টিকিট আছে তবে ‘স্বৈরাচারী দামে’! 



শাহরিয়ার হাসান,বার্তা২৪.কম 

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা: ‘যখন অগ্রিম টিকিট ছাড়ল আমি অনেক চেষ্টা করেও হানিফের টিকিট পাইনি। আজকে পেয়েছি, কিন্তু ‘স্বৈরাচারী দামে’। কাউন্টারের লোকজনদের আচরণ স্বৈরাচারের মতো হয়ে গেছে। যার কাছে পাচ্ছে ইচ্ছামত ভাড়া নিচ্ছে। লোকাল পরিবহনগুলো পযর্ন্ত দেড় হাজার টাকার নিচে নামছে না।’

ক্ষোভ বিরক্তিমাখা কণ্ঠে বার্তা২৪.কমকে কথাগুলো বলছিলেন উত্তবঙ্গের যাত্রী গোলজার রহমান সবুজ। প্রিয়জনের সঙ্গে নীলফামারীতে যাচ্ছেন ঈদ করতে।

ঈদের বাকি আছে আর ২ বা ৩ দিন। কয়েকদিন থেকে বাস টার্মিনালগুলোতে ঘরমুখো মানুষের চাপ যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে টিকিটের জন্য হাহাকার।

অগ্রিম টিকিট বিক্রির শুরু থেকে টিকিটের সংকট দেখায় পরিবহন সংশ্লিষ্টরা।  এ সংকট সবচেয়ে বেশি থাকে জনপ্রিয় পরিবহনগুলোতে। তবে নামিদামি পরিবহনগুলোর দুস্প্রাপ্য সেই টিকিট আজও পাওয়া যাচ্ছে। এক্ষেত্রে এই টিকিট পেতে গেলে স্বাভাবিকের তুলনায় গুণতে হচ্ছে তিনগুণেরও বেশি ভাড়া। 

বুধবার (১৩ জুন) সরজমিনে কল্যাণপুর ও গাবতলী বাস টার্মিনাল ঘুরে কাউন্টারগুলোরতে চড়া দামে টিকিট বিক্রির চিত্র দেখা যায়।

কল্যাণপুর টার্মিনাল। গিজগিজ করছে ঘরমুখোর মানুষের পদচারণায়। যারা অগ্রিম টিকিট পেয়েছেন অধির হয়ে বসে আসেন বাসের অপেক্ষায়। আর যারা টিকিট পাননি তারা ছুটছেন কাউন্টারে কাউন্টারে টিকিটের আশায়। কেউ কেউ সোনার হরিণ এই টিকিট কিনছেন অতিরিক্ত মূল্য দিয়ে। এর মধ্যে ন্ম্নি আয়ের মানুষ কাউন্টারের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন একটু কম দামের আশায়।তবে কোনো ভাবেই টিকিটের দাম ছাড়ছেন না কাউন্টার সংশ্লিষ্টরা।

/uploads/files/3IrHD82Rblvu67cPoLOwSeL9GKkiNyoU3Rjw2t1W.jpegবিকেল তিনটায় কল্যাণপুর হানিফ কাউন্টারে প্রবেশ করতেই, গেঞ্জি পরিহিত এক লোক ঈশারা করলেন। টিকিট নিতে এসেছি জানার পর হানিফ পরিবহেনর কর্মকর্তা হাসান নামে ওই লোক জানান, আজ, আগামীকাল-পরশু প্রত্যেক দিনের টিকিট আছে। কয়টা লাগবে বলেন। তবে ভাড়া বেশি পরবে। ঈদের বাজার বুঝতেই পারছেন!

বগুড়ার ননএসি’র ভাড়া জানতে চাইলে হাসান বলেন, বগুড়ার কোন বাস নেই। বাস সব নওগাঁর, আমার কাছে থেকে নিলে একদাম ১৩০০ টাকা পরবে। কাউন্টারে বেশি পারবে। বি, সি, ডি যে কোন সিরিয়ালে সিট দিতে পারবো। লাগলে জানাবেন বলে মোবাইল নাম্বার হাতে ধরিয়ে দেন হাসান।

তার সুত্র ধরে কাউন্টারে বসা অন্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাদা, আলাদা ভাবে জানতে চাইলে প্রায় সবার কাছেই টিকিট আছে এমনটা জানান তারা।

