যেভাবে রাষ্ট্রপতি হন এরশাদ  



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ

হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ

  • Font increase
  • Font Decrease

অভিনব কায়দায় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসীন হন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। কার্যত এক রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতিকে সরিয়ে নিজে ক্ষমতা দখল করেন। 

সেই দিনটি ছিলো ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ। সামরিক শাসকের প্রধান পদে অধিষ্ঠিত হন। তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আবদুস সাত্তারকে সরিয়ে বিচারপতি আবুল ফজল মোহাম্মদ আহ্‌সান উদ্দীন চৌধুরীকে রাষ্ট্রপতি পদে বসাতে সব কলকাঠি নেড়েছিলেন। নিজের বসানো আবুল ফজল মোহাম্মদ আহ্‌সান উদ্দীন চৌধুরীকে ১৯৮৩ সালের ১১ ডিসেম্বর ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিয়ে নিজেই রাষ্ট্রপতি হন।

তার ক্ষমতাগ্রহণ নিয়ে দুই ধরণের বক্তব্য রয়েছে। বিএনপি দাবী করে বন্দুকের নলের মুখে রাষ্ট্রপতি আবদুস সাত্তারকে হটিয়ে ক্ষমতা গ্রহণ করেন। আর এরশাদ দাবী করতেন, প্রেসিডেন্ট আবদুস সাত্তারের অনুরোধক্রমে ক্ষমতা গ্রহণ করেন। রাষ্ট্রপতি দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে তাকে ডেকে ক্ষমতা দিয়েছিলেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/14/1563087666703.jpg

সামরিক শাসক থাকা অবস্থায় ১৯৮৪ সালে নির্বাচন দেন। তখন রাজনৈতিক দলগুলো সেই নির্বাচন বর্জন করলে স্থগিত হয়ে যায় নির্বাচন। তখন নিজের ক্ষমতা পোক্ত করার জন্য নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের উদ্যোগ নেন। ১৯৮৫ সালের ১৬ আগস্ট জনদল, ইউপিপি, গণতান্ত্রিক পার্টি, বিএনপি (শাহ) মুসলিম লীগ (সা) মিলে জাতীয় ফ্রন্ট গঠন করেন। জাতীয় ফ্রন্ট গঠনের ৪ মাস ১৪ দিনের মাথায় ১৯৮৬ সালের ১ জানুয়ারি ফ্রন্ট বিলুপ্ত করে জাতীয় পার্টি গঠন করেন।

সামরিক উর্দি থেকে বেরিয়ে আসতে অনেকটা একতরফা ও ভোট জালিয়াতির মাধ্যমে ১৯৮৬ সালের ২৩ অক্টোবর ফের রাষ্ট্রপতি পদে আসীন হন। গণতন্ত্রের লেবাস পরলেও বেশি গদি রক্ষা হয় নি। ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর গণআন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।

প্রায় ৯ বছর ক্ষমতাসীন থাকা কালে সকাল বিকেল মন্ত্রিসভার রদবদল নিয়ে বেশ হাসির খোরাক জুগিয়েছিলেন। আবার ললনাদের আনাগোনাতেও হয়েছিলেন বেশ বিতর্কিত। তবে বেশ কিছু ভালো উদ্যোগ নিয়েছিলেন সে সময়ে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/14/1563087680666.jpg

রাজধানী ঢাকাকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ ছিলো চোখে পড়ার মতো। বিজয় সরণি, রোকেয়া সরণি, পান্থপথসহ ২২টি প্রধান সড়ক নির্মাণ, ঢাকা শহর রক্ষা বাঁধ, জাতীয় স্মৃতিসৌধের কাজ সমাপ্ত করা, সারাদেশে অসংখ্য বেইলী ব্রীজ স্থাপন করে যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রভূত উন্নয়ন সাধন করেন।

প্রশাসনকে বিকেন্দ্রীকরণ করার ক্ষেত্রেও নিয়েছিলেন বেশ কিছু ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত। দেশের ১৯ জেলাকে ভেঙে ৬৪ জেলায় রূপান্তর, একই দিনে ৪৬৪ থানাকে উপজেলায় রূপান্তর ব্যবস্থা চালু ও হাইকোর্ট বিভাগের বেঞ্চ ঢাকার বাইরে নিয়েছিলেন। যদিও আন্দোলনের মুখে হাইকোর্টের বেঞ্চ প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন। উপজেলায় উপজেলায় কোর্ট স্থাপন করেছিলেন।

