রাজশাহীতে দুর্গাপূজার প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত কারিগররা



স্টাফ করেসপন্ডেট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, রাজশাহী
রাজশাহীতে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত কারিগররা/ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

রাজশাহীতে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত কারিগররা/ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। আগামী ৪ অক্টোবর থেকে এই পূজা শুরু হওয়ার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। সেই হিসেবে পূজা শুরু হতে এখনও দেড় মাস বাকি। অথচ প্রতিমা তৈরির কারিগররা এখন থেকেই দিন-রাত ব্যস্ত সময় পার করছেন।

রাজশাহী নগরীর মন্দির ও পাল বাড়িগুলো ঘুরে এমন চিত্র চোখে পড়েছে। আসন্ন দুর্গা পূজাকে সামনে রেখে নগরীর মিয়াপাড়ার ধর্মসভা, গণকপাড়ার বৈষ্ণবসভা, ঘোড়ামারা, শেখেরচক, কুমারপাড়া ও মিয়াপাড়া এলাকায় পুরোদমে প্রতিমা তৈরির কাজ চলছে।

কারিগররা বলছেন- অধিকাংশ কারিগরই ৫ থেকে ২০টি প্রতিমা তৈরির কাজ হাতে নিয়েছেন। দলবদ্ধভাবে এসব কাজ সম্পন্ন করবেন তারা। ফলে দেড় মাস আগে থেকেই ব্যস্ততার ছোঁয়া লেগেছে রাজশাহীর পাল বাড়িতেও।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/22/1566458066546.jpg

তারা জানান, ঐতিহ্যগতভাবে রাজশাহীর নগরীর ও আশেপাশের উপজেলার বেশ কয়েক’টি বাড়ির লোকজন বাবা-দাদাদের আমল থেকে এই পেশার সঙ্গে জড়িয়ে আছেন। যার সংখ্যা ক্রমেই কমছে। ফলে যারা এখনও এই পেশায় টিকে আছেন, তাদের ওপর প্রতিমা তৈরির জন্য চাপ বাড়ছে। ফলে কারিগররা আগেভাগেই নেমে পড়েন কাজে। সঙ্গে রাখেন পরিবারের সদস্যদের। স্ত্রী, ছেলে-মেয়েসহ সবাই মিলে এ কাজ সম্পন্ন করেন।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সকালে নগরীর বেশ কয়েকটি মন্দিরে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, কাঠ-বাঁশ দিয়ে ফ্রেম তৈরি করে খড় (ধানের আউড়) দিয়ে সাজিয়ে কাঁদা-মাটি লাগানো হচ্ছে। কারও কারও প্রতিমা রূপ এসেছে। কারওটার আবার শুধুই কাঠামো দেখা যাচ্ছে। বাকি পড়ে আছে পোশাক ও গয়না পরানো।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/22/1566458082597.jpg

২৫ বছর ধরে প্রতিমা তৈরির কাজ করছেন নগরীর কুমারপাড়ার সুধীর পাল। তিনি বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, হাতে এখনও এক মাসেরও বেশি সময় আছে। তবে প্রতিমা তৈরির প্রক্রিয়াটাই এমন যে, আপনাকে সময় নিয়ে কাজ করতে হবে। একদিনে ১২ ঘণ্টা কাজ করে আপনার কোনো লাভ হবে না। বরং টানা ১৫ থেকে ২০ দিনে প্রত্যেক দিন দুই থেকে তিন ঘণ্টা কাজ করলে প্রতিমার রূপ সুন্দর হবে।

তিনি বলেন, ‘ভাদ্র মাস শুরু হয়েছে, অথচ এখন রাজশাহীতে বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির কারণে কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে। হঠাৎ আকাশে মেঘ করে বৃষ্টি আসলে বাইরে থেকে প্রতিমা ঘরে তুলতে হচ্ছে। এতে সময় ও শ্রম দুটো যাচ্ছে।’

