বৃষ্টিতে সবজির বাজারে আগুন, কমেছে ইলিশের দাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
বাজারের চিত্র, ছবি: শাহরিয়ার তামিম

বাজারের চিত্র, ছবি: শাহরিয়ার তামিম

  • Font increase
  • Font Decrease

বৃষ্টির প্রভাবে সরবরাহ কম থাকায় রাজধানীর কাঁচাবাজারে সবজি, মাছ ও মুরগীর দাম গত সপ্তাহের চেয়ে বেড়েছে। তবে সরবরাহ কম থাকলেও বিভিন্ন সাইজের ইলিশ মাছে কেজি প্রতি ১০০ টাকা কমেছে।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, কারওয়ান বাজার ও রামপুরা বাজার ঘুরে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে কেজি প্রতি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ২০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, ঢেঁড়শ ৪০ টাকা, পটল ৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, গাজর ৩০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৬০ থেকে ৭০ টাকা, কাঁকরোল ৬০ টাকা, মুলা ৫০ টাকা, কচু ৫০ টাকা, টমেটো ৮৫ টাকা, কাঁচা মরিচ ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, কচুর মুখি ৫০ টাকা, শসা ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, পেঁয়াজ ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৫৫, রসুন (চায়না) ১৪০ টাকা, রসুন (দেশি) ১৪০ থেকে ১৫০, আদা ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।



এছাড়াও করলা ৬০ টাকা, কচুর লতি ৪০ টাকা, কাঁচা কলা ২৫ থেকে ৩০ টাকা হালি, জালি কুমড়া ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, লেবু ২০ থেকে ৩০ টাকা হালি, প্রতি পিস লাউ ৩০ থেকে ৪০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ টাকা পিস, ফুলকপি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা পিস দরে বিক্রি হচ্ছে। আর গত সপ্তাহের তুলনায় কেজি প্রতি ৫০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে শিমের দাম এখন ১৫০ টাকা।

সবজি বিক্রেতা জুয়েল রানা বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে বাজারে সরবরাহ গত সপ্তাহের চেয়ে অনেক কম। তাই সবজির দাম বেড়েছে। সব সবজিতেই কেজি প্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত সপ্তাহে সরবরাহ কিছুটা ভালো ছিল, কিন্তু এ সপ্তাহে খুবই কম। আর শীতকালীন সবজির দাম অনেক বেড়েছে। বিশেষ করে শিমের দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ৫০ টাকা। এছাড়াও বেগুন, কাকরোল, বাঁধাকপি, ফুলকপিসহ অনেক সবজিরই দাম বেড়েছে।

দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন ক্রেতারা। দাম বাড়ানো নিয়ে অনেক ক্রেতাকেই বিক্রেতাদের সঙ্গে তর্কে জড়াতে দেখা গেছে।

বাজার করতে আসা এনজিও কর্মী শহিদুল ইসলাম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, কোনো অজুহাত পেলেই ব্যবসায়ীরা জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দেন। প্রত্যেকটা সবজি, মুরগিসহ দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়েছে। কেন বেড়েছে জিজ্ঞেস করলেই বলছে বৃষ্টির কারণে সরবরাহ কম, এটা আসলে একটা অজুহাত। তাদের এ অজুহাত নতুন নয়। গত সপ্তাহেও বলেছে সরবরাহ কম, তাদের সরবরাহ ভালো কবে থাকে সেটা তারাও জানেন না।’

সবজি বাজারে দাম বৃদ্ধি পেলেও ইলিশের দাম কেজি প্রতি ১০০ টাকা কমেছে। বড় সাইজের ইলিশ মাছ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায়, মাঝারি সাইজের ইলিশ মাছের কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায়, ছোট সাইজের ইলিশ মাছের কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায়।

সরবরাহ কম থাকায় অন্যান্য মাছের দাম কিছুটা বেড়েছে। দাম বেড়ে রুই মাছ কেজি প্রতি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বড় শিং মাছ ৭০০ টাকা কেজি, ছোট মাগুর ৬০০ টাকা কেজি, বড় চিংড়ি ৮০০ টাকা, ছোট চিংড়ি ৫০০ টাকা, দেশি মাগুর ৮০০ টাকা, চাষের মাগুর ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

