স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের সা‌বেক ব্যবস্থাপ‌কের বিরু‌দ্ধে দুদ‌কের মামলা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সি‌লে‌টের বিশ্বনাথ থানার স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেডের এসএমই/কৃষি শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক হোসেন আহমেদসহ আরও চারজ‌নের বিরু‌দ্ধে মামলা ক‌রে‌ছে দুর্নীতি দমন ক‌মিশ‌ন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সি‌লে‌টের বিশ্বনাথ থানায় জেলা সমন্বিত দুদক অফিসের সাবেক উপসহকারী পরিচালক রণজিৎ কুমার কর্মকার বাদী হ‌য়ে এ মামলা দা‌য়ের ক‌রেন। মামলার বিষয়‌টি নি‌শ্চিত ক‌রে‌ছেন দুদ‌কের উপ প‌রিচালক ও জনসং‌যোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য।

মামলার অন্যান্য আসা‌মিরা হ‌লেন- স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেডের বিশ্বনাথ এসএমই /কৃষি শাখার সাবেক ক্যাশ ইনচার্জ সালাহউদ্দিন আহমেদ, সাবেক অফিসার রাকিব আহমেদ, রহমান ট্রেডিং কর্পোরেশনের মালিক মাহমুদুল কায়েস ও হবিগঞ্জের বাসিন্দা মোয়াজ্জেম হোসেন।

মামলার এজাহা‌রে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেডের বিশ্বনাথ এসএমই/কৃষি শাখার গ্রাহকদের তিনটি সঞ্চয়ী হিসাব হতে এক কোটি দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা উত্তোলন ক‌রে আত্মসাৎ ক‌রে‌ছে। ফ‌লে দুদ‌কের দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯ ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় চার্জশিট অনুমোদন দেয় দুদক।

অসামি‌দের বিরু‌দ্ধে অ‌ভি‌যো‌গ অনুসন্ধা‌নে দুদ‌কের তদন্তকারী কর্মকর্তা হি‌সে‌বে দায়িত্বে র‌য়ে‌ছেন সি‌লেটের সা‌জেকা সহকারী প‌রিচালক মোস্তফা বোরহান উদ্দিন আহম্মদ।

   

স্বস্তির ছুটির পর অস্বস্তির লোডশেডিংয়ে নাকাল চট্টগ্রামবাসী



রেদ্ওয়ান আহমদ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
স্বস্তির ছুটির পর অস্বস্তির লোডশেডিংয়ে নাকাল চট্টগ্রামবাসী

স্বস্তির ছুটির পর অস্বস্তির লোডশেডিংয়ে নাকাল চট্টগ্রামবাসী

  • Font increase
  • Font Decrease

‘রমজানে তীব্র লোডশেডিংয়ে নামাজ, ইফতার, বিশেষ করে সেহরি রান্নায় ভীষণ দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছিল। তবে ঈদের দিন এবং তার দুয়েকদিন পর পর্যন্ত সেভাবে লোডশেডিং হয়নি। কিন্তু গত দুইদিন ধরে তাপমাত্রা যেমন বেড়েছে, পাল্লা দিয়ে বেড়েছে লোডশেডিংও। একবার বিদ্যুৎ চলে গেলে সহজে আসছে না। দিনে কোনোরকম কাটানো গেলেও রাতে ভ্যাপসা গরমের সাথে যুক্ত হচ্ছে মশার উৎপাত। ফলে বিষণ্ন হয়ে উঠছে আমাদের জীবনযাত্রা।’

এভাবেই তীব্র লোডশেডিংয়ে গ্রামাঞ্চলের নেতিবাচক পরিস্থিতিতে নিজেদের বিপর্যস্ত দিনলিপির বিবরণ দিচ্ছিলেন চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার বাসিন্দা তানভীর সিকদার।

কেবল সাতকানিয়া নয় ঈদের ছুটি শেষ হতে না হতেই নগরসহ চট্টগ্রামের সকল উপজেলাতেই লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত গণমানুষ। অধিকাংশ এলাকায় দিনে আট থেকে দশবার বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ঘটনা ঘটছে। মধ্যরাতেও লোডশেডিং হওয়ায় প্রচণ্ড গরমে বাসিন্দারা রাতে ঘুমাতে পারছেন না। এ যেন চট্টগ্রামবাসীকে দেওয়া বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) ঈদ উপহার।

