ইমিগ্রেশন পুলিশের খামখেয়ালিপনায় ফ্লাইট মিস যাত্রীর!



সাব্বির আহমেদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা: বুধবার রাত ১১ টা ৫ মিনিটের মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ধরে ভিয়েতনাম বেড়াতে যাচ্ছিলেন সুমন আহমেদ জিতু। সঙ্গে ছিলো পর্যাপ্ত ডলার, ভিসা স্টিকার ও  বিল পরিশোধসহ হোটেল বুকিং ও  ১৯ জুলাই যে ফেরত আসবেন তার রিটার্ন টিকিটও।

এরপরও শাহজালাল বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটকে দেয়। কারণ ব্যাখা না করে ফ্লাইট ছেড়ে যাওয়ার পর তাকে বলা হয় ‘সন্দেহজনক’মনে হয়েছিল।

বুধবার (১১ জুলাই) রাত সাড়ে ৯ টা থেকে মধ্যরাত ১টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। তিনিই একমাত্র ভিয়েতনামগামী যাত্রী ছিলেন ওই ফ্লাইটে। একই ফ্লাইটের আরও ৭ থেকে ৮ জনকে ইমিগ্রেশন পার হতে দেওয়া হয়নি। এরা স্টুডেন্ট ভিসায় মালয়েশিয়া যেতে চাচ্ছিলেন।

সুমন অভিযোগ করেন, তাকে বিনা কারণে মালয়েশিয়াগামী স্টুডেন্টভিসার যাত্রীদের সঙ্গে মিলিয়ে নিয়ে অযথা সময় ক্ষেপণ করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। সন্দেহ হলে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারত। কিন্তু তা না করে অপেক্ষায় থাকতে বলা হয়। এদিকে  ফ্লাইটের সময় ঘনিয়ে আসে। পরে পাসপোর্ট ফেরত চাইতে গেলে সুমন দেখেন যে ইমিগ্রেশন পুলিশের কর্মকর্তা তাকে অপেক্ষা করতে বলেছিলেন তিনি ডিউটি শেষে চলে গেছেন। পাসপোর্ট তখন টেবিলেই পড়ে আছে।

এরপর ইমিগ্রেশন পুলিশের ডিউটিতে আসেন অফিসার ইনচার্জ শরিফুল।

শরিফুল জানান, ‘আমার আগের শিফটে যিনি ছিলেন তিনি হয়তো প্রশ্ন করেছেন; সঠিক উত্তর দিতে না পারায় সুমনের ‘যাতায়াত স্থগিত’ করে চলে গেছেন।

তবে সুমন জানান তাকে কোনো প্রশ্ন করা হয় নি। অযথা সময় ক্ষেপণ করে ডিউটি শেষে পাসপোর্ট রেখে ওই পুলিশ চলে যায়।

সুমনের এমন অভিযোগে  শরিফুল জানান, মানব পাচারের শিকার হতে পারে এমন আশংকায় ইমিগ্রেশন পুলিশ যাতায়াত স্থগিত করতে পারে। কাল (বৃহস্পতিবার) দুপুরে ওই অফিসার আবার ডিউটিতে আসবেন তখন যাত্রী যোগাযোগ করতে পারেন।

এয়ারপোর্ট সূত্র জানায়, এরকম ক্ষেত্রে ইমিগ্রেশন পুলিশ টাকার লেনদেনে জড়িয়ে যায়। সন্দেহজনক যাত্রীরা টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে পার পান।

তবে সুমন ঘুরতে যাচ্ছেন। তার সঙ্গে বৈধ কাগজপত্র, ভিসা, ডলার, হোটেল বুকিং এবং ফেরত টিকিট সবই ছিল। কিন্তু পুলিশের কোন জিজ্ঞাসাবাদ ছাড়াই তাকে অপেক্ষা করতে বলা হয়।  শেষে রাত ২টার দিকে ফ্লাইট মিস করে হতাশ হয়ে এয়ারপোর্ট থেকে ফিরে যান সুমন।

