পাকিস্তানি হায়েনারা হত্যা করে দানবীর রনদা প্রসাদকে



অভিজিৎ ঘোষ, ডি‌স্ট্রিক্ট ক‌রেসপ‌ন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল
দানবীর হি‌সে‌বে খ্যাত রনদা প্রসাদ সাহা, ছবি: সংগৃহীত

দানবীর হি‌সে‌বে খ্যাত রনদা প্রসাদ সাহা, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দানবীর হি‌সে‌বে খ্যাত রনদা প্রসাদ সাহা। আজীবন আর্ত মানবতার সেবায় কাজ করে গেছেন তি‌নি। নারী শিক্ষা ও জাগরণের জন্য তিনি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন শিক্ষাসহ একাধিক প্রতিষ্ঠান।

মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি কাজ করেছেন স্বাধীনতার পক্ষে। স্থানীয় রাজাকার মাহবুবুর রহমান পাকিস্থানি হায়েনাদের সহায়তায় হত্যা করেন রনদা প্রসাদ সাহা, তার ছেলে ও ঘনিষ্ঠ সহকর্মীদের।

জানা গে‌ছে, উপমহাদেশের প্রখ্যাত দানবীর, মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, নারী শিক্ষা ও নারী জাগরণের অগ্রপথিক ছি‌লেন দানবীর রনদা প্রসাদ সাহা। তার জন্ম টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে। আজীবন আর্ত মানবতার সেবায় কাজ করেছেন তিনি। টাঙ্গাইলসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রতিষ্ঠা করেছেন একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ দাতব্য চিকিৎসালয়। এর মধ্যে কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট অন্যতম। মহান মুক্তিযুদ্ধে রয়েছে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। তিনি তার প্রতিষ্ঠিত হাসপাতালে আহত মুক্তিযোদ্ধাদের দিয়েছেন চিকিৎসা ‌সেবা। পাকিস্থানি হায়েনাদের থাবায় আহত নির্যাতিত নিরীহ বাঙালিদের খুঁজে খুঁজে দিয়েছেন চিকিৎসা এবং আশ্রয়। এ কারণে রনদা প্রসাদ সাহাকে হত্যার পরিকল্পনা করে পাকিস্থানি হানাদার বাহিনী।

১৯৭১ সালের ৭ মে স্থানীয় রাজাকার মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে একদল রাজাকার হত্যাযজ্ঞ চালান গোটা মির্জাপুরে। তারা সেদিন রনদা প্রসাদ সাহাকে ধরতে তার বাড়ি ও হাসপাতালসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে যান। কিন্তু তাকে ধরতে না পেরে জ্বালিয়ে দেন কয়েকটি গ্রাম। হত্যা করেন বহু নিরাপরাধ বাঙালিকে। রাজাকার মাহবুবুর রহমান ৭ মে মধ্যরাতে নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় রাজাকারদের সহায়তায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ২০-২৫ জন সদস্যকে নিয়ে রণদা প্রসাদ সাহার বাড়িতে আক্রমণ চালান। এ সময় রণদা প্রসাদ সাহা, তার ছেলে ভবানী প্রসাদ সাহা, রণদা প্রসাদের ঘনিষ্ঠ সহচর গৌর গোপাল সাহা, রাখাল মতলব ও দারোয়ানসহ সাতজনকে অপহরণ করে হয়। পরে সবাইকে হত্যা করে মরদেহ নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। এরপর তাদের মরদেহ আর পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা জানান, রণদা প্রসাদ সাহার মৃত্যুতে অপূরণীয় ক্ষতি হয় মির্জাপুরসহ সারাদেশের।

s
হানাদার বাহিনীর হাতে নিহত হন রণদা প্রসাদ সাহা (উপরে বাঁয়ে),তার ছেলে (উপরের সারির মাঝে) ও ঘনিষ্ঠ সঙ্গীরা, ছবি: সংগৃহীত   

 

রণদা প্রসাদ সাহা হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হবে বৃহস্পতিবার (২৭ জুন)।  দুই মাস অপেক্ষমাণ থাকার পর বুধবার (২৬ জুন) সকালে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল রায়ের জন্য ওই দিন ধার্য করেন।

গত ২৪ এপ্রিল রণদা প্রসাদ সাহা হত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের তিনটি অভিযোগে দায়েরকৃত মামলার শুনানি হয়। এর ধারাবাহিকতায় আজ রায়ের দিন ধার্য করা হলো।

ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন- প্রসিকিউটর রানা দাসগুপ্ত। তার সঙ্গে ছিলেন তাপস কান্তি বল। অন্যদিকে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী গাজী এম এইচ তানিম।

রণদা প্রসাদ সাহাকে হত্যার অভিযোগে গত বছরের ২৮ মার্চ আসামি মো. মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন ট্রাইব্যুনাল। গত বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি আসামি মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল।
মাহবুবুর রহমান জামায়াতের সমর্থক ছিলেন। তিনি তিনবার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও প্রতিবারই পরাজিত হন।

 

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;