নগরীর আলুপট্টির কুমারপাড়া এলাকার প্রতিমা কারিগর গণেষ চন্দ্র পাল বলেন, ‘আমি আরও এক মাস আগেই প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু করেছি। এবছর এখনও পর্যন্ত ২০টি প্রতিমা তৈরির অর্ডার পেয়েছি। সবগুলোর কাঠামো তৈরি করে মাটি লাগিয়ে রূপ আনা হয়েছে। আগামী সপ্তাহ থেকে ফিনিশিং শুরু করবো। আশা করি- পূজা শুরুর এক সপ্তাহ আগে ডেলিভারি করতে পারবো।’

এদিকে, বিগত বছরের তুলনায় এবার সবাই পারিশ্রমিক একটু বেশি নিচ্ছেন বলে জানান কারিগর এবং বিভিন্ন মন্দিরের পূজা উদযাপন কমিটির সদস্যরা। প্রতিমা ভেদে ২৫ থেকে ৮০ হাজার টাকা মজুরিতে অর্ডার নিচ্ছেন কারিগররা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/22/1566458206187.jpg

নগরীর গণকপাড়া মন্দিরের পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি অরবিন্দ রায় বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, প্রতিমা তৈরির অর্ডার যত দেরিতে দেওয়া হয়, মজুরি ততই চড়া হয়। তাই এবার আগেভাগে প্রতিমা অর্ডার করেছি। তবে অন্যবার একই মাপের প্রতিমা তৈরিতে ৫৫ হাজার টাকা লাগলেও এবার কারিগররা চেয়েছিল ৭০ হাজার। আমরা কথাবার্তা বলে ৬২ হাজারে অর্ডার করেছি।

রাজশাহী হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার ঘোষ বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, রাজশাহীর জেলায় প্রায় ৫০০ মন্দিরে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়। আর রাজশাহী মহানগরীর এলাকায় পূজা উদযাপন করা হয় প্রায় ৮০টি মন্দিরে। তবে এবার এখনও সঠিক হিসাব আমাদের হাতে আসেনি।

তিনি আরও বলেন, যেহেতু প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু হয়ে গেছে, তাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আমাদের আহ্বান থাকবে- তারা যেন নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। কারণ অনেক সময় প্রতিমা তৈরিকালে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী প্রতিমা ভেঙে ফেলার ঘটনাও ঘটিয়ে থাকে। যাতে ধর্মীয় সম্প্রতি নষ্ট হয়।

   

রানা প্লাজায় নিহতদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বলন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সাভারে রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি দিবসকে সামনে রেখে নিহতদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বলন করেছে নিহতদের পরিবার, আহত শ্রমিক এবং বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতা কর্মীরা।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধায় সাভারে ধ্বসে পড়া রানা প্লাজার সামনের শহীদ বেদিতে এ মোমবাতি প্রজ্বলন করা হয়।

রানা প্লাজা দুর্ঘটনার ১১ বছরেও ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে শ্রমিক নেতারা নিহত শ্রমিকদের স্মরণে পোশাক শিল্পে শোক দিবস ঘোষণা, রানা প্লাজার সামনে স্থায়ী স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণ, ক্ষতিগ্রস্থ শ্রমিকদের এক জীবনের ক্ষতিপূরণ, পুনর্বাসন এবং এ ঘটনায় দোষীদের দ্রুত শাস্তি দাবি করে প্রতিবাদ সমাবেশ করে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ গার্মেন্ট এন্ড ট্রেক্সটাইল গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সভাপতি মাহাবুবুর রহমান ইসমাইল, বাংলাদেশ গার্মেন্ট এন্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম সুজন, বাংলাদেশ গার্মেন্ট ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের আইন বিষয়ক সম্পাদক খাইরুল মামুন মিন্টু প্রমুখ।

 

;