গত ৯ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারিভাবে ঈদ ও বাংলা নববর্ষের ছুটি থাকায় চট্টগ্রামে বিদ্যুতের লোডশেডিং ছিল না। মানুষ স্বস্তিতে ঈদ ও নববর্ষ উদযাপন করেছেন। কিন্তু গত ১৫ এপ্রিল অফিস–আদালত খোলার সাথে সাথেই লোডশেডিং শুরু হয়েছে আবার।

এদিকে বৈশাখের শুরুতেই চট্টগ্রামে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে। বৈশাখের কাঠফাটা রোদের ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে জনজীবন। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করছে মানুষ। রেহাই পাচ্ছে না প্রাণীকুলও। প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। তীব্র গরমের মাঝে প্রকৃতিতে বাতাসের মাত্রা কমে যাওয়ায় অস্বস্তি আরো বাড়ছে। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত গরমের সাথে পাল্লা দিয়ে চট্টগ্রামে দিনদিন লোডশেডিংয়ের মাত্রা আরো বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এ বিষয়ে চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার বাসিন্দা মনোয়ারা বলেন, ‘সারাদিনে পাঁচ ঘণ্টাও বিদ্যুৎ থাকে না। দিনে-রাতে কম করে দশ-বারোবার বিদ্যুৎ যায়। একবার গেলে এক থেকে দেড় ঘণ্টা পরে আসে।’

লোডশেডিং নিয়ে দুর্ভাবনায় আছেন বোয়ালখালী উপজেলার কধুরখীল গ্রামের সেচপাম্প মালিক মোহাম্মদ আশরাফ। তিনি বলেন, ‘১০ শতাংশ জমিতে সেচ দিতে বিদ্যুতের জন্য পাঁচ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। এর মধ্যে আবার তিন-চারবার বিদ্যুৎ চলে যায়। সামনের দিনগুলো কীভাবে কাটাবো তা নিয়ে টেনশনে আছি।’

পিডিবি চট্টগ্রাম দক্ষিণ অঞ্চলের (বিতরণ) তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রামে সবচেয়ে বেশি লোডশেডিং করা হচ্ছে নগরের বাকলিয়া ও কল্পলোক আবাসিক এলাকায়। এলাকাটি নগরের ঘনবসতিপূর্ণ জনপদগুলোর একটি। এর বাইরে পাথরঘাটা, স্টেডিয়াম, ষোলশহর, কালুরঘাট, বাকলিয়া, মাতারবাড়ি , আগ্রাবাদ, হালিশহর, পাহাড়তলী, খুলশী, রামপুর, নিউমুরিং বিদ্যুৎ সরবরাহকেন্দ্রগুলোতেও বেশ লোডশেডিং হচ্ছে।

শহরের বাইরে বিদ্যুৎ সরবরাহ ইউনিট- ফৌজদারহাট, হাটহাজারী, মোহরা, বাড়বকুণ্ড, সন্দ্বীপ, পটিয়া, সাতকানিয়া, দোহাজারীতে তিন-পাঁচ ঘণ্টা লোডশেডিং করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ।

এদিকে পিডিবি চট্টগ্রাম অঞ্চলের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন, চট্টগ্রামে ৯টি বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ রয়েছে। ৮টি কেন্দ্রে নামমাত্র উৎপাদন হচ্ছে ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। মাতারবাড়ি সহ হিসেব করলে চট্টগ্রামে চাহিদার বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। চট্টগ্রামে এখন গড়ে বিদ্যুতের চাহিদা সাড়ে ১৩শ’ থেকে প্রায় ১৫শ’ মেগাওয়াটের কাছাকাছি। গত ১৫ এপ্রিল অফিস খোলার দিন চট্টগ্রামে ১২০ মেগাওয়াটের মতো লোডশেডিং ছিল। এর আগে ১৪ এপ্রিল কোনো লোডশেডিং ছিল না।

