‘মশা মারতে না পারলে ঢাকা ছেড়ে চলে যান’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
ডেঙ্গু প্রতিরোধে জরুরি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ

ডেঙ্গু প্রতিরোধে জরুরি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা মহানগরকে মশামুক্ত করা দুই সিটি করপোরেশনের মেয়রের নির্বাহী দায়িত্ব। অথচ গোটা মহানগরী মশার রাজত্বে পরিণত হয়েছে। তবুও মশা নিধনের দিকে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণের মেয়রের দৃষ্টি নেই বলে অভিযোগ করেছেন বিক্ষোভ সমাবেশের বক্তারা।

‘ডেঙ্গু হলে পেপে খান’ কিংবা ‘ওষুধের চেয়ে মশা শক্তিশালী হয়েছে’—এমন বালখিল্য কথাবার্তা মিডিয়ার সামনে হাসিমুখে বলে চলেছেন মেয়ররা। এসব কথা বন্ধ করে অবিলম্বে মশা মারার কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে দুই মেয়রকে জনগণ ঢাকা ছাড়া করবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।

শুক্রবার (১২ জুলাই) সকালে রাজধানীর শাহবাগে ডেঙ্গু প্রতিরোধে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন। গৌরব ৭১ এ সমাবেশের আয়োজন করে।

সমাবেশে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ বলেন, ডেঙ্গুকে কেন্দ্র করে রাজধানীর প্রতিটা পরিবারে আজকে আতঙ্ক বিরাজ করছে। কখন কে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে যায় অথচ নগর ভবনের কর্তাব্যক্তিরা এখনো অত্যন্ত উদাসীন। তারা বাসা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে বলেন। আমার প্রশ্ন, আপনি কি নর্দমাটি পরিষ্কার করেছেন? আমরা শুনেছিলাম আপনারা গাপটি মাছ নর্দমায় ছেড়ে দেবেন যেগুলা নাকি মশার ডিম খেয়ে ফেলবে। তো সেই গাপটি মাছ নিয়ে কোন বক্তব্য দিচ্ছেন না কেন? গাপটি মাছ কোথায়? সেটি কি ছেড়েছেন না কাগজেই আছে?
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/12/1562914816518.jpg
তিনি বলেন, ডেঙ্গু যেন প্রতিরোধ করা হয় তার জন্য দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। কোন ধরনের ওষুধ ব্যবহার করছেন তা জনগণকে জানাতে হবে। আপনাদের দায়িত্বহীনতার জন্য মানুষ মারা যাবে সেটি নগরবাসী মেনে নেবে না।

ঢাকা শহর মশার রাজ্যে পরিণত হয়েছে দাবি করে সাংবাদিক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা বলেন, গণমাধ্যমে যখন ডেঙ্গুর প্রকোপ নিয়ে রিপোর্ট হতে থাকলো তখন আমরা দেখলাম দক্ষিণের মেয়র অস্বীকার করলেন। এই অস্বীকারের সংস্কৃতি আরো বেশি খারাপ।

তিনি বলেন, আপনারা তো অনেক ধরনের কাজ করেন অথচ যেখানে সচেতনতা দরকার সেখানে আমরা উদাসীনতা দেখতে পাচ্ছি। আমরা জনগণ আজ আপনাদের একটিমাত্র কাজ বেঁধে দিচ্ছি। মশা মারেন, আর মশা যদি না পারতে পারেন তাহলে ঢাকা ছেড়ে চলে যান।

ডেঙ্গু জ্বরে সন্তান হারানো সরকারি কর্মকর্তা গুলশাহানা উর্মি বলেন, মেয়রদ্বয় বলেন—জ্বর হলে দ্রুত ডাক্তারের কাছে নেন। আমি জ্বর হওয়ার ৩০ ঘণ্টার মধ্যে মেয়েকে ডাক্তারের কাছে নিয়েছি। ৩৮ ঘণ্টার মধ্যে ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। ৭৬ ঘণ্টা পর মেয়েকে আইসিইউতে নেই। চারদিন পর মেয়ে আমাকে ছেড়ে চিরতরে চলে যায়!