কারওয়ান বাজারের মাছ বিক্রেতা বাদল হোসেন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, ইলিশ মাছ ছাড়া সব ধরনের মাছেই দাম কিছুটা বেড়েছে। মাছের সরবরাহ কিছুটা কম। তবে ইলিশ মাছ ধরা বন্ধ থাকলেও অনেক মাছ স্টকে ছিল, সেগুলো বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু ক্রেতার সংখ্যা কম। শুক্রবার যেমন ক্রেতা থাকে আজ তেমন নেই, বৃষ্টির কারণেই হয়তো ক্রেতারা কম আসছেন।

ডিমের ডজন গত সপ্তাহের মতোই ১০৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে ব্রয়লার মুরগির দাম গত সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে। সাদা ব্রয়লার মুরগির দাম কেজি প্রতি ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ১২০ টাকা। লাল লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। আকার ভেদে হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা দরে।

মাংসের মধ্যে গরু মাংস ৫৫০, খাসি ৮০০ ও ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকায়। দেশি মুরগি (৮০-৮৫০ গ্রাম) ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগি এক কেজি ওজনের ২৩০ টাকা ও ৮০০ গ্রাম ওজনের মুরগি ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

মুরগি বিক্রেতা মো. তারেক বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘ব্রয়লার মুরগির দাম কয়েকদিন ধরে ধাপে ধাপে বেড়েছে। পরশু সাদা মুরগি ছিল ১৩০ টাকা, গতকাল ১৩৫ টাকা আর আজ তা বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। একইভাবে দাম বেড়েছে লাল মুরগিরও। সরবরাহ কম থাকায় মূলত দাম বাড়ছে। বৃষ্টির কারণেই মূলত মুরগির সরবরাহ কম।’

   

শিক্ষকের মৃত্যুতে মানববন্ধন এলাকাবাসীর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

গাবতলীর আমিন বাজারের বাসিন্দা মেধাবী গণিত শিক্ষক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী আমিনুল ইসলামের মৃত্যুতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) দুপুরে জুম্মার নামাজের পর মিরপুর মফিদ-ই-আম স্কুল এন্ড কলেজের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে নিহত আমিনুল ইসলামের পরিবার শুভাকাঙ্ক্ষী ও এলাকাবাসী।

স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সাধারণ এলাকাবাসী মানববন্ধনে অংশ নিয়ে আমিনুল ইসলামের কথা স্মরণ করে তারা জানায়, আমিনুল ইসলাম ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী একজন শিক্ষক। সকলেই তাকে অনেক ভালোবাসতেন। ধর্মীয় অনুশাসন সবসময় মেনে চলতেন আমিনুল ইসলাম স্যার। এছাড়া ছাত্র জীবনে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন।

কিন্তু হঠাৎ করেই গত ২৬ মার্চ রাতে ছাত্রীকে পড়ানো শেষ করে বাসায় ফেরার পথে রাতে শ্যামলী পরিবহনের একটি গাড়ি তাকে আঘাত করে চলে যায়। তারপর হাসপাতালে নেয়ার আগে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

অভিযুক্ত গাড়ির চালক গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করলে সাভার হাইওয়ে পুলিশ ধামরাই থেকে তাকে আটক করেন।

এলাকাবাসী বলছে, অনিয়ন্ত্রিত গতির জন্যেই মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনার স্বীকার হতে হলো তাকে। তাই গাবতলি থেকে আমিন বাজার সাভারে চলাচল করা সকল ধরনের গাড়ির অনিয়ন্ত্রিত গতি ঠেকাতে হবে। চালকদের বেপরোয়া ড্রাইভিং এবং মহাসড়কে অপরিকল্পিত উন্নয়ন কাজসহ সড়ক অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করে তা নিরসনে ভূমিকা রাখতে আহ্বান জানান এলাকাবাসী।

সেই সাথে দ্রুত অভিযুক্ত চালককে উপযুক্ত শাস্তি প্রদান করা হোক এবং সড়ক নিরাপত্তা আরো জোরদার করা হোক।

;

ভরসার খালে নোনা পানি, নিরুপায় কৃষক



ডিস্ট্রিক করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খুলনা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কিছুদিন আগেও সরষে ফুলে ভরে ছিল মাঠ। এরই মধ্যে ঘরে উঠেছে সূর্যমুখী এবং আলু। এখন তরমুজ চাষাবাদের ভরা মৌসুম। বাড়ছে রোদের প্রখরতা। মাটি হারাচ্ছে জোঁ। ফলে সকাল সন্ধ্যে দুর থেকে পাইপ দিয়ে পানি আনতে হচ্ছে সেখানে। যদিও ওই জামির পাশেই খুলনার কয়রা উপজেলার তেরআউলিয়া খালে ঢেউ খেলছে নোনা পানি।

