শরীরের ১৮০০ স্প্লিন্টার এখনো যন্ত্রণা দেয় মাহবুবাকে



রেজা-উদ্-দৌলাহ প্রধান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
মাহবুবা পারভীন।  ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম।

মাহবুবা পারভীন। ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম।

  • Font increase
  • Font Decrease

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গুলিস্থানের বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত মহাসমাবেশে গ্রেনেড হামলায় আহত হন সাভারের বাসিন্দা মাহবুবা পারভীন। বর্তমানে তার শরীরে ১৮০০ স্প্লিন্টারের বাসা। যখন অসহ্য যন্ত্রণা শুরু হয়, তখন তাকে ডাক্তার ও ওষুধের শরণাপন্ন হতে হয়।

জানা গেছে, মাহবুবা পারভীন সেই ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার একজন প্রত্যক্ষদর্শী। সাভার থেকে এসে সেদিন যোগ দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী শান্তি সমাবেশে। অথচ শান্তি সমাবেশ থেকে তিনি পেয়েছিলেন নরক যন্ত্রণার অভিজ্ঞতা। সেদিনের গ্রেনেড হামলার বিকট শব্দে হার্ট অ্যাটাক করেন তিনি। পরে তার শরীরের একপাশ অচল হয়ে গিয়েছিল।

মাহবুবা পারভীন জানান, সেদিন তাকে কেউ দাঁড় করাতে পারেনি। পরে ব্যানারে জড়িয়ে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। ২০০৪ সালে ক্ষমতায় ছিল বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার। আর বিরোধীদল ছিল আওয়ামী লীগ। যদিও আওয়ামী লীগকে সে সময় কোণঠাসা করে রেখেছিল তৎকালীন সরকার। এমনকি মিছিল মিটিংয়েরও সুযোগ দিত না।

সেদিনের স্মৃতিচারণ করে মাহবুবা পারভীর বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় বিরোধীদের সমাবেশ, হরতাল, অনশন, অবরোধ করতে দেওয়া হচ্ছিল না। আমরা ট্রাকে মঞ্চ করে একটি সন্ত্রাসবিরোধী জনসভার আয়োজন করেছিলাম। সেই জনসভায় আমি ঢাকা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে উপস্থিত ছিলাম। মঞ্চের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলাম।’

তিনি আরও বলেন, ‘শীর্ষ নেতারা একের পর এক বক্তৃতা দিচ্ছিলেন। সবশেষে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা বক্তব্য দেওয়া শুরু করেন। তিনি যখন বক্তব্য শেষে ‘জয় বাংলা’ বলে উঠলেন, ঠিক তখনই বিকট একটি আওয়াজ হয়। মুহূর্তে এলাকাটি অন্ধকার হয়ে যায়। বিকট শব্দে চারদিক কেঁপে ওঠে।’

স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক এই নেত্রী বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির জন্য জীবনের সব সুখ আনন্দ বিসর্জন দিয়ে দেশকে স্বাধীন করেন। কিন্তু পরবর্তীতে সেই স্বাধীন দেশের ষড়যন্ত্রকারীদের হাতেই তাকে প্রাণ দিতে হয়। সেই কষ্টের তুলনায় আমার কষ্ট কিছুই না।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/21/1566360861135.jpg
ডানে গ্রেনেড হামলায় আহত হয়ে পড়ে আছেন মাহবুবা পারভীন।

 

দেশের বাইরে থাকায় পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির জনকের দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বেঁচে যান। আর সেই কারণেই ২০০৪ সালে ২১ আগস্ট সমাবেশে হামলা করা হয় বলে জানান মাহবুবা। তিনি বলেন, ‘১৫ আগস্ট যদি ষড়যন্ত্রকারীরা আমাদের দুই আপাকে হত্যা করতে পারত, তাহলে আর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা হতো না।’

তিনি আরও বলেন, ‘২১ আগস্ট হামলাকারীদের টার্গেট ছিল শেখ হাসিনা ও দলের কয়েকজন শীর্ষ নেতা। কারণ তাদের হত্যা করতে পারলে বাংলাদেশ থেকে আওয়ামী লীগকে নিঃশেষ করা যেত। কিন্তু সৃষ্টিকর্তা সে উদ্দেশ্য সফল হতে দেননি।’

