‘সকালে উচ্ছেদ করলে বিকেলে আবার বসে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন ডিএসসিসি মেয়র সাঈদ খোকন

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন ডিএসসিসি মেয়র সাঈদ খোকন

  • Font increase
  • Font Decrease

অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ প্রসঙ্গে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন বলেছেন, সকালে অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ করা হলে বিকেলে তা আবার বসে যায়।
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/20/1566286197192.jpg

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিশ্ব মশক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত পরিছন্নতা কার্যক্রম তদারকি করতে এসে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন সাঈদ খোকন।

ডিএসসিসি মেয়রের পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচিকে সামনে রেখে মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে ঢামেক হাসপাতাল এলাকার আশপাশের ৫০০ অবৈধ দোকান তড়িঘড়ি করে উচ্ছেদ করা হয়।

এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সাঈদ খোকন বলেন, ঢামেক হাসপাতালের আশেপাশে ও ফুটপাতে যে সব দোকানপাট রয়েছে সেগুলো আমি কতবার উচ্ছেদ করেছি তা আমি নিজেও বলতে পারব না। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে উচ্ছেদের কয়েক ঘণ্টা পর অর্থাৎ সকালে আমরা উচ্ছেদ করে গেলে বিকেলে আবার দোকানপাট বসছে। কয়েক ঘণ্টা আমরা ধরে রাখতে পারি, এর বেশি পারি না।
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/20/1566286228787.jpg

তিনি বলেন, উচ্ছেদ অভিযানের জন্য কমপক্ষে ১৫-২০ দিনে আগে পুলিশ রিকুইজিশনের জন্য আবেদন করতে হয়। কারণ, পুলিশ নানা কাজে ব্যস্ত থাকে। সব আয়োজন শেষে আমরা যখন পুলিশ পাই তখনই অভিযান পরিচালনা করি। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় এই এত আয়োজনের মধ্য দিয়ে যখন আমরা উচ্ছেদ করি, আবার এর কয়েক ঘণ্টা পরেই দোকানপাট ফিরে আসে।

ঢাকা দক্ষিণের মেয়র আরও বলেন, যদি স্থানীয় প্রশাসন অথবা স্থানীয় পুলিশ এ বিষয়ে তদারকি করতো তাহলে হয়তো এমন হতো না। সিটি করপোরেশনের যদি নিজেস্ব পুলিশ থাকতো তাহলে এ বিষয়গুলো সার্বক্ষণিক নজরদারি করা যেত।

   

বাংলাদেশ সফরে আসছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এই প্রথম তিন দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি কার্যালয়ের (ইউএসটিআর) দক্ষিণ-মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী ব্রেন্ডান লিঞ্চ। আগামী ২১ এপ্রিল বাংলাদেশে আসবেন তিনি। সঙ্গে থাকবেন প্রতিনিধি দলের অন্যান্য সদস্য।

কুটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, প্রতিনিধিদলের এ সফরে বাণিজ্য সম্প্রসারণ ছাড়াও শ্রম আইন সংস্কার, তথ্য আইনের সুরক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয়ের জটিলতা দূর করতে দুই পক্ষ আলোচনা করবে বলে জানা গেছে। বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ।

এতে ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে শ্রম সংস্কার, মেধাস্বত্ব ও তথ্য সুরক্ষা আইনের ওপর জোর দেওয়া হবে বলে পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলটি ঢাকা এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা ফোরাম চুক্তি (টিকফা) সংক্রান্ত পরিষদের ইন্টারসেশনাল বৈঠক করবে বলেও জানা গেছে।

;

নোয়াখালীতে মেলা নিয়ে বিরোধে মাদরাসা ছাত্রকে হত্যা, আহত ৬



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,নোয়াখালী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর সেনবাগের সেবারহাট বাজারে বৈশাখী মেলার চাঁদার নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে মাজহারুল ইসলাম শাওন নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রকে ছুরিকাঘাতে হত্যার করা হয়েছে। বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে বাজারের সাইন্স ক্লাবের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় পিয়াস নামের অপর একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও উভয়পক্ষের আরও ছয়জন আহত হয়েছেন।

বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, বৃহস্পতিবার সেবারহাট বাজারে একদিনের বৈশাখী মেলার আয়োজন করার কথা ছিল। প্রশাসনের অনুমতি না নিয়ে বাজারের ইজারাদার মাহফুজ, জোবায়ের ও সাইদুল হক মেম্বার এ মেলার আয়োজন করেন। বুধবার রাতে মেলার প্রাঙ্গণে ১৫-২০টি স্টল চালু হলে সেখানে চাঁদাবাজির নিয়ন্ত্রণ নিতে দুপক্ষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে এক পক্ষ অপর পক্ষের ওপর হামলা চালায়।

জসিম কন্ট্রাক্টরের ছেলে হৃদয়ের নেতৃত্বে কিশোর গ্যাং'র সদস্যরা হামলা চালিয়ে শাওন ও পিয়াসকে ছুরিকাঘাত করে মারাত্মক জখম করে। তাদের দুজনকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যার ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক শাওনকে মৃত ঘোষণা করেন এবং পিয়াসকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠায়।

নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বেগমগঞ্জ সার্কেল) মো. নাজমুল হাসান রাজীব বলেন, ঘটনার পরই অবৈধ মেলা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অনুমোদন ছাড়া কীভাবে মেলা বসানো হলো তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। 

;

‘বিএনপির শাসনামলে দেশে খাদ্য ঘাটতি ছিল, এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

বর্তমান সরকারের আমলে খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে দেশ। আর বিএনপির সময় খাদ্য ঘাটতি ছিল বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

তিনি বলেন, নিজেদের আমিষ, নিজেরাই উৎপাদন করবো। খাদ্য নিরাপত্তার পাশাপাশি পুষ্টির নিরাপত্তাও নিশ্চিত করবে সরকার। 

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ১০টায় শেরে বাংলা নগরে পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখা হাসিনা এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে আমি যখন সরকার গঠন করলাম, তখন দেখলাম ৪০ লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্য ঘাটতি। এই অবস্থায় আমরা যাত্রা শুরু করেছি। তখন রিজার্ভ মানিও তেমন ছিল না। এশিয়াতে তখন খাদ্য মন্দা। আমাদের লক্ষ্য ছিল, আমরা কারো কাছে হাত পেতে চলব না। নিজের ফসল নিজে উৎপাদন করব।

বিএনপির সময় দেশে খাদ্য ঘাটতি ছিল উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, বিএনপির সময় আমাদের খাদ্যের জন্য অন্য দেশের উপর নির্ভরশীল থাকতে হতো। তাদের চিন্তাধারা ছিল দেশকে পরনির্ভরশীল করা। কিন্তু আমরা ক্ষমতায় আসার পর সেই অবস্থা থেকে ফিরে এসেছি। এখন বাংলাদেশ খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ।

;

১৩ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
১৩ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার

১৩ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার

  • Font increase
  • Font Decrease

 

মাদক মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মো.হাসানুজ্জামান ওরফে হাছান (৪২) কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) র‌্যাব-২ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি শিহাব করিম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। গতকাল বুধবার রাতে র‌্যাব-২ ও র‌্যাব-৬ রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা এলাকায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করে।

শিহাব করিম বলেন, জানা যায়, মো. হাসানুজ্জামান বিগত ২০১১ সালে ৯৫০ বোতল ফেনসিডিল সহ মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের হাতে গ্রেফতার হয়। পরবর্তীতে আসামির বিরুদ্ধে ঢাকার গুলশান মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা রুজু হয়। মামলায় গ্রেফতারকৃত আসামি ১৭ মাস জেল হাজতে কারাবাস পর বিজ্ঞ আদালত হতে জামিনে মুক্তি লাভ করে নিয়মিত আদালতে হাজিরা না দিয়ে পলাতক হয়।

তিনি বলেন, অন্যদিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলাটি তদন্ত শেষে আসামির বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরবর্তীতে আসামি মোঃ হাসানুজ্জামান পলাতক থাকা অবস্থায় বিজ্ঞ আদালত বিচারিক কার্যক্রম শেষে আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করে গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যু করেন।

গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যু হওয়ার পর থেকে আসামিকে গ্রেফতার সংক্রান্তে গুলশান থানার অফিসার ইনচার্জ এর অধিযাচন পত্রের প্রেক্ষিতে র‌্যাব আসামিকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব-২ ও র‌্যাব-৬ এর একটি যৌথ আভিযানিক দল অভিযান পরিচালনা করে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানাধীন সাতরাস্তা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃত আসামিকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গুলশান থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

;