চট্টগ্রামে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে অপহরণ, গ্রেফতার ৫
চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলী থানায় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে অপহরণের পর ছিনতাইয়ের ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৭ মার্চ) রাতে পাহাড়তলী ও হালিশহর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১টি মোবাইল, ১টি স্বর্ণের আংটি, নগদ ১০ হাজার ৫০ টাকা জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- রাকিবুল হাসান রাকিব (২৭), মো. শাহবুদ্দিন সাইমন (২৬), ওমর বিন কিবরিয়া রাজ (২৭), মো. সাদমান ফয়েজ সংলাপ (২৬) ও মো. ইসমাইল হোসেন বাঁধন (২৬)।
পাহাড়তলী থানার এসআই মো. মনির হোসেন বলেন, গত ২৪ মার্চ সন্ধ্যায় সাগরিকা মোড়ে অজ্ঞাতনামা ৩ জন ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তিকে জোরপূর্বক সিএনজি অটোরিকশায় তুলে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যায়। এরপর তাকে একটি পরিত্যক্ত মুরগির ফার্মের ভিতরে আটকে রাখে। পরে আট থেকে দশ জন তাকে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে ১টি মোবাইল, মানিব্যাগে থাকা নগদ ১৯ হাজার ৮শ টাকা নিয়ে নেয়। এছাড়া তার বিকাশ ও নগদের পাসওয়ার্ড নিয়ে সাড়ে ২৯ হাজার টাকা, ২টি স্বর্ণের ও রুপার আংটি, একটি রোলেক্স ঘড়ি ছিনিয়ে নেয়।
এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে ছিনতাইকারী চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতদের ১০ জনের একটি গ্রুপ আছে। তাদের কাছে ওয়াকিটকিও থাকে। তারা লোকজনকে ফাঁদে ফেলে গত একমাসে প্রায় ৪০টি অপহরণের ঘটনা ঘটিয়েছে। ভয়েস রেকর্ড করে ফোনে শুনিয়ে ভয় দেখিয়ে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় অনেক ভুক্তভোগী অভিযোগ করছে। আমরা তাদের মামলা করার পরামর্শ দিয়েছি।
ভালুকায় মহাসড়কে অবৈধ ভাসমান দোকান উচ্ছেদে অভিযান
ময়মনসিংহের ভালুকায় সড়ক ও জনপথের জায়গা দখল করে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালিয়েছে সড়ক ও জনপদ বিভাগ। অভিযানে মূল দোকানগুলো উচ্ছেদ না করে ভ্রাম্যমান দোকান সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকালে উপজেলার জামিরদিয়া মাস্টারবাড়ি, সিডস্টোর ও ভালুকা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক দখল করে উপজেলার ভালুকা বাসস্ট্যান্ড, সিডস্টোর বাজার ও মাস্টারবাড়ি বাজার এলাকায় কতিপয় প্রভাবশালী লোকেরা অবৈধভাবে শত শত দোকান নির্মাণ করে ভাড়া দিয়ে প্রতি মাসে হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা। আর এসব অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠার কারণে ভালুকার ওই তিনটি স্থানে যানযটের সৃষ্টি হয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় যানবাহনে চলাচলরত যাত্রী ও পথচারীদের।
মাঝে মধ্যে উচ্ছেদ অভিযান হলেও তা লোক দেখানো বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার সকালে সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ মোফাখখারুল ইসলামের নেতৃত্বে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। তবে আসন্ন ঈদের কারণে ভ্রাম্যমাণ কিছু দোকান সরিয়ে অভিযান সমাপ্ত করা হয়। এ সময় ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ কামাল আকন্দ, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর কামরুজ্জামান বকুল ও পরিদর্শক (তদন্ত) জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন।
ময়মনসিংহ (দক্ষিণ) সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ মোফাখখারুল ইসলাম জানান, রাস্তা থেকে ১০ ফিট দূরে থাকবে দোকান পাট, তবে ঈদের পরে উচ্ছেদ অভিযান চলবে।
ঈদে দুরপাল্লার যানবাহন নির্বিঘ্নে চলাচলের জন্য মহাসড়কের উপর ভ্রাম্যমান দোকানগুলো সরিয়ে দেয়া হয়েছে।
