রাজবাড়ীর শত বছরের লাল ভবন ভাঙার সিদ্ধান্ত



সোহেল মিয়া, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
রাজবাড়ীর ঐতিহ্যবাহী লাল ভবন, ছবি: বার্তা২৪

রাজবাড়ীর ঐতিহ্যবাহী লাল ভবন, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজবাড়ী শহরের প্রাণকেন্দ্রে ১৮৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় রাজবাড়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। বিদ্যালয়ে প্রবেশ করতেই হাতের বাম পাশে চোখে পড়বে দেড়শ বছরের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের লাল ভবন। কালের আবর্তনে বিদ্যালয়ের অবকাঠামোতে ব্যাপক পরিবর্তন আসলেও সেই ছোঁয়া লাগেনি এই লাল ভবনে। ফলে ভবনটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখনও একই রূপে দাঁড়িয়ে আছে।

ভবনটির সাথে জড়িয়ে রয়েছে রাজবাড়ীবাসীর সুখ-দুখের স্মৃতি। কিন্তু হঠাৎ করে ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। এখন ভবনটি ভেঙে সেখানে নতুন ভবন তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষের এ সিদ্ধান্তে এলাকাবসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। তাই ভবনটি রক্ষা করতে তারা ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ সরব। এমনকি কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত না বদলালে আত্মাহুতির হুমকিও দিয়েছন বিদ্যালয়ের প্রাক্তন কয়েকজন শিক্ষার্থী।

Rajbari Red Building

ইতোমধ্যে একুশে পদকপ্রাপ্ত চিত্রশিল্পী ও চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) অধ্যাপক মনসুর উল করিমকে সমন্বয়ক করে ‘ঐতিহ্য সংরক্ষণ আন্দোলন রাজবাড়ী’ নামে একটি সংগঠনও গড়ে উঠেছে। অধ্যাপক মনসুর উল করিম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘বৃহত্তর ফরিদপুরের মধ্যে এটিই প্রথম মাধ্যমিক পর্যাযের বিদ্যালয়। সেক্ষেত্রে নিঃসন্দেহে এটি অনেক গুরুত্ব বহন করে। তাছাড়া রাজবাড়ীবাসীর ইতিহাস আর ঐতিহ্য বহন করে আসছে এই ভবনটি। এই ভবনটির সাথে জড়িয়ে আছে এলাকার মানুষের সুখ-দুঃখ।’

তিনি বলেন, ‘নতুন ভবন তৈরির নামে পুরাতন ঐতিহ্যবাহী ভবন ভেঙে ফেলা অযৌক্তিক। আমরাও চাই রাজবাড়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অবকাঠামোর উন্নয়ন হোক। কিন্তু সেটি আমাদের গর্ব, ইতিহাস ও ঐতিহ্য ধ্বংস করে নয়। কারণ বিদ্যালয়ের জায়গার কোনো অভাব নেই। আমরা চাই প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ এটি সংরক্ষণ করুক।’

Rajbari Red Building

‘আমরা চাই কর্তৃপক্ষ তাদের এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসুক। তা না হলে আমরা রাজপথে আন্দোলন গড়ে তুলবো। আর এটি হবে আমাদের নিজেদের অস্থিত্ব রক্ষার আন্দোলন। নতুন প্রজন্মের মাঝে কালের স্বাক্ষী হয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকুক ভবনটি।’

রাজবাড়ীর ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মো. আলমগীর হুসাইন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আমাদের জানিয়েছে, ভবনটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। যেকোনো মুহূর্তে ধসে যেতে পারে এবং বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সেই প্রেক্ষিতে ভবনটির বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক অধিদপ্তরকে অবগত করেছি। তবে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে সবাইকে আন্দোলন থেকে সরে আসা উচিৎ।’

Rajbari Red Building

প্রসঙ্গত, ১৮৭১ সালে মাইনর স্কুল দিয়ে এটির যাত্রা শুরু হয়। ১৮৯২ সালে তা পূর্ণরূপ পায়। সেবছর তৎকালীন গোয়ালন্দ মহকুমার বাণীবহ এস্টেটের জমিদার গিরিজা শংকর মজুমদার ও অভয় শংকর মজুমদার রাজবাড়ীর সজ্জনকান্দা মৌজায় দি গোয়ালন্দ ইংলিশ হাই স্কুল নাম দিয়ে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। পরে নাম পরিবর্তন করে গোয়ালন্দ মডেল হাই স্কুল এবং সর্বশেষ রাজবাড়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় নামকরণ করা হয়।

কয়েক বছর আগেও কর্তৃপক্ষ এই লাল ভবনটি ভেঙে ফেলার উদ্যোগ নেয়, কিন্তু তীব্র আন্দোলনের মুখে তখন ভবনটি রক্ষা পায়। সর্বশেষ ৯ মে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে সেটি ফের ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। আর তাতেই ফুঁসে উঠেছে রাজবাড়ীবাসী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু হওয়া আন্দোলন এখন রাজপথে এসে নেমেছে।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;