২১ দিনের পাসপোর্ট মেলেনি ৭ মাসে, লাগতে পারে ২ বছর



রাকিবুল ইসলাম, স্টাফ ক‌রেসপ‌ন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
যাত্রাবাড়ি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস

যাত্রাবাড়ি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস

  • Font increase
  • Font Decrease

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জা‌হিদুল ইসলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাৎসরিক শিক্ষাসফরে যাবেন বলে গত বছরের নভেম্বরে যাত্রাবাড়ী আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে পাসপোর্ট করতে দেন। জাহিদুলের ভাগ্য এতটাই মন্দ, যে পাসপোর্ট ২১ দিনে পাওয়ার কথা তা ৭ মাসেও মেলেনি। উপরোন্তু তাকে শুনতে হচ্ছে পাসপোর্টটি পেতে লেগে যেতে পারে দুই বছর।

সাধারণ পাসপোর্ট করতে সময় লাগার কথা ২১ দিন, বড় জোর এক কিংবা দুই মা‌স। কিন্তু কেরানীগ‌ঞ্জের যাত্রাবাড়ী আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে সেবাগ্রহীতাদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে মাসের পর মাস। জাহিদুলের মতোই এমন অভিযোগ করেছেন পাসপোর্ট অফিসে আসা অন্যান্যরাও।

আঞ্চলিক এই পাসপোর্ট অফিসে এমন হয়রানির শিকার হয়েছেন বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী। পাসপোর্ট পেতে দুই বছরও লাগতে পারে-এমন কথা বলেছেন অ‌ফিসের কর্মকর্তারা, অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/19/1560941502748.jpg

ভুক্তভোগী জা‌হিদুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, গত বছরের ২৮ নভেম্বর প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আঙুলের ছাপ দিয়ে ছবি তুলে এসে‌ছিলাম। পাসপোর্ট দেওয়ার সম্ভাব্য তারিখ ছিল ২১ দিন পরে গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর। কিন্তু ৭ মাস অতিবাহিত হয়ে গেলেও হাতে পাইনি পাসপোর্ট। এদিকে দুই মাস পর আমার ভারতে শিক্ষাসফর রয়েছে।

অভিযোগ করে জাহিদুল বলেন, গত সাত মাসে ৫/৬ বার পাসপোর্ট অফিসে এসে অবশেষে জানতে পারি আমার তুলনামূলক ভেরিফিকেশন দরকার। সেখানকার এক কর্মকর্তার সহকারী রফিক নামে একজন আমাকে বলেন, এই পাসপোর্ট পেতে ২ বছরেরও বেশি সময় লাগতে পারে। পাসপোর্ট অফিসের ইন্সপেকশন কর্মকর্তা হূমায়ুন কবির রিফাত আমাকে বলেন, আমার সঙ্গে নাকি অন্য আরেকজনের নাম, পিতার নাম ও মাতার নাম হুবহু মিলে যাওয়ায় তুলনামূলক পুলিশ ভেরিফিকেশন দরকার। তাই পাসপোর্ট পেতে ২ বছর লাগার কথা।

এই ভুক্তভোগী আরও বলেন, আমার জাতীয় পরিচয়পত্র আছে, সেখানে আমার বাবার নাম, মায়ের নাম, বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানায় পুলিশ একবার ভেরিফিকেশন করে পজে‌টিভ রিপোর্ট  দিয়েছে কিন্তু এখানে এসে অন্য সমস্যা। এদিকে আমার ন্যাশনাল আই‌ডি কার্ড, জন্ম‌ নিবন্ধন, কর্মস্থল সব আছে এবং আলাদাও। তাহলে ডি‌জিটাল যুগে এ সাম‌ান্য কারণে পাসপোর্ট পেতে এত সময় লাগবে কেন?

