উপ-নির্বাচন

তফসিলের পরও ঝুলছে বিলবোর্ড, পোস্টার ও ফেস্টুন



ফরহাদুজ্জামান ফারুক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, রংপুর
রংপুর-৩ আসনের বিভিন্ন স্থানে ঝুলছে বিলবোর্ড, পোস্টার ও ফেস্টুন, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

রংপুর-৩ আসনের বিভিন্ন স্থানে ঝুলছে বিলবোর্ড, পোস্টার ও ফেস্টুন, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুর-৩ আসনের উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পাঁচদিন পার হলেও এখনো সরানো হয়নি সম্ভাব্য প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণার বিলবোর্ড, পোস্টার ও ফেস্টুন। এসব সরিয়ে নিতে জেলা নির্বাচন অফিস মাইকিং করলেও তা কাজে আসছে না।

সরেজমিনে দেখা গেছে, নগরীর সিওবাজার চেক পোস্ট থেকে মেডিকেল মোড় হয়ে কাচারী বাজার ও মর্ডান মোড় সড়কে সম্ভাব্য প্রার্থীদের বড় বড় বিলবোর্ড এখনো ঝুলছে। বিভিন্ন পাড়া-মহল্লাসহ বিদ্যুতের খুঁটিতে সাঁটানো আছে ছোট ছোট রকমারি ফেস্টুন। দেয়ালে দেয়ালে ছেয়ে গেছে রঙিন পোস্টার। এসবের বেশির ভাগই ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতাদের। তফসিলের পরও এসব সরিয়ে না ফেলে নিয়ম ভঙ্গ থেকে বাদ পড়েনি জাতীয় পার্টি ও বিএনপি।

আরও পড়ুন: সাদ এরশাদকে নিয়ে রংপুরে ঘরে বাইরে বিবাদ

অথচ তফসিল ঘোষণার পরই জেলা নির্বাচন অফিস থেকে নির্বাচনী সব ধরনের ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন ও বিলবোর্ড সরিয়ে নেওয়ার জন্য মাইকিং করা হয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বরং কিছু কিছু পাড়া-মহল্লাতে নতুন করে ফেস্টুন লাগাতে দেখা গেছে। শুধু তাই নয় সম্ভাব্য প্রার্থীদের অনেকেই কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে শোডাউন করেছে।

নিয়ম অনুযায়ী তফসিল ঘোষণার পর এবং প্রতীক বরাদ্দের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত কোনো প্রার্থী নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় অংশ নিতে পারবে না। কিন্তু রংপুর-৩ আসনের উপ-নির্বাচনে তফসিল ঘোষণা করা হলেও এখন পর্যন্ত পুরো নির্বাচনী এলাকাজুড়ে ঝুলছে প্রচার প্রচারণার নজরকাড়া বিলবোর্ড, ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুন।

আরও পড়ুন: দেশে নির্বাচন ব্যবস্থা বলে কিছু নেই: ফখরুল

এদিকে, শিগগিরই এসব পোস্টার ফেস্টুন ও বিলবোর্ড সরিয়ে ফেলানো হবে বলে জানিয়েছে সম্ভাব্য প্রার্থীরা। অন্যদিকে, বিধি লঙ্ঘন করে প্রচারণা চালিয়ে যাওয়া প্রার্থীদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে রির্টানিং কর্মকর্তা।

রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিউর রহমান সফি বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে ঢাকা রয়েছি। আমি দলের কর্মী-সমর্থকরাদের দিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে এসব সরিয়ে ফেলব।’

রংপুর জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাজী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আমার কোনো বিলবোর্ড নেই। তবে কিছু জায়গাতে কর্মী সমর্থকরা ফেস্টুন ও পোস্টার সাঁটিয়েছিল। আমি এগুলো ঢাকা থেকে ফিরে সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করব।’

আরও পড়ুন: সাদ এরশাদের পক্ষে মাঠে থাকবে না রংপুর জাতীয় পার্টি!

