জালিয়াতিতে প্রাণ গ্রুপ, বন্দরে আটকা ৩০ কন্টেইনার



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিড়ম্বনা পিছু ছাড়ছে না, না কি হাজারো শাস্তির পরও সংশোধন হচ্ছে না প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ? প্রতিদিন নানা অনিয়মের কারণে খবরের শিরোনাম হওয়া প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ সম্পর্কে এমন খেদোক্তি প্রকাশ করেছেন ভোক্তারা।

রাজস্ব জালিয়াতি, ভেজাল পণ্য বিপণনের কারণে এতোদিন পত্রিকার শিরোনাম হওয়া দেশীয় কোম্পানিটির বিরুদ্ধে এবার আমদানিতেও জালিয়াতির খবর পাওয়া গেছে। প্লাস্টিক দানা ঘোষণা দিয়ে উচ্চ শুল্কের সিমেন্ট আমদানির চেষ্টা করেছিল এই কোম্পানিটি।

প্লাস্টিক দানার শুল্ককর ৩২ শতাংশ, আর সিমেন্টের হার ৯১ শতাংশ। আমদানিকৃত প্লাস্টিকের দানার বিপরীতে প্রাণ শুল্ক দিয়েছিল ১ কোটি ৪২ লাখ টাকা। সিমেন্টের হিসেবে আমদানি করতে শুল্ক পড়তো প্রায় ৪ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। ৩ কোটি ২৩ লাখ টাকা ফাঁকি দিতেই এই জালিয়াতির চেষ্টা করা হয়।

আরও পড়ুন: প্রাণ-ড্যানিশের হলুদ গুঁড়াসহ ১৮ পণ্যের লাইসেন্স বাতিল

চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্র জানায়, দুবাই থেকে প্রাণ ডেইরি লিমিটেডের নামে ৩০টি কন্টেইনারের চালান আসে ২৬ মে। আমদানিকারক ওইদিনই চালান খালাসের জন্য নথিপত্র জমা দেয়। চালানে পাঁচ লাখ ৬৬ হাজার ডলার মূল্যের ৫১০ মেট্রিক টন প্লাস্টিক দানা আনার ঘোষণা দেওয়া হয়।

ঈদের ছুটির কারণে বন্ধ থাকায় ৬ জুন রাতে তারা কন্টেইনার খালাসের চেষ্টা করে। এ সময় দু’টি কন্টেইনার খুলে সিমেন্টের বস্তা দেখা যায়। পরে কন্টেইনারগুলো লক করে খালাস বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঈদের ছুটি শেষে সোমবার ও মঙ্গলবার দুইদিনে কায়িক পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়।

কায়িক পরীক্ষায় দেখা যায়, চালানটিতে সৌদি-আরবের জেবেল আলী ব্র্যান্ডের সিমেন্টের বস্তা। প্রতিটি বস্তায় আছে ৫০ কেজি করে সিমেন্ট। একেকটি কন্টেইনারে এসেছে ৩৪০টি করে বস্তা। ৩০টি কন্টেইনারে ১০ হাজার ২৫০টি বস্তায় মোট সিমেন্ট এসেছে ৫১০ মেট্রিক টন। প্লাস্টিক দানার শুল্ককর ৩২ শতাংশ। আর সিমেন্টের শুল্ককর ৯১ শতাংশ।

চালানটির খালাস স্থগিত করা হয়েছে। আমদানিকারকের বিরুদ্ধে মামলা হবে। আর সিমেন্টের রাসায়নিক পরীক্ষা করা হবে বলে জানিয়েছে কাস্টমস।

আরও পড়ুন: প্রাণের ঘি, রাঁধুনী ধনিয়া-জিরা গুঁড়াসহ ১১ পণ্যের লাইসেন্স স্থগিত

কন্টেইনার জব্দ করার কথা স্বীকার করেছেন প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের ম্যানেজার (কমিউনিকেশন) তৌহিদুজ্জামান। তিনি বলেন, সৌদি কোম্পানি আমাদের সঙ্গে জালিয়াতি করেছে। আমরা রেজিন (প্লাস্টিক দানা) আমদানির জন্য কোম্পানিকে অর্ডার করেছিলাম। কিন্তু তারা জালিয়াতি করে সিমেন্ট পাঠিয়েছে। এতে আমাদের কোনো দোষ নেই।