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/19/1560941523984.jpg

এমন আরেক ঘটনায় চার মাস ধরে ভুগছেন ৫০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি। তার দেওয়া বয়স আর নাম মিলে গেছে আরেকজনের সঙ্গে। তাকেও ঝু‌লিয়ে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তি‌নি।

কর্মকর্তাদের কড়া পাহারায় এই ব্যক্তির সঙ্গে বে‌শি কথা বলা সম্ভব হয়‌নি। তবে তাকে টেনে নিয়ে পঞ্চমতলায় যাওয়ার সময় তি‌নি বলতে থাকেন, আমার কি এমন সমস্যা যে আমাকে এভাবে ঘোরাচ্ছেন। পু‌লিশ রিপোর্টেও তো সমস্যা নেই।

১২ বছর বয়সী মাইনুল ইসলাম শান্ত'র মা এসেছেন ছেলের পাসপোর্ট করাতে। বার্তা২৪.কমকে তিনি বলেন, আমার গ্রামের বা‌ড়ি খুলনা। আ‌মি ঢাকায় থা‌কি। ছেলে অসুস্থ। ডাক্তার দেখাতে নিয়ে যাব দেশের বা‌ইরে। সব কাগজ নিয়ে এসেছি, কাগজ জমা নিচ্ছে না। আমার ছেলের জন্ম‌ নিবন্ধন হয়েছে ২০১৪ সালে। এখন সে জন্ম নিবন্ধন দিয়ে পাসপোর্ট করতে পারবে না বলে বারবার অ‌ফিস থেকে বের করে দিচ্ছেন কর্মকর্তারা। তাদের কথা হচ্ছে ডি‌জিটাল জন্ম‌ নিবন্ধন লাগবে। এটা এখন আ‌মি কোথায় পা‌ব? ডি‌জিটাল জন্ম‌ নিবন্ধনে ১৭ ডি‌জিটের নম্বর থাকবে, শান্ত'র জন্ম নিবন্ধনেও ১৭ ডি‌জিটই আছে। এমন জন্ম নিবন্ধন দিয়ে আমার চেনা জানা অনেকে পাসপোর্ট ক‌রিয়েছেন। তাহলে আমার কি সমস্যা বুঝতে পার‌ছি না। তারা কি চায় প‌রিষ্কার করে বলেনও না। এভাবে শুধু শুধু চার পাঁচবার এসে‌ছি আর ঘুরে গে‌ছি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/19/1560941541750.jpg

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কর্মকর্তার সহকারী রফিক বার্তা২৪কমকে বলেন, আমরা কী করতে পা‌রি? আমরা আমাদের মত কাজ করে যাই। সময় লাগলে আমাদের কী করার আছে?

সাংবাদিক পরিচয়ে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চাইলে অফিসের ইন্সপেকশন কর্মকর্তা হূমায়ুন কবির রিফাত বার্তা২৪.কমকে বলেন, এসব আমাকে বলে লাভ নেই। এসব ডিজিটাল কাজ সেই ডিজিটাল ওয়ালারাই ভালো জানে। এসব ডিজিটাল ভোগান্তি। তবে পাসপোর্টের ব্যাপারে চিঠি ইস্যু করতে হবে বিষয়টি আমি দেখব।

এ সময় এক আবেদনকারী অ‌ভিযোগ করে বলেন, প্র‌তিবার রিফাত এভাবেই বলেন ভুক্তভোগীদের। তিন মাস আগেও তি‌নি বলে‌ছি‌লেন আমরা তুলনামূলক ভে‌রিফাই করবার জন্য চিঠি পা‌ঠিয়ে‌ছি। তবে আজও তি‌নি দেখবেন বলেই পা‌ঠিয়ে দিলেন।

সামগ্রিক বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে উপসহকারী প‌রিচালক হেলাল উ‌দ্দিন বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমরা চেষ্টা ক‌রি সময়মত চি‌ঠিগুলো পাঠানোর। কিন্তু এস‌বি (পু‌লিশ) অফিস থেকে রিপোর্ট আসতে অনেক সময় লা‌গিয়ে দেয়। পু‌লি‌শি রিপোর্ট সময়মত না আসলে আমাদের করার কিছুই থাকে না।

   

রানা প্লাজায় নিহতদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বলন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সাভারে রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি দিবসকে সামনে রেখে নিহতদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বলন করেছে নিহতদের পরিবার, আহত শ্রমিক এবং বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতা কর্মীরা।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধায় সাভারে ধ্বসে পড়া রানা প্লাজার সামনের শহীদ বেদিতে এ মোমবাতি প্রজ্বলন করা হয়।

