বাতির নিচে অন্ধকার!



শরিফুল ইসলাম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, নড়াইল, বার্তা২৪.কম
তারবিহীন বৈদ্যুতিক খুঁটি / ছবি: বার্তা২৪

তারবিহীন বৈদ্যুতিক খুঁটি / ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকার যখন প্রতিটি বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে ঠিক তখনো বিদ্যুৎ পৌঁছায়নি শহর ঘেঁষা একটি গ্রাম। সারি সারি বসানো হয়েছে বিদ্যুতের খুঁটি। আর বিদ্যুতের এ খুঁটি বসাতে গ্রামবাসীকে রীতিমতো খরচ দিতে হয়ছিল লক্ষাধিক টাকা। তাও প্রায় পাঁচ বছর আগে।

জানা গেছে, নড়াইল পৌরসভার দক্ষিণ নড়াইল এবং মুলিয়া ইউনিয়নের ননীক্ষীর গ্রামটি শহর ঘেঁষা হলেও এ এলাকার বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই খারাপ। মাত্র দু’কিলোমিটার রাস্তায় প্রায় ৫ বছর অগে বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য ১৫টি বৈদ্যুতিক খুঁটি পোতা হলেও দু’শতাধিক পরিবার এখনো অন্ধকারে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, এ এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ওজোপাডিকো) দুই সিবিএ নেতা বৈদ্যুতিক খুঁটি, তারসহ আনুসঙ্গিক খরচ ও সংযোগ বাবদ ১ লাখ ২০ হাজার টাকা নিলেও এলাকায় এখনো বিদ্যুৎ পৌঁছায়নি।

ননীক্ষীর গ্রাম উন্নয়ন সমিতির সভাপতি সাহেব আলী মীর বলেন, ‘২০১৪ সালের নভেম্বর মাসে দক্ষিণ নড়াইলের একাংশ ও নুনীক্ষীর গ্রামের দু’কিলোমিটার এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য নড়াইল জেলার ওজোপাডিকোর নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর দরখাস্ত করা হলেও বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে ব্যর্থ হই। তখন সরকার দলীয় সিবিএ নেতৃবৃন্দের যোগাযোগ মাধ্যমে ওজোপাডিকোর নড়াইল অফিসের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী (ইউডিএ) তৎকালীন বিদ্যুৎ শ্রমীক লীগ নড়াইল জেলা শাখার সভাপতি মো. তৈহিদুজ্জামানের যোগসাজসে বিদ্যুৎ শ্রমিক লীগ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নড়াইল অফিসের এমএলএসএস লাইবুর রহমানকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। এর কয়েক মাস পর ২০১৫ সালের মার্চ ও এপ্রিল মাসে দু’দফায় ওই এলাকায় ১৫টি বৈদ্যুতিক খুঁটি পোতা হয় এবং তার সংযোগস্থলে নেওয়া হয়। এ সময় বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান বন্ধ হয়ে যায়।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/21/1553181779909.jpg

সূত্র জানায়, নড়াইল ওজোপাডিকোর তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলী রজব আলী বিশ্বাস বিষয়টি যশোর ওজোপাডিকোর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. ইখতিয়ার উদ্দিনকে (পরিচালন ও সংরক্ষণ সার্কেল) অবহিত করলে এ ঘটনায় ওজোপাডিকো, যশোরের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী সায়েদ আলীকে প্রধান করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। ২০১৫ সালের ৪ আগস্ট তদন্ত কাজ শুরু হয়। তদন্তে লায়েবুর রহমান দোষী সাবস্ত প্রমাণিত হলে শাস্তি স্বরুপ বরগুনায় বদলি হলেও এলাকাবাসী আর বিদ্যুৎ সংযোগ পায়নি। এমনকি ফিরিয়ে দেওয়া হয়নি ক্ষতিগ্রস্তদের কষ্টের টাকাও।

নুনীক্ষী এলাকার বাসিন্দা সুজিত বিশ্বাস বলেন, ‘সর্বশেষ ১০ দিন পূর্বে তৌহিদুজ্জানকে বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যাপারে কথা বললে তিনি লেবারের খরচের জন্য আরও ১০ হাজার টাকা দাবি করেন। প্রধানমন্ত্রী ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেবার কথা বললেও নড়াইল বিদ্যুৎ অফিসের কিছু ব্যক্তির কাছে অমরা বার বার হয়রানির স্বীকার হচ্ছি।’

এদিকে অভিযুক্ত লাইবুর রহমাননের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

তবে সিবিএ নেতা মো. তৈহিদুজ্জামান বলেন, ‘দক্ষিণ নড়াইল ও নুনীক্ষীর এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগের ঘটনার সাথে তার বিন্দুমাত্র কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। তবে যেসব ঠিকাদার এসব সংযোগের কাজ করে থাকে তাদের সাথে সুজিত বিশ্বাসের কথা বলিয়ে দিয়েছিলাম। এখানে টাকার কোনো কথা হয়নি।’

এ ব্যাপারে নড়াইল ওজোপাডিকোর নির্বাহী প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) আবু রায়হান বলেন, ‘এ ব্যাপারে কিছু কিছু বিষয় জানা আছে। এটা অনেক দিন পার হয়েছে।’

এক পর্যায়ে তিনি উত্তেজিত কণ্ঠে বলেন, ‘আপনারা এতো দিন কোথায় ছিলেন? আমাদের কাছে কোনো ডুকুমেন্ট নেই। আপনাদের কাছে কি ডুকুমেন্ট আছে নিয়ে অফিসে আসেন। ননীক্ষীর ও দক্ষিণ নড়াইলের বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য বিশেষ কোনো পদক্ষেপ নেই। যেসব জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ নেই তার জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে একটি চাহিদা পত্র পাঠানো হয়েছে।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;