জ্বর হলেই কেন ডাক্তারের কাছে নিতে হবে। জ্বর যেন না হয় সে ব্যবস্থা আপনারা নেবেন না কেন? প্রশ্ন রাখেন গুলশাহানা উর্মি।

তিনি বলেন, ব্যক্তিগত সচেতনতার দায় দিয়ে নিজেদের দায় এড়ানোর সুযোগ নেই। মেয়র মহোদয় আপনাদের ঘরে বাচ্চা আছে, আপনাদের স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করুন তারা সহ্য করতে পারবেন কি না?

গৌরব ৭১ এর সাধারণ সম্পাদক এফ এম শাহীনের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন মানবাধিকার কর্মী পদ্মাবতী দেবী, ডা. শাহাদাৎ হোসেন নিপু, ইঞ্জিনিয়ার শাকিল আহমেদ, সাবেক ছাত্রনেতা বাপ্পাদিত্য বসু প্রমুখ।

   

সাভারে ভাঙ্গারীর গোডাউনে আগুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভারের ব্যাংক কলোনী এলাকায় একটি ভাঙ্গারীর গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট আধ ঘন্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সাভারের ব্যাংক কলোনী এলাকায় সাবেক সংসদ সদস্য দেওয়ান সালাউদ্দিন বাবুর বাড়ির সামনের কামালের ভাঙ্গারী গোডাউনে এই আগুন লাগার ঘটনা ঘটে।

ফায়ার সার্ভিস জানায়, সন্ধায় আগুনের খবর পেয়ে সাভার ফায়ার স্টেশনের ২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রনে কাজ শুরু করে। পরে ট্যানারী ফায়ার স্টেশনের আরও ২টি ইউনিট এসে যোগ দেয়। মোট ৪টি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে।

সাভার ফায়ার স্টেশনের ওয়ারহাউজ পরিদর্শক মেহেরুল ইসলাম বার্তা ২৪.কমকে বলেন, গোডাউনটিতে থাকা ভাঙ্গারীর মালামাল, প্লাস্টিক পন্য, কাগজপত্র ছিল যা পুড়ে গেছে। এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে কোনো হতাহত ঘটেনি। আগুন লাগার কারন ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমান পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে।

;

‘সরকারের অর্থ জনগণেরও অর্থ, কাউকে ফাঁকিবাজি করতে দেবেন না’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

অর্থপ্রতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য বেগম ওয়াসিকা আয়শা খান বলেছেন, সরকারের অর্থ আপনাদেরও (জনগণের) অর্থ, কাউকে ফাঁকিবাজি করতে দেবেন না।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় আনোয়ারা চাতরী চৌমুহনীর টানেল মুখ সড়কে ‘ঈদপুনর্মিলনী ও বর্ষবরণ উদযাপন পরিষদ’ কতৃক আয়োজিত আনোয়ারা আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীদের “ঈদ পুনর্মিলনী ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বেগম ওয়াসিকা আয়শা খান বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের শিখিয়েছেন উন্নয়নের রাজনীতি। দেশের বড় বড় উন্নয়নগুলো দেশের জনগণ হিসেবে আপনিও তদারকি করতে পারেন। প্রতিটি কাজ ঠিক ভাবে হচ্ছে কিনা সেটা আপনারা পাহারা দেবেন। ফাঁকিবাজি করতে দেবেন না। সরকারের অর্থ আপনাদেরও অর্থ। নিজেকে দুর্বল ভাববেন না। ভদ্রতাকে কেউ দুর্বলতা ভাববেন না। নিজেদের মধ্যে কোন্দল থাকলে দুষ্টুরা সুযোগ নেয়। সে সুযোগ দেবেন না।

তিনি আরও বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে বিদেশ থেকে দেশে ফিরেছিলেন। অনেক চড়াই উৎরাই ফেরিয়ে দলের হাল ধরেছিলেন। শেখ হাসিনা বলেছিলেন, তৃণমূল নেতাকর্মীরাই আওয়ামী লীগের প্রাণ। আমিও বলবো আপনারা তৃণমূল নেতাকর্মীরাই আওয়ামী লীগের প্রাণ। আমার পিতা কখনো দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাননি। আমিও পালাবো না। আমি ১০ বছর এমপি ছিলাম। আনোয়ারায় রাস্তা করলে রাস্তা কেটে দিতো। নামফলক ভেঙে দিতো। এতে মানুষের অনেক কষ্ট হতো।