রানা প্লাজা দুর্ঘটনার ১১ বছরেও ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে শ্রমিক নেতারা নিহত শ্রমিকদের স্মরণে পোশাক শিল্পে শোক দিবস ঘোষণা, রানা প্লাজার সামনে স্থায়ী স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণ, ক্ষতিগ্রস্থ শ্রমিকদের এক জীবনের ক্ষতিপূরণ, পুনর্বাসন এবং এ ঘটনায় দোষীদের দ্রুত শাস্তি দাবি করে প্রতিবাদ সমাবেশ করে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ গার্মেন্ট এন্ড ট্রেক্সটাইল গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সভাপতি মাহাবুবুর রহমান ইসমাইল, বাংলাদেশ গার্মেন্ট এন্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম সুজন, বাংলাদেশ গার্মেন্ট ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের আইন বিষয়ক সম্পাদক খাইরুল মামুন মিন্টু প্রমুখ।

 

;

আদাবরে স্ত্রীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার, স্বামী পলাতক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর আদাবরের একটি বাসা থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত ওই গৃহবধূর স্বামী পলাতক রয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টায় আদাবরের সুনিবিড় হাউজিং এলাকার ৪৩/বি বাসায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম- নাসিমা আক্তার (২৮)।

স্থানীয়রা জানান, নিহত নাসিমা আক্তার পেশায় একজন গৃহকর্মী। তিনি বিভিন্ন বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করতেন এবং তার স্বামী পেশায় একজন রিকশা চালক। নিহত নাসিমার সাথে বিভিন্ন সময় তার স্বামীর সঙ্গে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝগড়া হতো।

মঙ্গলবার দুপুরে তার বাসায় স্বামী-স্ত্রীর তুমুল ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে বিকেলের দিকে তাদের কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে স্ত্রীর রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পায়। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় আদাবর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুব আলম জানান, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ভুক্তভোগীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদনের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে যাই। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী পলাতক রয়েছে। তাকে আটকের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়াকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি।

;

ফেনীতে তীব্র খরতাপে দুর্ভোগে শ্রমজীবী মানুষ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,ফেনী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশের ন্যায় ফেনীতেও গত কয়েকদিন ধরে তীব্র গরম পড়ছে। গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ফেনীতে তাপমাত্রা ৩৩ থেকে ৩৯ ডিগ্রির মধ্যে উঠানামা করছে। তীব্র গরমে সাধারণ মানুষের তুলনায় সবেচেয়ে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বিভিন্ন পরিবহনের চালক, শ্রমিক, দিনমজুরসহ নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষের।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) শহরে বিভিন্ন স্থানে ঘুরে নানা শ্রেণি-পেশার শ্রমজীবী মানুষের সাথে কথা হলে তারা জানান, প্রচণ্ড গরমে কাজ করা যেমন মুশকিল হয়ে উঠেছে অন্যদিকে কমেছে আয়। রাস্তাঘাতে অতিরিক্ত গরমের কারণে মানুষের আনাগোনা নেই।

বশির মিয়া নোয়াখালী থেকে ফেনীতে এসে দীর্ঘদিন মুচি পেশায় নিয়োজিত। শহরের রাজাঝির দিঘির পাড়ে রোদের মধ্যে জুতা সেলাইয়ের কাজ করেন তিনি। তীব্র গরমে নাজেহাল অবস্থা তার। তিনি বলেন, গরমের মধ্যে রোদে বসে কাজ করা খুবই মুশকিল। এরমধ্যে গরমে মানুষের আনাগোনাও কম, ফলে আগের চাইতে আয় নেই বললেই চলে।

শহরের ট্রাংক রোড শহীদ মিনারের সামনে ফুটপাতে ব্যবসা করেন আব্দুল আজিজ। তীব্র গরমে বেচাবিক্রি নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, গামছা, মাস্ক, টুপি এসব বিক্রি করেই আমার সংসার চলে। গরমে নিজেই অস্বস্তিতে থাকি আর বেচাবিক্রির জন্য কাস্টমার নেই বললেই চলে। ফুটপাতের ব্যবসা যেহেতু মানুষের আনাগোনা প্রয়োজন, এখানে মানুষ আসলেও গরমে দাঁড়াতে চায় না। যার যার গন্তব্য চলে যায়।

