সোনামসজিদ স্থলবন্দর, বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছে শ্রমিকরা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ বার্তা২৪.কম
সোনামসজিদ স্থলবন্দর, বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছে শ্রমিকরা। ছবি: বার্তা২৪.কম

সোনামসজিদ স্থলবন্দর, বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছে শ্রমিকরা। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের দ্বিতীয় স্থলবন্দর হিসেবে পরিচিত চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ। এ বন্দরটিতে সব মিলিয়ে শ্রমিক সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৩ হাজার।

এসব শ্রমিকরা নিয়মিত বন্দর এলাকায় গাড়ি থেকে পণ্য লোড-আনলোডের কাজ করে। কাজ করতে গিয়ে বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনাও ঘটে। এতে কেউ চিকিৎসার অভাবে মারা গেছে, আবার কেউ সঠিক সময়ে চিকিৎসা না পেয়ে চিরতরে পঙ্গুত্ব বরণ করছে। অনেকে আবার বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা নিয়ে বন্দরের কাজে যোগ দিয়েছে।

শ্রমিকদের দেয়া তথ্যমতে, সোনামসজিদ বন্দরে কাজ করতে গিয়ে গেল দেড় বছরে অন্তত ১৫ জন শ্রমিক দুর্ঘটনার শিকার হয়ে মারা গেছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সোনামসজিদ বন্দরে গিয়ে কথা হয় শ্রমিক মহিম উদ্দীনের সঙ্গে। তিনি জানান, কিছুদিন আগে বন্দরের ভেতরে ফলের গাড়ি আনলোড করার সময় হাতে ও পায়ে মারাত্মক জখম হন। পকেটে টাকা না থাকায় একদিন পরে কানসাটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নেন। সেখানে দীর্ঘদিন চিকিৎসা শেষে আবারো এখানে কাজে যোগ দিয়েছেন তিনি।

একই কথা জানালেন শ্রমিক বশির উদ্দীন। তিনি জানান, ভারতীয় গাড়ি থেকে টাইলস আনলোড করার সময় পা ভেঙে যায় তার। নিজ খরচে ও শ্রমিক সংগঠনের দেয়া সামান্য কিছু অর্থে প্রায় ১ বছর চিকিৎসা নিয়ে আবারো কাজে যোগ দেন তিনি। এছাড়া বাইতুলসহ আরও প্রায় অর্ধশত শ্রমিক বিভিন্নভাবে আহত হয়ে শয্যাশায়ী হয়ে আছেন।

আহত শ্রমিকদের দাবি- সরকারের পক্ষ থেকে বন্দর এলাকায় একটি মেডিকেল টিম নিয়োগ দেয়া হলে অনেক শ্রমিককে বিনা চিকিৎসায় প্রাণ দিতে হবে না। দুর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে আহতরা অন্তত প্রাথমিক চিকিৎসা পেলে মৃত্যুর মতো ঘটনা অনেকাংশেই কমে আসবে।

সোনামসজিদ স্থলবন্দর শ্রমিক সমন্বয় কমিটির যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক মো. লুতফর রহমান জানান, বর্তমান সময়ে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে শ্রমিকদের কাজ করতে হচ্ছে। গরমে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। অসুস্থ রোগীদের বন্দর এলাকাতে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হলে অনেকের প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হবে।

এ বিষয়ে সোনামসজিদ স্থলবন্দর শ্রমিক সমন্বয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. মুখলেসুর রহমান সরদার জানান, বন্দরে কাজ করতে গিয়ে বিভিন্ন দুর্ঘটনায় মারা গেছে আবদুস সালাম, এনামুল হক ডাহুক, মুরশেদ আলম, আমিরুল ইসলামসহ প্রায় ১৫ জন শ্রমিক। আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে আরও অর্ধশত। তাদের কমিটির পক্ষ থেকে আহত ও নিহত শ্রমিকদের কিছু অর্থ দেয়া হয়। যা মোটেও সন্তোষজনক নয়। এক্ষেত্রে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

তিনি আরও জানান, সরকারি হাসপাতাল শিবগঞ্জ বাজার থেকে বন্দর এলাকার দূরত্ব প্রায় ২৫ কিলোমিটার। কোনো শ্রমিক আহত হলে হাসপাতালে নিতে অপেক্ষা করতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। ফলে যেকোনো মুহূর্তে চিকিৎসার অভাবে অনেক শ্রমিক মারাও যায়। স্থানীয়ভাবে একটি মেডিকেল টিম নিয়োগ দিলে বন্দর এলাকা সংশ্লিষ্টদের চিকিৎসার সু-ব্যবস্থা হত।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;