সিলেটের বালাগঞ্জের অধিবাসী সুমন আহমেদ। পেশায় ফিসারিজ ব্যবসায়ী। সুমন অভিযোগ করেন, রাত সাড়ে ৯ টায় ইমিগ্রেশন পুলিশ তার পাসপোর্ট নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে তখনই যাত্রা স্থগিতের বিষয় জানাতে পারত। কিন্তু তা জানানো হয়নি, কোন জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়নি। রাত ১১ টা ৫ মিনিটে ফ্লাইট চলে গেলে অন্য পুলিশ কর্মকর্তার কাছ থেকে তিনি জানলেন তার যাত্রা স্থগিত।

তিনি মনে করেন, মালয়েশিয়াগামী স্টুডেন্ট ভিসায় যারা যাচ্ছিলেন তাদের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলেছিলো ইমিগ্রেশন পুলিশ। বার বার তাগিদ দিলেও তখন পেশাদারিত্বের পরিচয় দেয়নি পুলিশ। নির্ধারিত ফ্লাইটে যেতে না পেরে তিনি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। পুনরায় এখন ফ্লাইট ধরতে চেষ্টা করছেন সুমন।

   

সাদ মুসা গ্রুপের এমডির সস্ত্রীক দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
সাদ মুসা গ্রুপের এমডির সস্ত্রীক দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

সাদ মুসা গ্রুপের এমডির সস্ত্রীক দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

  • Font increase
  • Font Decrease

বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ৩০০০ কোটি টাকা ঋণ খেলাপির মামলায় চট্টগ্রাম-কেন্দ্রিক শিল্প গ্রুপ সাদ মুসা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ মহসিন এবং তাঁর স্ত্রী শামীমা নার্গিস চৌধুরীর বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালত।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড খাতুনগঞ্জ শাখার মামলার প্রেক্ষিতে অর্থঋণ আদালতের জজ (যুগ্ম জেলা জজ) মুজাহিদুর রহমান এই রায় দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আদেশের কপি বিশেষ পুলিশ সুপার (ইমিগ্রেশন), বিশেষ শাখায় পাঠানো হচ্ছে।

বাদী পক্ষের গত ১৪ এপ্রিল দরখাস্ত ও বিবাদী পক্ষের গত ৩ এপ্রিল দেওয়া লিখিত আপত্তির শুনানীর জন্য ধার্য ছিল। এ সময় বাদি হাজিরা দিয়েছেন। তবে বিবাদী পক্ষ লিখিত জবাব দাখিলের জন্য সময়ের আবেদন করেন। আদালত উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনার পর রায় দেন।

এ সময় বাদী পক্ষের বিজ্ঞ আইনজীবী আদালতের উদ্দেশে বলেন ৮৩ কোটি ২০ লাখ ৩৬ হাজার ৬৫৫ টাকা খেলাপি ঋণ আদায়ের জন্য ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড খাতুনগঞ্জ শাখা এই মামলা দায়ের করে। সুদ মওকুফ সুবিধাসহ নালিশি ঋণ দুই বার পুনঃতপশীল হওয়ার পরও আসামিরা ব্যাংকের পাওনা পরিশোধে এগিয়ে আসছে না। বাদী ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংকের খেলাপি ঋণ আদায়ের দাবিতে আসামিদের বিরুদ্ধে এই আদালতে অন্তত ১০টি মামলা চলমান আছে। মামলাগুলোতে বিবাদীদের কাছ থেকে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দাবিকৃত খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৩০০০ কোটি টাকার কম নয়। বিবাদীগণ ব্যাংকের বিপুল পরিমাণ খেলাপি ঋণ পরিশোধ না করে দেশত্যাগের পাঁয়তারা করছেন। তারা দেশত্যাগের সুযোগ পেলে বাদী ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংকের বিপুল পরিমাণ খেলাপি ঋণ আদায় অযোগ্য হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

অন্যদিকে সাদ মুসা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ মহসিনের আইনজীবী বলেন, বিবাদী দেশের একজন শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী এবং শিল্প উদ্যোক্তা। টেক্সটাইল শিল্পে বিপুল বিনিয়োগের মাধ্যমে দেশের রফতানি বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। বিপুল পরিমাণ রাজস্ব পরিশোধ করেছেন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছেন। তিনি ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপি নন। কোভিড মহামারিসহ রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট অর্থনৈতিক মন্দার কারণে ব্যবসায়িক বিপর্যয় হওয়ায় যথাসময়ে ঋণ পরিশোধ করতে পারেননি। ঋণের বিপরীতে মূল্যবান সম্পত্তি ব্যাংকের নিকট বন্ধক রয়েছে। বিবাদীগণের দেশত্যাগের কোনো ইচ্ছা নেই। দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হলে বিবাদীগণের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হবে।

