ঐতিহ্য হারাচ্ছে পোড়াদহের মেলা



গনেশ দাস, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বগুড়া, বার্তা ২৪.কম
পোড়াদহের মেলায় মাছের সমারোহ / ছবি: বার্তা২৪

পোড়াদহের মেলায় মাছের সমারোহ / ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ঐতিহ্য হারাতে বসেছে বগুড়া তথা অত্র অঞ্চলের ঐতিহাসিক পোড়াদহের মেলা। বড় বড় মাছের সমারোহে গড়ে ওঠা এই মেলায় নেই আগের মতো বড় মাছ। তার পরও বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে শুরু এবারে মেলার প্রধান আর্কষণ ছিল ৮২ কেজি ওজনের বাঘাইড় মাছ। এই মাছে দাম হাঁকা হয় প্রতি কেজি ১ হাজার ২০০ টাকা।

নামে মাছের মেলা হলেও সংসারের যাবতীয় প্রয়োজনীয় উপকরণ, কাঠের আসবাবপত্র, রকমারি মিষ্টি, বিনোদনের জন্য সার্কাস, নাগরদোলা, মোটরসাইকেল খেলা ও জাদু খেলা। মেলার সবকিছু ছাপিয়ে যায় যখন লক্ষ মানুষের মিলন মেলায় পরিণত হয়।

মেলা উপলক্ষে আশে পাশের গ্রামগুলোতে সপ্তাহব্যাপী চলে উৎসবের আমেজ। আত্মীয় স্বজন ছাড়াও মেয়ে জামাইকে দাওয়াত করে বাড়িতে নিয়ে আসা বাধ্যতামূলক।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/13/1550055859492.jpg

প্রতি বছরের শীতের শেষে মাঘ মাসের শেষ তিনদিনের মধ্যে বুধবার অথবা ফাল্গুন মাসের প্রথম বুধবার অনুষ্ঠিত হয় পোড়াদহের ঐতিহ্যবাহী মাছের মেলা। এর প্রথম দিন বুধবার মাছের মেলা আর পরদিন বৃহস্পতিবার বসে বৌ-মেলা। এদিন কেবল বিভিন্ন গ্রামের নববধূরা এবং স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসা কন্যারা তাদের স্বামীদের সঙ্গে মেলায় আসেন।

তবে পোড়াদহের মেলার অন্যতম আকর্ষণ বিভিন্ন প্রজাতির বড় বড় মাছ। বিশেষ করে নদীর বড় বড় বাঘাইড়, আইড়, বোয়াল, কাতলা, রুই, সিলভার কার্প, গ্রাস কার্প, পাঙ্গাসসহ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেচা-কেনা হয়। তবে এখন নদীতে তেমন মাছ না পাওয়ার কারণে পুকুরে চাষ করা বিভিন্ন ছোট বড় আকারের মাছ পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায়।

মেলা চলাকালে একসঙ্গে প্রচুর বড় ও জীবিত মাছ পাওয়া যাওয়ার কারণ অনুসন্ধানে জানা যায় অত্র এলাকার অনেক মৎস্যচাষি মেলায় অধিক লাভে বড় মাছ বিক্রির জন্য মাছ বড় করেন। মেলায় বিক্রয়ের জন্য বিভিন্ন স্থান থেকে ট্রাক যোগে মাছ নিয়ে আসা হয়। এছাড়া কাঠের আসবাবপত্র, বাঁশ ও বেতের সামগ্রী, লৌহজাত দ্রব্যাদি, ফলমূল, নানা ধরণের মিষ্টি ও মিষ্টিজাত দ্রব্য এবং প্রচুর চুন মেলায় পাওয়া যায়। কৃষকেরা প্রয়োজনীয় ঘরোয়া সামগ্রী ছাড়াও সারা বছরের পান খাওয়ার চুন পর্যন্ত মেলা থেকে সংগ্রহ করে থাকেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/13/1550055912774.jpg