আদাবরে স্ত্রীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার, স্বামী পলাতক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর আদাবরের একটি বাসা থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত ওই গৃহবধূর স্বামী পলাতক রয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টায় আদাবরের সুনিবিড় হাউজিং এলাকার ৪৩/বি বাসায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম- নাসিমা আক্তার (২৮)।

স্থানীয়রা জানান, নিহত নাসিমা আক্তার পেশায় একজন গৃহকর্মী। তিনি বিভিন্ন বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করতেন এবং তার স্বামী পেশায় একজন রিকশা চালক। নিহত নাসিমার সাথে বিভিন্ন সময় তার স্বামীর সঙ্গে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝগড়া হতো।

মঙ্গলবার দুপুরে তার বাসায় স্বামী-স্ত্রীর তুমুল ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে বিকেলের দিকে তাদের কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে স্ত্রীর রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পায়। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় আদাবর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুব আলম জানান, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ভুক্তভোগীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদনের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে যাই। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী পলাতক রয়েছে। তাকে আটকের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়াকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি।

;

ফেনীতে তীব্র খরতাপে দুর্ভোগে শ্রমজীবী মানুষ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,ফেনী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশের ন্যায় ফেনীতেও গত কয়েকদিন ধরে তীব্র গরম পড়ছে। গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ফেনীতে তাপমাত্রা ৩৩ থেকে ৩৯ ডিগ্রির মধ্যে উঠানামা করছে। তীব্র গরমে সাধারণ মানুষের তুলনায় সবেচেয়ে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বিভিন্ন পরিবহনের চালক, শ্রমিক, দিনমজুরসহ নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষের।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) শহরে বিভিন্ন স্থানে ঘুরে নানা শ্রেণি-পেশার শ্রমজীবী মানুষের সাথে কথা হলে তারা জানান, প্রচণ্ড গরমে কাজ করা যেমন মুশকিল হয়ে উঠেছে অন্যদিকে কমেছে আয়। রাস্তাঘাতে অতিরিক্ত গরমের কারণে মানুষের আনাগোনা নেই।

বশির মিয়া নোয়াখালী থেকে ফেনীতে এসে দীর্ঘদিন মুচি পেশায় নিয়োজিত। শহরের রাজাঝির দিঘির পাড়ে রোদের মধ্যে জুতা সেলাইয়ের কাজ করেন তিনি। তীব্র গরমে নাজেহাল অবস্থা তার। তিনি বলেন, গরমের মধ্যে রোদে বসে কাজ করা খুবই মুশকিল। এরমধ্যে গরমে মানুষের আনাগোনাও কম, ফলে আগের চাইতে আয় নেই বললেই চলে।

শহরের ট্রাংক রোড শহীদ মিনারের সামনে ফুটপাতে ব্যবসা করেন আব্দুল আজিজ। তীব্র গরমে বেচাবিক্রি নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, গামছা, মাস্ক, টুপি এসব বিক্রি করেই আমার সংসার চলে। গরমে নিজেই অস্বস্তিতে থাকি আর বেচাবিক্রির জন্য কাস্টমার নেই বললেই চলে। ফুটপাতের ব্যবসা যেহেতু মানুষের আনাগোনা প্রয়োজন, এখানে মানুষ আসলেও গরমে দাঁড়াতে চায় না। যার যার গন্তব্য চলে যায়।

শাহেদুল নামে এক রিকশাচালক বলেন, মানুষজন একবারে দরকারি কাজ ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না বিধায় রাস্তায় যাত্রীর সংখ্যা খুবই কম। যার কারণে আগে যা আয় হতো তা কমে গেছে অনেক। এভাবে চলতে থাকলে আগামীতে আরও নাজেহাল অবস্থা হবে বলে জানায় তিনি।

