্রতিদিন নানা অনিয়মের কারণে খবরের শিরোনাম হওয়া প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ সম্পর্কে এমন খেদোক্তি প্রকাশ করেছেন ভোক্তারা।

রাজস্ব জালিয়াতি, ভেজাল পণ্য বিপণনের কারণে এতোদিন পত্রিকার শিরোনাম হওয়া দেশীয় কোম্পানিটির বিরুদ্ধে এবার আমদানিতেও জালিয়াতির খবর পাওয়া গেছে। প্লাস্টিক দানা ঘোষণা দিয়ে উচ্চ শুল্কের সিমেন্ট আমদানির চেষ্টা করেছিল এই কোম্পানিটি।

প্লাস্টিক দানার শুল্ককর ৩২ শতাংশ, আর সিমেন্টের হার ৯১ শতাংশ। আমদানিকৃত প্লাস্টিকের দানার বিপরীতে প্রাণ শুল্ক দিয়েছিল ১ কোটি ৪২ লাখ টাকা। সিমেন্টের হিসেবে আমদানি করতে শুল্ক পড়তো প্রায় ৪ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। ৩ কোটি ২৩ লাখ টাকা ফাঁকি দিতেই এই জালিয়াতির চেষ্টা করা হয়।

আরও পড়ুন: প্রাণ-ড্যানিশের হলুদ গুঁড়াসহ ১৮ পণ্যের লাইসেন্স বাতিল

চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্র জানায়, দুবাই থেকে প্রাণ ডেইরি লিমিটেডের নামে ৩০টি কন্টেইনারের চালান আসে ২৬ মে। আমদানিকারক ওইদিনই চালান খালাসের জন্য নথিপত্র জমা দেয়। চালানে পাঁচ লাখ ৬৬ হাজার ডলার মূল্যের ৫১০ মেট্রিক টন প্লাস্টিক দানা আনার ঘোষণা দেওয়া হয়।

ঈদের ছুটির কারণে বন্ধ থাকায় ৬ জুন রাতে তারা কন্টেইনার খালাসের চেষ্টা করে। এ সময় দু’টি কন্টেইনার খুলে সিমেন্টের বস্তা দেখা যায়। পরে কন্টেইনারগুলো লক করে খালাস বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঈদের ছুটি শেষে সোমবার ও মঙ্গলবার দুইদিনে কায়িক পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়।

কায়িক পরীক্ষায় দেখা যায়, চালানটিতে সৌদি-আরবের জেবেল আলী ব্র্যান্ডের সিমেন্টের বস্তা। প্রতিটি বস্তায় আছে ৫০ কেজি করে সিমেন্ট। একেকটি কন্টেইনারে এসেছে ৩৪০টি করে বস্তা। ৩০টি কন্টেইনারে ১০ হাজার ২৫০টি বস্তায় মোট সিমেন্ট এসেছে ৫১০ মেট্রিক টন। প্লাস্টিক দানার শুল্ককর ৩২ শতাংশ। আর সিমেন্টের শুল্ককর ৯১ শতাংশ।

চালানটির খালাস স্থগিত করা হয়েছে। আমদানিকারকের বিরুদ্ধে মামলা হবে। আর সিমেন্টের রাসায়নিক পরীক্ষা করা হবে বলে জানিয়েছে কাস্টমস।

আরও পড়ুন: প্রাণের ঘি, রাঁধুনী ধনিয়া-জিরা গুঁড়াসহ ১১ পণ্যের লাইসেন্স স্থগিত

কন্টেইনার জব্দ করার কথা স্বীকার করেছেন প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের ম্যানেজার (কমিউনিকেশন) তৌহিদুজ্জামান। তিনি বলেন, সৌদি কোম্পানি আমাদের সঙ্গে জালিয়াতি করেছে। আমরা রেজিন (প্লাস্টিক দানা) আমদানির জন্য কোম্পানিকে অর্ডার করেছিলাম। কিন্তু তারা জালিয়াতি করে সিমেন্ট পাঠিয়েছে। এতে আমাদের কোনো দোষ নেই।

এ বিষয়ে প্রাণ আরএফএল গ্রুপের জনসংযোগ বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার জিয়াউল হক বার্তা২৪.কমকে লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমরা সংযুক্ত আরব আমিরাতের জিপিজি মিডল ইস্ট জেনারেল ট্রেডিং কোম্পনিকে ৫১০ মেট্রিক টন প্লাস্টিক রেজিন কিনে পাঠানোর জন্য বলেছি। সে অনুযায়ী এভারবেস্ট লজিস্টিকস লিমিটেডের মাধ্যমে ৩০ কন্টেইনার পণ্য চট্টগ্রাম বন্দরে পাঠিয়েছে।