এ বিষয়ে প্রাণ আরএফএল গ্রুপের জনসংযোগ বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার জিয়াউল হক বার্তা২৪.কমকে লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমরা সংযুক্ত আরব আমিরাতের জিপিজি মিডল ইস্ট জেনারেল ট্রেডিং কোম্পনিকে ৫১০ মেট্রিক টন প্লাস্টিক রেজিন কিনে পাঠানোর জন্য বলেছি। সে অনুযায়ী এভারবেস্ট লজিস্টিকস লিমিটেডের মাধ্যমে ৩০ কন্টেইনার পণ্য চট্টগ্রাম বন্দরে পাঠিয়েছে।

তিনি বলেন, ১ জুন পণ্যগুলোর শুল্কায়ন পরবর্তী খালাসের সময় কন্টেইনারের ভেতরে প্লাস্টিক রেজিনের পরিবর্তে সিমেন্টের ব্যাগ পাওয়া যায় বলে আমরা জানতে পারি। সাথে সাথে আমরা সরবরাহকারী, শিপিং লাইন, চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ, বন্দর কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিভাগকে বিষয়টি লিখিতভাবে অবহিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করি। সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে এলসি’র পেমেন্ট বাতিলের জন্য আমরা ৩ জুন মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংককে অনুরোধ করি। এলসিটি ১৮০ দিনের ডেফার্ড পেমেন্ট বিধায় এখনো কোনো লেনদেন শেষ হয়নি।

জিয়াউল হক আরো বলেন, এই পণ্য সরবরাহ করতে আমাদের সাথে কোনো এক বা একাধিক প্রতিষ্ঠান জালিয়াতি করেছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম শেষে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

আরও পড়ুন: প্রাণ-আরএফএলের তিন প্রতিষ্ঠানকে শোকজের সিদ্ধান্ত

কাস্টমস আইন ভঙ্গ করে ৬৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকার বন্ডেড পণ্য খোলাবাজারে বিক্রি করায় প্রাণ আরএফএলের ৩টি কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে গত ৭ মে। অল প্লাস্ট বিডি লিমিটেডের বন্ডেড ওয়্যারহাউজে বন্ড রেজিস্ট্রার অনুযায়ী, ৪ হাজার ১১ দশমিক ৩৭ মেট্রিক টন পণ্য (পিপি, এলডিপিই, এলএলডিপিই, এইচডিপিই, মুদ্রণ কালি ইত্যাদি) মজুদ থাকার কথা থাকলেও সরেজমিন ২ হাজার ৮৭৩ দশমিক ২৪ মেট্রিক টন পণ্য কম পাওয়া যায়। শুল্কসহ ফাঁকি দেওয়া পণ্যের মূল্য ৪৮ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। ফাঁকি দেওয়া শুল্কের পরিমাণ ১২ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।

আরও পড়ুন: টালমাটাল প্রাণ আরএফএল

প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের ময়মনসিংহ এগ্রো লিমিটেডের বন্ডেড ওয়্যারহাউজে বন্ড রেজিস্ট্রার অনুযায়ী, ১৫০ দশমিক ১১ মেট্রিক টন পণ্য মজুদ থাকার কথা থাকলেও অভিযানে ৩০ দশমিক ৭৮ মেট্রিক টন পণ্য কম পাওয়া যায়। ফাঁকি দেওয়া পণ্যের শুল্কসহ মূল্য ১ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। ফাঁকি দেওয়া শুল্কের পরিমাণ ৬৫ লাখ টাকা।

ময়মনসিংহ এগ্রো লিমিটেডের ইউনিট তিন নামীয় প্রতিষ্ঠানে বন্ডেড ওয়্যারহাউজে বন্ড রেজিস্ট্রার অনুযায়ী, ১ হাজার ৭৯২ দশমিক ৩২ মেট্রিক টন পণ্য (ফিল্ম এলডিপিই ইত্যাদি) মজুদ থাকার কথা থাকলেও সরেজমিন ১ হাজার ১১৩ দশমিক ৯৮ মেট্রিক টন পণ্য কম পাওয়া যায়। ফাঁকি দেওয়া পণ্যের শুল্কসহ মূল্য ১৭ কোটি ১৯ লাখ টাকা। ফাঁকি দেওয়া শুল্কের পরিমাণ ৪ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।