মাহবুবা পারভীন বলেন, ‘যখন যন্ত্রণা শুরু হয় তখন বঙ্গবন্ধু ও তার হত্যার কথা স্মরণ করি। তাছাড়া ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় শেখ হাসিনার দুই কানের পর্দা ফেটে ঝরঝর করে রক্ত ঝরেছিল। পরে তিনি নিজের চিকিৎসা বন্ধ রেখে আমাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। যন্ত্রণার সময় সেই কথাও স্মরণ করি। তবে মাঝে মাঝে যন্ত্রণার সময় আর বাঁচতে ইচ্ছে করে না। শুধুমাত্র নেত্রীর ভালোবাসায় বেঁচে আছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘২০০৪ সাল থেকে প্রতিটি ঈদ আমার কাঁদতে কাঁদতে কেটেছে। কিন্তু যেদিন নেত্রী ডেকে বুকে জড়িয়ে ধরেন, সেই দিনটিই আমার কাছে ঈদ ঈদ মনে হয়।’

প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট হামলার পর তদন্তকে ভিন্নখাতে নেয়ার চেষ্টা করে বিএনপি-জামায়াত সরকার। আর সেটিরও নেতৃত্ব দেন বর্তমান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। যিনি বর্তমানে লন্ডনে অবস্থান করেছেন। পরবর্তীতে আসামিদের স্বীকারোক্তিতে হামলায় তারেক রহমানের সমর্থন থাকার প্রমাণ মেলে। আর অভিযোগ প্রমাণিত হাওয়ায় গত বছর ১৯ জনকে ফাঁসি, তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন এবং বাকিদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন আদালত। আসামিদের মধ্যে ১৮ জন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি এখনো পলাতক।

   

৪৬তম বিসিএস পরীক্ষায় ১০৬ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

৪৬তম বিসিএস প্রিলিমিনারি টেস্ট (এমসিকিউ টাইপ) পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রের ভেতরের ও বাইরের শৃঙ্খলা রক্ষার্থে ১০৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়েছে সরকার। আগামী ২৬ এপ্রিল সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, আগামী ২৬ এপ্রিল সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৪৬তম বিসিএস প্রিলিমিনারি টেস্ট (এমসিকিউ টাইপ) পরীক্ষা ঢাকার ৯৬টি কেন্দ্রে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রের ভেতরের ও বাইরের শৃঙ্খলা রক্ষার্থে ঢাকার ৯৬টি পরীক্ষা কেন্দ্রের প্রতিটির জন্য একজন করে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হলো।

পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন সচিবালয়ের কন্ট্রোল রুমে অতিরিক্ত আরও ১০ জন বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের কর্মকর্তাকে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা অর্পণ করে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, ঢাকার কেন্দ্রগুলোর জন্য নিয়োগ করা এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটদের আগামী ২৩ এপ্রিল বেলা ১১টায় বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন ভবনে অনুষ্ঠিত ব্রিফিং সেমিনারে উপস্থিত হওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হলো। পাশাপাশি পরীক্ষার দিন অর্থাৎ ২৬ এপ্রিল বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন সচিবালয়ে রিপোর্ট করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হলো।

;

দেশের উন্নয়ন-শান্তির জন্য ঐক্যবদ্ধ হতে হবে- সাংগ্রাই উৎসবে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, এমপি বলেছেন, দেশের শান্তি ও উন্নয়নের জন্য, মানুষের কল্যাণের জন্য আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা পুরনো বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরের জন্য আমাদের শপথ হবে, বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণে ও দেশের উন্নয়নে যেন আমরা প্রত্যেকে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারি।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ও উন্নয়নের জন্য আলাদা বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গি থাকার কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামে এরকম অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাঙামাটি মারি স্টেডিয়াম মাঠে মারমা সংস্কৃতি সংস্থা (মাসস) আয়োজিত মারমা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী সাংগ্রাই উৎসবের জলকেলি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, এমপি এসব কথা বলেন। পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক জনসংযোগ কর্মকর্তা, মো. রেজুয়ান খানের সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিতে জানানো হয়, জলকেলি উৎসব অনুষ্ঠানের উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটির সংসদ সদস্য এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ুবিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার, এমপি। এ অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াশিকা আয়েশা খান, এমপি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, এমপি বলেন, বৈসাবি একটি সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান। বৈসাবি উৎসব পার্বত্য চট্টগ্রামে নতুন নয়। যুগ যুগ ধরে চলে আসছে এ উৎসব। এটা শুধু সাংস্কৃতিক উৎসবই নয়, এটাতে ধর্মীয় অনুভুতিও জড়িত।