ওষুধ নীতি, ভূমি আইন সংস্কার, জাতিসংঘের শান্তি মিশনে সৈন্য প্রেরণ ছিলো যুগান্তকারি পরিবর্তন। যদিও তার বিদায়ের পর সাময়িক সময়ের জন্য উপজেলা পরিষদ বাতিল করা হয়। পরে আবার চালু করে আওয়ামী লীগ।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/14/1563087698123.jpg

আন্দোলনের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হলে, রাডার ক্রয়, জনতা টাওয়ার, মেজর মঞ্জুর হত্যা,বিটিভির যন্ত্রপাতি ক্রয়সহ বেশ কিছু মামলা দায়ের হয়। পদত্যাগের পরপরেই আটক হয়ে কারাগারে চলে যায়। টানা ৬ বছর কারাগারে ছিলেন।

১৯৯০ সালে জেলে থেকেও রংপুরের ৫ টি আসনে জয়ী হন। এরপর প্রতিটি নির্বাচনেই সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ২০০৮ সালে প্রথম ঢাকার একটি আসন থেকে নির্বাচিত হন।

২০১৪ সালে অনেক নাটকীয়তার মধ্যদিয়ে রংপুর থেকে নির্বাচিত হয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূতের (মন্ত্রী মর‌্যাদায়) দায়িত্ব পালন করেন। চলতি সংসদে রংপুর -৩ (সদর) আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তার প্রতিষ্ঠিত জাতীয় পার্টি টানা দু’টি সংসদে বিরোধীদলের আসন অলংকৃত করছে। যদিও অনেকে একে গৃহপালিত বিরোধীদল বলে উল্লেখ করে থাকেন।

   

রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে আটক ৩৭



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে ৩৭ জনকে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ। মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে তাদের আটক করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ছয়টা থেকে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ছয়টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য উদ্ধারসহ তাদেরকে আটক করা হয়।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ৫০৮ পিস ইয়াবা, ৮৬ কেজি ৭৯৩ গ্রাম ৮০ পুরিয়া গাঁজা, ৭৪ গ্রাম ৫১ পুরিয়া হেরোইন, ৮২ বোতল ফেনসিডিল ও ৪০০টি ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়েছে বলে জা‌নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ।

ডিএমপির নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে এ অভিযান প‌রিচালনা করা হয়েছে বলে জানানো হয়। সেই সঙ্গে আটককৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ২৬টি মামলা রুজু হয়েছে বলেও জানানো হয়।

;

বায়ুদূষণের শীর্ষে দিল্লি, ঢাকার অবস্থান কত?



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় বায়ুদূষণের শীর্ষে দিল্লি। এদিকে ষোলতম অবস্থানে রয়েছে ঢাকা।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বেলা ৯টা ৫৫ মিনিটের দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী ঢাকার অবস্থান ১৬।

বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ৩৪৪ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে ভারতের দিল্লি শহর। এছাড়া ১৮১ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে মিসরের কায়রো সিটি, ১৭৮ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে নেপালের কাঠমান্ডু। ১৬০ স্কোর নিয়ে দূষিত শহরের তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার শহর মিদান। এছাড়া চীনের বেইজিং ১৫৯ স্কোর নিয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।

আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১৩৫ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ষোলতম অবস্থানে রয়েছে মেগাসিটি ঢাকা।

২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

;

বার্তা২৪.কম-কে ড. এম. মুশতাক হোসেন

‘তাপদাহে সাধারণের জন্য উপদেশ নয়, প্রয়োজন সহায়তা’



আশরাফুল ইসলাম, পরিকল্পনা সম্পাদক বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশজুড়ে চলমান তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠে গেছে। এ অবস্থায় সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের জন্য শুধুমাত্র উপদেশ নয়, প্রয়োজন সহায়তা কর্মসূচি নিয়ে এগিয়ে আসা। বলেছেন বিশিষ্ট জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা ও সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুশতাক হোসেন।

বুধবার বার্তা২৪.কম-কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি। চলমান তাপদাহে শ্রমজীবী মানুষের অসহায়ত্বের সঙ্গে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের মতো সেবাদানকারী সরকারি কর্মচারীদের জন্য স্ব-স্ব কর্তৃপক্ষের কর্তব্যের কথা তুলে ধরে ড. মুশতাক হোসেন বলেন, ‘সাধারণ মানুষের তো কষ্ট হচ্ছেই। তারা বাইরে আসতে বাধ্য হচ্ছেন। খোলা আকাশের নীচে তাদের কাজ করতে হচ্ছে। তাদের জন্য উপদেশের পরিবর্তে করণীয় হচ্ছে, কর্তৃপক্ষ ও কমিউনিটি-যাঁরা সরকারের হয়ে কাজ করছেন তাদের জন্য পানি, ছায়া ও প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। আর যাঁরা বেসরকারি মালিকের অধীনে কাজ করছেন, মালিককেই তা এনশিওর করতে হবে।’

