একই নামে মুক্তিযোদ্ধা দাবিদার দু’জন, বিপাকে প্রশাসন



নিয়াজ আহমেদ সিপন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, লালমনিরহাট, বার্তা২৪.কম
মসলা বিক্রেতা প্রতাপ চন্দ্র রায় / ছবি: বার্তা২৪

মসলা বিক্রেতা প্রতাপ চন্দ্র রায় / ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

নাম ঠিকানা একই হওয়ায় একই গেজেটে লালমনিরহাট ও রংপুরের দুইজন নিজেদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দাবি করছেন। এরা হলেন- লালমনিরহাট সদর উপজেলার হারাটি ইউনিয়নের কাজিরচওড়া গ্রামের মৃত তারিনী চন্দ্রের ছেলে ও মসলা বিক্রেতা প্রতাপ চন্দ্র রায় এবং রংপুরের গংগাচওড়া ইউনিয়নের উত্তর ধামুর গ্রামের তারিনী কান্তের ছেলে প্রতাপ চন্দ্র রায়। ফলে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা শনাক্তে বিপাকে প্রশাসন।

লালমনিরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি মসলা বিক্রেতা প্রতাপ চন্দ্রকে নিয়ে বার্তা২৪.কম-এ ‘ভোট আসলে সবাই কথা দেয়: ভাতা বঞ্চিত মুক্তিযোদ্ধা’ শিরোনামে একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

এরই মধ্যে সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আবু বক্কর সিদ্দিক ভাতা প্রদান না করতে উপজেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করেন। তিনি উল্লেখ করেন, ‘এই গেজেটে রংপুর সদর উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের আওতায় ৩২৯ নং বইয়ের বিপরীতে একই নামে একজন ২০১৪ সাল থেকে ভাতাভুক্ত রয়েছেন।’

পরবর্তীতে উপজেলা প্রশাসনের আহ্বানে রংপুরের ভাতাভোগী শিক্ষক প্রতাপ চন্দ্র রায় কাগজপত্রসহ হাজির হন। তবে সাক্ষাতকারে যুদ্ধের ঘটনার বর্ণনা, দাখিলকৃত কাগজপত্র ও ঠিকানার যথেষ্ট গরমিল পায় প্রশাসন। সাক্ষাতকারে তিনি জানান, যুদ্ধের সময় কিছুদিন এই এলাকায় থাকায় ঠিকানা লালমনিরহাটের কাজিরচওড়া লিখেছেন। কিন্তু এ সময় তিনি কাজিরচওড়া গ্রামের কোথায় ছিলেন তা জানাতে পারেননি।

শুধু তাই নয়, সনদে তার ঠিকানা রংপুর শহরের রাধাবল্লব বলা হলেও জাতীয় পরিচয়পত্রে রয়েছে রংপুরের গংগাচওড়া উপজেলার উত্তর ধামুর। ভাতা নিচ্ছেন রংপুর সদর উপজেলা সমাজসেবা থেকে। এছাড়া লালমনিরহাটের কাজিরচওড়া গ্রামের প্রতাপ চন্দ্র রায় হিসেবে লাল মুক্তিবার্তার ৩১৪০১০৪৩৬ নং ক্রমিক ব্যবহার করলেও সনদের ঠিকানা রংপুরের রাধাবল্লব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাক্ষরিত মুক্তিযোদ্ধার সনদ (নং ৩১০০৮) অনলাইনে ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার এমএ খালেক নামে একজন মুক্তিযোদ্ধার তথ্য আছে। যে সনদটি দিয়ে দীর্ঘ ৪ বছর ধরে মুক্তিযোদ্ধার সম্মানি ও চাকরিতে বিশেষ কোটার সুবিধা ভোগ করে আসছেন তিনি।

রংপুরের গংগাচওড়া উত্তর ধামুর গ্রামের স্থানীয়রা জানান, শিক্ষক প্রতাপ চন্দ্রের বাবার নাম তারিনী কান্ত রায়। যুদ্ধের সময় তিনি নিজ গ্রামেই ছিলেন এবং গংগাচওড়া হাই স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। পরবর্তীতে রংপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে যোগদান করেন।

তবে শিক্ষক প্রতাপ চন্দ্র বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘১৯৯৯ সালে লালমনিরহাটের একজন মুক্তিযোদ্ধার সহায়তায় আমি আবেদন করি। ২০০০ সালে যাচাই বাচাই শেষে আমাকে সনদ দেওয়া হয়। আর ২০১৪ সালে ভাতাভুক্ত হই।’

তবে সনদে অনলাইনে অন্যজনের তথ্যের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সনদ প্রদানকারীরা প্রতারণা করেছেন। সমস্যা হলে ভাতা উত্তোলন করব না।’

এ সময় এই প্রতিবেদককে তিনি নিউজ প্রকাশ না করতে অনৈতিক সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাব দেন।

