বদলে যাচ্ছে নবাবগঞ্জের আর্থ-সামাজিক অবস্থা



মো. সাদের হোসেন ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট নবাবগঞ্জ (ঢাকা) বার্তা২৪.কম
ধান কাটছেন কৃষকরা / ছবি: বার্তা২৪

ধান কাটছেন কৃষকরা / ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর পাশ্ববর্তী উপজেলা নবাবগঞ্জে এখন কৃষি উৎপাদনের পাশাপাশি প্রতিনিয়ত নতুন নতুন অকৃষি খাতের বিকাশ হচ্ছে। ফলে বদলে যাচ্ছে সেখানকার আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি। জেলার সব জায়গায়ই এখন উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে।

জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে উপজেলার কালীগঙ্গা ও ইছামতি নদীতে কয়েকটি সেতু নির্মিত হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন হয়েছে। এখন কৃষকরা শহরে তাদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করতে পারায় তাদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন হচ্ছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/29/1556554040205.JPG

এসব গ্রামে সাইবার ক্যাফে, এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম ও মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থাসহ ডায়াগনস্টিক ও মেডিকেল সেন্টারের মতো সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে। বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ে হাতে কলমে শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। স্কুল-কলেজগুলোর শ্রেণি কক্ষে মাল্টি মিডিয়া সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে নবাবগঞ্জে ১৩০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৪০টির বেশি মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এ ছাড়া দোহার নবাবগঞ্জ কলেজসহ উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে কলেজ, দাখিল মাদ্রাসা, স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা এবং মক্তবভিত্তিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে।

এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ৫ থেকে ৭ বছর আগেও রোগীদের উপজেলা হাসপাতাল বা ঢাকায় নিতে ভোগান্তি পোহাতে হতো। তবে এখন ওই সমস্যা আর নেই। কারণ নবাবগঞ্জে একাধিক আধুনিক ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক মেডিকেল সেন্টার গড়ে উঠেছে। যেখানে অপারেশনসহ নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে। এছাড়া প্রতিটি ইউনিয়নে রয়েছে একাধিক সরকারি কমিউনিটি ক্লিনিক।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/29/1556554055574.jpg

 

সরেজমিনে নবাবগঞ্জ উপজেলায় বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ মানুষের হাতে স্মার্ট ফোন। বাড়িতে ব্রডব্যান্ড কানেকশন নিয়ে ওয়াই-ফাই সুবিধা ব্যবহার করছেন পরিবারের সবাই। অধিকাংশ বাড়িতে রয়েছে ফ্রিজ, টেলিভিশন ও ডিশ লাইন। অনেকে টার্কি মুরগি, ভেড়া, গরুর খামার গড়ে তুলেছেন। কেউবা জলাশয় বা পুকুর লিজ নিয়ে মাছ চাষ করছেন।

আর কৃষকরা ধান-পাটের পাশাপাশি বাণিজ্যিকভাবে ভুট্টা, পেয়ারা, কুল বা বরই ও বিভিন্ন সবজি উৎপাদন করছেন। একই সঙ্গে কৃষি উৎপাদনের পাশাপাশি গ্রামগঞ্জে এখন অকৃষি খাতের বিকাশ ঘটছে। নারীরও আয় বাড়ছে। তারা ঘরে বসে না থেকে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/29/1556554073380.jpg

কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আবুল হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘নবাবগঞ্জ ও দোহার একটি প্রবাসী অধ্যুষিত কৃষিভিত্তিক অঞ্চল। বর্তমান সরকারের উন্নয়নমুখী কার্যক্রমের আওতায় এখানে সব সুবিধা পাওয়া যায়। এ জেলাটি শতভাগ বিদ্যুতের আওতায়। ফলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন আগের তুলনায় বেড়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘গ্রামে আগে যেখানে ছনের ঘর ছিল সেখানে টিনের ঘর উঠেছে, আর টিনের ঘরের জায়গায় উঠেছে পাকা বাড়ি। শহর ও গ্রামের মধ্যে তেমন তফাৎ নেই।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;