তিনি বলেন, ১ জুন পণ্যগুলোর শুল্কায়ন পরবর্তী খালাসের সময় কন্টেইনারের ভেতরে প্লাস্টিক রেজিনের পরিবর্তে সিমেন্টের ব্যাগ পাওয়া যায় বলে আমরা জানতে পারি। সাথে সাথে আমরা সরবরাহকারী, শিপিং লাইন, চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ, বন্দর কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিভাগকে বিষয়টি লিখিতভাবে অবহিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করি। সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে এলসি’র পেমেন্ট বাতিলের জন্য আমরা ৩ জুন মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংককে অনুরোধ করি। এলসিটি ১৮০ দিনের ডেফার্ড পেমেন্ট বিধায় এখনো কোনো লেনদেন শেষ হয়নি।

জিয়াউল হক আরো বলেন, এই পণ্য সরবরাহ করতে আমাদের সাথে কোনো এক বা একাধিক প্রতিষ্ঠান জালিয়াতি করেছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম শেষে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

আরও পড়ুন: প্রাণ-আরএফএলের তিন প্রতিষ্ঠানকে শোকজের সিদ্ধান্ত

কাস্টমস আইন ভঙ্গ করে ৬৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকার বন্ডেড পণ্য খোলাবাজারে বিক্রি করায় প্রাণ আরএফএলের ৩টি কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে গত ৭ মে। অল প্লাস্ট বিডি লিমিটেডের বন্ডেড ওয়্যারহাউজে বন্ড রেজিস্ট্রার অনুযায়ী, ৪ হাজার ১১ দশমিক ৩৭ মেট্রিক টন পণ্য (পিপি, এলডিপিই, এলএলডিপিই, এইচডিপিই, মুদ্রণ কালি ইত্যাদি) মজুদ থাকার কথা থাকলেও সরেজমিন ২ হাজার ৮৭৩ দশমিক ২৪ মেট্রিক টন পণ্য কম পাওয়া যায়। শুল্কসহ ফাঁকি দেওয়া পণ্যের মূল্য ৪৮ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। ফাঁকি দেওয়া শুল্কের পরিমাণ ১২ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।

আরও পড়ুন: টালমাটাল প্রাণ আরএফএল

প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের ময়মনসিংহ এগ্রো লিমিটেডের বন্ডেড ওয়্যারহাউজে বন্ড রেজিস্ট্রার অনুযায়ী, ১৫০ দশমিক ১১ মেট্রিক টন পণ্য মজুদ থাকার কথা থাকলেও অভিযানে ৩০ দশমিক ৭৮ মেট্রিক টন পণ্য কম পাওয়া যায়। ফাঁকি দেওয়া পণ্যের শুল্কসহ মূল্য ১ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। ফাঁকি দেওয়া শুল্কের পরিমাণ ৬৫ লাখ টাকা।

ময়মনসিংহ এগ্রো লিমিটেডের ইউনিট তিন নামীয় প্রতিষ্ঠানে বন্ডেড ওয়্যারহাউজে বন্ড রেজিস্ট্রার অনুযায়ী, ১ হাজার ৭৯২ দশমিক ৩২ মেট্রিক টন পণ্য (ফিল্ম এলডিপিই ইত্যাদি) মজুদ থাকার কথা থাকলেও সরেজমিন ১ হাজার ১১৩ দশমিক ৯৮ মেট্রিক টন পণ্য কম পাওয়া যায়। ফাঁকি দেওয়া পণ্যের শুল্কসহ মূল্য ১৭ কোটি ১৯ লাখ টাকা। ফাঁকি দেওয়া শুল্কের পরিমাণ ৪ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।

সিলেট কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের নিরীক্ষায় প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান রংপুর মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজের প্রায় ৪০ কোটি টাকা ভ্যাট ফাঁকির তথ্য বেরিয়ে আসে। কাঁচামাল আমদানির তথ্য গোপন, অনুমোদন ছাড়া রফতানি ও অবৈধভাবে রেয়াত নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি ওই কর ফাঁকি দেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এ কারণে ২০১৮ অক্টোবর কোম্পানিটির হিসাব তলব করে এনবিআর।

ভেজালের কারণে পুরো রমজান জুড়ে লঙ্কাকাণ্ড ঘটে গেছে। কোম্পানিটির দু’টি পণ্যের লাইসেন্স বাতিল (প্রাণ গুঁড়া হলুদ ও প্রাণ লাচ্ছা সেমাই) করেছে বিএসটিআই। একই সঙ্গে প্রিমিয়াম ব্র্যান্ডের ঘির মান যথাযথ না হওয়ায় লাইসেন্স স্থগিত ঘোষণা করেছে।

   

কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার মেশিন ব্যবহারে কমেছে উৎপাদন খরচ 