ওই খালের উপর ভরসা করেই এ এলাকার কয়েক‘শ একর জমি চাষাবাদ হয় দীর্ঘদিন ধরে। তবে বর্ষার শেষ থেকে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত ওই খালে থাকে মিষ্টি পানি। তবে বর্তমানে ইজারাদার ওই খালে কৌশলে ঢুকিয়েছে নোনা পানি। ফলে নষ্ট হতে বসেছে কৃষকের পরিশ্রমে গড়া লালিত স্বপ্ন।

যদিও এসব খালে নোনাপানি ওঠানো নিষেধ। কিন্তু ইজারাগ্রহীতারা গোপনে স্লুইস গেটের কপাট খুলে নোনাপানি তোলে। ফলে ওই সব খালের পানির ভরসা করে যারা চাষাবাদ করে। তখন তাদের কপালের ভাঁজ বাড়তে শুরু করে। প্রতিবছর ওই এলাকার কৃষকেরা তেরআউলিয়া খালের উপর ভরসা করে বীজ বুনে। কিন্তু স্বপ্ন পূরণের আগেই ইজারাদারের কৌশলের কাছে স্বপ্নভঙ্গ হয় কৃষকদের। বাধ্য হয়ে কৃষকেরা দূর থেকে পাতা পাইপলাইন থেকে উচ্চমূল্যে পানি আনে। বেড়ে যায় চাষাবাদের খরচ। লাভের খাতা ছোট হয়ে তৈরি হয় লোকসানের খাতা।

খুলনা জেলার কয়রা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তর সূত্রে জানাযায়, কয়রা উপজেলার ৩৯টি খাল নিয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ে একটি প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ওই খালগুলোতে নোনা পানির অনুপ্রবেশ বন্ধ করলে এবং মিষ্টি পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা গেলে ওই এলাকর ৭ হাজার ২ হেক্টর জমিতে বছরে ৩শ’ ৭০ কোটি ৮০ লাখ টাকার ফসল উৎপাদন করা সম্ভব হবে।

কয়রা উপজেলার চুন্ডিপুর গ্রামের এই তেরআউলিয়া খালের একপাশ দিয়ে চলে গেছে চলাচলের রাস্তা। আর অন্য পাশে সুবিশাল ক্ষেত। এই খালটি উপজেলার মসজিদকুড় গ্রাম থেকে শুরু হয়ে চন্ডিপুর, দশবাড়িয়া, কিনুকাঠী, খেপনা গ্রামের মধ্য দিয়ে ঘোষখালী খাল হয়ে শিবসা নদীতে মিশেছে।

ওই গ্রামের কৃষক আফসার আলী গাজী জানান, আমাগে খেতের পাশেই খাল। খালে পানি ভরা। কিন্তু সে পানিতে চাষাবাদ হয় না। খেতের জন্য পানি আনতে হয় ৩ রশি দূরে সেচ পাম্প থেকে। অনেক খরচ। কিন্তু করবো। খালের পানি এতো নোনা যে, ওই পানি একটু গাছের গায়ে লাগলে কচি গাছ মরে যায়।

উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের কৃষক মোঃ ইসহাক আলী সরদার জানান, আমি আমার সাড়ে তিন বিঘা জমিতে আমন চাষের পর সবজি আবাদের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার জমির পাশে তেরআউলিয়া নামের এ খালে মিঠাপানি ছিল। বর্তমানে নোনাপানি উঠিয়ে মাছ চাষ করছেন খালের ইজারাদার। ফলে খালের আশপাশে প্রায় ২০০ একর জমিতে চাষাবাদে পানির স্কংট দেখা দিয়েছে। শুধু এ খাল নয়, আমাদের উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে এমন শতাধিক বন্ধ খাল মাছচাষিদের কাছে প্রতি ৩ বছর পরপর ইজারা প্রশাসন।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এ এলাকার প্রায় সব বিলের মধ্যে ছোট-বড় খাল রয়েছে। এসব খাল বর্ষা মৌসুমে মিষ্টি পানিতে টৈটম্বুর থাকে। শুষ্ক মৌসুমে এ খালের পানি সেচ কাজে লাগাতে পারলে চাষিরা লাভবান হতেন। কিন্তু সেই সময় ইজারাদাররা গোপনে নোনাপানি তোলে।