সূত্রে জানা গেছে, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের লাল মুক্তিবার্তার ৩১৪০১০৪৩৬ নং ক্রমিক এবং ২০০৫ সালের ৩০ মে প্রকাশিত বেসামরিক গেজেটের ৫১৪৫ নং পৃষ্ঠার ৪৯৭ নম্বরের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে রয়েছেন লালমনিরহাট সদর উপজেলার হারাটি ইউনিয়নের কাজিরচওড়া গ্রামের মৃত তারিনী চন্দ্রের ছেলে প্রতাপ চন্দ্র রায়। তিনি লালমনিরহাট মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ৩৩৪ নং ভোটার। তিনিও সম্মানি ভাতার জন্য কয়েক বছর ধরে সংসদ কমান্ড নেতা ও সরকারি বিভিন্ন দফতরে ঘুরছেন।

মসলা বিক্রেতা প্রতাপ চন্দ্র রায় বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘সম্মানির জন্য নয়, দেশের জন্য যুদ্ধ করেছিলাম। মৃত্যুর আগে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেখে যেতে চাই।’

লালমনিরহাটের হারাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রফিক বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘কাজিরচওড়া গ্রামে মৃত তারিনী চন্দ্র রায়ের ছেলে প্রতাপ চন্দ্র রায় নামে একজন ব্যক্তিই আছেন। যিনি গ্রামে ঘুরে গরম মসলা বিক্রি করেন।’

লালমনিরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জয়শ্রী রানী রায় বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘একই নামে দু'জনই নিজেদের মুক্তিযোদ্ধা দাবি করায় জটিলতা দেখা দিয়েছে। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাকে পুনর্বাসন এবং ভুয়াকে শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

তবে সনদ, ঠিকানা ও যুদ্ধের ঘটনা বর্ণনায় শিক্ষক প্রতাপ চন্দ্র রায়ের কোনো মিল পাওয়া যাচ্ছে না বলেও জানান তিনি।

   

পাবনায় ২৪২ মেট্রিকটন ভারতীয় চিনি জব্দ, আটক ২৩



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে চোরাইপথে আনা ২৪২ মেট্রিকটন ভারতীয় চিনিসহ ১২টি ট্রাক জব্দ করেছে পাবনা জেলা পুলিশ। এ সময় ট্রাকচালক ও হেলপারসহ ২৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের বিশেষ অভিযানে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম।

তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র অবৈধভাবে আমদানিকৃত ভারতীয় চিনি দেশে এনে বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করছিল। এমন খবরের ভিত্তিতে মাঠে নামে পুলিশ। পরে কাজিরহাট ঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তারা মালামালের বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। এরপর এগুলো জব্ধ করা হয় এবং ২৩ জনকে আটক করা হয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম আরও জানান, এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন। তদন্তের পর এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।

;

জিআই স্বীকৃতি পেল নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা



শরীফ ইকবাল রাসেল, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নরসিংদী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই (জিওগ্রাফিক্যাল ইনডিকেশন) পণ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে। এই স্বীকৃতি পাওয়ায় খুশি চাষিরা। এতে নরসিংদীর অবস্থানকে আরও উপরে নিয়ে গেছে বলে জানালেন জেলা প্রশাসক।

কোনো দেশের নির্দিষ্ট ভূখণ্ডের মাটি, পানি, আবহাওয়ার প্রেক্ষাপটে সেখানকার জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি কোনো একটি পণ্য উৎপাদনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলে সেটিকে সেই দেশের জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়।

দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে জিআই এর স্বীকৃতি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। এবার সেই জিআই পণ্যের তালিকায় নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা। গত ৮ ফেব্রুয়ারি শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদফতর নরসিংদীর অমৃত সাগর কলার ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্যের স্বীকৃতি প্রদান করে। জিআই সনদপত্রটি ১১ ফেব্রুয়ারি সরকার প্রধানের হাতে তুলে দেয়া হয়। এই স্বীকৃতিতে খুশি কলাচাষিরা।

নরসিংদী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সূত্রে জানা যায়, নরসিংদীতে দোআঁশ ও বেলে দোআঁশ মাটি থাকায় এখানে অমৃত সাগর কলার চাষাবাদ বেশি হয়। অমৃত সাগর কলা স্থানীয় বাজারের চাহিদা পুরণ করে আশপাশের জেলা ও রাজধানীতে সরবরাহ করা হয়।

শুধু তাই নয়, দেশের বাইরেও রফতানি হচ্ছে এই সাগর কলা। এরই প্রেক্ষিতে ই-কমার্স ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের সহযোগিতায় নরসিংদীর লটকন ও অমৃত সাগর কলাকে ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়। আবেদনের প্রেক্ষিতে যাচাই বাছাই শেষে সাগর কলাকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে কর্তৃপক্ষ।