এরপরই আদালত পর্যবেক্ষণ দেন। আদালত বলেন, নথি পর্যালোচনায় দেখা যায় নালিশি ঋণ দুই দফা পুনঃতফসিল করা হলেও বিবাদীরা ঋণ পরিশোধে এগিয়ে আসেননি। বন্ধককৃত সম্পত্তি দ্বারা সম্ভাব্য ডিক্রি পরিতুষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ। সুদ মওকুফসহ পুনঃতফসিল সুবিধা লাভের পরও বিবাদীরা নালিশি ঋণের কিয়দাংশও পরিশোধ না করায় প্রতীয়মান হয় ২ নম্বর বিবাদী (মোহাম্মদ মহসিন) একজন ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপি। তাই এই বিবাদীর বিদেশ গমনের অধিকার বিচারিক সিদ্ধান্তের অধীন থাকা সমীচীন মনে করি।

;

নীলফামারীতে বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ আদায়



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
নীলফামারীতে বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ আদায়

নীলফামারীতে বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ আদায়

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে রক্ষায় বৃষ্টি চেয়ে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। বিশেষ এ নামাজে এলাকাবাসীসহ অনেক মুসল্লি অংশ নেন।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে জেলা শহরের মুন্সিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এই নামাজের আয়োজন করে আহলে হাদিস আন্দোলন বাংলাদেশ।

এ নামাজে ইমামতি করেন নীলফামারী মুন্সিপাড়া আহলে হাদিস জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মো. আব্দুস সামাদ। সেখানে দুই রাকাত নামাজ শেষে নীলফামারীসহ সারাদেশে বৃষ্টির জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়। মোনাজাতে প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষায় দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করা হয়।

এলাকাবাসী জানান, পানির অভাবে চাষাবাদ কাজেও মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মাঠের ফসল। সেজন্য গ্রামবাসী খোলা মাঠে বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায় ও দোয়া করেছেন।

ইমাম মাওলানা মো. আব্দুস সামাদ বলেন, হাদিসে এসেছে, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, দুইটা সময় জাহান্নাম নিশ্বাস ছাড়ে গ্রীষ্মকাল ও শীতকালে। অতিরিক্ত শীত যখন হয় তখন সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করা হয় এবং অতিরিক্ত গরমেও সমস্যার সমাধানে দোয়া করা হয়। অতীতে আরব দেশে যখন এমন প্রখর রোদ আর গরম ছিল তখন হযরত মুহাম্মদ (সা.) গরম থেকে পরিত্রাণ চেয়ে সাহাবাদের নিয়ে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেছিলেন।

আহলে হাদিস আন্দোলন বাংলাদেশ নীলফামারী জেলা শাখার সভাপতি হাকীম মোস্তাফিজুর রহমান সবুজ বলেন, সারাদেশ তাপদাহে পুড়ছে। এমতাবস্থায় বৃষ্টি এবং তাপদাহ থেকে রেহাই পেতে ইসতিস্কার নামাজ আদায় করা হয়। এতে বিভিন্ন জন অংশ নেন। আল্লাহ চাইলে এ নামাজ কবুল করে রহমতের বৃষ্টি দিয়ে মানুষ, প্রাণীসহ সকলকে শান্তিতে থাকার পরিবেশ করে দেবেন ইনশাল্লাহ।

;

সিলেটে উপজেলা নির্বাচনে প্রতীক পেলেন ৫৮ জন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, সিলেট
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে সিলেটে চারটি উপজেলায় ২৪ জন চেয়ারম্যানসহ ৫৮ জন প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) জেলা নির্বাচন অফিস থেকে প্রার্থীদের মধ্যে নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়।

উপজেলাগুলো হলো- সিলেট সদর , দক্ষিণ সুরমা, বিশ্বনাথ ও গোলাপগঞ্জ। চারটি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২৪ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ নারীসহ ২৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেটের সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও চার উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান।