‘মালিক যদি একা না পারেন তবে কয়েকজন মালিক মিলে সরকারের সহযোগিতা নিয়ে ছায়া ও নিরাপদ পানির ব্যবস্থা করতে হবে। খাবারের ব্যবস্থাও করতে হবে, কেননা দাবদাহে তো শুধু পানিশূন্য হয় না পুষ্টিঘাটতিও তৈরি হয়। ভারী খাবার না হোক, চিড়া-বিস্কুট, স্যালাইন পানি ইত্যাদির আয়োজন কর্তৃপক্ষকেই করতে হবে। মনে রাখতে হবে যাদের সক্ষমতা আছে, উপদেশে তাদের কাজ হবে, তারা তো চাইলে ঘরেও থাকতে পারছে, কিন্তু শ্রমজীবী মানুষ বা যাদের কাজ না করলে ভাত জুটবে না তাদের জন্য সহায়তামূলক কার্যক্রম হাতে নিতে হবে। এসব বাদ দিয়ে শুধু উপদেশ দিলে কাজ হবে না,’ বলেন ড. হোসেন।

দাবদাহে খোদ ঢাকাতেই মানুষের মৃত্যুকে ‘খুবই দুঃখজনক’ আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, ‘এত প্রচারণার পরেও তাদের ঘরে বসে থাকলে চলছে না। সুতরাং সাধারণ শ্রমজীবী মানুষদের সহায়তায় সমাজের সক্ষমদের এগিয়ে আসতে হবে। পুলিশ বক্সগুলোকে সহায়তা কার্যক্রমের কেন্দ্র করা যেতে পারে। ট্রাফিক পুলিশ যারা দায়িত্ব পালন করছেন তাদের কথাও ভাবতে হবে।’

রাজধানী ঢাকার দূষণ ও বায়ু নিম্নমানের প্রসঙ্গ টেনে জনস্বাস্থ্যের জন্য সৃষ্ট সংকটে করণীয় বিষয়ে ড.  মুশতাক হোসেন বলেন, ‘সকালে রাস্তার পাশের মাটিতে ও গাছে পানি দিতে হবে, যাতে তারা পানি শুষে নিয়ে অক্সিজেনটা দিতে পারে। পানিটা দিতে হবে যখন রোদ থাকে না তখন, অন্য সময় দিলে তো তা বাষ্প হয়ে যাবে।’

চলমান এই তাপপ্রবাহ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রত্যক্ষ প্রভাব তাতে কোন সন্দেহ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটা তো বৈজ্ঞানিক তথ্য। এবারের এই তাপপ্রবাহ পরিবর্তিত জলবায়ুর অভিঘাতের ভয়াবহতাকেই স্পষ্ট করে তুলেছে।’  

চলমান তাপদাহের ফলে কি ধরণের রোগবালাই বাড়তে পারে, বা রোগতত্ত্ব বিভাগে সাম্প্রতিকতম মূল্যায়ন কি? -এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এই তাপপ্রবাহে শ্বাসতন্ত্রের বিভিন্ন রোগ, পানিবাহিত রোগ বৃদ্ধি পাবে। সেইসঙ্গে নানা পুরনো জটিল রোগে যাঁরা আক্রান্ত তাদেরও ঝুঁকি বাড়বে। শিশু ও বয়স্কদের অবস্থা আরও খারাপ হবে। এসব অজানা বিষয় নয়, সবই জানা বিষয়।’

কোভিড বা অন্য সংক্রামক রোগব্যাধির প্রকোপ বাড়ার সম্ভাবনা নেই জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘কোভিডের সঙ্গে আবহাওয়া পরিবর্তনের কোন সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া যায়নি। তারচেয়েও বড় সমস্যা হবে শ্বাসতন্ত্র ও পানিবাহিত রোগ নিয়ে। ত্বক সংক্রান্ত সমস্যাও বাড়বে। হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়ছে।’         