তিনি বলেন, এদিন বয়োঃজ্যেষ্ঠদের কাছ থেকে আশীর্বাদ চাওয়া হয়। তাই, এটি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উৎসবের পাশাপাশি ধর্মীয় উৎসবও।

বঙ্গবন্ধুর চিন্তাধারার কথা উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল, সব ভাষাভাষী ও সব ধর্মের লোক সম্প্রীতির ঐক্যের বন্ধনে একই ছাতার নিচে বসবাস করবেন। তাঁরই সুযোগ্য কন্যা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরন্তর কাজ করে চলেছেন। লক্ষ্য একটাই- বাংলাদেশের জাতি, সব ভাষাভাষী গোষ্ঠী, ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মধ্যে যেন ঐক্যের বন্ধন সৃষ্টি হয়। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হচ্ছে।

প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন, রাঙামাটিতে আজকের এই জলকেলি উৎসব অনুষ্ঠান প্রমাণ করে আমরা শান্তি চাই! সম্প্রীতি চাই! ঐক্য চাই! তাই, দেশের কল্যাণে যা যা করা প্রয়োজন, সবাইকে স্ব স্ব অবস্থান থেকে সে কাজ করতে হবে।

পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশের উন্নয়নের মূল স্রোতধারার সঙ্গে শামিল করার ক্ষেত্রে সবাইকে অনন্য ভূমিকা রাখার প্রতিও আহ্বান জানান পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল।

সাংগ্রাই উৎসবের শুরুতেই প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিরা মারমা তরুণ-তরুণীদের গায়ে পানি ছিটিয়ে জলকেলির সূচনা করেন। জলকেলির পর বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মারমা শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও মারমা সংস্কৃতি সংস্থা (মাসস) সভাপতি অংসুইপ্রু চৌধুরীর সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য জ্বরতী তঞ্চঙ্গ্যা, পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী’র সহধর্মিনী প্রধান শিক্ষক মল্লিকা ত্রিপুরা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ, রাঙামাটি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার সোহেল আহমেদ, বিজিবি রাঙামাটি সদর সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মো. আনোয়ার লতিফ খান, রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান, রাঙামাটির পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ, বিপিএম (বার), রাঙামাটি সদর পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী, দুদক রাঙামাটির উপপরিচালক জাহিদ কামাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

গেস্ট অব অনার হিসেবে বক্তব্য দিতে গিয়ে অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াশিকা আয়েশা খান, এমপি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী উৎসব সাংগ্রাইয়ের সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যবোধ ও স্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে পাহাড়ে সবাই যেন ভালো থাকেন।

জলকেলি উৎসব উদ্বোধন করতে গিয়ে রাঙামাটির সংসদ সদস্য এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ুবিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার, এমপি বলেন, সাংগ্রাই উৎসব শুধু মারমা সম্প্রদায়ের নয়, এই উৎসব সবার। এ উৎসব এ এলাকায় বসবাসরত সব সম্প্রদায়ের উৎসবে পরিণত হয়েছে।

তিনি বলেন, মারমা সম্প্রদায়ের মানুষেরা পুরনো বছরকে বিদায় আর নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে সাংগ্রাইয়ের এই জলকেলি উৎসব উদযাপন করেন। মারমা তরুণ-তরুণীরা এই জলকেলি উৎসবের মাধ্যমে একে অপরকে পানি ছিটিয়ে পুরনো বছরের গ্লানি, দুঃখ, অপশক্তিকে দূর করে ধুয়ে-মুছে নতুন বছরকে স্বাগত জানান।

;

অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে শিগগিরই ব্যবস্থা: প্রতিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অনিবন্ধিত ও অবৈধ নিউজ পোর্টাল বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের দাবির সঙ্গে একমত বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। এ বিষয়ে শিগগিরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

