ভালোবাসা দিবসে কুষ্টিয়ায় শিক্ষা উপকরণ বিতরণ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, কুষ্টিয়া, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়া শহরের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে গড়াই নদী। নদীর ওপারে হাটশহরিপুর ইউনিয়ন। সেখানকার একটি বিদ্যালয়ের নাম মহানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির না আছে মাঠ, না আছে সীমানা প্রাচীর।

বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ভালোবাসা দিবস উদযাপনে এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করেছেন স্থানীয় কয়েকজন যুবক। উপকরণগুলো ছিল- বাংলা, ইংরেজি ও অংক খাতা, কলম ও স্কেল।

এছাড়া, কুষ্টিয়া শহরের ৬নং পৌর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মহানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের বাঘা যতীন এন্ড আকবর হোসেন স্কুলের অন্তত দুই শতাধিক সুবিধাবঞ্চিত ও মেধাবী শিশুদের হাতেও তারা তুলে দেন শিক্ষা উপকরণ।

কুষ্টিয়া শহর ও শহরতলীর কিছু যুবকদের সমন্বয়ে গড়ে তোলা সংগঠন ‘মিডিয়া জোন’। এই সংগঠনের সদস্যরা বন্ধুবৎসল। বিভিন্ন জন বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত তারা।

ভালোবাসা দিবসের এই বিশেষ দিনে ভালোবাসার উপহার স্বরূপ এসব শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করেন তারা। পাশাপাশি শিশু শিক্ষার্থীদের সাথে সময়ও কাটান।

সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ফরহাদ হোসাইন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ভালোবাসা দিবসে বন্ধুরা মিলে গোলাপ না কিনে সেই টাকা দিয়ে এতিম, অসহায় ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ দিয়েছি। বিকালে কিছু এতিমখানায় শিশুদের মাঝে শিক্ষা উপকরণের পাশাপাশি পাদুকাও বিতরণ করেছি।

আরেক সদস্য প্রিন্স মারিফ বলেন, ভালোবাসা দিবস মানে শুধু প্রিয়জনকে নয়। একজনের প্রতি আরেকজনকে ভালোবাসার সমন্বয়কে ভালোবাসা বলে। আমরা মা-বাবাকে ভালোবাসবো।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/14/1550144070370.jpg

সংগঠনের আরেক সদস্য এস এম জামাল বলেন, ‘সমাজই পারে সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সামনে নিয়ে আসতে। আমরা কিছু বন্ধু মিলে আজকের এই বিশেষ দিনে কিছু কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মাঝে ভালোবাসা বিলিয়ে দিলাম।’

মহানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা বলেন, ‘এই বিদ্যালয়ে বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই দরিদ্র। গ্রামাঞ্চলে এসব শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা দিন আনে দিন খায়। আজকে যারা শিক্ষা উপকরণ পেয়েছে তাদের মুখের হাসি আমার কাছে ভালো লেগেছে।’

কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের বাঘা যতীন এন্ড আকবর হোসেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম বলেন, আজকের এই ভালোবাসা দিবসে যেখানে অনেকেই গোলাপ ফুল কিনতেই ব্যস্ত, সেখানে এই সংগঠনের যুবকেরা খাতা-কলম নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে, সত্যিই এটি আনন্দের বটে। এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;