এদিকে, আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী সম্ভাব্য প্রার্থীদের বেশির ভাগ নেতাই এখন ঢাকাতে অবস্থান করায় দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন ও বিলবোর্ড সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে দাবি করছেন দলীয় কর্মীরা।

অন্যদিকে, দ্রুত সময়ের মধ্যে এসব সরিয়ে ফেলতে নিজেদের প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন রংপুর আঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা জিএম সাহাতাব উদ্দিন। তিনি বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘আমরা তফসিলের পর মনোনয়ন প্রত্যাশী সম্ভাব্য প্রার্থীদের সাঁটানো ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন ও বিলবোর্ড নামিয়ে নেওয়ার জন্য মাইকিং করেছি। কিন্তু এখনো অনেকেই সরিয়ে নেয়নি। নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। পাশাপাশি নির্বাচন অফিসের পক্ষ থেকে এসব সরিয়ে ফেলতে আমাদের প্রস্তুতিও রয়েছে।’

উল্লেখ্য, জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শূন্য ঘোষিত রংপুর-৩ আসনে উপ-নির্বাচনের জন্য গত ১ সেপ্টেম্বর তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, এই নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত, তা বাছাই হবে ১১ সেপ্টেম্বর, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৬ সেপ্টেম্বর। তার ১৮ দিন পর ৫ অক্টোবর হবে ভোটগ্রহণ।

   

চলতি বছরেই ২৫ শতাংশ ভাটায় ব্লক ইট তৈরি নিশ্চিত করতে হবে: ডিসি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেছেন, জেলার বিভিন্ন উপজেলায় যে সকল ইটভাটা রয়েছে সেগুলোর মধ্যে কিছু কিছু ভাটায় ম্যানুয়ালি ও অটো পদ্ধতির পাশাপাশি ব্লক ইট তৈরী করা হচ্ছে। ভাটায় ব্লক ইট তৈরি করলে অন্য ইটভাটার মতো পরিবেশ দূষণ করবে না। বায়ু দুষণ রোধসহ পরিবেশবান্ধব ব্লক ইট তৈরির কোন বিকল্প নেই। যাদের একাধিক ইটভাটা রয়েছে চলতি বছরের মধ্যেই তাদের অন্তত ২৫ শতাংশ ভাটায় ব্লক ইট তৈরি করে সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ‘ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ অনুসরণ ও পোড়ানো ইটের পরিবর্তে ব্লক ব্যবহারের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় করণীয়’ সংক্রান্তে ইটভাটা মালিক-সমিতির নেতাদের সঙ্গে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ডিসি বলেন, ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ইট তৈরী কার্যক্রম ধীরে ধীরে বন্ধ করে দিতে হবে। কৃষি জমির উর্বরতা বৃদ্ধি ও আশানুরূপ ফসল ফলানোর লক্ষ্যে টপ সয়েল কর্তন থেকে বিরত থাকতে হবে। এ বিষয়ে জাতির পিতার সুযোগ্য কন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্পষ্ট নির্দেশনা মানতে হবে এবং বাসযোগ্য পৃথিবী গড়তে ব্লক ইট তৈরীর বিষয়টি বাস্তবায়ন করতে হবে।

তিনি বলেন, নতুন করে আর কোন ইটভাটার লাইসেন্স দেয়া হবে না। যেগুলো আছে সেগুলো থেকে পর্যায়ক্রমে কমিয়ে এনে পরিবেশবান্ধব ইটভাটাগুলো রাখা হবে। চাহিদা থাকলে ব্লক ইটের সরবরাহ বাড়বে। প্রকৃত ও বৈধ ইটভাটা মালিকগণ যাতে কোন ধরণের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন না হয় সে লক্ষ্যে গণপূর্ত, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল, সড়ক ও জনপথ (সওজ), শিক্ষা ও স্বাস্থ্য প্রকৌশলসহ বিভিন্ন সরকারী প্রতিষ্ঠান ও দপ্তর এবং সিপিডিএল ও স্যানমারসহ বিভিন্ন বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে ব্লক ইটের চাহিদাপত্র নিয়ে ইটভাটা মালিক পক্ষকে জানিয়ে দেয়া হবে। আগামী মাসে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মহোদয়কে নিয়ে ইটভাটা ব্যবসা সংক্রান্তে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার বাস্তবায়নে চট্টগ্রামে একটি সভা আহবান করা হবে। সিটি মেয়র, সিডিএ চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র ও জেলা-উপজেলা ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির নেতাদের থেকে একজন করে প্রতিনিধিকে সভায় আমন্ত্রণ জানানো হবে।

ইটভাটা মালিকদের প্রশ্নের জবাবে বালি সরবরাহ বিষয়ে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, কর্ণফুলী নদীসহ রাউজান, রাঙ্গুনিয়া ও অন্যান্য এলাকার বিভিন্ন ছোট-বড় খালে বালির অভাব নেই। এখনো যে পরিমান বালি আছে তাতে আগামী ৫ বছরেও আশা করি কোন সমস্যা হবে না, আপনারা আবেদন করেন, সরকার নির্ধারিত মূল্যে বালির ব্যবস্থা হবে। আগামী ২০৪১ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পাশাপাশি ১৮-৬০ বছরের বেসরকারী ও ব্যক্তি পর্যায়ে যে কোন ব্যক্তিকে সার্বজনীন পেনশন স্কীমের আওতায় আসার আহবান জানান ডিসি।