বগুড়ার স্বাভাবিক সময়ে ৩৫০ টাকা ভাড়া হলেও ঈদের এই সময়ে যাত্রীর চাহিদার সুযোগ নিয়ে ১২০০- ১৫০০ টাকা নিচ্ছে হানিফ পরিবহনেরসহ অন্য পরিবহনের কর্মকর্তারা।

অন্যদিকে উত্তরবঙ্গগামী পরিবহন  এসআর, টিআই, ডিপজল, শ্যামলী কাউন্টারে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, তাদের কাছেও কিছু টিকিট রয়েছে। তবে কিনতে হলে গুণতে হবে দাম হাজারের বেশি টাকা।

যাত্রীদের অভিযোগ, কাউন্টারের লোকজন সব টিকিট অগ্রিম বিক্রি না করে নিজেদের কাছে রেখে দেয়। পরে ঈদের আগে আগে এগুলো ছাড়ে। এ সময় যাত্রীদের মধ্যে টিকিট না পাওয়ার হতাশা থাকায়; এ সুযোগটা তারা কাজে লাগায়।

তবে কাউন্টার কর্মকর্তারা এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলছেন, অনেক যাত্রী টিকিট ফেরত দেয়, সেগুলো আমরা বিক্রি করি।টুকটাক বেশি তো নিতে হয়।

এদিকে ঈদের টিকিট ফেরত নেওয়া হয় না বলে জানান আরেক পরিবহনের সুপারভাইজার। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক টিআর পরিবহনের এই কর্মকর্তা জানান, এই সব মিথ্যা কথা। কাউন্টারের লোকেরা নিজেরাই ৫/১০ করে টিকিট কিনে রেখে দেয়। পরে বিপদে পরা যাত্রীদের কাছ থেকে দুই তিন গুণ দামে টিকিট বিক্রি করে।

   

ট্রাক্টরের নিচে পড়ে প্রাণ গেল চালকের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুড়িগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার রাজার ভিটায় নজরুল ইসলাম (৪০) নামে এক ট্রাক্টর ড্রাইভার ট্রাক্টরের নিচে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

চিলমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হারেসুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। নিহত চালক চিলমারী উপজেলার বালাবাড়ি ফকিরের কুটি গ্রামের মরহুম ভোলা মাহমুদের ছেলে।

এলাকাবাসীরা জানায়, নজরুল ইসলাম নামে ওই ড্রাইভার দীর্ঘদিন ধরে রাজারভিটার মিঠু মিয়ার ট্রাক্টরে চালক হিসেবে কাজ করে আসছিলেন। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে রাজার ভিটা জোলার মোড়ের পাশে বাঁধের রাস্তায় মাটি নামিয়ে দিয়ে গাড়ি ঘোরাতে গিয়ে ট্রাক্টরের নিচে চাপা পড়ে গুরুতর আহত হন। এরপর তাকে দ্রুত চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নজরুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঐ ট্রাক্টরটি বিআইডব্লিউটিএ এর বাঁধ নির্মাণের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছিলো। এব্যাপারে দ্বায়িত্বে থাকা ঠিকাদার মোস্তাফিজার রহমান সাজু বলেন, দুর্ঘটনার বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি ঐ কাজটি অন্য এক ঠিকাদারকে সাব-কন্ট্রাক্ট দিয়েছি।

চিলমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হারেসুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি জেনেছি। যতদূর জেনেছি চালক একা একা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাক্টরের নিচে চাপা পড়েছেন। বিষয়টি আরও তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

;

উপজেলা ভোট: প্রশাসনের উচ্চপদস্থদের সঙ্গে বসবে ইসি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সারাদেশের প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) নির্বাচন কমিশন থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ইসি সূত্রে জানা গেছে, আগামীকাল বৃহস্পতিবার সব বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ কমিশনার (সংশ্লিষ্ট), রেঞ্জের উপমহাপুলিশ পরিদর্শক, জেলা প্রশাসক, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং পুলিশ সুপারদের উপস্থিতিতে বৈঠকে নির্বাচন নিয়ে দিক নির্দেশনা দেবে ইসি। ওদিন বেলা ১১টায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অডিটরিয়ামে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সভাপতিত্বে বৈঠকটিতে নির্বাচন কমিশনাররা, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।

