ঈদযাত্রা: খাগড়াছড়িতে সড়কে স্বস্তি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, খাগড়াছড়ি, বার্তা২৪.কম
খাগড়াছড়ির একটি সড়ক, ছবি: বার্তা২৪.কম

খাগড়াছড়ির একটি সড়ক, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা-চট্টগ্রামসহ সারা দেশের সঙ্গে খাগড়াছড়ির যোগাযোগ শুধু সড়ক পথে। প্রায় ৪০০ কিলোমিটার সড়কের অধিকাংশই সংস্কার করায় এবার ঈদ যাত্রায় স্বস্তিতে আছেন যাত্রীরা। কারণ নাড়ির টানে বাড়ি ফিরতে তাদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে না। এছাড়াও বেইলি ব্রিজের পরিবর্তে নতুন আরসিসি ব্রিজ ও কালভার্ট নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ায় ভোগান্তি কমেছে।

জানা গেছে, গত বছর আগাম বর্ষার কারণে খাগড়াছড়ি বিভিন্ন সড়ক ধসে পড়ে। ফলে বাড়ি ফিরতে বেশ ভোগান্তি পোহাতে হয় ওই এলাকার যাত্রীদের। তবে এবার ঈদের আগেই জেলা শহর ছাড়াও আন্তঃজেলার অধিকাংশ সড়ক সংস্কার করায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বেশ উন্নত হয়েছে। সম্প্রতি খাগড়াছড়ি-দীঘিনালা সড়কে সংস্কার কাজ শেষ করেছে সড়ক ও জনপদ বিভাগ (সওজ)।

আরও জানা গেছে, খাগড়াছড়ি থেকে পর্যটন কেন্দ্র সাজেক যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম দীঘিনালা সড়ক। দীর্ঘদিন পর সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয় সওজ। তবে নির্ধারিত সময়ে প্রায় ২২ কি. মি. সড়কের সংস্কার কাজ শেষ হয়। ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি সাজেকগামী পর্যটকরা এবার স্বস্তিতে এই পথে যাতায়াত করতে পারবেন।

খাগড়াছড়ি-দীঘিনালা সড়কে পর্যটকবাহী গাড়ির চালক প্রদীপ ত্রিপুরা বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘আগে এই পথে চলাচল করতে দুর্ভোগ পোহাতে হত। পুরো রাস্তা খানাখন্দে ভরা ছিল। বর্তমানে খাগড়াছড়ি-দীঘিনালা রাস্তাটিতে কোনো গর্ত নেই। তাই স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচল করতে পারি। ঈদ মৌসুমে অনেক পর্যটক আসবে। ফলে পর্যটকদের চলাচলেও কোনো ভোগান্তি হবে না।’

জানা গেছে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সড়ক ও জনপদ বিভাগ প্রায় ১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে সড়কের সংস্কার কাজ শেষ করে। এই সড়কে চলাচলকারী একাধিক যাত্রী বার্তা২৪.কম-কে জানান, দীঘিনালা সড়কে অনেক যান চলাচল করে। দীঘিনালা ছাড়াও রাঙামাটির বাঘাইছড়ি ও লংগদুর বাসিন্দারা এই পথে চট্টগ্রাম বা ঢাকায় যাতায়াত করে। সড়কটি সংস্কার কাজ শেষ হওয়ায় এই পথে আর কোনো ভোগান্তি হবে না।

ঢাকা-খাগড়াছড়ি সড়কে যাতায়াতকারী বেসরকারি পরিবহন চালকরা জানান, খাগড়াছড়ি অংশে বেশির ভাগই পাহাড়ি সড়ক। সড়কটি আঁকা-বাঁকা হলেও বর্তমানে কোনো খানাখন্দ নেই। ফলে চলাচলে গতি এসেছে। এছাড়া বেইলি ব্রিজ উঠে যাওয়ায় ঝুঁকিও কমে গেছে। পাহাড়ি সড়ক এখন অনেকটায় নিরাপদ। এছাড়া খাগড়াছড়ি-পানছড়ি সড়কের প্রায় ৯টি আরসিসি গার্ডার ব্রিজের কাজ শেষ হওয়ায় এই সড়কে ভোগান্তি কমেছে।

জানা গেছে, একসময় বেইলি ব্রিজ সড়কের আতঙ্ক হিসেবে পরিচিত ছিল। পাহাড়ি ছড়ার বা নদীর ওপর নির্মিত বেইলি ব্রিজ ভেঙে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটত। এতে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যেত। বর্ষার সময় বেইলি ব্রিজের ভোগান্তি দ্বিগুণ হত। তবে এবার পাল্টে গেছে সেই দৃশ্যপট। খাগড়াছড়ি-তাইন্দং এবং খাগড়াছড়ি-পানছড়ি সড়কের অধিকাংশ সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। ফলে এই পথে চলাচলকারীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।

খাগড়াছড়ি সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সবুজ চাকমা বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘খাগড়াছড়ি সড়ক বিভাগের আওতাধীন সড়কের অধিকাংশই সুরক্ষিত। এছাড়া আরসিপি গার্ডার ব্রিজ নির্মিত হওয়ায় সড়কের ঝুঁকিও কমেছে। খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি-ঢাকাসহ আন্তঃজেলা সড়ক যোগাযোগ সুরক্ষা রাখতে সড়ক বিভাগের মনিটরিং টিম কাজ করবে। ফলে সড়কে খাগড়াছড়ির স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকদের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন হবে।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;