সিলেট কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের নিরীক্ষায় প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান রংপুর মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজের প্রায় ৪০ কোটি টাকা ভ্যাট ফাঁকির তথ্য বেরিয়ে আসে। কাঁচামাল আমদানির তথ্য গোপন, অনুমোদন ছাড়া রফতানি ও অবৈধভাবে রেয়াত নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি ওই কর ফাঁকি দেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এ কারণে ২০১৮ অক্টোবর কোম্পানিটির হিসাব তলব করে এনবিআর।

ভেজালের কারণে পুরো রমজান জুড়ে লঙ্কাকাণ্ড ঘটে গেছে। কোম্পানিটির দু’টি পণ্যের লাইসেন্স বাতিল (প্রাণ গুঁড়া হলুদ ও প্রাণ লাচ্ছা সেমাই) করেছে বিএসটিআই। একই সঙ্গে প্রিমিয়াম ব্র্যান্ডের ঘির মান যথাযথ না হওয়ায় লাইসেন্স স্থগিত ঘোষণা করেছে।

   

ফেসবুকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে অপহরণ, কলেজছাত্রীসহ গ্রেফতার ৫



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুর নগরীতে ফেসবুকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে একটি কোম্পানির এরিয়া ম্যানেজারকে অপহরণের পর মোটা অঙ্কের টাকা আত্মসাতের মামলায় কলেজছাত্রীসহ তার চার সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

মামলা ও প্রাথমিক তদন্তের উদ্ধৃতি দিয়ে রংপুর জেলা কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বজলুর রশীদ জানান, দুই মাস আগে রংপুর সদর উপজেলার ইশ্বরপুর শালমাপা এলাকার আক্তারুল ইসলামের মেয়ে রোকেয়া কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্রী মারিয়া চৌধুরী সাথে ফেসবুকে পরিচয় হয় সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেডের রংপুর বিভাগীয় এরিয়া ম্যানেজার শামস আল আরেফিন হাদীর।

এরপর ম্যাসেঞ্জারে দুইজনের সখ্যতা গড়ে উঠে। মাসখানেক আগে পায়রা চত্বরে তার সাথে প্রথম দেখা হয় হাদির। এ সময় থেকে হাদিকে বড় ভাই হিসেবে সম্বোধন করে মারিয়া।

ওসি আরও জানান, সখ্যতার সূত্রে মারিয়া মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বেলা ১১টায় হাদীকে রংপুর মহানগরীর কেরানীপাড়া চৌরাস্তা আইডিয়াল নার্সিং ইন্সটিটিউটের সামনে দেখা করার কথা বলে। ওই সময়ে হাদি তার সাথে দেখা করার জন্য অফিসিয়ার টয়োটা করোলা গাড়ি নিয়ে যায়। সেখানে পৌঁছানো মাত্রই মারিয়া তার সহযোগী জাহাঙ্গীর আলম, মাসুদ রানা, শিহাব শাহরিয়ার, তুষার ইসলামকে নিয়ে জোরপূর্বক গাড়িতে উঠে। চিৎকার করার চেষ্টা করলে মারিয়া তার সাথে অবৈধ সম্পর্ক আছে দাবি করে তা বিষয়টি জনসম্মুখে প্রকাশ করার হুমকি দেয়।

এসময় গাড়ি উঠেই হাদিকে ড্রাইভিং সিট থেকে অন্য সিটে দিয়ে তুষার গাড়ির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বদরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে যায়। এ সময় হাদির কাছ থেকে মারিয়া ও তার সহযোগীরা পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে। না দিলে মারিয়ার সাথে অবৈধ সম্পর্ক আছে বলে প্রকাশ করে দেওয়ার হুমকি দেয়। এ সময় তারা হাদির সাথে থাকা স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড, এনআইডি, পরিচয়পত্র ও ব্যক্তিগত ছবিসহ বিভিন্ন তথ্য মোবাইলের মাধ্যমে সিন্ডিকেটের অন্য জায়গায় প্রেরণ করে। হাদির ফোনের পাসওয়ার্ড জোরপূর্বক নিয়ে তার ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস এবং অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা উত্তোলনের চেষ্টা করে।