এর আগে, গত মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার বিষয় নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে নির্বাচন কমিশন।

ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচন চার ধাপে শেষ করতে চায় নির্বাচন কমিশন। এ লক্ষ্যে তফসিল ঘোষণা করেছে সাংবিধানিক এ প্রতিষ্ঠানটি।

;

তীব্র গরমে উচ্চ ঝুঁকিতে শিশুরা: ইউনিসেফ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশজুড়ে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। অসহনীয় এই তামপাত্রায় শিশুদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিয়ে ইউনিসেফ গভীর উদ্বিগ্ন। ইউনিসেফের ২০২১ সালের শিশুদের জন্য জলবায়ু ঝুঁকি সূচক (সিসিআরআই) অনুযায়ী, বাংলাদেশে শিশুরা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ রয়েছে।

অস্বাভাবিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি শিশুদের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করে, বিশেষ করে নবজাতক, সদ্যোজাত ও অল্পবয়সী শিশুদের জন্য। হিটস্ট্রোক ও পানিশূন্যতাজনিত ডায়রিয়ার মতো, উচ্চ তাপমাত্রার প্রভাবে সৃষ্ট অসুস্থতায় এই বয়সী শিশুরা বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে বলে জানিয়েছে আর্ন্তজাতিক এই সংস্থাটি।

শিশুদের ওপর তাপমাত্রা বৃদ্ধির নেতিবাচক প্রভাব বিবেচনায় নিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সারা দেশে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছে। এই পরিস্থিতিতে ইউনিসেফ বাবা-মায়েদের প্রতি তাদের সন্তানদের পানিশূন্যতা থেকে রক্ষা ও নিরাপদ রাখার জন্য বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানাচ্ছে।

চলমান এই তাপপ্রবাহসহ জলবায়ু পরিবর্তনের আরও ক্ষতিকর প্রভাব থেকে শিশুদের রক্ষা করার জন্য জরুরি পদক্ষেপ নেবার এখনই সময়।অস্বাভাবিকভাবে তাপমাত্রা বাড়তে থাকায়, আমাদেরকে আগে শিশু ও সবচেয়ে অসহায় জনগোষ্ঠীকে নিরাপদে রাখার প্রতি নজর দিতে হবে।

তাপপ্রবাহ থেকে শিশু ও অন্তঃসত্ত্বা নারীদের সুরক্ষার জন্য ইউনিসেফ সম্মুখসারির কর্মী, বাবা-মা, পরিবার, পরিচর্যাকারী ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের প্রতি নিম্নোক্ত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছে।

>> প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা: শিশুরা যেখানেই থাকুক না কেন তাদের বসা ও খেলার জন্য ঠাণ্ডা জায়গার ব্যবস্থা করুন। তপ্ত দুপুর ও বিকেলের কয়েক ঘণ্টা তাদের বাড়ির বাইরে বেরোনো থেকে বিরত রাখুন। শিশুরা যেন হালকা ও বাতাস চলাচলের উপযোগী পোশাক পরে, তা নিশ্চিত করতে হবে। সেই সঙ্গে সারা দিন তারা যেন প্রচুর পানি পান করে, সেটাও নিশ্চিত করতে হবে।

>> প্রাথমিক চিকিৎসা: যদি কোনো শিশু বা অন্তঃসত্ত্বা নারীর মধ্যে ‘হিট স্ট্রেস’ বা তাপমাত্রাজনিত সমস্যার উপসর্গ দেখা দেয় (যেমন, মাথা ঘোরা, অতিরিক্ত ঘাম হওয়া, বমি বমি ভাব, হালকা জ্বর, নাক দিয়ে রক্ত পড়া, মাংসপেশীতে টান, ডায়াপার পরার জায়গাগুলোতে ফুসকুড়ি) তাহলে তাকে একটি ঠাণ্ডা জায়গায় নিয়ে যান যেখানে ছায়া এবং পর্যাপ্ত বাতাস চলাচলের সুযোগ আছে। এরপর ভেজা তোয়ালে দিয়ে তার শরীর মুছিয়ে দিন বা গায়ে ঠাণ্ডা পানি দিন। তাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি বা খাবার স্যালাইন (ওআরএস) পান করতে দিন। তবে হিট স্ট্রেসের (তাপমাত্রাজনিত অসুস্থতার) উপসর্গ তীব্র হলে (যেমন কোন কিছুতে সাড়া না দিলে, অজ্ঞান হয়ে পড়লে, তীব্র জ্বর, হৃদস্পন্দন বেড়ে গেলে, খিঁচুনি দেখা দিলে এবং অচেতন হয়ে পড়লে) সাথে সাথে হাসপাতালে নিতে হবে।

