ঈদের আগে ঢাকা-ঈশ্বরদী-বেনাপোল রুটে আধুনিক ট্রেন
আধুনিক সুবিধা সম্বলিত নতুন ট্রেন আসছে কোরবানির ঈদের আগেই। নতুন এই ট্রেন ঢাকা-ঈশ্বরদী-বেনাপোল রুটে সরাসরি চলাচল করবে। প্রতিবন্ধী যাত্রীবান্ধব ট্রেনটিতে রয়েছে পরিবেশবান্ধব বায়ো টয়লেটের ব্যবস্থা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২৫ জুলাই নতুন এ ট্রেনের উদ্বোধনের দিন ধার্য করেছেন বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।
ঢাকা-ঈশ্বরদী-বেনাপোল রুটে উদ্বোধন হতে যাওয়া নতুন আন্তঃনগর ট্রেনটির নামকরণ এখনো হয়নি। নতুন এ ব্রডগেজ ট্রেন এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য মিটারগেজ ও ব্রডগেজ প্যাসেঞ্জার ক্যারেজ সংগ্রহ প্রকল্পের অধীনে ইন্দোনেশিয়া থেকে আনা হয়েছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের ক্যারেজ সংগ্রহ প্রকল্পের পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার হারুন-অর-রশিদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, বিরতিহীন আধুনিক এই ট্রেন পরিচালিত হলে ঢাকা-ঈশ্বরদী-বেনাপোল রুটে চলাচলকারী যাত্রী সাধারণের নিরাপদ আসা-যাওয়া সহজতর, দ্রুততর ও আরামদায়ক হবে। এছাড়াও বায়ো টয়লেট সম্বলিত কোচ দ্বারা এই ট্রেন চালুর মধ্য দিয়ে পরিবেশবান্ধব রেল ব্যবস্থায় বাংলাদেশ আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, ট্রেনটিতে প্রতিবন্ধী যাত্রীদের সুবিধার্থে হুইল চেয়ারসহ চালকের সুবিধার্থে থাকছে প্রশস্ত দরজা ও নির্ধারিত আসনের সুবিধা। প্রতিটি কোচ স্টেইনলেস স্টিলের তৈরি এবং আধুনিক যাত্রী সুবিধা সম্বলিত। প্রতিটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচে আধুনিক ও উন্নতমানের মাউন্টেড এয়ার কন্ডিশনার যাত্রী ইউনিট ও এয়ার কন্টেইনারের ব্যবস্থা থাকবে।
ইঞ্জিনিয়ার হারুন-অর-রশিদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, ঢাকা-ঈশ্বরদী-বেনাপোল রুটে নিয়ে আসা কোচের আরো কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য আছে। সেগুলো হলো—স্টেইনলেস স্টিলের বডি, জার্মানির তৈরি উচ্চগতি সম্পন্ন বগি ও আধুনিক অটোমেটিক এয়ার ব্রেক সিস্টেম, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এলইডি লাইট, অজুখানাসহ নামাজ ঘর, সুইং ডোরের পরিবর্তে নিরাপদ স্লাইডিং ডোর, যাত্রী সাধারণের জন্য আধুনিক ও মানসম্মত চেয়ার, স্টেয়ার, পার্সেল রেক, টিভি মনিটর, হ্যাঙ্গার, ওয়াইফাই রাউটার, মোবাইল চার্জিংয়ের ব্যবস্থা, অনাকাঙ্ক্ষিত ট্রেন থামানো রোধে বিশেষভাবে ডিজাইনকৃত এলাম চেইন পুলিং সিস্টেম, অত্যাধুনিক ডাইনিং সুবিধা ও সিবিসি কাপলার। এ রুটের জন্য নতুন আমদানিকৃত কোচগুলোর এমন ধরনের আধুনিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা রেলসেবাকে আধুনিক করবে।
প্রকল্প পরিচালক আরো বলেন, এই রুটের ট্রেনে কতটি বগি থাকতে পারে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি, তবে ১০ থেকে ১২টি বগি থাকতে পারে। বিরতিহীন হবে কি না বা কত যাত্রী পরিবহন করতে পারবে এবং ভাড়ার বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। চলতি মাসের মধ্যে আরও ২৬টি কোচ আসার কথা রয়েছে। যদি আসে তাহলে ঈদের আগেই ঢাকা-রংপুর রুটে আরও একটি মিটারগেজ ট্রেন চালু হতে পারে।
সম্প্রতি ঢাকা-পঞ্চগড় রুটে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস এবং ঢাকা-রাজশাহী রুটে বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেন চালু করা হয়।