৮২ বছরেও ভাতা মেলেনি বিধবা জহুরান্নেছার



রাকিবুল ইসলাম রাকিব, উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ)।
৮২ বছরের বিধবা বৃদ্ধা জহুরান্নেছা, ছবি: বার্তা২৪

৮২ বছরের বিধবা বৃদ্ধা জহুরান্নেছা, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

‘জামাইর (স্বামী) ঘর বেশিদিন করা অইলো না। ভাবছিলাম পোলাপাইনে আমারে খাওন-খোরাকি দিবো। অভাবের ঠেলায় তো ওরাই নিজের সংসার চালাইতে পারেনা। আমারে কি খাওয়াইবো। কপালডা ভালা এই বইল্যা যে, অভাবের মধ্যেও ছোট পোলা সবদূর আমারে খাওয়ায়। ওর লগেই আমি থাহি (থাকি)।

তয় আমার বয়স অইছে, খাটাখাটনি করবার পারিনা, শইলেও মেলা অসুখ-বিসুখ ধরছে। টেকার অভাবে ভালা ডাক্তারও দেহাইতে পারিনা। মাইনসের কাছে হুনি বুড়া অইলে, স্বামী মরলে সরকারে বলে ভাতার কার্ড দেয়। কই আমি তো বুড়া থুরথুরা অইয়া গেছি। আমারে তো কেউ ভাতার কার্ড দিল না’।

বার্তা২৪.কমের সঙ্গে কথাগুলো বলছিলেন ৮২ বছরের বিধবা বৃদ্ধা জহুরান্নেছা। তার বাড়ি ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলারা ২নং গৌরীপুর ইউনিয়নের শালীহর গ্রামে। স্বামী-মৃত উমর আলী।

বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় জহুরেন্নাছার দেখা মেলে গৌরীপুর পৌর শহরের পাটবাজার এলাকায়। বয়সের ভারে তার কোমর বেঁকে গেছে। কুঁচকে  গেছে গায়ের চামড়া। এই শরীরেই হাতে একটি ব্যাগ নিয়ে ধীর গতিতে হেঁটে চলছেন তিনি। হঠাৎ ওই এলাকার চায়ের দোকানে বসে থাকা কাস্টমারদের কাছে সাহায্যের আকুতি জানালেন তিনি। সাহায্য করার সূত্র ধরেই এ প্রতিবেদকের  সঙ্গে কথা হয় এই বৃদ্ধার।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/18/1555582655068.jpg

বার্তা২৪.কমকে তিনি বলেন, সংগ্রামের (মুক্তিযুদ্ধ) আগেই আমার বিয়া অয়। সংসারে আহে চাইর পোলা ও এক মাইয়া। জামাই (স্বামী) তহন কাঁচাবজারের ব্যবসা কইর‌্যা সংসার চালাইতো। অভাব থাকলেও সংসারডাত সুখ আছিল। হুট কইর‌্যা জামাই আরেকটা বিয়া করনে আমি ওইহান থেইক্যা আইয়া পড়ি। হেরপর কষ্ট কইর‌্যা পোলপাইনডিরে বড় করছি। তয় সংসারের অভাব আর দূর অইলো না। অহন বুইর‌্যা বয়সেও মাইনসের কাছে হাত পাতন লাগে।’

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শালীহর গ্রামের একটি জরাজীর্ণ ঘরে জহুরেন্নাছা বসবাস করেন। তার স্বামী মারা গেছে প্রায় ২০ বছর আগে। চার ছেলে ও এক মেয়ের সবারই বিয়ে হয়ে গেছে। তবে ছোট ছেলে সবদূর ছাড়া কেউ মায়ের খোজঁ-খবর নেয় না। বয়সের ভাড়ে  ন্যুয়ে পড়া জহুরান্নেসার বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছেন। প্রতিমাসে তার ওষুধ বাবদ এক হাজার টাকার বেশি খরচ অয়। মানুষের কাছ থেকে সাহায্য নিয়েই তিনি খরচটা  জোগান।

জহুরেন্নাছার বয়স ৮২ হলেও তিনি কোনো বয়স্ক ভাতা পান না। জরাজীর্ণ ঘরে থাকলেও সরকারি ঘরের বরাদ্দ তার ভাগ্য জোটেনি। একবার স্থানীয় ইউপি সদস্য বয়স্ক ভাতা দেয়ার কথা বলে জাতীয় পরিচয়পত্র ও ছবি নিলেও পরবর্তীতে তিনি ভাতা পাননি। তবে গ্রামের মানুষ ধান কাটার মওসুমে তাকে ধান-চাল দিয়ে সাহায্য করে। সেটা দিয়েই কষ্ট করে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন তিনি।

বার্তা২৪.কমকে জহুরান্নেছা বলেন ‘যারার (যার) লোক আছে, হেরা ভাতার কার্ড পাইছে। আমার লোকও নাই। ভাতার কার্ডও নাই। গেরামের মেম্বাররে জিগাইলে খালি কয় অইবো। কিন্তু কবে যে অইবো হেইডা আর কয় না। কার্ডটা পাইলে তো একটু অইলেও আমার অভাবডা কমতো। এই বয়সে কত কিছু খাইতে-পড়তে মন চায়। তয় সব কিছুর লেইগ্যা মাইনষ্যের কাছে হাত পাততে ভাল্লাগে না।’

জহুরান্নেছার সঙ্গে কথা বলতে বলতে ঘড়ির কাটায় ১২টা বেজেছে। চায়ের দোকানটা তখন অনেকটাই কাস্টমার শূন্য। এমন সময় কাছে এসে বসেন চা দোকানি হারুন রশিদ। তিনি বলেন, চাচি এই বয়সে তুমি ভাতা পাওনা আমার তো বিশ্বাস হয় না। সত্য করে বলেন,  সাংবাদিকের কাছে মিছা (মিথ্যা) কথা কইলে কিন্তু ধরা খাইবা।

জহুরান্নেছার সোঁজা জবাব, এই বয়সে মিছা কথা কইলে বাবা, মরার পরে আমারে মাইট্যে গছতো না”।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;