সভায় পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোঃ ফেরদৌস আনোয়ার বলেন, ব্লক ইট তৈরীর ছাড়পত্রের জন্য ইটভাটা মালিকগণ প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট দিয়ে আবেদন করলে তা শুনানী শেষে দ্রুততার সাথে দেয়া হবে। কোন ধরণের বেগ পেতে হবে না। ছাড়পত্র পেলে বিদ্যুৎ সংযোগও দ্রুত সময়ে পাওয়া যাবে। জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর এ ব্যাপারে সহযোগিতা করবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সভায় চট্টগ্রাম জেলা ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির সভাপতি ও রাউজান পৌরসভার মেয়র মো. জমির উদ্দিন পারভেজ বলেন, দুষণবিহীন ইটভাটায় ব্লক ইট তৈরী করতে গিয়ে মালিক পক্ষ যাতে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে বিষয়ে সরকারের নজরদারী প্রয়োজন। পরিবেশ দুষণ করে আমরা কেউ ইট তৈরী করতে চাই না। বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মেনেই পরিবেশবান্ধব ইট তৈরী করতে আমরা বদ্ধপরিকর।

তিনি বলেন, নদীগুলো ভরাট হয়ে যাচ্ছে। এগুলো ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে বালি উত্তোলন করা যাবে। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতা প্রয়োজন। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ অনুসরণ ও বাস্তবায়ন করতে সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার রাজীব হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আবদুল মালেক, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) একেএম গোলাম মোর্শেদ খান, চট্টগ্রাম জেলা ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদারসহ বিভিন্ন উপজেলা ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির সভাপতি ও সম্পাদক।

;

বগুড়ায় কিশোরকে আটকে রেখে নির্যাতন, ৬০ হাজার টাকা আদায়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,বগুড়া
বগুড়ায় কিশোরকে আটকে রেখে নির্যাতন, ৬০ হাজার টাকা আদায়

বগুড়ায় কিশোরকে আটকে রেখে নির্যাতন, ৬০ হাজার টাকা আদায়

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়ায় এক কিশোরকে আটকে রেখে নির্যাতন করে তার পরিবারের কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা চাঁদা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে শিবগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আইনুল হকের বিরুদ্ধে। আহত অবস্থায় ওই কিশোরকে হাসপাতালে ভর্তি করার পর এসআই আইনুল চিকিৎসার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছেন।

তবে এসআই আইনুল হক টাকা নেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন পুলিশের সাথে উচ্চ বাচ্য করায় চড় থাপ্পড় দিয়েছি। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মত কিছু না।

আর শিবগঞ্জ থানার ওসি আব্দুর রউফ বলেছেন, এসআই আইনুলের মাথার (ব্রেইনের) সমস্যা রয়েছে।

নির্যাতনের শিকার শাকিল আহম্মেদ (১৭) শিবগঞ্জ থানার আটমুল ইউনিয়নের ভায়ের পুকুর মন্ডলপাড়া গ্রামের ছাকরাম হোসেনের ছেলে।

বুধবার ( ১৭ এপ্রিল) শিবগঞ্জ থানার কিচক বাজারে ছাকরাম হোসেনের রিকশা ও সাইকেলের খুচরা যন্ত্রাংশের দোকানে আটকে রেখে তার ছেলেকে নির্যাতন করা হয়।

ছাকরাম হোসেন বলেন, বুধবার সকাল ১০টার দিকে এসআই আইনুল তার দোকানে যান। এসময় তিনি জয়পুরহাটে ব্যবসায়িক কাজে অবস্থান করছিলেন। দোকানে তার ছেলে ও কর্মচারী ছিল। এসআই আইনুল দোকানে গিয়ে একটি মোটরসাইকেল দেখে সেটি চোরাই বলে থানায় নিয়ে যেতে চায়। পরে তার ছেলে বাড়ি থেকে কাগজপত্র এনে দেখানোর পর এসআই আইনুল বলেন দোকানের মালামাল ভারত থেকে চোরাই পথে আনা হয়েছে। বিষয়টি তার ছেলে মোবাইল ফোনে ছাকরাম হোসেনকে জানালে তিনি এসআই আইনুলের সাথে কথা বলেন।

