নাফ নদীর জেলেপাড়ায় নীরব দুর্ভিক্ষ



মুহিববুল্লাহ মুহিব, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
নাফ নদীর পাড়ে বসে থাকা হতাশাগ্রস্ত এক জেলে, ছবি: বার্তা২৪

নাফ নদীর পাড়ে বসে থাকা হতাশাগ্রস্ত এক জেলে, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজারের টেকনাফে নাফ নদী পাড়ের জেলে সম্প্রদায়ের মাঝে চলছে নিরব দুর্ভিক্ষ। দুই বছর ধরে নাফ নদীতে মাছ শিকারের উপর প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার ফলে পরিবার-পরিজন নিয়ে জেলেরা দিন পার করছেন খেয়ে না খেয়ে। বন্ধ রয়েছে সন্তানদের পড়াশোনাও।

তবে প্রশাসন জানিয়েছে, ইয়াবা ও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বন্ধে এ নিষেধাজ্ঞা থাকলেও নাফ নদী উন্মুক্ত করে দিতে মন্ত্রণালয়ে চিঠি চালাচালি চলছে।

নাফ নদীতে মাছ আহরণ করে সংসার চলে ৩০ হাজারেরও বেশি জেলের। অসাধু কিছু জেলে ইয়াবা পাচারে সহযোগিতা করায় এই নদীতে মাছ শিকার বন্ধ করে দেওয়া হয়। অসাধু কিছু জেলের জন্য আজ হাজারো জেলের না খেয়ে জীবনযাপন করতে হচ্ছে। এক জেলে আত্মহত্যাও করেছেন!

নাফ নদীতে মাছ আহরণ বন্ধ: জেলে পাড়ায় নিরব দুর্ভিক্ষ

বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ও ইয়াবা পাচার বন্ধে ২০১৭ সালে ২৪ আগস্টের পর থেকে নাফ নদীতে মাছ আহরণ বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। এরপর থেকেই চরম বিপদে পড়েন স্থানীয় জেলেরা। যদিও এই নিষেধাজ্ঞার পরও থেমে এই নদী দিয়ে ইয়াবা পাচার।

এমনিভাবে টেকনাফের জেলের পল্লীর শত শত নারী পুরুষ প্রতিদিন আহাজারি করেন তাদের কর্মক্ষেত্র ফিরে পাওয়ার জন্য।

স্থানীয় জেলেদের দাবি, পূর্ব পুরুষের শেখানো মাছ শিকারের কাজটি ছাড়া তারা কোনো কাজই করতে পারেন না। আর তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পরিবারের অভাব অনটনের পাশাপাশি তাদের মাথার উপর এখন ঋণের বোঝা চেপে বসেছে।

নাফ নদীতে মাছ আহরণ বন্ধ: জেলে পাড়ায় নিরব দুর্ভিক্ষ

টেকনাফের জেলে মোহাম্মদ সেলিম বলেন, নাফ নদীতে মাছ আহরণ করেই চলতো আমাদের সংসার। ছেলে-মেয়ে আটজন আছে। অনাহারে দিন যার, আনাহারে রাত পার। পড়ালেখার কথা তো বাদই দিলাম।

হ্নীলার জেলে পল্লীর বাসিন্দা লক্ষীস্বরী বলেন, ব্রিটিশ আমল থেকে এ নদীতে মাছ আহরণ করে চলছে আমাদের সংসার। কিন্তু এরকম সংকট কখনো দেখেনি। শুকনো খাবার খেয়ে দিন যাচ্ছে আমাদের। এক বেলা খেলে, আরেক বেলা খেতে পারছি না। শরীরের ভারে এখন আর কষ্ট করে খেতেও পারি না।

নাফ নদীতে মাছ আহরণ বন্ধ: জেলে পাড়ায় নিরব দুর্ভিক্ষ

টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ বার্তা২৪.কমকে বলেন, নাফ নদী ব্যবহার করে ইয়াবা পাচার এবং রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ রোধে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে সাগরের মাছ ধরতে যেতে পারছে জেলেরা। কিন্তু অনেক জেলে সেখানে মাছ আহরণে যাচ্ছে না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আশরাফুল আবছার বার্তা২৪.কমকে বলেন, নাফ নদী জেলেদের মাছ ধরার জন্য উন্মুক্ত করে দিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে সিদ্ধান্ত আশার সাথে সাথে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত জেলেদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে নাফ নদী।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;