অন্যদিকে বিদ্যুৎখাত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, চাহিদার চেয়ে গ্যাসের সরবরাহ কম। তাই গ্যাসভিত্তিক কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন কম হচ্ছে। এতে কিছুটা ঘাটতি তৈরি হচ্ছে। বিদ্যুৎ খাতে দিনে গ্যাসের চাহিদা ২৩২ কোটি ঘনফুট। এবার গ্রীষ্মে পিডিবি অন্তত ১৫০ কোটি ঘনফুট সরবরাহের দাবি জানিয়েছে। কিন্তু এখন সরবরাহ করা হচ্ছে এর অনেক কম। ফলে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতার অর্ধেকের বেশি বসিয়ে রাখতে হচ্ছে।

পিডিবি চট্টগ্রাম অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী অশোক কুমার চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রামে উৎপাদন ভালো হচ্ছে। গত পরশুদিনও বেলা ১২টা পর্যন্ত ১৭৫৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে। চাহিদা ছিল ১৩৭৫ মেগাওয়াট। কিন্তু জাতীয় গ্রিড থেকে দুপুরে পাওয়া গেছে ১২৯৮ মেগাওয়াট। দিনে লোডশেডিং ছিল ৭৭ মেগাওয়াটের মতো।

প্রকৌশলী অশোক কুমার চৌধুরী আরও বলেন, মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে মদুনাঘাট পর্যন্ত পিজিসিবি জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিডের সঞ্চালন লাইনের কাজ শেষ না হওয়ায় এই কেন্দ্রের বিদ্যুৎ মেঘনাঘাটে চলে যাচ্ছে। এই কেন্দ্রের বিদ্যুৎ এখনো আমরা রিসিভ করতে পারছি না। মাত্র ৩শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমরা রিসিভ করতে পারছি।

ভোক্তা-অধিকার সংগঠন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন বলেন, ‘সরকারি তথ্যের চেয়ে বাস্তবে আরও বেশি লোডশেডিং হচ্ছে। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎসেবা পাওয়া যাচ্ছে না, তবুও বাড়তি উৎপাদন সক্ষমতার মূল্য দিতে হচ্ছে সাধারণ জনগণকে।’

;

ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এক ব্যক্তিকে গলা কেটে হত্যা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মো. সুলতান (৫৫) নামে এক রোহিঙ্গা নাগরিককে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তবে পুলিশ তাৎক্ষণিক এ হত্যাকাণ্ডের কোনো কারণ জানাতে পারেনি।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ১১৬নং ক্লাস্টার থেকে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে। এর আগে, সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে ১১৬নং ক্লাস্টারে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

নিহত সুলতান ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৭৮নং ক্লাস্টারের মৃত মো.আব্দুল আলীর ছেলে।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেন ভাসানচর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নুর হোসেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সুলতান ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৭৮নং ক্লাস্টারে বসবাস করতেন। ১১৬নং ক্লাস্টারের খালি জায়গায় তিনি সবজি চাষ করতেন। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টার তার ছেলে ১১৬নং ক্লাস্টারে বাবাকে সকালের নাশতা দিয়ে যান। এরপর দুপুর সোয়া ১টার দিকে একই স্থানে তার ছেলে বাবার জন্য দুপুরের ভাত নিয়ে যান। ভাত নিয়ে গিয়ে বাবাকে দেখতে না পেয়ে তখন ছেলে তার বাবাকে ১১৬নং ক্লাস্টারে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি শুরু করেন। এক পর্যায়ে সে তার বাবার গলা কাটা লাশ পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার দিলে অন্য ক্লাস্টারের লোকজন এগিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।

এসআই নুর হোসেন আরও বলেন, পিছনের দিক থেকে গলা কেটে তাকে হত্যা করা হয়। শুক্রবার সকালে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। পুলিশ হত্যার রহস্য উদঘাটনে জোর চেষ্টা চালাচ্ছে।

;

চট্টগ্রামে পত্রিকা সম্পাদকের বাড়িতে ডাকাতি, নগদ টাকা-স্বর্ণালংকার লুট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায় একটি আঞ্চলিক পত্রিকার সম্পাদকের বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এসময় ডাকাত দল ওই বাড়ি থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ ২ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুটে করে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাতে উপজেলার মাদার্শা এলাকায় দৈনিক চট্টগ্রাম প্রতিদিনের সম্পাদক হোসাইন তৌফিক ইফতিখারের বাড়িতে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।

