এই নদী ছিল জীবিকার অবলম্বন



শরিফুল ইসলাম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, নড়াইল, বার্তা২৪
এক সময়ের খরস্রোতা নদী, ছবি: বার্তা২৪

এক সময়ের খরস্রোতা নদী, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

এক সময়ের খরস্রোতা নদী এখন কৃষকদের বোরো আবাদের জমিতে পরিণত হয়েছে। কোথাও কোথাও শুকিয়ে খালে রূপ ধারণ করেছে। নদীর বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে জেগে উঠেছে অসংখ্য ছোট-বড় চর। অপরদিকে ভূমি দস্যুদের কালো থাবায় ভূমিহীন সেজে নামে-বেনামে চর দখল করে করা হচ্ছে বোরো আবাদ।

প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে পলি মাটি পড়ার দরুণ নদী ভরাট হয়ে জেগে উঠেছে ছোট-বড় অসংখ্য চর। নাব্যতা সংকটের কারণে নৌ যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়েছে অনেক আগেই। বলছিলাম নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত নবগঙ্গা নদীর কথা।

জানা গেছে, নড়াইল জেলার মধ্যে সমৃদ্ধ ও সম্ভাবনাময়ী জনপদ লোহাগড়ার উপর দিয়ে মধুমতি, নবগঙ্গা ও বানকানা নদী প্রবাহিত। এ ছাড়াও রয়েছে অসংখ্য খাল, বিল ও বাওড়। বানকানা নদীর কোন অস্তিত্বই আজ আর লোহাগড়ায় নেই। আর ৫০ বছর আগেই সমতল ভূমিতে পরিণত হয়ে পড়েছে এক সময়কার বানকানা নদী।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/25/1548399613482.jpg

এদিকে নবগঙ্গা নদী হলো লোহাগড়া উপজেলার অন্যতম প্রধান নদী। নাব্যতা সংকটের কারণে আজ নবগঙ্গা নদীরও সেই জৌলুস আর নেই। নেই সেই আগ্রাসী রূপও। এককালের খরস্রোতা নবগঙ্গা নদী এখন শুকিয়ে খালে পরিণত হয়ে পড়েছে। নদীটি কুন্দশী এলাকা থেকে মহাজন এলাকা পর্যন্ত প্রায় ২৫ কিলোমিটারের অবস্থা এতটাই সঙ্গীন যে, অনেক এলাকায় নবগঙ্গা শুকিয়ে পায়ে চলা সরু পথে পরিণত হয়ে পড়েছে। কোনো কোনো স্থানে নদীতে বাঁধ দিয়ে মৎস্য শিকারীরা মাছও শিকার করছে।

শীত মৌসুমে শুরু হবার সাথে সাথে নবগঙ্গা নদীর নাব্যতা অস্বাভাবিক ভাবে কমে গেছে। নদী শুকিয়ে যাওয়ার কারণে লোহাগড়া-নড়াইল ভায়া খুলনা রুটে নৌ যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে অনেক আগেই। ফলে নৌ পথে পণ্য পরিবহনে চরম সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে ব্যবসা বাণিজ্যে নেমেছে ধস।

অনুসন্ধান করে জানা গেছে, নবগঙ্গা নদীর প্রায় ৩৫ কিঃ মিঃ এলাকা জুড়ে জেগে উঠেছে ছোট-বড় অসংখ্য চর। স্থানীয় ভূমি দস্যূরা নামে-বেনাম ভুয়া কাগজ পত্র তৈরি করে জেগে উঠা চর দখল করে ধানের চাষাবাদ করছে। লোহাগড়ায় চর দখলের ঘটনা প্রতি বছরই বাড়ছে। সেই সাথে বাড়ছে মামলা-মোকদ্দমা। মৃত প্রায় নবগঙ্গার নাব্যতা ফিরিয়ে আনার জন্য বিগত ২০১১-১২ অর্থ বছরে ২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে মল্লিকপুর থেকে মহাজন পর্যন্ত খনন কাজ করা হলেও তা কোন কাজে আসে নাই। প্রতি বর্ষা মৌসুমে পলি পড়তে পড়তে নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে গেছে।

লোহাগড়া উপজেলার লক্ষীপাশা গ্রামের জিতেন বিশ্বাস বলেন, এক সময় এই নদীই ছিল আমাদের জীবিকার এক মাত্র অবলম্বন। এ নদী থেকে মাছ ধরে বাজারে বেঁচে সংসার চালাতাম। এসব এখন শুধুই স্মৃতি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/25/1548399632872.jpg

কুন্দশী গ্রামের মৎস্যজীবী গণেশ বিশ্বাস বার্তা২৪.কমকে বলেন, এই নবগঙ্গা নদী থেকে মৎস্য শিকার করে ছেলে মেয়ে নিয়ে সুখে শান্তিতেই ছিলাম। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নদীর নাব্যতা কমে যাওয়ায় জীবন জীবিকার পথ বন্ধ হয়ে গেছে। এখন ভ্যান চালাই কখনও অন্যের জমিতে শ্রম বিক্রি করে সংসার চলাতে হয়।

নদী বাঁচাও আন্দোলনের নেতা সাংবাদিক শেখ সদর উদ্দীম শামীম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘নবগঙ্গার নাব্যতা ফিরিয়ে আনার জন্য নদী খনন জরুরি হয়ে পড়েছে।

লোহাগড়া পৌরসভা মেয়র আশরাফুল আলম নবগঙ্গার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে আক্ষেপ করে বললেন, নদী শাসন আইন নবগঙ্গার জন্য কার্যকর হয় না। প্রকাশ্যে চলছে নবগঙ্গা নদী দখলের প্রতিযোগিতা।

লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুকুল কুমার মৈত্র বার্তা২৪.কমকে বলেন, নবগঙ্গা নদীর খননের প্রকল্প গ্রহণ করে পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পটি অনুমোদন হলে খনন কার্যক্রম শুরু হবে। এসময় দখলদারদের উচ্ছেদও করা হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;