জয়রামপুরের ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা: ক্ষত কাটেনি আজও



অনিক চক্রবর্তী, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, চুয়াডাঙ্গা, বার্তা২৪.কম
জয়রামপুরের ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা: ক্ষত কাটেনি আজও। ছবি: বার্তা২৪.কম

জয়রামপুরের ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা: ক্ষত কাটেনি আজও। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গার জয়রামপুরে গত দুই বছর আগে আজকের দিনে (২৬ মার্চ) এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। ওই দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে প্রাণ হারায় একই গ্রামের ১৩ জন শ্রমিক। গুরুতর আহত হয় আরও ১২ জন। তবে এ ঘটনার দুই বছর পার হলেও স্বজন হারানোর ক্ষত আজও কাটিয়ে উঠতে পারেনি নিহতদের পরিবারগুলো। আর আহত অধিকাংশ শ্রমিক অক্ষমতার কারণে এখন ঘরে বসে দিন কাটাচ্ছে।

এ ঘটনায় ওইদিনই পুলিশ বাদী হয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করে। এতে আসামি করা হয় ঘাতক ট্রাকের চালক ও সহকারীকে। বর্তমানে তারা কারাগারে রয়েছেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/26/1553596925496.jpg

জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২৬ মার্চ তখনো ভোর হতে অনেকটা সময় বাকি। গ্রামের ২৫ জন দিনমজুর প্রতিদিনের মতো সেদিনও বের হয়েছিল নিজেদের কাজের সন্ধানে। খেটে খাওয়া এসব নিম্ন আয়ের মানুষগুলোর উদ্দেশ্য ছিল কাজে যোগ দিয়ে অর্থ উপার্জন করে দু’মুঠো অন্নের ব্যবস্থা করার। স্বপ্ন ছিল নিজের পরিবারের সঙ্গে খেয়ে-পরে সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার। কিন্তু একটি সড়ক দুর্ঘটনা ভেঙে ফেলে ১৩টি পরিবারের স্বপ্ন।

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর এলাকায় ট্রাক ও ভটভটির মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণ হারায় বড়বলদিয়া গ্রামের ১৩ জন নির্মাণ শ্রমিক।

এদিকে দুই বছর পার হলেও সেদিনের সেই ভয়াবহ দুর্ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে শিউরে ওঠেন আহতদের অনেকে। আহতদের অধিকাংশ এখনো হয়ে ওঠেনি পুরোপুরি সুস্থ। পঙ্গুত্ব জীবন নিয়ে ঘরে বসেই দিন কাটছে তাদের।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/26/1553596944625.jpg

সেদিনের দুর্ঘটনায় প্রাণে বেঁচে যাওয়া বড়বলদিয়ার আলতাব মিয়া জানান, আজও তার চোখে ভেসে ওঠে সেই দৃশ্য। চারিদিকে শুধু রক্ত আর রক্ত। আলতাব মিয়ার পুরো শরীরে আজও সেই দুর্ঘটনার চিহ্ন দেখা যায়।

একই গ্রামের দিনমজুর গাজী মিয়া সেদিনের সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণে বেঁচে গেলেও মারা যায় তার প্রিয় সন্তান শান্ত। কান্না জড়িত কণ্ঠে তিনি জানান, দুর্ঘটনার সময় হঠাৎ একটি বিকট শব্দ শোনেন এবং রাস্তায় ছিটকে পড়েন। এরপর আর কিছুই তার মনে নেই। ১৯ দিন পর বাড়ি ফিরে শোনেন তার ছেলে ওই দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই মারা গেছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/26/1553596975828.jpg

এদিকে দুর্ঘটনার পর নিহত ও আহতদের পরিবারের মাঝে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আর্থিক অনুদান দিলেও তা যথেষ্ট নয় বলে জানান ভুক্তভোগী পরিবারগুলো। দুর্ঘটনায় নিহত ও আহত পরিবারের সদস্যরা যেন সুন্দর স্বাভাবিক ভাবে জীবনযাপন করতে পারে সেজন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য সহ সমাজের দানশীল ব্যক্তিদের কাছে আর্থিক সাহায্যের দাবি করেছে এলাকাবাসী।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;