জলবায়ু তহবিল ব্যয়ে জনস্বাস্থ্য কতটা গুরুত্ব পাচ্ছে-এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এখানে তো সরকারের রাজনৈতিক অগ্রাধিকার ও অঙ্গীকার থাকতে হবে। কারণ জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতের শিকার তো সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে নারী ও বয়স্কদের ওপর বেশি পড়ে। তাদের সহায়তা করতে হবে। যেমন ধরুন তাপপ্রবাহ নিয়ে করণীয় প্রচার করাই যথেষ্ট নয়। উপকূলে লবনাক্ততা প্রকট। আমরা দেখি সহযোগিতা জায়গা মত পৌছায় না। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো এ বিষয়ে বেশি ভূমিকা রাখতে পারে। তাপদাহ-সহ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রত্যক্ষ প্রভাব মোকাবেলায় সরাসরি কবলিত মানুষদের জন্য যদি স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো তথা কমিউনিটিকে আমরা এনগেজ করতে পারি-তাতে দ্রুত সুফল আসবে।’

সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্পগুলোতে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপি) এর ভিত্তিতে অনেক কর্মসূচি থাকলেও জনস্বাস্থের জন্য তা কেন নয়?-এ নিয়েও কথা বলেন এই বিশেষজ্ঞ। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক অগ্রাধিকার ও অঙ্গীকারের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে ড. মুশতাক হোসেন বলেন, ‘বিদেশিদের মুখাপেক্ষী হয়ে এটা করা যাবে না। আমরা যদি শিক্ষা ও স্বাস্থের মত খাতে বেশি টাকা খরচ করি তবে ততো রিটার্ন আসবে। যদিও সরকার তো নাগরিকদের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে সেভাবে ওন করে না। যদি করতো তবে তারা চিন্তা করতেন তাহলে ভাবতেন শহরটাকে ক্লিন রাখা যায়, এতে ওষুধের খরচ বেঁচে যেত।’

‘উন্নয়ন অগ্রাধিকার নেওয়ার পূর্বে চিন্তা করা উচিত, কিছু অর্থ খরচ করে যদি শহরের বাতাসটা পরিষ্কার রাখা যায়, পানি ও মাটিটা নিরাপদ রাখা যায়-তবে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারের ওষুধ কিনতে হবে না। যেহেতু আমরা সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবারসব্যবস্থা এখনও করতে পারিনি। বাংলাদেশের মানুষ আজ চিকিৎসার জন্য ভিটেমাটি বিক্রি করে উদ্বাস্তু হয়ে যাচ্ছে। সামিগ্রক বিবেচনায় এটিও সম্পর্কিত। সুতরাং পলিটিক্যাল কমিটমেন্টটা আসতে হবে। নাগরিকদের পকেট থেকে টাকাটা গেলেও তা জাতীয়ভাবেলঅপচয়ই হচ্ছে। যদি রোগ প্রতিরোধের জন্য কাজগুলো করা যেত তবে অনেকগুন উৎপাদনশীলতা বাড়তো। নাগরিকদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা গেলে তারা জাতীয় আয়ে আরও বেশি অবদান রাখতে পারতো,’ বলেন ড. হোসেন।

সম্পাদনা: মাহমুদ মেনন, এডিটর-অ্যাট্-লার্জ, বার্তা২৪.কম

;

মেহেরপুরে কমছে না তাপমাত্রা, বাড়ছে রোদের তেজ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মেহেরপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মেহেরপুর জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ। যার প্রভাবে অতিষ্ঠ এই জনপদের জনজীবন। বিরূপ প্রভাব পড়েছে শ্রমজীবী মানুষের আয় রোজগারে।

সকাল থেকে শুরু হচ্ছে রোদের তেজ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোদ আর গরমের তীব্রতা বেড়ে যাচ্ছে। গরম সহ্য করতে না পেরে গাছের ছায়ায় বসে শীতল হওয়ার চেষ্টা করছেন ভ্যান ও ইজিবাইক চালকরা। আবার গরমের ক্লান্তি নিয়ে ইজিবাইকেই ঘুমিয়ে পড়ছেন কেউ কেউ। দিনের সর্বোচ্চ সময়টুকু ইজিবাইক চালাতে না পারায় আয় রোজগার কমে যাচ্ছে এসব খেটে খাওয়া মানুষের।

এদিকে তীব্র তাপদাহ উপেক্ষা করে ঘর থেকে বেরও হলেও স্বস্তি নেই কর্মজীবী মানুষের। চলার পথে ছায়ায় বসে বিশ্রাম নেওয়া আর শরবত পান করে শীতল হওয়ার চেষ্টা করছেন তারা।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালের সূর্যের তেজই বলে দেয় গরম আর রোদের তীব্রতা কমেনি। বুধবার সন্ধ্যা ছয়টায় দিনের সর্বোচ্চ ৪১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস।

;