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ায় এ বছর গমের ফলন ভাল হয়েছে। কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার মেশিনে গম কাটা ও মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। হার্ভেস্টার মেশিন ব্যবহারে উৎপাদন খরচও কমেছে। ফলে কৃষকের মুখে ফুটেছে সোনালি হাসি। উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি, শ্রমিক সংকট সহ নানা কারণে একসময় গম চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন কুষ্টিয়ার কৃষকরা। 

সরকারি প্রণোদনায় কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার মেশিন দিয়ে অর্ধেক খরচে কম সময়ে গম কাটা ও মাড়াই করতে পারায় গম চাষ বেড়েছে কুষ্টিয়ায়। 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়, এবছর জেলায় ১২ হাজার ৭১৬ হেক্টর জমিতে গম চাষ হয়েছে। এর মধ্যে সীমান্তবর্তী দৌলতপুর উপজেলায় চাষ হয়েছে ৬ হাজার ৩৯০ হেক্টর জমিতে। 

মেশিনে প্রতি বিঘা জমির গম কাটা মাড়াইয়ে কৃষকের খরচ হচ্ছে মাত্র ১ হাজার ৮০০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকা; যা শ্রমিক দিয়ে গম কাটা ও মাড়াইয়ের মজুরির অর্ধেকেরও কম। ফলে কৃষকদের গম চাষে আগ্রহ বেড়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবছর গমের ফলন ভাল হয়েছে।

প্রতি বিঘা জমিতে গমের ফলন হচ্ছে ১৮ মণ থেকে ২০ মণ হারে। উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে কৃষকের আয় হচ্ছে দ্বিগুণেরও বেশি। এখন গম কাটা ও মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। 

দৌলতপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের চুয়ামল্লিকপাড়া গ্রামের কৃষক রানা হোসেন জানান, আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবছর গমের ফলন ভাল হয়েছে। প্রতি বিঘা জমিতে গমের ফলন হচ্ছে গড়ে ১৮ মণ থেকে ২০ মণ হারে। 

কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার মেশিনে গম কাটা ও মাড়াইয়ে কৃষকের উৎপাদন খরচ কমেছে। ফলে কৃষকদের গম চাষে আগ্রহ বেড়েছে। 

মিরপুর উপজেলার আমলা ইউনিয়নের খয়েপুর এলাকার কৃষক তিন কৃষক (পার্টনার প্রোগ্রাম) এর আওতায় দুই একর জমিতে বারি-৩০ গম আবাদ করেছেন। এতে করে গম আবাদে তুলনামূলকভাবে খরচ কম হওয়ায় এবং লাভ বেশি হওয়ায় আগামীতে আরও বেশি করে গমের আবাদ করবেন। 

মিরপুর উপজেলা কৃষি অফিসের অতিরিক্ত কৃষি অফিসার মতিয়র রহমান জানান, ‘প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচারাল এ্যান্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন এন্টারপ্রেনরশিপ এ্যান্ড রেসিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশ (পার্টনার প্রোগ্রাম) এর আওতায় আমাদের উপজেলার আমলা ব্লকে আব্দুল হালিম, আব্দুস সাত্তার ও মোস্তফা কামাল তারা যৌথভাবে দুই একর জমিতে গমের আবাদ করেন। এতে আমরা সার বীজ প্রণোদনা করেছি। পাশাপাশি কৃষি অফিসের মাধ্যমে ৫০ শতাংশ ভর্তুকি মূল্যে গম কাটা ও মাড়াই যন্ত্র প্রদান করেছি।’  

এদিকে সরকারি প্রণোদনায় পাওয়া কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার মেশিন দিয়ে প্রতিদিন ১৫ বিঘা থেকে ২০ বিঘা জমির গম কাটা ও মাড়াই করছেন মেশিন মালিকরা। এতে তাদের উপার্জন বেড়েছে।

উন্নতজাত সরবরাহ, প্রশিক্ষণ, প্রদর্শনী ও প্রণোদনা প্রদানসহ সবধরনের সুবিধা দেওয়ায় কৃষকরা গম চাষে আগ্রহী হয়েছেন এবং এ বছর গমের ফলন ভাল হয়েছে বলে জানিয়েছেন দৌলতপুর কৃষি কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধিতে দেশ হবে সমৃদ্ধ। সেক্ষেত্রে প্রয়োজন কৃষকদের সবধরনের সুযোগ সুবিধার।

;

