মশককর্মীদের মনিটরিংয়ের দায়িত্ব নাগরিকদেরও: মেয়র আতিক
সুনাগরিকের দায়িত্ব পালনের আহবান জানিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, সিটি করপোরেশনের ওয়েব সাইটে কোন মশককর্মী কবে কোন এলাকায় যাবে, তার বিস্তারিত দেওয়া আছে। তার নাম, ফোন নম্বর দেওয়া হয়েছে। তারা গেল কি-না, ওষুধ ছিটালো কি-না এটা, এসব মনিটরিং করার দায়িত্ব আপনাদের।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় ঢাকা আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারের আয়োজনে আষাঢ়ী পূর্ণিমা-২০১৯ ও বৃক্ষরোপণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মেয়র জানান, মশক কর্মীদের বলেছি- তারা ওষুধ ছিটিয়ে স্থানীয় নির্দিষ্ট সাত জনের মধ্যে চারজনের স্বাক্ষর না আনলে বেতন দেব না। এসব স্বাক্ষর হতে পারে স্কুল শিক্ষক, স্থানীয় প্রতিনিধি, সাংবাদিক, মসজিদের ইমাম। বৌদ্ধরাও স্বাক্ষর দিতে পারে। আমি নগরপিতা হতে চাই না, আমি সেবক হতে চাই।
তিনি বলেন, আমরা ফুট ওভারব্রিজ ব্যবহার করি না, ফুটপাথ ব্যবহার করি না। আমাদের আইন মানতে হবে। অনেক উন্নয়ন হবে, কিন্তু আমাদের ধৈর্য্য ধরতে হবে।
‘আমি কালশি খাল পরিষ্কার করতে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে ৩৬টি জাজিম পেয়েছি, সেখানে টিভি ফ্রিজের ভাঙা অংশ পেয়েছি, সেখানে পরিত্যাক্ত সোফা পেয়েছি, প্রায় ৮০ট্রাক ডাবের খোসা বের করেছি। তাহলে পানি নিষ্কাশন হবে কী করে?’
বৌদ্ধদের উদ্দেশে আতিকুল ইসলাম বলেন, ৫০০ বছরের ইতিহাস বৌদ্ধদেরই। দেশের বড় বিহারগুলো দেখলে তা বোঝা যায়। বৌদ্ধদের থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার জন্য ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’, এটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্লোগান। আমরা তা বাস্তবায়ন করব। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি ছিল বৌদ্ধরাও। আজকে দেশটি এগিয়ে যাচ্ছে। জাতির জনকের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এটা অনেক কষ্টের কাজ, যা প্রধানমন্ত্রী করে যাচ্ছেন।
ঢাকা আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ ধর্মমিত্র মহাথের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, প্রধানমন্ত্রীর অ্যাসাইনমেন্ট অফিসার নুরুন নবী, বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ভিক্ষু সুনন্দপ্রিয়, ২১নং ওয়ার্ডের কমিশনার মাসুম গনি তাপস, ৩৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।