টানা বর্ষণে জলাবদ্ধতায় স্থবির মিরপুর!
ঢাকা: টানা দুই দিনের ভারি বর্ষণে রাজধানী ঢাকা এখন তিলোত্তমা নগরী থেকে জলাবদ্ধতার নগরীতে পরিণত হয়েছে। বৃষ্টির পানিতে নগরীর অনেক রাস্তা ও বিভিন্ন এলাকার অলিগলি পানিতে ডুবে রয়েছে।
আর এই ভায়াবহ জলবদ্ধতার কারণে স্থবির হয়ে পরেছে রাজধানী। দীর্ঘ যানজটে পড়ে রাস্তায় আটকে রয়েছে শতশত যানবাহন আর মানুষ।
তবে জলাবদ্ধতার সব থেকে ভয়াবহ চিত্র দেখা যায় রাজধানীর মিরপুর এলাকায়। শ্রাবণের বর্ষণে মিরপুর এলাকায় এখন পানিতে থৈথৈ। মেট্রোরেল ও বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের জন্য মিরপুরের প্রতিটি রাস্তায় চলছে বছরব্যাপী খোঁড়াখুঁড়ি। ফলে এখন সামান্য বৃষ্টিতেই মিরপুর তলিয়ে যায়।
বুধবার (২৫ জুলাই) সরেজমিনে দেখা যায়, মিরপুরের কালশী রোডের কিছু কিছু জায়গায় জলাবদ্ধতা দেখা গেছে। তবে মিরপুর-১০ থেকে তালতলা পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশ তলিয়ে গেছে বৃষ্টির পানিতে। এছাড়া বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পানির পরিমাণও বেড়ে যাচ্ছে রাস্তায়।
পানিতে তলিয়ে যাওয়ার কারণে রাজধানীর ব্যস্ততম এই সড়কটিতে এখন যান চলাচল স্থবির হয়ে পড়েছে। কর্মস্থলগামী মানুষ না পারছে পানি মাড়িয়ে হেঁটে যেতে, ফলে অস্বস্তি নিয়ে গাড়িতেই বসে রয়েছে।
অন্যদিকে খানাখন্দ ভরা রাস্তায় স্কুল ফেরত শিশুদের নিয়ে বিপদে পড়েছেন অভিভাবকরা।
জলাবদ্ধতা, বিভিন্ন স্থানে গর্ত থাকায় একাধিক যানবাহন বিকল হয়ে মাঝরাস্তায় পড়ে রয়েছে। কোথাও কোথাও পরিবহন উল্টে যাওয়ারও উপমক্রম হচ্ছে। এতে করে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঝুঁকিও রয়েছে।
কেউ কেউ রিকশায় করে গন্তব্যস্থলে যাওয়ার চেষ্টা করলে সেখানেও বিপত্তি বিপদজ্জনক গর্ত। খানাখন্দের সড়কে শেওড়াপাড়ায় কয়েকটি রিকশায় উল্টে পড়ে থাকতে দেখা গেল।
নিয়মিত এই জলাদ্ধতার কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাদের অভিযোগ, একটি দেশের রাজধানীর এমন অবস্থা হয় কি করে। গত দুই দিন ধরে মিরপুরের বাসিন্দাদের মধ্যে যারা অতি জরুরি কাজে বের হচ্ছেন তাদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা নিয়ে বাসায় ফিরতে হচ্ছে।
তারা আরও বলছেন, জলাবদ্ধতার কারণে সামান্য রাস্তা যেতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাগছে। মিরপুর বাসিন্দারা ভয়াবহ দুযোর্গের মধ্যে দিন পার করছে।
কাজীপাড়ার স্থানীয় বাসিন্দা আবুল বার্তা২৪.কমকে বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে উন্নয়ন কাজ চলে। তাদের এত দুর্ভোগ পোহাতে হয় না। উন্নয়নের নামে যারা বলে জলাবদ্ধতার নিরসন করছেন না তাদের কাজে গাফলতি ছাড়া কিছুই না। মিরপুরে দীর্ঘদিন পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার সংস্কার হয় না। সংশ্লিষ্টরা এখন উন্নয়ন কাজের ওপর দোষ চাপাচ্ছেন।
শিকড় পরিবহনের চালক সিদ্দিক বার্তা২৪.কমকে বলেন, সারা রাস্তায় গর্ত আর গর্ত। পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় কিছুই দেখা যায় না। গাড়ি চালতে এখন ভয় লাগছে। প্রতি টানে মনে হচ্ছে গর্ত পইড়া গাড়ি বুঝি এখনই উল্টাইলো।