নরসিংদী জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলম জানান, জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে অমৃত সাগর কলা দেশে ও দেশের বাইরে রফতানিতে ব্যাপক সাড়া ফেলবে।

জেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলতি বছর জেলায় ৫৮০ হেক্টর জমিতে অমৃত সাগর কলার চাষাবাদ করা হয়েছে। এই স্বীকৃতিতে আগামী বছর এর চাষাবাদ আরও বাড়বে বেলে আশাবাদ সচেতন মহলের।

;

প্রীতি ফুটবল ম্যাচ খেলতে রাজবাড়ী আসছেন ব্যারিস্টার সুমন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রীতি ফুটবল ম্যাচ খেলতে রাজবাড়ী আসবেন দেশের আলোড়ন সৃষ্টিকারী ব্যক্তিত্ব হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য, ক্রীড়া সংগঠক ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। সবকিছু ঠিক থাকলে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের বহরপুর রেলস্টেশন সংলগ্ন ঐতিহ্যবাহী বহরপুর রেলওয়ে মাঠে খেলবেন তিনি ও তার দল।

বালিয়াকান্দিতে খেলতে আসার বিষয়টি ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন নিজেই তার ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বি.এন.বি.এস আন্তঃজেলা ফুটবল টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটি বহরপুরের আয়োজনে এ প্রীতি ফুটবল ম্যাচে ব্যারিস্টার সুমন একাডেমি বনাম মাগুরা জেলা ফুটবল একাদশ অংশগ্রহণ করবে।

বি.এন.বি.এস আন্তঃজেলা ফুটবল টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের জনপ্রিয় মুখ হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকাল ৩টায় ঐতিহ্যবাহী বহরপুর রেলওয়ে মাঠে ফুটবল খেলতে আসবেন। খেলার মাঠটি প্রস্তুত করা হয়েছে। আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে সকল প্রস্তুতি সম্পূর্ণ হয়েছে।

রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার জি.এম.আবুল কালাম আজাদ বলেন, বহরপুর রেলওয়ে মাঠে ব্যারিস্টার সুমন তার একাডেমির খেলোয়াড় নিয়ে ফুটবল খেলতে আসবেন। এ খেলায় হাজার হাজার দর্শক হবে। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হবে। খেলার মাঠসহ আশপাশের এলাকা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ৪ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।

বি.এন.বি.এস আন্তঃজেলা ফুটবল টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটির সভাপতি কাজী শহিদুল ইসলামের (সাহিদ) সভাপতিত্বে খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে রেলমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিমের।

এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন রাজবাড়ী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম শফিকুল মোরশেদ আরুজ,বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবুল কালাম আজাদ,কালুখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অলিউজ্জামান চৌধুরী টিটু,বালিয়াকান্দির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম,বালিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোঃ আলমগীর হোসেন, বালিয়াকান্দি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ হান্নানসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।

;

শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে এসে হরিণ শিকারের চেষ্টা, যুবক আটক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বাগেরহাট
যুবক আটক

যুবক আটক

  • Font increase
  • Font Decrease

সুন্দরবন থেকে হরিণ শিকারের ১৫০ ফুট ফাঁদসহ মো. জুয়েল নামের এক চোরা শিকারিকে আটক করেছে বনবিভাগ।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ভোরে সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগ শরণখোলা রেঞ্জের বগি স্টেশনের চরখালী টহল ফাঁড়ি সংলগ্ন অভয়ারণ্য থেকে তাকে আটক করা হয়। এ সময় অপর দুই শিকারি গহীন বনে পালিয়ে যায়।

আটক জুয়েল ঢাকার ডেমরা থানার মো. জালালের ছেলে। বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার তাফালবাড়ি এলাকায় তার শ্বশুর মো. মনো হাওলাদারের বাড়িতে এসে সুন্দরবনে হরিণ শিকার করতে গিয়ে আটক হয়েছেন জুয়েল।

সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চরখালী টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার ভোরে সুন্দরবনের অভ্যন্তরে নিয়মিত টহলকালে বগি স্টেশনের চরখালী টহল ফাঁড়ির কাছে অভয়ারণ্য থেকে ফাঁদ পেতে অপেক্ষারত অবস্থায় জুয়েল নামে এক চোরা শিকারিকে আটক করা হয়েছে। এ সময় তার সাথে থাকা অপর দুই চোরা শিকারি গহীন বনে পালিয়ে যান। পালিয়ে যাওয়াদের আটকের চেষ্টা চলছে বলে জানায় বনবিভাগ।

এদিকে আটককৃতের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দায়েরের পর বৃহস্পতিবার দুপুরে বাগেরহাট আদালতে পাঠালে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।

;