এছাড়া নিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টালের বিজ্ঞাপন নীতিমালাসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা শিগগিরই বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে।’ প্রতিবছর অনলাইন নিউজ পোর্টালের নবায়ন বাদ দেওয়ার বিষয়টিও খতিয়ে দেখবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনলাইন নিউজ পোর্টাল অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।

তিনি বলেন, সরকার গণমাধ্যমের নিয়ন্ত্রণ ও নজরদারি করতে চায় না। তবে সাংবাদিক ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল অ্যাসোসিয়েশনের দাবির সাথে আমি একাত্মতা প্রকাশ করছি যে একটা শৃঙ্খলা আনা দরকার। যেহেতু নিবন্ধনের একটি প্রক্রিয়া আছে সে প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করা খুবই জরুরি। দায়িত্বশীল সাংবাদিক ও সাংবাদিকতাকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য নিবন্ধিত অনলাইন গণমাধ্যমকে প্রণোদনা ও সমর্থন দেওয়ার প্রয়োজন আছে, এ বিষয়ে আমি আপনাদের সাথে একমত।

তিনি আরও বলেন, সাংবাদিকরাই বলছেন শৃঙ্খলার জন্য নজরদারি দরকার। গণমাধ্যম এতটাই মুক্ত ও স্বাধীন যে নিবন্ধন ছাড়াও তারা চলছে এবং নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণের কথা পেশাদার সাংবাদিকরাই বলছেন। এটা প্রমাণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার মুক্ত গণমাধ্যম এবং গণমাধ্যমের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। তবে অবাধ স্বাধীনতার কারণে কিছুটা শৃঙ্খলার অভাবও হয়ে যাচ্ছে।

আরাফাত বলেন, অনিবন্ধিত পোর্টালগুলোর মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের মানহানিকর অপতথ্যের বিস্তার হয়। এ অপতথ্যের বিস্তার অনলাইন নিউজ পোর্টাল অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের ছাড়াও বিভিন্ন পেশাদার সাংবাদিকদের পীড়া দেয় বলে বিভিন্ন সময় তারা জানিয়েছেন। এটা খুব ভালো দিক যে, আমাদের সাংবাদিকরা চাচ্ছেন গণমাধ্যমে একটা শৃঙ্খলা এবং দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার বিকাশ। এখানে সরকার পূর্ণাঙ্গভাবে সাংবাদিকদের সাথে একমত।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার গণমাধ্যমের নিয়ন্ত্রণে নয় বরং স্বচ্ছতায় বিশ্বাস করে, নজরদারিতে নয় বরং দায়িত্বশীলতায় বিশ্বাস করে। আমরা মুক্ত গণমাধ্যম ও স্বাধীন সাংবাদিকতায় বিশ্বাস করি। অপতথ্যের বিস্তৃতি, গুজব ও অপপ্রচার সাংবাদিকতা, গণমাধ্যম, গণতন্ত্র সবকিছুকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। সকলের স্বার্থে এগুলো রোধ করার জন্য সরকার ও গণমাধ্যমের একটি অংশীদারিত্ব দরকার।

গণমাধ্যমের বিজ্ঞাপন নীতিমালাসহ অন্যান্য নীতিমালা সময়োপযোগী ও আধুনিকীকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী।

মতবিনিময় সভায় অনলাইন নিউজ পোর্টাল অ্যাসোসিয়েশন (ওনাব) সভাপতি মোল্লাহ এম আমজাদ হোসেন, সহসভাপতি লতিফুল বারী হামিম ও সৌমিত্র দেব, যুগ্ম সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান ও আশরাফুল কবির আসিফ, কার্যনির্বাহী সদস্য নজরুল ইসলাম মিঠু, তৌহিদুল ইসলাম মিন্টু, রফিকুল বাসার, হামিদ মো. জসিম, মহসিন হোসেন, অয়ন আহমেদ ও খোকন কুমার রায় উপস্থিত ছিলেন।

;

পঞ্চাশোর্ধ ‘তরুণ-তরুণীদের’ বাধনহারা একটি দিন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
পঞ্চাশোর্ধ ‘তরুণ-তরুণীদের’ বাধনহারা একটি দিন