মেলা শুরুর সঠিক দিনক্ষণ জানা না গেলেও কথিত আছে, প্রায় ৪০০ বছর আগে গাবতলী উপজেলার মহিষাবান ইউনিয়নের গোলাবাড়ি বাজারের অদূরে পোড়াদহ সংলগ্ন মরা বাঙালি (মতান্তরে মহিষাবান নদী) নদীতে মাঘের শেষ বুধবারে অলৌকিকভাবে বড় একটি কাতলা মাছ (মতান্তরে অজ্ঞাত মাছ) সোনার চালুনি পিঠে নিয়ে ভেসে ওঠে। মাঘের শেষ বুধবারের এ অলৌকিক ঘটনা দেখার জন্য প্রচুর লোকজন জড়ো হয়। পরে স্থানীয় একজন সন্ন্যাসী স্বপ্নাদিষ্ট হয়ে অলৌকিক এ মাছের উদ্দেশ্যে পূজা করার জন্য সবাইকে উদ্বুদ্ধ করেন। সন্ন্যাসীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে পোড়াদহ বটতলায় মাঘের শেষ বুধবারে অলৌকিক মাছের উদ্দেশ্যে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন পুজা শুরু করেন।

তবে মহিষাবান সার্বজনীন সন্যাসী পূজা ও পোড়াদহ মেলা উদযাপন কমিটির সসভাপতি নিকুঞ্জ কুমার পাল বার্তা ২৪.ডটকমকে বলেন, ‘গাড়িদহ (মরা বাঙালি) নদী সংলগ্ন বিশাল দহ ছিল। সেখানে বিশাল আকৃতির একটি বট গাছের নিচে সাধু সন্যাসীদের আনাগোনা ছিল। কালের বিবর্তনে দহ মাটি ভরাট (পুরাট) হয়ে গেলে নাম হয় পোড়াদহ। বট গাছের নিচে সন্যাসীরা মহাদেবের পূজা করত। সেই থেকে সন্যাসীদের পূজার দিন মেলার প্রথা চালু হয়।’

তিনি বলেন, ‘বর্তামানে জায়গা নিয়ে জটিলতা ও মেলা উদযাপন কমিটির সমন্বয় হীনতার কারণে মেলার ঐতিহ্য দিন দিন হারাতে বসছে। আর এসব কারণে এবার মেলায় সন্যাসী পূজার স্থলে না হয়ে আধা কিলোমিটার দূরে ইট ভাটার মাঠে আয়োজন করা হয়েছে।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/13/1550055964419.jpg

গত কয়েক বছরের মধ্যে এবার মেলায় লোক সমাগম কমে গেছে। পোড়াদহ মেলার আশে পাশে জোরগাছা, পাঁচমাইল, সাবগ্রাম, অদ্দিরগোলা, দাড়াইল এলাকায় মাছের মেলার আয়োজন করা হয়েছে। ফলে অনেকেই পোড়াদহের মেলায় না গিয়ে আশে পাশের মেলা থেকে মাছ কিনে বাড়ি ফিরছেন।

রানীর পাড়া গ্রামের বরকত উল্লাহ বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘মেলায় মাছের দাম অনেক বেশি। চার কেজি ওজনের কাতল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৪০০-৪৫০টাকা কেজি। সিলভার কার্প মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকা কেজি। বাঘাইড় ১০০০ টাকা থেকে ১২০০ টাকা কেজি। রুই মাছ ৪০০ টাকা থেকে ৪৫০ টাকা কেজি।

মেলার বাইরে পাঁচমাইল বাজারে মাছ কিনতে আসা আবুল কালাম বলেন, ‘মেলা আগের মতো আর নাই। মেলার ঐতিহ্য দিন দিন নষ্ট হচ্ছে। এ কারণে বাইরে থেকে মাছ কিনলাম।’

পোড়াদহ মেলা কমিটি সভাপতি মহিষাবান ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘মূলত এ মেলার নাম ছিল সন্যাসী মেলা। কিন্তু স্থানের নাম পোড়াদহ হওয়ায় মেলাটি পোড়াদহ মেলা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;