হাইকোর্টের নির্দেশের পরেও ‘ভাড়ানি খাল’ অবৈধ দখলে!



  ইমরান হোসেন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বরগুনা
হাইকোর্টের নির্দেশের পরেও ‘ভাড়ানি খাল’ অবৈধ দখলে/ছবি:বার্তা২৪

হাইকোর্টের নির্দেশের পরেও ‘ভাড়ানি খাল’ অবৈধ দখলে/ছবি:বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

দক্ষিণ বাংলার যোগাযোগ ও পণ্য পরিবহনে একদা গুরুত্বপূর্ণ নৌ-পথ ‘ভাড়ানি খাল’ এখন ভোগান্তির অন্য নাম। দখল, দূষণ, রক্ষণাবেক্ষণের অভাব এবং প্রশাসনের উদাসীনতায় নিশ্চিহ্নের পথে বরগুনার ঐতিহ্যবাহী জল-যোগাযোগ রুটটি। ‘ভাড়ানি খাল’ দখল ও দূষণ মুক্ত করতে আন্দোলন হয়েছে একাধিকবার। কিন্তু সামাজিক আন্দোলনের সঙ্গে প্রশাসনের সহযোগিতা না থাকায় কাজের কাজ কিছুই হয়নি।

বার বার ‘ভাড়ানি খাল’ দখল ও দূষণ মুক্ত করে নৌ-পথটিকে বাঁচাতে জোরালো জনদাবি উঠেছে। এমন কি, গত ৭ জানুয়ারি হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জালিল সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ খালটির অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে ৩০ দিনের মধ্যে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে। তারপরেও উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হয়নি। হাইকোর্টের নির্দেশের পরেও বরগুনার ‘ভাড়ানি খাল’ অবৈধ দখলদারদের কবলে! 

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/15/1547548814647.jpg

বরগুনার সব কটি উপজেলা ও পার্শবর্তী পটুয়াখালী, বরিশাল, ভোলাসহ কয়েকটি জেলা থেকে বিভিন্ন পণ্য নিয়ে বরগুনার খাকদোন নদী থেকে নানা ধরনের নৌযান খুব সহজে পায়রা নদীতে বের হয় বলে এই খালটির নাম ‘ভাড়ানি খাল’। নদীবহুল বৃহত্তর বরিশালের যোগাযোগের অন্যতম সংযোগ সূত্র এই খালটি প্রকৃতির এক অমূল্য সম্পদ। মানুষ ও পণ্য পরিবহণের ক্ষেত্রে আর্শীবাদ স্বরূপ খালটির এখন চলছে চরম দুর্দিন।

নৌযান চালকদের সাথে কথা বললে জানা যায়, খালটি দখল ও ময়লা আবর্জনায় ভরে যাওয়ায় বর্তমানে পণ্য ভর্তি নৌযান আটকে থাকছে প্রতিদিন। এরপর ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষায় থাকতে হয় জোয়ারের। আগে মাত্র ২ থেকে ৩ ঘন্টার পথ এখন অতিক্রম করতে হয় এক থেকে দেড় দিনে। জলপথকে মুক্ত রাখার বদলে নানা অসাধুচক্র তা দখল করছে। এতে সৃষ্টি হচ্ছে জলযোগাযোগের নানা সমস্যা ও বিড়ম্বনা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/15/1547548831162.jpg

নৌযান চালকরা আরও জানান, বাঁশ-খুটি আর সিমেন্টের পাইল বশিয়ে খালটির মাঝ পর্যন্ত দখলে নেয়ায় একদিকে কমছে খালটির প্রস্থ, অন্যদিকে বাঁধা প্রাপ্ত হচ্ছে খালটির পানি প্রবাহ। ফলে খালটিতে পলি ও ময়লা জমে ভরাট হচ্ছে দিন দিন। আর পৌর শহরের বর্জ্য নির্দিষ্ট ডাস্টবিন বা ভাগারে নয় ফেলা হচ্ছে এই খালে। খালটি যেন উন্মুক্ত ময়লার পাহাড়। এতেও ভরাটের সাথে সাথে দুষিত হচ্ছে খালটির পানি।

নৌযান চালক সোহাগ মোল্লা, নাসির গাজী, ইসাহাক হাওলাদারসহ একাধিক চালক অভিযোগ করে বলেন, রাস্তার পাশের দোকানীরা খাল ভরাট করে থাকছেন পরিবার নিয়ে। তাই এক সময়ের গুরুত্বপূর্ণ খালটি এখন সঙ্কুচিত হয়ে যাচ্ছে। দিনে দিনে খাবলে খাওয়া হচ্ছে খালটিকে। আর বাড়ছে চলাচলের ভোগান্তি।

নৌযান চালক ইকবাল মাঝি বলেন, পার্শ্ববর্তী সবকটি জেলায় যোগাযোগের সহজ মাধ্যম এ খালটি। তবে দখলদারদের কবলে পড়ে খালটি এখন বিলুপ্ত প্রায়। বেশিরভাগ সময় নৌযান আটকে যাচ্ছে পণ্য নিয়ে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/15/1547548848325.jpg

নদী ও খাল দখল ও দূষণ রোধে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসা নদী পরিব্রাজক কমিটির সভাপতি সোহেল হাফিজ বলেন, প্রশাসনের উদাসীনতার কারণে দখল মুক্ত হচ্ছে না খালটি। তাই নদী পথে চলাচলের এ খালটি দিয়ে এখন পণ্য আসা-যাওয়া কমে গেছে অনেক। ফলে অতিরিক্ত চাপ পড়ছে সড়ক পথে। সড়ক পথে দূর্ঘটনাও বাড়ছে দিন দিন।

ভাড়ানি খালের ব্যাপারে সামাজিক আন্দোলনের নেতা মুশফিক আরিফ বলেন, কিছু প্রভাবশালী খালটি দখল করে প্রথমে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও পরে তার পিছনে বসতবাড়ি বানিয়ে বসবাস করছে। দু’পাশের এসব অবৈধ দখলদাররা খালের অস্তিত্ব বিপন্ন করছে।

এ বিষয়ে বরগুনা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি হাসান ঝন্টু বলেন, ভাড়ানি খাল দখল মুক্ত করতে আন্দোলন করেছেন তারা। তবে অজানা কোন কারণে দখল ও দূষণ বন্ধ হচ্ছে না। শহরের মধ্য দিয়ে এ খালটি রক্ষা করতে না পারলে সৌন্দর্য হারাবে বরগুনা।

তবে বরগুনা জেলা প্রশাসক কবির মাহমুদের দাবি, ‘এ খালটি শুধু দখল মুক্তই নয়, করা হবে সৌন্দর্য্যবর্ধনও। তবে দখলদারদের সরে যাওয়ার জন্য বলেছেন তিনি। যদি তারা সরে না যায় তবে দ্রুত উচ্ছেদ অভিযানে নামবে প্রশাসন।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;