মাদরাসা থেকে পানি নেয়ায় মা-মেয়েসহ ৪জনকে পেটালেন শিক্ষকরা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বান্দরবান, বার্তা২৪.কম
আহত নারী, ছবি: সংগৃহীত

আহত নারী, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবানের আলীকদম উপজেলায় মাদরাসার টিউবওয়েল থেকে পানি নেওয়ার অভিযোগে মা-মেয়ে’সহ ৪ জনকে পেটালেন মাদরাসার শিক্ষকরা। এ ঘটনায় আলীকদম থানায় ৫ জন শিক্ষক’সহ অজ্ঞাত আরও চারজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) এই ঘটনা ঘটলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘটনার ভিডিও চিত্র ছড়িয়ে পড়লে পরে সেটা জানাজানি হয় এলাকায়।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, জেলার আলীকদম উপজেলার সদর ইউনিয়নের আলীকদম ফয়জুল উলুম মাদরাসা ও এতিমখানার টিউবওয়েল থেকে খাবার পানি আনতে (সংগ্রহ) যান দানুসর্দার পাড়ার বাসিন্দার কিশোর মোহাম্মদ আলম। কিন্তু শিক্ষকরা বাধা দেয়ার পরও পানি নেয়ার চেষ্টা করলেও মাদরাসার সুপার শামসুল হুদা’সহ কয়েকজন শিক্ষক ঝাড়ু দিয়ে পিটিয়ে কিশোরকে মাদরাসা থেকে বের করে দেন। 

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/26/1556274994183.jpg
আহত সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী, ছবি: সংগৃহীত

 

খবর পেয়ে কিশোরের মা-বোন এবং ছোট ভাই ঘটনাস্থলে ছুটে যান। এ সময় শিক্ষকরা কিশোরের মা সালমা বেগম (৩৫), ছোট বোন রহিমা জান্নাত রুনা এবং ছোটভাই মোহাম্মদ রফিক (১৬) মারধর করেন।

মাথার চুলের ঝুটি ধরে গলা ধাক্কা মেরে মেরে মাদরাসা এলাকা থেকে বের করে দেন। স্থানীয়রা আহত অবস্থায় দুই নারীকে আলীকদম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। ঘটনাটি গোপনে মোবাইলে ধারণ করে স্থানীয়দের কেউ কেউ। ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠে।

আহত মোহাম্মদ আলম বলেন, ‘মাদরাসার টিউবওয়েল থেকে পার্শ্ববর্তী সবাই খাবার পানি সংগ্রহ করেন। গত মঙ্গলবার সকালে পানি আনতে গেলে মাদরাসার সুপার শামসুল হুদা আমাকে ঝাড়ু নিয়ে পিটিয়ে মাদরাসা থেকে বের করে দেন। বিষয়টি জানতে আমার ছোট ভাই ঘটনাস্থলে গেলে তাকেও মারধর করা হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাকে মারধরের খবর পেয়ে কিছুক্ষণ পর আমার মা এবং ছোটবোন ঘটনাস্থলে গেলে শিক্ষকরা আমার মা’কেও মারধর করেন। টয়লেটের দেয়ালের সঙ্গে ধাক্কা মেরে গুরুতর আহত করে। আমার ছোটবোন সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী, সেও মারের হাত থেকে রেহাই পায়নি। তার শরীরে শিক্ষকদের নখের চিহ্ন রয়েছে।’

এদিকে, এই বিষয়ে জানতে মাদরাসার সুপার’সহ কয়েকজন শিক্ষকের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি।

তবে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আলীকদম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিক উল্লাহ জানান, মাদরাসার টিউবওয়েল থেকে পানি নেওয়া’কে কেন্দ্র করে এই জঘন্য ঘটনাটি ঘটেছে। গত বুধবার থানায় এজাহার নামীয় ৫ জন’সহ অজ্ঞাত আরও ৪জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় ২ জনকে আটক করা হয়েছে।

 

 

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;