পায়ুপথে ৭০ লাখ টাকার সোনা, 'পাচারকারী' আটক



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বেনাপোল (যশোর)
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যশোরের বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচারের সময় মনোরউদ্দিন নামে এক যুবককে ৭০ লাখ টাকা মুল্যের ৬টি স্বর্ণের বারসহ আটক করেছে বিজিবি সদস্যরা। আটক পাচারকারী মনোরউদ্দিন বেনাপোল পোর্ট থানার পুটখালী গ্রামের কদর আলীর ছেলে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকালে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান ২১ ব্যাটালিয়নের বিজিবি।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাত ১১ টার দিকে সীমান্তের পুটখালি মসজিদবাড়ী বিজিবি চেকপোষ্টের সামনে থেকে তাকে আটক করে বিজিবি। পরে তার স্বীকারোক্তিতে শরীরের পায়ু পথে লুকিয়ে স্বর্ণপাচারের কথা স্বীকার করলে এ স্বর্ণের বার উদ্ধার হয়।

বিজিবি জানান, গোঁপন একটি তথ্যের ভিত্তিতে তারা জানতে পারেন পাচারকারীরা স্বর্ণের একটি চালান ভারতে পাচার করবে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবি সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করে। এক পর্যায়ে রাতে সন্দেহভাজন ব্যক্তি ইজিবাইক চালিয়ে সীমান্তের দিকে প্রবেশের সময় তাকে ধরা হয়। এ সময় তাকে আটক করে বেনাপোল বাজারে রজনী ক্লিনিকে শরীর স্ক্যানিং করে পায়ুপথে ছয় পিস সোনার বারের অস্তিত্ব পাওয়া যায় এবং তা উদ্ধার করা হয়। যার ওজন ৭০০ গ্রাম। এবং যার মূল্য আনুমানিক ৭০ লাখ টাকা।

খুলনা ২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল খুরশিদ আনোয়ার সোনাসহ এক পাচারকারী আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, উদ্ধার সোনার চালানটি যশোর ট্রেজারিতে এবং আসামিকে বেনাপোল পোর্ট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

;

ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেছে আওয়ামী লীগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র রমজান মাস ও আসন্ন ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেছে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপ কমিটি।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকালে রাজধানী গুলিস্তানের ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে এই ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিরা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানুষের কষ্টের কথা চিন্তা করেই আজকের এই আয়োজন। আমাদের মানবিক প্রধানমন্ত্রী সাধারণ ও খেটে খাওয়া মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তারই ধারাবাহিকতায় আজকে আমরা অসহায় মানুষদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার পৌঁছে দিচ্ছি।

ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু সুজিত রায় নন্দী, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ।

;

গাজীপুরে চোর সন্দেহে ২ জনকে পিটিয়ে হত্যা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলায় গরু চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে দুজন নিহত হয়েছে।বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দিবাগত রাত ২টার দিকে কাপাসিয়ার সিংহশ্রী ইউনিয়নের নামিলা গ্রামের চান মিয়ার বাড়িতে একজন ও একই ইউনিয়নের বড়িবাড়ি গ্রামের ধানক্ষেত অপর একজন নিহত হন। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে কাপাসিয়া থানাধীন সিংহশ্রী ইউনিয়নের নামিলা গ্রামে মনির উদ্দিনের ছেলে মো. চান মিয়ার বাড়িতে অজ্ঞাত পরিচয়ের কিছু লোক গরু চুরির উদ্দেশে প্রবেশ করেন। এ সময় চান মিয়া গরু চুরির বিষয়টি টের পেয়ে ডাকাডাকি করে এলাকাবাসীকে জড়ো করেন। পরে এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে একজনকে ধরে ফেলে এবং গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই একজনের মৃত্যু হয়।

অন্যজনকে স্থানীয়রা ধাওয়া দিলে পার্শ্ববর্তী বড়িবাড়ি গ্রামে ধানখেতের আড়ালে লুকান। পরে উত্তেজিত এলাকাবাসী তাকে ধান খেতের আড়াল থেকে খুঁজে বের করে পিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই তিনিও নিহত হন।

সিংহশ্রী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার পারভেজ জানান, গরু চুরি রোধে এলাকায় গ্রামবাসী পাহাড়া বসিয়েছিলেন। শুক্রবার রাতে গাড়িতে করে একটি কৃষকের গরু চুরি করতে কয়েকজন। গ্রামবাসী গরুর চুরির বিষয়টি টের পেয়ে একজোট হয়ে দুইজনকে গণপিটুনি দেয়। এতে ঘটনাস্থলে নামিলা গ্রামে একজন ও পাশ্ববর্তী বড়বাড়ি গ্রামের ধানক্ষেতে একজনসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। আরো চার-পাঁচজন গরু চোর এখনো এলাকায় আছে, গ্রামবাসী তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।

এবিষয়ে জানতে কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর মিয়ার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি রিসিভ না করায় তাঁর বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

;