৩৫ বছরে মে দিবসে ছুটি পাননি নৌবন্দরের শ্রমিকরা



আল মামুন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, বার্তা২৪.কম
৩৫ বছরে মে দিবসে ছুটি পাননি নৌবন্দরের শ্রমিকরা। ছবি: বার্তা২৪.কম

৩৫ বছরে মে দিবসে ছুটি পাননি নৌবন্দরের শ্রমিকরা। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মহান মে দিবস বা আন্তর্জাতিক শ্রম দিবস আজ (১ মে)। শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের দিন আজ। কিন্তু ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের নৌবন্দরের দুই সহস্রাধিক শ্রমিক জানেন না মে দিবস কিংবা শ্রম দিবস কী। ৩৫ বছরের মধ্যে কখনো এই দিবসে ছুটি পাননি এখানে কর্মরত শ্রমিকরা।

মে দিবসে শ্রমিকদের জন্য সরকারিভাবে বন্ধ থাকলেও প্রতিদিনের মতো কাজ করতে হয় তাদের। জীবনের সঙ্গে যুদ্ধ ও হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে কোনো রকমে বেঁচে আছেন তারা। এখানে কর্মরত শ্রমিকরা দিন রাত বৃষ্টিতে ভিজে, রোদে পুড়ে কাজ করেন। যুগের পর যুগ কাজ করে গেলেও কখনো তাদের কেউ বলেননি মে দিবসের কথা।

সরেজমিনে জেলার আশুগঞ্জের নৌবন্দরে গিয়ে জানা যায়, আশুগঞ্জ নৌবন্দরের গোড়াপত্তনের শুরু থেকেই জাহাজের বিভিন্ন পণ্য খালাসের কাজ করে যাচ্ছেন শ্রমিকরা। এখানে রেলপথ, নৌপথ ও সড়ক পথে বিভিন্ন জেলার সঙ্গে যোগাযোগের বিশেষ সুবিধা রয়েছে। এ কারণে এ বন্দরের গুরুত্ব অনেক। পর্যায়ক্রমে বাড়তে থাকে শ্রমিকের সংখ্যা। বর্তমানে এই বন্দরে দুই সহস্রাধিক শ্রমিক কাজ করেন।

এদের বাড়ি কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, বরিশাল, সাতক্ষীরা, নওগাঁ ও ময়মনসিংহসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায়। এসব শ্রমিক সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বিভিন্ন পণ্য জাহাজ থেকে ওঠানো ও নামানোর কাজ করছেন। পাশাপাশি বিভিন্ন জাহাজের শ্রমিকরাও এই বন্দরে কাজ করেন।

এই বন্দরে কাজ করতে আসা বিভিন্ন শ্রমিক জানান, মে দিবস সম্পর্কে তাদের কোনো ধারণা নেই। কোনো দিবসেই তারা বন্ধ পান না। শুধুমাত্র বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসবেই বন্ধ পান তারা।

এই বন্দরের শ্রমিকদের সরদার মো. আলমগীর হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘প্রায় ৩৫ বছর যাবৎ এখানে কাজ করছি। কিন্তু কখনোই কোনো মালিক আমাদের মে দিবসের কথা বলেনি। শুনেছি শ্রমিকদের জন্য একটি দিবস আছে। আমরা এই দিবসে কখনো ছুটি পাই না। এছাড়া কাজ না থাকলে আমাদের সংসার চলে না। তাই আমরাও কাজ বন্ধ রেখে চলতে পারি না।’

বন্দরে কাজ করতে আসা কিশোরগঞ্জের আমির হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমি প্রায় ৫ বছর যাবৎ এই বন্দরে কাজ করছি। এর মধ্যে আমাকে কখনো কেউ মে দিবসের কথা বলেনি। আমরা শ্রমিক, তাই প্রতিদিন কাজ করে যে টাকা পাই তা দিয়েই আমাদের সংসার চলে। মালিকরা যদি আমাদের সাহায্য সহযোগিতা করত, তাহলে আমরা হয়তো দিনটি পালন করতে পারতাম।’

আরেক শ্রমিক খুরশিদ মিয়া বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘দিনটি সম্পর্কে শুনেছি। তবে আমরা কখনো এই দিনটি আনুষ্ঠানিকভাবে পালন করতে পারি নাই। আমাদেরকে কোনো প্রকার সুযোগ দেয়া হয় না। আমরাও এই দিবসটি পালন করতে চাই। পাশাপাশি ন্যায্য মজুরি ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধাও আমরা পেতে চাই।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ট্রেড ইউনিয়নের সভাপতি এ.কে.এম হাবিবুল্লাহ বাহার বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘নৌবন্দরের শ্রমিকদের কোনো সংগঠন নাই। পাশাপাশি তারা কোনো বেতনভুক্ত শ্রমিকও নয়। এ কারণে তাদের এই সমস্যা হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করব মে দিবসে তারা যেন ছুটি পায়।’

আশুগঞ্জ উপজেলার শ্রম কল্যাণ সংগঠক মামুনুর রশিদ বলেন, ‘আমরা আমাদের পক্ষ থেকে সকলকেই মে দিবসের কথা জানানোর চেষ্টা করেছি।’

আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাজিমুল হায়দার বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। তবে আমরা এ বিষয়গুলো শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে নৌবন্দরের শ্রমিকদের অবগত ও সচেতন করার জন্য কাজ করব। পাশাপাশি শ্রমিকরা যেন তাদের ন্যায্য অধিকার ও বেতন-ভাতা পায় সেজন্য আমরা কাজ করব।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;