পঞ্চাশোর্ধ ‘তরুণ-তরুণীদের’ বাধনহারা একটি দিন

  • Font increase
  • Font Decrease

 

চট্টগ্রামের ভাটিয়ারি গলফ ও কান্ট্রি ক্লাব। এর মিলনায়তনে মঞ্চে গান গাইছিলেন সন্দ্বীপন দাস, রন্টি দাস ও অনন্যা। আশির দশকের জনপ্রিয় গানগুলি তাদের কণ্ঠে অন্যরকম আমেজ দিচ্ছিল। একই সঙ্গে ফোক গান ও চট্টগ্রামের আঞ্চলিক গানও গাইছিলেন তারা। এ সময় মঞ্চের সামনে ছিলেন ৫৪ থেকে ৫৬ বছর বয়সী কিছু ‘তরুণ-তরুণী’। শিল্পীদের গানের পাশাপাশি তারা কণ্ঠ মেলাচ্ছিলেন আর নাচছিলেন।

আসলে অনুষ্ঠানটি ছিল চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী চট্টগ্রাম কলেজ থেকে ১৯৮৭ সালে এইচএসসি পাস করাদের পূনর্মিলনী ও বাংলা নববর্ষ উদযাপনের। ১৪ এপ্রিল অনুষ্ঠানটি হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত যারা ছিলেন তাদের মধ্যে উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তা, আমলা, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, শীর্ষ ব্যবসায়ী, বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ শিক্ষক, সাংবাদিক, রাজনৈতিক নেতাসহ নানা পেশায় প্রতিষ্ঠিতজনেরা। স্বাভাবিক সময়ে তারা নিজেদের পেশা ও বয়সের কারণে অনেকটায় গম্ভীর থাকেন। নিজেদের আড়ালে রাখার চেষ্টা করেন। কিন্তু এদিন সহপাঠীদের পেয়ে তারা যেন হয়েছিলেন বাধনহারা। যেন ফিরে গিয়েছিলেন তারুণ্যে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়া বন্ধুদেরমধ্যে অনেকের সঙ্গে অনেকের যোগাযোগ ছিল। তারা কুশল বিনিময়ের সঙ্গে আড্ডায় মেতেছেন। আবার অনেকের সঙ্গে দেখো হয়েছে ৩৭ সছর পর। কলেজ শেষ হওয়ার পর দেখা না হওয়া অনেককেই ফিরে পাওয়া গেছে অনুষ্ঠানে। নষ্টালজিক হয়ে পড়েন সবাই। একই সঙ্গে পরিবারের সদস্যরাও উপভোগ করেছেন বয়সী তরুণদের এই উল্লাস।

উল্লাস আর হৈচৈ দেখে একজনের কন্যা বলে উঠে,‘‘ বাবার বন্ধুরা খুবই কিউট। সবাই স্মার্ট আর প্রতিষ্ঠিত। খুবই ভাল লাগছে।”

আরেকজনের মুখে শোনা গেল, ‘’ বাবার এই চেহারা আগে কখনো দেখিনি। বাবা হই-হুল্লোড় করেন কিংবা দলবেঁধে নাচতে পারেন সেটা আমার ধারণার বাইরে ছিল।

পেশাগত কারণে রাজশাহী অবস্থান করা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক কষ্ট নিয়েই বন্ধুদের বলেছেন, ‘‘না-ই বা পারলাম উপস্থিত থাকতে, তবুও অনুষ্ঠানটা যে সুন্দর ও সার্থক হয়েছে, তা ছবি আর ভিডিওতে দেখে আনন্দিত হয়েছি। হয়তো ভবিষ্যতে এরকম কোন আয়োজনে আমিও শরীক হতে পারবো।”

সারা দিনের অনুষ্ঠানটিতে ছিল স্মৃতিচারণ, আড্ডা, গান আর খাওয়া দাওয়া তো ছিলই। ভাটিয়ারি গল্ফ ক্লাবের নান্দনিক সৌন্দর্যে মুগ্ধ সবাই প্রচন্ড গরম ঠেলেও মেতেছিলেন ছবি তোলার উৎসবে। বিকেল সাড়ে চারটায় ‘‘এসো হে বৈশাখ’’ গানটি দিয়ে শেষ হয় অনুষ্ঠান।

;