অর্থপ্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা সকলে মিলে দেশকে এগিয়ে নেবো। আমার শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত আপনাদের সেবা করে যাবো। মঞ্চে বসা আপনাদের মাঝে আমি আমার প্রয়াত পিতাকে দেখতে পাচ্ছি। অনেকেই এখানে আছেন যারা আমার পিতার সহকর্মী ছিলেন।

দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবুল কালাম চৌধুরী’র সভাপতিত্বে ও সাবেক ছাত্রনেতা জিয়াউদ্দিন বাবলু’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি শাহজাদা মহিউদ্দিন, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডা. নাছির উদ্দিন মাহমুদ, আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি কাজী মোজাম্মেল হক, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইসলাম আহমেদ প্রমূখ।

;

‘ড্রিমলাইনারের ত্রুটির বিষয়ে বিমান বোয়িংয়ের সাথে যোগাযোগ রাখছে’



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ড্রিমলাইনার-৭৮৭ মডেলের উড়োজাহাজের বিষয়ে বোয়িংয়ের সাবেক প্রকৌশলীর পক্ষ থেকে উত্থাপিত কারিগরি ত্রুটির বিষয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বোয়িংয়ের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে বলে জানিয়েছেন বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শফিউল আজিম।

এ বিষয়ে দ্রুতই অধিকতর তথ্য জেনে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খানকে অবহিত করবেন বলে তিনি জানান।

যান্ত্রিক ত্রুটির আশঙ্কায় বোয়িংয়ের হুইসেল ব্লোয়ার স্যাম স্যালেপোর সব ৭৮৭ ড্রিমলাইনার গ্রাউন্ডেড করার কথা জানিয়েছেন। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, সব ড্রিমলাইনারের কার্যক্রম বন্ধ করে উড়োজাহাজগুলোতে কাঠামোতে থাকা ত্রুটি শনক্ত করা প্রয়োজন।

বিষয়টি জানার পর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে নির্দেশ দিয়েছেন বিমান মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান।

শনিবার (২০ এপ্রিল) বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শফিউল আজিমের সঙ্গে ফোনালাপে মন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন।

মন্ত্রী বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে থাকা ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজগুলো নতুন হওয়ায় আপাতত উত্থাপিত কারিগরি সমস্যা নিয়ে আমাদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তবে ভবিষ্যতের কথা ভেবে এবং যাত্রী নিরাপত্তা নিশ্চিত করার স্বার্থে কারিগরি বিষয়গুলো নিয়ে উড়োজাহাজ তৈরিকারী কোম্পানি বোয়িংয়ের সঙ্গে দ্রুত কথা বলে বিষয়টি পরিষ্কার হওয়া প্রয়োজন। কারণ বাংলাদেশ সরকার এবং বিমানের কাছে যাত্রীদের নিরাপত্তাই মুখ্য বিষয়।

;

ফকিরাপুল থেকে অজ্ঞাত মরদেহ উদ্ধার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর ফকিরাপুল থেকে অজ্ঞাত (৫৫) এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়।

শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে ফকিরাপুল ট্রাফিক সিগন্যাল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে মতিঝিল থানা পুলিশ।

মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু জাফর জানান, বিকেলে খবর পেয়ে ফকিরাপুল ট্রাফিক সিগন্যালের পাশের রাস্তা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। আগে থেকেই ওই অজ্ঞাত ব্যক্তির বাঁ পায়ের কিছু অংশ ছিল না। লাঠি দিয়ে ভর দিয়ে চলাফেরা করতেন।

তিনি জানান, রোগে আক্রান্তের পাশাপাশি প্রচণ্ড গরমের কারণেও মৃত্যু হতে পারে।

তিনি আরও জানান, ওই ব্যক্তি ভিক্ষুক প্রকৃতির। ফকিরাপুল এলাকাতে ভিক্ষাবৃত্তি করতেন এবং ওই এলাকায় থাকতেন।

;