>> আপনার প্রতিবেশীদের খেয়াল রাখুন: তাপপ্রবাহ চলাকালে অসহায় পরিবার, প্রতিবন্ধী শিশু, অন্তঃসত্ত্বা নারী ও প্রবীণ ব্যক্তিরাই সবার আগে অসুস্থ হয়ে পড়েন, এমনকি মৃত্যুর উচ্চ ঝুঁকিতেও তারাই বেশি থাকেন। আপনার প্রতিবেশী, বিশেষ করে যারা একা থাকেন, তাদের খোঁজ নিন ও খেয়াল রাখুন।

;

তাপদাহে স্কুল খোলা, সরকারি নির্দেশনা মানছেন না প্রধান শিক্ষক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
তাপদাহে স্কুল খোলা, সরকারি নির্দেশনা মানছেন না প্রধান শিক্ষক

তাপদাহে স্কুল খোলা, সরকারি নির্দেশনা মানছেন না প্রধান শিক্ষক

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীসহ দেশজুড়ে চলছে তীব্র তাপদাহ। এই সময়ে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। কিন্তু সরকারি নির্দেশ অমান্য করে ঝুঁকি নিয়ে স্কুল খোলা রেখেছেন শাহ আলী থানার এডভান্স চাইল্ড কেয়ার একাডেমির প্রধান শিক্ষক সিকদার মিরাজুল। তিনি প্রতিষ্ঠান খোলা রেখে নিয়মিত ক্লাস পরিচালনা করছেন।

তীব্র গরমের মধ্যেও প্রতিষ্ঠান খোলা রাখায় অভিভাবকদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে সরেজমিনে গেলে এই প্রতিবেদকের উপস্থিতি টের পেয়ে দ্রুত শিক্ষার্থীদের ছুটি দিয়ে দেন প্রধান শিক্ষক মিরাজুল।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঈদের তৃতীয় সপ্তাহে অনেকটা জোর করে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে আসতে বাধ্য করছেন প্রধান শিক্ষক।

এমনকি শিক্ষার্থীদের কেউ স্কুলে অনুপস্থিত থাকলে তাদের স্কুল থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক। এই হুমকির মুখে তারা স্কুলে আসতে বাধ্য হচ্ছেন।

স্কুলে গিয়ে দেখা যায়, শাহ আলী থানার রাইন খোলা শাখার সকল শিক্ষক উপস্থিত। প্রধান শিক্ষক কাজে ব্যস্ত। প্রতিষ্ঠানের সামনে জাতীয় পতাকা উড়ছে। কয়েকজন শিক্ষক জানান তারা প্রতিবাদও জানিয়েছেন। কিন্ত প্রধান শিক্ষক কিছুতেই সরকারি নির্দেশনা মানছেন না।

বরং প্রধান শিক্ষক বলছেন, সকল সরকারি নিয়ম মেনে চললে প্রতিষ্ঠান চালানো যাবে না। তীব্র তাপদাহ সম্পর্কে প্রধান শিক্ষক সাধারণ শিক্ষকদের আশ্বস্ত করতে বলেন, এটা সরকারের একটা পলিসি।

সাংবাদিক পরিচয়ে প্রধান শিক্ষক মিরাজুল ইসলামকে স্কুল খোলা রাখার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনারা এত খারাপ কেন। আমার প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখি আর খোলা রাখি সেটা আমার ব্যাপার । সরকারের সব সিদ্ধান্ত মেনে আমার স্কুল চালাতে পারবো না।

এ বিষয়ে শাহ আলী থানার ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা রাবেয়া বলেন, তার বিরুদ্ধে ইতিপুর্বে অনেক অভিযোগ এসেছে।

;