কোম্পানীগঞ্জে নিষিদ্ধ গাইডবই বাণিজ্য, প্রশাসন জানে না!



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, নোয়াখালী, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বই উৎসবের আমেজ কাটতে না কাটতেই নোয়াখালীর বাণিজ্যিক পয়েন্ট কোম্পানীগঞ্জে  নিষিদ্ধ নোট ও গাইড বইয়ের প্রকাশ্য বাণিজ্য শুরু হয়েছে। সরকারি নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও কিছু অসাধু শিক্ষক ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির কতিপয় নেতৃবৃন্দের চাপে শিক্ষার্থীরা অবৈধ নোট ও গাইড বই উচ্চমূল্যে কিনতে বাধ্য হচ্ছে। অর্থলোভী-অসাধু শিক্ষক ও লাইব্রেরির একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট আইন ও নিয়ম অগ্রাহ্য করে প্রকাশ্যেই বেআইনি ও  নিষিদ্ধ গাইড ও নোট বই বাণিজ্য চালিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা আর ধ্বংস করছে হাজার হাজার শিক্ষার্থীর সৃজনশীল বিকাশ। এসব বিষয় স্থানীয় প্রশাসন জানে না!

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বসুরহাট বাজার, বাংলা বাজার, চৌধুরীহাট, বামনী বাজারে নিষিদ্ধ গাইড বইয়ের বাণিজ্য চলছে লাইব্রেরিগুলোতে। জানা গেছে, এ বাণিজ্যে গাইড কোম্পানীগুলো মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে দলে টেনেছে কিছু অসাধু শিক্ষক ও শিক্ষক নেতাকে।

বার্তা২৪.কমকে একাধিক অভিভাবক অভিযোগ করেন, ‘কোম্পানীগঞ্জে ২য় শ্রেণিতে অনুপম, লেকচার, পপি গাইড বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়। ৩য় শ্রেণিতে অনুপম ও লেকচার গাইড বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৬০ টাকায়। ৪র্থ শ্রেণিতে অনুপম ও পাঞ্জেরি গাইড বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকা হতে ৩৫০ টাকায়। ৫ম শ্রেণির লেকচার, অনুপম ও পাঞ্জেরি গাইড বিক্রি হচ্ছে ৪৮০ থেকে ৫৫০ টাকায়। ৬ষ্ঠ শ্রেণির অনুপম, লেকচার, পপি ও পাঞ্জেরি, এ্যাডভান্স, অক্ষরপত্র গাইড বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ থেকে ৬২০ টাকায়। ৭ম শ্রেণি ও ৮ম শ্রেণির এ্যাডভান্স, লেকচার, অনুপম ও পাঞ্জেরি, পপি, অক্ষরপত্র গাইড বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮৫০ টাকায়।’

নোট ও গাইড বই বাণিজ্যে শিক্ষকদের জড়িত থাকা প্রসঙ্গে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি সুলতান আহমদ চৌধুরী বাবুল বলেন, ‘সরকার রুট লেভেলে হস্তক্ষেপ করলে হবেনা। গাইড বইয়ের ছাপাখানা বন্ধ করে দিতে হবে। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দের যোগসাজশে কোন প্রকার গাইড বই বাণিজ্য নেই।’

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন বিএসসি বলেন, ‘গাইড বই সরকার পুরোপুরি বন্ধ করলে শিক্ষার আরও মানোন্নয়ন হবে।’ তবে তিনি দাবি করেন, ‘নোট বই,গাইড বই বাণিজ্যে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ কোন প্রকার যোগসাজশ নেই এবং কোন প্রকার উৎকোচ গ্রহণ করেনা।’

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার (মাধ্যমিক) শাহ কামাল পারভেজ বলেন, ‘গাইড বই বিক্রি সরকারি আইন অনুযায়ী নিষিদ্ধ। সঠিক তথ্য পেলে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.ফয়সল আহমদ বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তবে গাইড বইয়ের রমরমা বাণিজ্য সম্পর্কে তিনি প্রতিবেদকের মাধ্যমে প্রথম অবগত হয়েছেন বলে জানান তিনি। স্থানীয় প্রশাসনের নজরদারির অভাবের বিষয়ে স্থানীয় অভিভাবক মহলের অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে ‘তিনি সরাসরি অফিসে এসে কথা বলার কথা বলেন।’

কিন্তু অভিভাবকরা স্পষ্ট করে বলছেন যে, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের নজরধারী ও মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকায় অসাধু বই ব্যবসায়ীরা প্রশাসনের নাকের ডগায় গাইড ও নোট বই বিক্রি করছে। অসাধু শিক্ষক নেতা ও লাইব্রেরি মালিকরা মিলে একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এই অবৈধ বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। এতে  শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল মেধা ধ্বংস হয়ে বিনামূল্যে বই বিতরণের সরকারি লক্ষ্য নস্যাৎ হচ্ছে।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;