শাহেদুল নামে এক রিকশাচালক বলেন, মানুষজন একবারে দরকারি কাজ ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না বিধায় রাস্তায় যাত্রীর সংখ্যা খুবই কম। যার কারণে আগে যা আয় হতো তা কমে গেছে অনেক। এভাবে চলতে থাকলে আগামীতে আরও নাজেহাল অবস্থা হবে বলে জানায় তিনি।

চিকিৎসকরা বলছেন, শিশু, বৃদ্ধ, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পাশাপাশি হিট স্ট্রোকের ঝুঁকিতে রয়েছে শ্রমজীবীরা। এটি প্রতিরোধ করতে চিকিৎসকরা পরামর্শ দিচ্ছেন, দিনের বেলা একটানা শারীরিক পরিশ্রম না করে বিরতি নিয়ে কাজ করতে। চিকিৎসকদের ভাষ্যমতে, তীব্র গরমে দীর্ঘসময় কাজ করার কারণে মাত্রাতিরিক্ত ঘেমে মানুষের শরীর থেকে প্রচুর পানি বের হয়ে যায়। এতে তাদের শরীরে পানির অভাব দেখা দেয়।

;

বিশ্বনাথে নারী কাউন্সিলরকে গাড়ি চাপা দিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটের বিশ্বনাথে পৌরসভার বরাদ্দের টাকা আত্মসাৎ নিয়ে মেয়র ও ৭ জন কাউন্সিলরের দ্বন্দ্বের পর মেয়র মুহিবুর রহমানের গাড়ি দিয়ে নারী কাউন্সিলরকে চাপা দিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে এমন অভিযোগ এনে মেয়র মুহিবুর রহমানকে প্রধান আসামি করে দুই কাউন্সিলর ফজর আলী ও বারাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন রাসনা বেগম।

মঙ্গলবার দুপুরে পৌরসভার দক্ষিণ মীরেরচর কমিউনিটি ক্লিনিকের সামনে ২ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর রাসনা বেগমকে মেয়র মুহিবুর রহমানের গাড়ি দিয়ে চাপা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় রাসনা বেগমকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎস্যা দেন স্থানীয়রা।

বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রমা প্রসাদ চক্রবর্তী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এছাড়া আরো ৭ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে এ ঘটনায়। অভিযুক্তরা হলেন- জানাইয়া গ্রামের আজেফর আলীর ছেলে জমির আলী (৪০), পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও পৌরসভার উদ্যোক্তা সুরমান আলী (৪০), শরিষপুর গ্রামের সোনাফর আলীর ছেলে আমির আলী (৪৫), দক্ষিণ মীরেরচর গ্রামের মৃত রুস্তম আলীর ছেলে মিতাব আলী (৪০), রামকৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত তবারক আলীর ছেলে আনোয়ার আলী (৪৪), রহমাননগর গ্রামের শমসের আলীর ছেলে ও মেয়রের গাড়ি চালক হেলাল মিয়া (৪৫) এবং জানাইয়া গ্রামের মৃত তুতা মিয়ার ছেলে আব্দুস শহিদ (৪৮)। এ ঘটনায় আরো ৪/৫ অজ্ঞাতপরিচয়কে আসামি করা হয়েছে।

অভিযোগে কাউন্সিলর রাসনা উল্লেখ করেন, সম্প্রতি মেয়র মুহিবুর রহমানের দুর্নীতি ও অপকর্মের বিরুদ্ধে পৌরসভার দুই প্যানেল মেয়রসহ ৭ জন কাউন্সিলর একত্রিত হয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে অনাস্থা প্রস্তাব দেন। এরই জের ধরে ৭ জন কাউন্সিলরদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন সময় মেয়র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খারাপ মন্তব্য করে আসছেন।

মঙ্গলবার ঘটনার সময় মেয়র ও কাউন্সিলর বারাম আলী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কাউন্সিলর ও নারী কাউন্সিলদের নিয়ে অশ্লীল মন্তব্য করেন। এতে বাধা দিলে মেয়র তার মাথার চুল ধরে টানাহেঁচড়া করে শ্লীলতাহানি ও মারধর করেন। এছাড়াও মেয়রের নির্দেশে গাড়ির চালক তার গাড়ি দিয়ে কাউন্সিলর রাসনা বেগমকে প্রাণে হত্যার চেষ্টা করেন।

এবিষয়ে জানতে চাইলে মেয়র মুহিবুর রহমানের সেলফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোনকল রিসিভ করেননি।

;