কারওয়ান বাজার থেকে ডিএনসিসির আঞ্চলিক কার্যালয় স্থানান্তরের কার্যক্রম শুরু
কারওয়ান বাজারের ঝুঁকিপূর্ণ ভবন থেকে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) আঞ্চলিক কার্যালয় স্থানান্তরের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই অফিসটি সরিয়ে মোহাম্মদপুর শিয়া মসজিদ সংলগ্ন মোহাম্মদপুর কমিউনিটি সেন্টারে নেওয়া হচ্ছে। মোহাম্মদপুর কমিউনিটি সেন্টারে হবে ডিএনসিসি'র অঞ্চল-০৫ এর অস্থায়ী আঞ্চলিক কার্যালয়।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকাল থেকে আঞ্চলিক কার্যালয়ের মালামাল স্থানান্তরের কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হয়।
সকাল ১১টার দিকে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ডিএনসিসির আঞ্চল-৫-এর কার্যালয়ের সামনে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোতাকাব্বীর আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘ডিএনসিসির কার্যালয় স্থানান্তরের মাধ্যমে কারওয়ান বাজারের স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। ঈদের আগে অফিসের সবকিছু সরিয়ে নেওয়া হবে এবং ঈদের পরে ভবনটি ভাঙা হবে। ঈদের পরে ঝুঁকিপূর্ণ এই ভবনে থাকা ১৭৬টি দোকান গাবতলীতে সরিয়ে নেওয়া হবে। এছাড়াও ঈদের পরে অস্থায়ী আরও ১৮০টি দোকানও গাবতলীতে স্থানান্তর করা হবে।'
উল্লেখ্য, কারওয়ান বাজার স্থানান্তরের বিষয়ে গত ১৮ মার্চ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করে ডিএনসিসি। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
সভায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, 'ঈদের পরে কারওয়ান বাজারে ডিএনসিসির পরিত্যক্ত ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভেঙে ফেলা হবে। কারওয়ান বাজারের এই কাঁচাবাজারের ভবনটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। যেকোনো সময় এটি ধসে পড়তে পারে। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের কারণে বহু মানুষের জীবন হুমকিতে রয়েছে। কারওয়ান বাজারস্থ পাইকারি কাঁচাবাজারের এই ব্যবসায়ীদের গাবতলিতে ডিএনসিসির পাইকারি কাঁচাবাজারে স্থানান্তর করা হবে।'
ঈদকে ঘিরে নগর জুড়ে জাল নোট সরবরাহ করতেন তারা
চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালী থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এক লাখ টাকার জাল নোটসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঈদকে ঘিরে তারা নগরের বিভিন্ন এলাকায় জাল নোট সরবরাহ করতেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম ওবায়দুল হক এ তথ্য জানান।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন— কক্সবাজার জেলার পেকুয়া থানার রাজাখালী ইউনিয়নের গোলাম কাদেরের ছেলে মো. মনিরুল আলম (৪৭), বাকলিয়া থানার কালামিয়া বাজারের মৃত ইউনুছের ছেলে মো. হারুনুর রশিদ (৩৪) এবং বোয়ালখালী উপজেলার পশ্চিম গোমদন্দী এলাকার মো. নুরুল আলমের ছেলে মো. মাসুদ আলম প্রকাশ চৌধুরী (৩৫)।
পুলিশ জানায়, নগরের নিউ মার্কেট, রিয়াজউদ্দিন বাজার ও টেরীবাজারসহ আশপাশ এলাকায় ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে জাল টাকা সরবরাহ করেন তারা। দীর্ঘদিন যাবৎ তারা এ ব্যবসায় জড়িত।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম ওবায়দুল হক বলেন, ‘গত ২৩ মার্চ স্টেশন রোড থেকে মনিরুল এবং হারুনুর রশিদকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে এক লাখ টাকার জালনোট উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ফিরিঙ্গি বাজারে অভিযান চালিয়ে মাসুদকে গ্রেফতার করা হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘গ্রেফতার আসামিদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।’