জানা যায়, সিলেট সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়াম্যান পদে ১৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তন্মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন ।

চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীরা হলেন- ডা. মো.খলিলুর রহমান (টেলিফোন), মো.সুজাত আলী রফিক (কাপ-পিরিচ), মিল্লাত আহমদ চৌধুরী (ঘোড়া), মো. আহাদ মিয়া (দোয়াত-কলম), মো.এজাজুল হক (মোটর সাইকেল), মো.সামসুল ইসলাম (আনারস)।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীরা হলেন-নিজাম আহমদ (টিউবওয়েল), নুরুল ইসলাম (তালা), বিলাশ বোনার্জী (বৈদ্যুতিক বাল্ব), মো.ওলিউর রহমান (টিয়াপাখি), মো.জাকির হুসাইন (চশমা ), মো.সাইফুল ইসলাম (উড়োজাহাজ), রথীন্দ্র লাল দাস (বই), সেলিম আহমেদ (মাইক)। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে মোছা.দিলরুবা বেগম (পদ্মফুল), মোছা.হাছিনা আক্তার (ফুটবল)।

দক্ষিণ সুরমায় উপজেলায় চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়াম্যান পদে ১৩জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তন্মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান ৫ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ার‌ম্যান ৩ জন।

চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীরা হলেন-মো.মইনুল ইসলাম (আনারস), মোহাম্মদ জুয়েল আহমদ (ঘোড়া), মো. বদরুল ইসলাম (টেলিফোন), মো. শামীম আহমদ (মোটরসাইকেল) ও মো. সাহেদ মোশারফকে (কাপপিরিছ) প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান (মাইক), ফয়েজ আহমদ (তালা), আলী আছগর খাঁন শামীম (চশমা), নন্দন চন্দ্র পাল (টিউবওয়েল) ও মো. আব্দুর রহমানকে (উড়োজাহাজ) প্রতিক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আইরিন রহমান কলি (পদ্মফুল), মোছা. হালিমা বেগম (কলস) ও মোছা. ফাহিমা বেগামকে (ফুটবল) প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়।

বিশ্বনাথ উপজেলায় চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়াম্যান পদে ১৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তন্মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ১০ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন।

চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীরা হলেন- আকদ্দুছ আলী(হেলিকাপ্টার), আলতাব হোসেন (টেলিফোন), গিয়াস উদ্দিন আহমদ (আনারস), গৌছ খান (কৈ মাছ), মোহাম্মদ এস আলী এনামুল হক চৌধুরী (মোটরসাইকেল), মোহাম্মদ সুহেল আহমদ চৌধুরী (কাপ পিরিচ), মো.আব্দুল রোসন চেরাগ আলী (ঘোড়া), মো. সেবুল মিয়া (দোয়াত কলম), সফিক উদ্দিন (উট), শামসাদুর রহমান রাহিন(শালিক)।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে আব্দুর রব (চশমা), পার্থ সারথি দাশ পাপ্পু (টিয়া পাখি), মুহিবুর রহমান সুইট (মাইক), মোহাম্মদ কাওছার খান (তালা), মো.ইসলাম উদ্দীন(বই), মো.সিরাজ মিয়া (টিউবওয়েল)।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন- মোছা.করিমা বেগম (কলস), মোছা.জুলিয়া বেগম (ফুটবল), বেগম স্বপ্না শাহীন (প্রজাপতি)।

গোলাপগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তন্মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন।

চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীরা হলেন মঞ্জুর কাদির শাফি(দোয়াত-কলম), আবু সুফিয়ান(আনারস), শাহিদুর রহমান (ঘোড়া)।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে-আকমল হোসেন (বই), আবু সুফিয়ান মোহাম্মদ আজম (টিয়া পাখি), ফরহাদ আহমদ (তালা), মো.নাবেদ হোসেন (চশমা), মো. লবিবুর রহমান (টিউবওয়েল)।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন- মোছা. নার্গিস পারভীন (কলস), সেলিনা আক্তার শিলা (ফুটবল) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

;

অনুমোদন নেই, ব্যবস্থাপত্রে তবু এন্টিবায়োটিক লিখছেন বিপ্লব-জাকির



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
অনুমোদন নেই, ব্যবস্থাপত্রে তবু এন্টিবায়োটিক লিখছেন বিপ্লব-জাকির