তৌফিক ইফতিখার জানান, আমি দুই দিন আগে বাড়ি থেকে শহরে চলে আসি। বাড়িতে শুধু কেয়ারটেকার ছিল। ঘটনার দিন রাত আড়াইটার দিকে বাড়ির সীমানা প্রাচীর টপকে জানালার গ্রিল কেটে ৬ জনের মুখোশধারী সশস্ত্র ডাকাত দল ঘরে প্রবেশ করে।

ডাকাতরা ঘরে প্রবেশের পর প্রথমে বাড়ির কেয়ারটেকারকে মারধরের পর হাত-পা বেঁধে ফেলে রাখে। এরপর ঘরের প্রত্যেকটি কক্ষের জিনিসপত্র তছনছ করে লুটপাট চালায়। এসময় ডাকাতরা নগদ ৪০ হাজার টাকা, ১ ভরি স্বর্ণ ও মূল্যবান জিনিসপত্রসহ ২ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুটে নেয়। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

সাতকানিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ প্রিটন সরকার জানান, ঘরে কেয়ারটেকার ছাড়া কেউ না থাকায় সংঘবদ্ধ চোরের দল জানালা কেটে ঘরে প্রবেশ করে ১ ভরি স্বর্ণ ও সামান্য কিছু নগদ টাকা নিয়ে গেছে বলে শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদেরকে চিহ্নিত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এছাড়া এ ঘটনায় অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

;

হুন্ডি ব্যবসায়ীদরে দৌরত্ম্য প্রতিরোধে সুপারিশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

 

হুন্ডি ব্যবসায়ীদরে দৌরত্ম্য প্রতিরোধে ও বৈধ পথে রেমিটেন্সে বাড়াতে সচেতনার পদক্ষেপ নিতে সুপারশি করেছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক র্কমসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

বৃহস্পতবিার (১৮ এপ্রলি) জাতীয় সংসদ ভবনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদে প্রথম বৈঠক এই সিদ্ধান্ত হয়।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করনে ইমরান আহমদ এমপি। কমিটির সদস্য আব্দুল মোতালবে, মহিউদ্দিন আহম্মেদ, মো. মাজহারুল ইসলাম, মো. সিরাজুল ইসলাম মোল্লা এবং শাম্মী আহমদে বৈঠকে অংশগ্রহণ করনে।

বৈঠকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়রে কার্যক্রম সর্ম্পকে উপস্থাপন ও বর্তমানে বিদেশে জনশক্তি প্রেরণের হার এবং রেমিটেন্সে প্রবাহ বিষয়ে প্রতিবেদনসহ বিস্তারিত আলোচনা হয়।

বৈঠকে বিদেশে কর্মরত জনবল বৃদ্ধির জন্য বায়ারসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনা চলমান রয়েছে বলে জানানো হয়। হুন্ডি ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য প্রতিরোধে করণীয় এবং বৈধপথে রেমিটেন্স প্ররেণে সচেতনতা বৃদ্ধির পদক্ষপে গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।

এছাড়া, বিদেশগামী জনবলকে সময়োপযোগী প্রশিক্ষণ প্রদান, লোন প্রাপ্তিতে সহায়তা এবং বিদেশে শ্রমিক মৃত্যুজনিত সমস্যা নিরসনে জন্য র্সবােচ্চ সুবিধা নিশ্চিত করারও সুপারশি করা হয়।

বৈঠকে বিদেশে জনশক্তি প্রেরণে নতুন নতুন শ্রমবাজার অভিবাসন সংক্রান্ত নীতিমালা অনুযায়ী বিশ্বের সকল শ্রম চাহদিা দেশে যুুক্তি সংগত অভিবাসন ব্যয়ে জনশক্তি উদ্যোগ গ্রহণের অনুরোধ করা হয়।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব, জনশক্তি র্কমসংস্থান ও প্রশিক্ষণ বুর‍্যে এর মহাপরিচালক, বিভিন্ন বিভাগ ও সংস্থা প্রধানসহ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

;