চুন্ডিপুর গ্রামের ওই তেরআউলিয়া খালের ইজারাদার মো. মইনুদ্দিন মিস্ত্রি জানান, এই খালটি স্লইজ গেটের কাছে। অন্যদিকে ওই স্লুইজ গেটের পাটা বা গেটটি নষ্ট। সেজন্য কিছু নোনা পানি উঠেছে। কদিন আগে সেটি সংস্কার করা হয়েছে। ফলে আর নোনা পানি উঠবে না।

কয়রা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, এ সমস্যায় জন্য অনেক কৃষক আমাদের কাছে আসে। কিন্তু আমাদের কি করার আছে? আমরা কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দেই।

কয়রা উপজেলা জলমহাল কমিটির সভাপতি ও কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বি এম তারিক-উজ-জামান জানান, রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যে খাল, জলাশয়, খাস জমি ইজারা দেয়া হয়। তবে সেখানে নোনাপানি তোলা যাবে না। যদি কেউ গোপনে নোনাপানি তুলে কৃষকের ক্ষতি করে, তাহলে ওই ইজারা বাতিল করা হবে।

;

বাড়তি ভাড়া চেয়ে হয়রানি করলেই কঠোর ব্যবস্থা: আইজিপি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের কাছ থেকে গণপরিবহনে বাড়তি ভাড়া আদায়ের মাধ্যমে হয়রানির চেষ্টা করলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) দুপুরে রাজারবাগে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন আইজিপি।

চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, বাড়তি ভাড়া আদায়ের চেষ্টা করলে জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯ নম্বরে অথবা সংশ্লিষ্ট থানায় ফোন করে সহায়তা নেওয়ার আহ্বান করছি। ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া আদায়ের মাধ্যমে হয়রানির চেষ্টা করলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি জানান, ঈদ যাত্রাকে নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত করতে নৌ-পুলিশ, রেলওয়ে পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ তাদের প্রস্তুতি নিচ্ছে। পাশাপাশি জেলা পুলিশও তাদের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এবার ঈদের ছুটি একটু লম্বা হবে। এজন্য পর্যটন স্পটগুলোতে দর্শনার্থীদের একটু ভিড় হতে পারে। সার্বিকভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য আমরা পরিকল্পনা গ্রহণ করছি।

আইজিপি বলেন, সরকার বহুমুখী উন্নয়ন করছে, রাস্তা অনেক প্রশস্ত হয়েছে। উদাহরণে বলা যায়, চন্দ্রায় মাত্র একটি সড়ক ছিল। এখন রাস্তাও অনেক প্রশস্ত হয়েছে আবার ডাইভারশনও হয়েছে। সারা দেশের সড়ক ব্যবস্থাই অনেক উন্নত হয়েছে। আমি আশা করছি— আমাদের ঈদ যাত্রীদের নিরাপদে ও নির্বিঘ্নে তাদের গন্তব্যে পৌঁছতে পারব। সেই সঙ্গে যথাসময় সবার ঈদযাত্রা সমাপ্ত হবে বলে আমি আশা করছি।

ঈদের ছুটিতে ফাঁকা ঢাকায় অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন আইজিপি।

;

কক্সবাজারে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ডিভাইসসহ আটক ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজারে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অবৈধ নকল করার ডিভাইসসহ ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৯ মার্চ) জেলার সিটি কলেজ কেন্দ্রে সমাজ বিজ্ঞান ভবনের ৪০২ নম্বার কক্ষ থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃত দুজন হলেন, খুরুশকুলের নুরুল হক ও চকরিয়ার তৌহিদুল ইসলাম।

কক্সবাজার সিটি কলেজের অধ্যক্ষ ক্য থিং অং বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিষয়টি জানার পর পুলিশের মাধ্যমে সন্দেভাজন দুই জনকে তল্লাশি করলে হাতের বাহুর নিচে লুকানো অবস্থায় একটি টু ওয়ে কানেক্টেড ডিভাইস পাওয়া যায়। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) তাপ্তি চাকমাসহ পুলিশের সহযোগিতায় তাদেরকে আটক করা হয়।

ক্য থিং অং আরও বলেন, ঘড়ি মোবাইল বা ইলেকট্রনিকস কোনো কিছু নিয়ে পরীক্ষার কেন্দ্রে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তারা এ কাজ করেছে। এটা খুবই অন্যায়।

;