সাতছড়ি উদ্যানে ছড়িয়েছে ভালোবাসার সুবাতাস



কাজল সরকার, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, হবিগঞ্জ, বার্তা২৪.কম
সাতছড়ি উদ্যানে ঘুরতে এসে সেলফিতে ব্যস্ত দর্শনার্থীরা / ছবি: বার্তা২৪

সাতছড়ি উদ্যানে ঘুরতে এসে সেলফিতে ব্যস্ত দর্শনার্থীরা / ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ভালোবাসার কোনো নির্দিষ্ট সংজ্ঞা নেই। ভালোবাসা হতে পারে প্রেমিকার সঙ্গে, পিতা-মাতা, ভাই-বোন, বন্ধুর সঙ্গে, প্রকৃতির সঙ্গে অথবা সৃষ্টিকর্তার¯সঙ্গে। তবে ভালোবাসা দিবসটি প্রেমিক-প্রেমিকার জন্য বিশেষ দিন হিসেবে পরিচিত। তাই দিনটি তাদের কাছে অন্যরকম এক অনুভূতির।

`তুমি এক বিন্দু ভালোবাসা দাও, আমি এক সিন্ধু হৃদয় দেব‘, অথবা `ভালোবেসে সখি নিভৃতে যতনে আমার নামটি লিখো-তোমার মনের মন্দিরে‘ এ ধরনের ভালোবাসার গানগুলো কানে বাজলেই প্রেমিক-প্রেমিকাদের মন চায় নিজের প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে হারিয়ে যেতে এক অন্য দিগন্তে। নয়নে-নয়ন, আর হাতে-হাত রেখে বলতে চায় ‘হে প্রিয়, ভালোবাসি তোমায়’। আবার কখনো মন চায় একই রংঙের পোষাক পরে প্রিয় মানুষটির সঙ্গে হারিয়ে যেতে প্রকৃতির মাঝে।

যান্ত্রিক জীবনে ভালোবাসার মানুষগুলোকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার কতটাইবা সুযোগ হয়। সময়ের ক্ষণে ক্ষণে ব্যস্ততায় কাটে প্রতিটি মানুষের জীবন। তবে শত ব্যবস্ততার মাঝেও ভালোবাস দিবসে প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে ঘুরতে বের হতে মন চায়। তাইতো ভালোবাসা দিবসের এই দিনে প্রেমিক যুগলদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে হবিগঞ্জের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান। আর উদ্যানের সৌন্দর্য, বণ্যাপ্রাণি ও পাখিদের কলকাকলিতে যেন পরিপূর্ণতা পেয়েছে ভালোবাসা দিবস।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/14/1550161404654.jpg

হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলায় অবস্থিত রঘুসুন্দর পাহাড়ের সাতটি ছড়া থেকে মূলত নামকরণ করা হয়েছে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের। ২০০৫ সালে ২৪৩ হেক্টরের এই বনাঞ্চলকে জাতীয় উদ্যান ঘোষণা করা হয়। শত বছরের পুরনো আকাশসম বৃক্ষ, বিভিন্ন প্রজাতির বানর ও বন্যপ্রাণী আর পাখির কলকাকলিতে মুখরিত থাকে এই উদ্যান।

উদ্যানটিতে ১৪৯ প্রজাতির পাখি, ২৪ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ১৮ প্রজাতির সরীসৃপ এবং ৬ প্রজাতির উভচর প্রাণি আছে। রয়েছে ২৪ পরিবারের ত্রিপুরা আদিবাসী গ্রাম।

বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সাতছড়ি উদ্যানে গিয়ে দেখা যায়, দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে উদ্যানের চারপাশ। প্রেমিক যুগলদের বিচরণে পূর্ণতা পেয়েছে উদ্যানের যৌন্দর্য। রঙ-বেরঙের পোষাক পরে ছুটে চলেছেন এক প্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে। মাথায় মাথা ঠেকিয়ে কিংবা কাঁধে হাত রেখে সেলফি তুলছেন প্রিয় মানুষটির সঙ্গে। শুধু প্রেমিক যুগলই নয়, পরিবার পরিজন নিয়েও অনেকে ঘুরতে গেছেন উদ্যানের ভেতরে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে পিকনিক করতেও এসেছেন দর্শনার্থীরা। ভালোবাসা যে শুধু প্রেমিক-প্রেমিকারই নয়, তার প্রমাণ দিয়েছে বন্ধুর কাঁধে কাঁধ রেখে তোলা যুবকদের সেলফিগুলো।

ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া থেকে নিজের সহধর্মিনীকে নিয়ে ঘুরতে আসা মঈনুল হাসান বলেন, ‘বিভিন্ন ব্যস্ততার কারণে প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে বের হওয়ার সময় হয় না। তাই ভালোবাসা দিবসকেই বেচে নিয়েছি বের হওয়ার জন্য।'

 https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/14/1550162963360.jpg

তিনি আরও বলেন, `সাতছড়ি উদ্যানটি অনেক সুন্দর। এখানে এসে অনেক ভাল লেগেছে।'

প্রেমিককে নিয়ে ঘুরতে আসা চুনারুঘাটের রুবেল মিয়া বলেন, `ভালোবাসা শুধু প্রেমিক প্রেমিকার নয়। প্রকৃতির সঙ্গেও প্রেম করা যায়। তাই সাতছড়ি উদ্যানে প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে ঘুরতে আসলাম। এতে প্রকৃতির সঙ্গেও প্রেম করা হলো।'

সাতছড়ি রেঞ্জের রেঞ্জার মাহমুদ হোসেন জানান, এখানে পর্যটকদের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার জন্য পর্যটন পুলিশ কাজ করছে। পাশাপাশি গাইড নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যারা গহীন অরণ্যে যেতে চায় তাদেরকে গাইডের মাধ্যমে যেতে হবে।

তিনি বলেন, `বিভিন্ন দিবসে পর্যটকদের সংখ্যা বেড়ে যায়। তখন আমাদের সামলাতে হিমশিম খেতে হয়। তবে আমরা চেষ্টা করি পর্যটকদের সব ধরনের সুযোগ সুবিধা দেওয়ার জন্য।'

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;