অনুমোদন নেই, ব্যবস্থাপত্রে তবু এন্টিবায়োটিক লিখছেন বিপ্লব-জাকির

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি পশু ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রকল্পে এআই টেকনিশিয়ান পদে চাকরি করেন আজিজুর রহমান বিপ্লব ও জাকির হোসেন। নিজস্ব প্যাডে সিল স্বাক্ষর করে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পশুদের চিকিৎসা দিয়ে থাকেন তারা।

বিধি অনুযায়ী তাদের এন্টিবায়োটিক লেখার অনুমোদন না থাকলেও ব্যবস্থাপত্রে তারা লিখছেন সেটাও। বলছেন, ঊর্ধতন কর্মকর্তার নির্দেশের কথা, তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন তারা এমন অনুমোদন দেননি।

জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে নিয়মের তোয়াক্কা না করে উপজেলা ও জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের আস্থাশীল পরিচয় দিয়ে পশু দেহে ক্ষতিকর এন্টিবায়োটিক ওষুধ ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন তারা। অতিমাত্রায় এন্টিবায়োটিক ব্যবহারের ফলে পশুদের স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ফেলার অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।

অভিযোগ রয়েছে কালীগঞ্জ উপজেলা ও জেলা কর্মকর্তাদের আশীর্বাদে আজিজুর রহমান বিপ্লব ও জাকির হোসেন দীর্ঘদিন দাপট দেখিয়ে অন্যান্য পশু চিকিৎসকদের কোণঠাসা করে রেখেছেন।

ভুক্তভোগী নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক পশুপালনকারী নারী অভিযোগ করে বলেন, সরকারি প্রকল্পে চাকরি করেন বলে জাকির হোসেনের কাছ থেকে গরু-ছাগলের চিকিৎসা করাই। তিনি নিজেকে সরকারি ডাক্তার বলে পরিচয় দেন। তার ভুল চিকিৎসায় অনেক গরু অসুস্থ হতে দেখেছি।

গরু অসুস্থ হলেই তিনি ব্যবস্থাপত্রে এন্টিবায়োটিক লিখে থাকেন। এন্টিবায়োটিকের প্রভাবে গরুর সমস্যা আরও প্রকট হয় বললে দাবি করে বলেন, সরকারি জেলা কর্মকর্তারা আমার চিকিৎসা সম্পর্কে জানেন। তারা যেভাবে চিকিৎসা দিতে বলেছেন সেভাবে এন্টিবায়োটিক চিকিৎসা দিচ্ছি বলে তিনি দাপটের সঙ্গে বলেন।

এ-বিষয়ে কালিগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা শংকর কুমার দে বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী আজিজুর ও জাকিরের তাদের চিকিৎসাপত্রে এন্টিবায়োটিক লেখার অনুমোদন নাই। তাদের এই ধরনের চিকিৎসার অনুমতি আমি দিইনি। এ আই টেকনিশিয়ান আজিজুর রহমান বিপ্লব ও জাকির আমার নাম ভাঙিয়ে চলছেন।

অভিযোগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন উপজেলা পর্যায়ের এ প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা।

সাতক্ষীরা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মাহবুবুর রহমান বলেন, সরকারি ভেটোরিনারি রেজিস্টার্ডপ্রাপ্ত ছাড়া এন্টিবায়োটিক লেখার অনুমোদন কারো নাই।

বিপ্লব ও ও জাকির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে চলছেন এমন অভিযোগের জবাবে জেলা প্রাণিসম্পদ এ কর্মকর্তা বলেন, এগুলো ভুয়া; তারা আমাদের নাম ভাঙিয়ে চলে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ আই টেকনিশিয়ান আজিজুর রহমান বিপ্লব বলেন, আমি জেলা ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার নির্দেশে এন্টিবায়োটিক লিখি। তারা আমার লেখার ক্ষমতা দিয়েছেন। আপনি যা খুশি করতে পারেন। তারা আমার রক্ষা করবে।

আরেক অভিযুক্ত জাকির হোসেন বলেন, আমি প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের নির্দেশে এন্টিবায়োটিক লিখি। তারা আমার লেখার ক্ষমতা দিয়েছেন।

;