এসআই আইনুল সেসময় দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে বলেন, টাকা না দিলে দোকানের মালামাল থানায় নিয়ে ভারতীয় মালামাল হিসেবে মামলা দিব। এ নিয়ে তার ছেলের সাথে তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে ছেলেকে দোকানে আটকে রেখে লোহার পাইপ দিয়ে মারধর শুরু করে। ছাকরাম হোসেন বলেন, ছেলেকে মারধরের খবর পেয়ে আমার স্ত্রী লাভলী বেগম বাড়ি থেকে ৬০ হাজার টাকা এবং দোকানের মালামাল কেনার মেমো নিয়ে কিচক বাজারে এসে দোকানে এসআই আইনুলকে দেন।

দুপুর দুইটার দিকে এসআই আইনুল ৬০ হাজার টাকা নিয়ে দোকান থেকে চলে যান। এদিকে নির্যাতনে শাকিল আহম্মেদ অসুস্থ হয়ে পড়লে বুধবার সন্ধ্যার পর তাকে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্সরিল) সকালে খবর পেয়ে এসআই আইনুল হাসপাতালে গিয়ে শাকিল আহম্মেদকে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে হাত ও পায়ের এক্সরে করান। পরে ওষুধ কিনে দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন এবং যাবতীয় চিকিৎসা খরচ বহন করার প্রতিশ্রুতি দেন। এছাড়াও ঘটনাটি কাউকে না জানানোর জন্য অনুরোধ করেন।

এবিষয়ে এসআই আইনুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি কিচক বাজারে আসামি ধরতে গেলে ছাকরামের দোকানে যাই। সেখানে তার ছেলে আমার সাথে উচ্চ বাচ্য করে। একারণে চড় থাপ্পর দিয়েছি। তবে কোন টাকা নেয়া হয়নি। তিনি বলেন, শাকিল আহম্মেদের বাবাকে ফোন করে বলেছি চড় থাপ্পর দেয়ার কারণে হাসপাতালে ভর্তি করানোর কারণ কি? এতে তারা স্বেচ্ছায় হাসপাতাল থেকে চলে গেছে।

শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ বলেন, শাকিল আহম্মেদের নির্যাতন করে ৬০ হাজার টাকা আদায়ের বিষয়টি জানা নাই। তবে এসআই আইনুল হকের মাথার সমস্যা আছে উল্লেখ করে ওসি বলেন, ২০২৩ সালের প্রথম দিকে তিনি রাজশাহী জেলার চারঘাটে গ্রামের বাড়িতে গিয়ে মারামারি করে গুরুতর আহত হয়েছিলেন। সেই সময় তার নামে চারঘাট থানায় মামলা হয়।

তিনি পাঁচ মাস কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন। যে কারণে বেশকিছুদিন সাময়িক বরখাস্ত ছিলেন। ওই ঘটনায় তার নামে বিভাগীয় মামলা চলমান রয়েছে। জমিজমা নিয়ে গ্রামে মারামারি করে মাথায় আঘাত পাওয়ার পর থেকেই তার ব্রেইনে (মাথায়) সমস্যা দেখা দেয়। তবে শাকিল আহম্মেদের বিষয়টি কেউ অভিযোগ না করলেও অনুসন্ধান করে সত্যতা পাওয়া গেলে এসআই আইনুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

;

অপপ্রচার রোধে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের সহায়তা নেওয়া হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অপতথ্য ও অপপ্রচার রোধে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের সহায়তা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দফতর কক্ষে তার সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মার সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।

তিনি আরও বলেন, অপতথ্য ও অপপ্রচারের ব্যাপারে ভারতের যেসব প্রতিষ্ঠান কাজ করে তাদের অভিজ্ঞতা, প্রক্রিয়া ও পদ্ধতিগুলো দুই দেশের মধ্যে বিনিময় করা হবে। এখানে কোন প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হলে সে জায়গায় পারস্পরিক সহযোগিতা বিষয়েও আলাপ হয়েছে। চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন খাতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করা হবে। 

প্রতিমন্ত্রী এ সময় সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট যে যে ক্ষেত্রে পারস্পারিক সহযোগিতার সুযোগ আছে, সে বিষয়গুলো নিয়ে ভারতের হাইকমিশনারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে পারস্পারিক সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশ উপকৃত হবে। চলচ্চিত্র ও টেলিভিশনের ক্ষেত্রে ভারতের যেসব অভিজ্ঞতা রয়েছে সেগুলো আমরা যথাসম্ভব নেয়ার চেষ্টা করব যাতে আমরা এসব ক্ষেত্রে আরও উন্নয়ন করতে পারি।

