১০ বছরেও চালু হয়নি বাক-শ্রবণ প্রতিবন্ধী স্কুল



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঝিনাইদহ
বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী স্কুলটি নির্মাণের ১০ বছরেও চালু হয়নি, ছবি: বার্তা২৪

বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী স্কুলটি নির্মাণের ১০ বছরেও চালু হয়নি, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্মাণের ১০ বছরেও চালু হয়নি ঝিনাইদহ বাক-শ্রবণ প্রতিবন্ধী স্কুল। শহরের সার্কিট হাউস সড়কের পাশে তিন একর জমির ওপর সমাজসেবা অধিদফতরের মুক-বধির আবাসিক স্কুল স্থাপন প্রকল্পের আওতায় স্কুলটি নির্মাণ করা হয়।

জেলা সমাজসেবা অফিস সূত্রে জানা গেছে, স্কুলটির নির্মাণ শুরু হয় ২০০২ সালে, যা শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০০৬ সালের মধ্যে। কিন্তু নির্মাণ কাজ শেষ হয় ২০০৯ সালে। ব্যয় হয় চার কোটি ১৭ লাখ ৬৮ হাজার টাকা। প্রকল্পের আওতায় একাডেমিক ভবন, দুটি আবাসিক হলসহ অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়।

স্কুলটিতে প্রতিবছর যশোর, ঝিনাইদহ, নড়াইল, মাগুরা, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর জেলা থেকে মোট ৫০ জন ছেলে ও ৫০ জন মেয়ে বাক-শ্রবণ প্রতিবন্ধীকে ভর্তি হওয়ার কথা ছিল।

আরও জানা গেছে, স্কুলের নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই আসবাপত্র ও শিক্ষার্থীদের বিছানাপত্র সরবরাহ করা হয়। কিন্তু স্কুল চালু না হওয়ায় সেগুলো সমাজসেবা অধিদফতরের মধুপুর শিশু পরিবারে রাখা হয়। দীর্ঘদিন পড়ে থাকায় যার অনেক কিছু নষ্ট হয়ে গেছে। যার মধ্যে দুটি ল্যাপটপও রয়েছে।

স্কুলের জন্য একজন প্রধান শিক্ষক, একজন হাউস প্যারেন্ট, দুই জন শিক্ষক, দুই জন কারিগরি শিক্ষক, একজন হিয়ারিং এইড টেকনিশিয়ান, একজন মেট্রন কাম নার্সসহ ১৮টি পদ সৃষ্টি করা হয়। কিন্তু আজও কোনো লোকবল নিয়োগ দেওয়া হয়নি।

স্কুলটি বাক-শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের হলেও এখানে দুইজন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষকও নিয়োগ দেওয়া হয়। যাদের অন্যত্র ডেপুটেশনে পাঠানো হয়েছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ২৪ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়েছে। কিন্তু তাদের এক দিনও ক্লাস হয়নি। এছাড়া শিক্ষার্থীদের খোরাকি বাবদ চলতি অর্থ বছরে ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ আসলেও তা ফেরত দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে জেলা সমাজসেবা অফিসের একজন সহকারী পরিচালক স্কুলটি দেখভাল করছেন।

এ ব্যাপারে শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সুষেন্দু কুমার ভৌমিক বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘এটি একটি বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান। নির্মাণের পর দীর্ঘদিন পড়ে আছে। চালু হলে বাক-শ্রবণ প্রতিবন্ধীরা উপকৃত হতো।’

স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘লোকবল নিয়োগ না হওয়ায় স্কুলটি চালু করা যাচ্ছে না। ইতোমধ্যে সমাজসেবা অধিদফতরে চিঠি পাঠানো হয়েছে।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;