শুধু তাই নয়, হাদির ব্যবহৃত মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড নম্বর অ্যাপস থেকে ৫০ হাজার টাকা হাদির বিকাশ অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করে। পথিমধ্যে টাকা বের করার জন্য সদর উপজেলার চন্দনপাট ইউনিয়নের লাহিড়ীর হাট এলাকায় গাড়ির গতি কমালে হাদি সেখান থেকে কৌশলে নেমে টহল পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে মারিয়া ও তার চার সহযোগী তরুণকে গ্রেফতার করে।

এঘটনায় হাদি মামলা করলে বুধবার দুপুরে মারিয়াসহ পাঁচজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

;

থানচিতে ট্রাক লক্ষ্য করে গুলি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বান্দরবান
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবানের থানচি উপজেলার সীমান্ত সড়কের কাজে ব্যবহৃত একটি ট্রাক লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েছে সন্ত্রাসীরা।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে থানচি সীমান্ত সড়কের ৮ কিলো নামকস্থানে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুপুরে চারটি ট্রাক থানচি সীমান্ত সড়কের ৪৫ কিলোমিটার এলাকায় নির্মাণ কাজের জন্য ইট রেখে দুর্গম পথ অতিক্রম করে থানচি বাজারে আসছিল। পথে সীমান্ত সড়কের ৮ কিলোমিটার নামক স্থানে পৌঁছালে জঙ্গলের ভেতর থেকে সাতজন সশস্ত্র সন্ত্রাসী ট্রাক লক্ষ্য করে ৬-৭ রাউন্ড গুলি ছোড়ে।

গুলিতে একটি ট্রাকের বিভিন্ন অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও চালকেরা দ্রুত গাড়ি চালিয়ে থানচি বাজারে চলে আসে। এসময় সন্ত্রাসীদের মাথায় লাল কাপড় বাঁধা ছিল। এ ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও ট্রাকের বিভিন্ন স্থানে গুলি লাগে। তবে কে বা কারা গুলি করেছে তা নিশ্চিতভাবে বলতে পারছে না কেউ।

থানচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসিম উদ্দিন জানান, ট্রাকে গুলি লাগার খবর পেয়েছি। কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।

;

নির্বাচনে অনিয়ম হলে সিদ্ধান্ত নিতে কুণ্ঠাবোধ করব না: ইসি আনিছুর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
নির্বাচনে কোনো ধরনের অনিয়ম গ্রহণযোগ্য হবে না: ইসি আনিছুর

নির্বাচনে কোনো ধরনের অনিয়ম গ্রহণযোগ্য হবে না: ইসি আনিছুর

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনিছুর রহমান বলেছেন, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন চলাকালীন সময় অনিয়ম হলে সিদ্ধান্ত নিতে কুণ্ঠাবোধ করব না। আমাদের একটাই চাওয়া-নির্বাচনকে সুন্দর করতে হবে। কোনও অনিয়ম, কারচুপি বা যেখানেই অন্যায় কার্যক্রম হবে সেখানে প্রিজাইডিং অফিসার ব্যবস্থা নিতে পারবেন।  

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকালে চট্টগ্রাম নগরের পিটিআই ভবনে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আসন্ন উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচনে নয়টি জেলার প্রতিটি উপজেলায় ইভিএম’র মাধ্যমে এবং বাকি জেলাগুলোতে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে নির্বাচন সম্পন্ন হবে। এ নির্বাচনে কোনো ধরনের অনিয়ম গ্রহণযোগ্য হবে না।