চিকিৎসকরা বলছেন, শিশু, বৃদ্ধ, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পাশাপাশি হিট স্ট্রোকের ঝুঁকিতে রয়েছে শ্রমজীবীরা। এটি প্রতিরোধ করতে চিকিৎসকরা পরামর্শ দিচ্ছেন, দিনের বেলা একটানা শারীরিক পরিশ্রম না করে বিরতি নিয়ে কাজ করতে। চিকিৎসকদের ভাষ্যমতে, তীব্র গরমে দীর্ঘসময় কাজ করার কারণে মাত্রাতিরিক্ত ঘেমে মানুষের শরীর থেকে প্রচুর পানি বের হয়ে যায়। এতে তাদের শরীরে পানির অভাব দেখা দেয়।

;

বিশ্বনাথে নারী কাউন্সিলরকে গাড়ি চাপা দিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটের বিশ্বনাথে পৌরসভার বরাদ্দের টাকা আত্মসাৎ নিয়ে মেয়র ও ৭ জন কাউন্সিলরের দ্বন্দ্বের পর মেয়র মুহিবুর রহমানের গাড়ি দিয়ে নারী কাউন্সিলরকে চাপা দিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে এমন অভিযোগ এনে মেয়র মুহিবুর রহমানকে প্রধান আসামি করে দুই কাউন্সিলর ফজর আলী ও বারাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন রাসনা বেগম।

মঙ্গলবার দুপুরে পৌরসভার দক্ষিণ মীরেরচর কমিউনিটি ক্লিনিকের সামনে ২ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর রাসনা বেগমকে মেয়র মুহিবুর রহমানের গাড়ি দিয়ে চাপা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় রাসনা বেগমকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎস্যা দেন স্থানীয়রা।

বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রমা প্রসাদ চক্রবর্তী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এছাড়া আরো ৭ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে এ ঘটনায়। অভিযুক্তরা হলেন- জানাইয়া গ্রামের আজেফর আলীর ছেলে জমির আলী (৪০), পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও পৌরসভার উদ্যোক্তা সুরমান আলী (৪০), শরিষপুর গ্রামের সোনাফর আলীর ছেলে আমির আলী (৪৫), দক্ষিণ মীরেরচর গ্রামের মৃত রুস্তম আলীর ছেলে মিতাব আলী (৪০), রামকৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত তবারক আলীর ছেলে আনোয়ার আলী (৪৪), রহমাননগর গ্রামের শমসের আলীর ছেলে ও মেয়রের গাড়ি চালক হেলাল মিয়া (৪৫) এবং জানাইয়া গ্রামের মৃত তুতা মিয়ার ছেলে আব্দুস শহিদ (৪৮)। এ ঘটনায় আরো ৪/৫ অজ্ঞাতপরিচয়কে আসামি করা হয়েছে।

অভিযোগে কাউন্সিলর রাসনা উল্লেখ করেন, সম্প্রতি মেয়র মুহিবুর রহমানের দুর্নীতি ও অপকর্মের বিরুদ্ধে পৌরসভার দুই প্যানেল মেয়রসহ ৭ জন কাউন্সিলর একত্রিত হয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে অনাস্থা প্রস্তাব দেন। এরই জের ধরে ৭ জন কাউন্সিলরদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন সময় মেয়র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খারাপ মন্তব্য করে আসছেন।

মঙ্গলবার ঘটনার সময় মেয়র ও কাউন্সিলর বারাম আলী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কাউন্সিলর ও নারী কাউন্সিলদের নিয়ে অশ্লীল মন্তব্য করেন। এতে বাধা দিলে মেয়র তার মাথার চুল ধরে টানাহেঁচড়া করে শ্লীলতাহানি ও মারধর করেন। এছাড়াও মেয়রের নির্দেশে গাড়ির চালক তার গাড়ি দিয়ে কাউন্সিলর রাসনা বেগমকে প্রাণে হত্যার চেষ্টা করেন।

এবিষয়ে জানতে চাইলে মেয়র মুহিবুর রহমানের সেলফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোনকল রিসিভ করেননি।

;