তিনি এ সময় আরও বলেন, বাংলাদেশ টেলিভিশনে (বিটিভি) দুই ঘণ্টাব্যাপী একটি সমসাময়িক আন্তর্জাতিক সংবাদ বিশ্লেষণ ও সংবাদ উপস্থাপন আমরা শুরু করতে যাচ্ছি। আন্তর্জাতিক মানে বিটিভিতে যে দুই ঘণ্টার কার্যক্রম শুরু করা হবে সেখানে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের খবরাখবর থাকবে এবং বিশ্ব সংবাদ থাকবে। এ বিষয়ে ভারতের সংবাদ সংস্থাগুলো বিশেষ করে এএনআই (এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনাল)-এর সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি করা যায় কীনা সে বিষয়টি নিয়ে হাইকমিশনারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। বিটিভির এ কার্যক্রম দিয়ে আমরা ভারতীয় দর্শকদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করব।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ভারতের চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের সঙ্গে একটা সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি করা, বিভিন্ন অভিজ্ঞতা বিনিময় ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচি আয়োজন, দুই দেশের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত মুজিব: একটি জাতির রূপকার চলচ্চিত্রের মতো আরও এ রকম চলচ্চিত্র যৌথ প্রযোজনা নির্মাণের সুযোগ আছে কীনা তা খতিয়ে দেখার বিষয়গুলো আলোচনা হয়েছে।

দর্শক চাহিদার আলোকে দুই দেশের মধ্যে চলচ্চিত্র বিনিময়ের বিষয়টিও এ সময় উল্লেখ করেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী।

;

পাইপে ফাটল, কর্ণফুলী পেপার মিলে পানি সরবরাহ বন্ধ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,রাঙামাটি
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় অবস্থিত বিসিআইসির অন্যতম কাগজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী পেপার মিলে (কেপিএম) গত ৩ দিন ধরে মিল এলাকা এবং আবাসিক এলাকায় পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। ফলে তীব্র গরমে পানির অভাবে এখানে বসবাসরত অফিসার, শ্রমিক, কর্মচারী এবং তাদের পরিবারের জীবনযাত্রা দুর্বিসহ হয়ে পড়েছে।

কেপিএম এর জিএম (এডমিন) আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, মিলে পানি সরবরাহের জন্য বারঘোনিয়া গেইট সংলগ্ন ফরেস্ট চেক পোস্ট এলাকায় বিশালাকার যে পাইপ রয়েছে সেই পাইপে ফাটল দেখা দিয়েছে। সেই ফাটল দিয়ে অনবরত পানি বের হতে থাকলে ফাটল সারানোর জন্য গত মঙ্গলবার হতে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কেপিএম এলাকায় পানি সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বিষয়টি কারখানা এবং আবাসিক এলাকায় বসবাসরত জনগণকে অবহিত করা হয়েছে।

কেপিএম এর প্রধান প্রকৌশলী আবুল কাশেম রনি বলেন, আনুমানিক ১৯৪৮ সালে মাটির প্রায় ১৫ ফুট গভীরে এই পানির পাইপ বসানো হয়েছিল। এই পাইপ ব্যবহার করে কেপিএম এর পানি সরবরাহ করে কাগজ উৎপাদন সহ আবাসিক এলাকায় পানির প্রয়োজন মেটানো হতো। এই পাইপ লাইনে ফাটল ধরায় গত মঙ্গলবার হতে কেপিএম এলাকায় পানি সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে এবং সাময়িক উৎপাদন বন্ধ রাখা হয়েছে। আমরা আশা করছি বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাতে বা আগামীকাল শুক্রবার সকালের মধ্যে পাইপ লাইন মেরামত করে পানি সরবরাহ স্বাভাবিক করতে পারব এবং উৎপাদনে ফিরতে পারব।

কেপিএম আবাসিক এলাকায় বসবাসরত মিলের সিবিএ সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, পানি বন্ধ থাকায় আবাসিক এলাকায় বসবাসরত শ্রমিক কর্মচারী এবং কর্মকর্তারা সাময়িক অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছেন। মিল কতৃপক্ষ দ্রুত এর সংস্কার কাজ করছেন বলে তিনি জানান।

এদিকে কেপিএম এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ( এমডি) মো. আব্দুল হাকিম মিলের বিভাগীয় প্রধানদের নিয়ে ফাটল এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে সংশ্লিষ্টদের দ্রুত পাইপ লাইন মেরামত করার নির্দেশনা দেন।

;