আনিছুর রহমান বলেন, গত নির্বাচন একই দিনে সম্পন্ন হলেও এবারের নির্বাচনে ব্যবস্থাপনার সুবিধা ও কৃচ্ছতাসাধনের লক্ষ্যে চার ভাগে নির্বাচন শেষ করার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ৮ মে ১৫০টি উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বাকি জেলাগুলোতে ২১ মে, ২৯ মে ও ৫ জুন নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। তবে বান্দরবান জেলার তিনটি উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত রাখা হয়েছে। দুর্গম, পাহাড়ি ও দ্বীপ এলাকাগুলোতে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় ভোটের আগের দিন নির্বাচনী সরঞ্জাম পৌঁছে দেয়া হবে এবং বাকি জেলাগুলোতে ভোটের দিন সকাল ৮টার আগে ব্যালট পেপার পৌঁছে দেয়া হবে এবং বিকেল ৪টায় ভোট গ্রহণ শেষ হবে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমানের শেষ মুহূর্তে প্রার্থিতা বাতিলের বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের ৫৩ বছরের ইতিহাসে এভাবে কখনো প্রার্থিতা বাতিল হয়নি। ওইদিন ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার ১৫ মিনিট আগে তার প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে। বাতিল করার মতো যথেষ্ট উপাদান ছিল। আওয়ামী লীগের প্রার্থী মুস্তাফিজুর রহমানকে সপ্তাহখানেক আগে থেকে নজরদারি করা হচ্ছিল। যখন তিনি থানায় ঢুকে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে মারধর করছেন, সার্কেল এসপিও তাকে নিবৃত্ত করতে পারছেন না, এরপর আর বসে থাকা যায়নি। তখনই আমরা প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, আপনারা ভোটের দিন যে যেখানে থাকবেন, আইনের স্বপক্ষে সর্বময় ক্ষমতা প্রয়োগ করবেন। এতে যদি কোনো রকমের বিপদগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, আমরা আপনাদের পাশে আছি।

বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল আহমেদের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরে আলম মিনা, বিজিবি’র রিজিওনাল কমান্ডার মো. আজিজুর রহমান, ডিজিএফআই চট্টগ্রাম শাখার অধিনায়ক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সরওয়ার ও জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, পুলিশ সুপার এস. এম. শফিউল্লাহ, সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলী ও জেলার অন্যান্য কর্মকর্তারা।

;

চট্টগ্রামে সাংবাদিকের ওপর হামলা, যুবলীগ নেতা কারাগারে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে সাংবাদিকের ওপর হামলা, যুবলীগ নেতা কারাগারে

চট্টগ্রামে সাংবাদিকের ওপর হামলা, যুবলীগ নেতা কারাগারে

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর ডবলমুরিয় থানার মনসুরাবাদ দু'পক্ষের সংঘর্ষের ভিডিও ধারণ করতে গিয়ে বেসরকারি টিভি চ্যানেল-২৪ এর সংবাদ কর্মী সেলিম উল্লাহর ওপর হামলা মামলার প্রধান আসামি যুবলীগ নেতা মো. সাদ্দাম হোসেনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরিফুল ইসলামের আদালত এই আদেশ দেন।

হামলায় আহত সেলিম উল্লাহ, চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের চট্টগ্রাম অফিসের স্টাফ ক্যামেরাপারসন। এর আগে গত ২১ এপ্রিল রাতে নগরের ডবলমুরিং থানার মনসুরাবাদে এ ঘটনার পর পুলিশ ৭ জনকে গ্রেফতার করে। পরদিন ২২ এপ্রিল বিকেলে আদালতে হাজিরের পর তারা জামিন পেয়েছেন বলে জানা গেছে।

হামলার পর সাদ্দাম হোসেনসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে নগরের ডবলমুরিং থানায় মামলা করেন আহত সাংবাদিক সেলিম।

মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী চট্টগ্রাম জেলা পিপি অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বলেন, মনসুরাবাদ এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ভিডিও ধারণ করতে গিয়ে সংবাদকর্মীর ওপর হামলা মামলার আসামি মো. সাদ্দাম হোসেন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন

হামলায় আহত সেলিমের ভাষ্য, গত রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে অফিস থেকে বাসায় ফেরার পথে মনসুরাবাদে সংঘর্ষের মুখে পড়েন সেলিম। এ সময় তিনি সংবাদ সংগ্রহের উদ্দেশে ভিডিও ধারণ শুরু করেন। তা দেখে ঘটনাস্থলে থাকা সাদ্দাম ও তার অনুসারীরা তাকে মারধর শুরু করেন। একপর্যায়ে তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যার চেষ্টাও করেন। স্থানীয়রা এগিয়ে গেলে হামলাকারীরা পিছু হটে। হামলায় চোখে ও পায়ের লিগামেন্টে মারাত্মক জখম হয়েছে বলে সেলিম জানান।

এদিকে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিক সেলিম উল্লাহর ওপর সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে)। বুধবার প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে হামলায় জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।

;