কাঁকড়ার পেটে গ্রামীন রাস্তা!



তোফায়েল হোসেন জাকির, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, গাইবান্ধা, বার্তা২৪.কম
মাটি বহনকারী এই গাড়িগুলোতেই গ্রামীণ রাস্তায় বেশিরভাগ গর্ত তৈরি হয়, ছবি: বার্তা২৪

মাটি বহনকারী এই গাড়িগুলোতেই গ্রামীণ রাস্তায় বেশিরভাগ গর্ত তৈরি হয়, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

গাইবান্ধা জেলায় দানব পরিবহন হিসেবে খ্যাত কাঁকড়া (ট্রাক্টর)। এই দানবরুপি কাঁকড়াগুলো হরহামেশাই চলতে গিয়ে রাস্তা-ঘাট ভেঙ্গে হাঁটু গর্তে পরিণত হচ্ছে। এছাড়া অদক্ষ চালকরা বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালানোর কারণে ছয় চাকার নিচে পড়ে অকালে নিভে যাচ্ছে অনেক প্রাণ।

সম্প্রতি শুকনো মৌসুমে জেলার গ্রাম-গঞ্জে মাটি বহনের কাজে এসব কাঁকড়া নির্বিকারে চলাচলে ধুলা-বালিতে এলাকার পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। সেই সাথে গ্রামাঞ্চলের রাস্তা-ঘাটের যেমন ক্ষতি হচ্ছে, তেমনি অবাধে চলাচল করায় অঘটনের আশঙ্কা জাগছে জনসাধারণের মনে। ফলে মানুষকে সবসময় আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হয়। কখন যেন কাঁকড়া আসে এমন ভীতি বিরাজ করে পথচারীদের মনে।

প্রশাসন কর্তৃক দিনের বেলায় কাঁকড়া চলাচল নিষিদ্ধ করা হলেও রহস্যজনক কারণে অবাধে চলাচল করতে দেখা গেছে গাইবান্ধা জেলা সদরের বোয়ালী ও সাদুল্লাপুর উপজেলাসহ বিভিন্ন উপজেলায়। দানব পরিবহন হিসেবে খ্যাত এই কাঁকড়াগুলো বেপরোয়া চলাচল করার ফলে বেড়ে গেছে দুর্ঘটনা।

ভুক্তভোগী শাহিন মিয়া ও খলিলুর রহমান জানান, এলাকার প্রভাবশালী মহলের ক্রয়কৃত এসব কাঁকড়া জমি থেকে মাটি কেটে বিভিন্ন ইটভাটায় বহন করা হচ্ছে। এতে করে যেমন নিচু হচ্ছে জমি, অপরদিকে ভেঙ্গে যাচ্ছে গ্রাম-শহর যোগাযোগের রাস্তাঘাট। নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ। অকালে নিভে যাচ্ছে তাঁজা প্রাণ।

তাদের অভিযোগ, দানব পরিবহন কাঁকড়া গাড়ির মালিকরা স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে রাস্তার রাজা হিসেবে নির্বিকারে গাড়ী চালিয়ে আসছে। ফলে এসব গাড়ি থেকে রাস্তা-ঘাট রক্ষা কিংবা প্রাণ রক্ষা করা সম্ভব নয়।

কাঁকড়া মালিক মোকছেদুল ইসলাম বলেন, 'মাটি বহনের কাজে গাড়ি চলতে গিয়ে যে সমস্ত রাস্তা খারাপ বা গর্তের সৃষ্টি হয় সেখানে আমরা পুনঃরায় মাটি ভরাট করে ঠিক করে দেই। যাতে করে মানুষের চলাচলে বিঘ্ন না ঘটে এবং রাস্তা খারাপ না থাকে। এ বিষয়ে খেয়াল রাখা হচ্ছে।'

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রহিমা খাতুন বলেন, 'ওইসব কাঁকড়া রাস্তায় চলাচলে মালিকদের বিভিন্ন নির্দেশনা দেয়া আছে। কোনো রাস্তা নষ্ট না হয় এবং দুর্ঘটনা এড়াতে যানজটের সৃষ্টি না হয়, এ বিষয়ে কঠোর নজরদারি রাখা হয়েছে। নির্দেশনা অমান্য গাড়ির চালক বা মালিকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

 

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;