পীরগাছায় নদী ভাঙনে ভূমিহীন পরিবারের সংখ্যা বাড়ছে



আমিনুল ইসলাম জুয়েল, উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, পীরগাছা (রংপুর)
নদী ভাঙনের কবলে পড়ে বসতভিটা ছেড়ে যাচ্ছেন মানুষজন

নদী ভাঙনের কবলে পড়ে বসতভিটা ছেড়ে যাচ্ছেন মানুষজন

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরের পীরগাছায় প্রতি বছর নদী ভাঙনের শিকার হয়ে ভূমিহীন পরিবারের সংখ্যা বাড়ছে। এক সময়ের গৃহস্থ পরিবারগুলো প্রমত্তা তিস্তার করাল গ্রাসে আজ ভূমিহীন। সরকারিভাবে তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করায় এসব পরিবারের সদস্যরা দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন।

উপজেলার তিস্তার তীরবর্তী ছাওলা ও তাম্বুলপুর ইউনিয়নের গাবুড়ার চর, শিবদেব চর, কিশামত ছাওলা, পূর্ব হাগুরিয়া হাশিম, ছাওলা, চর কাশিম, চর তাম্বুলপুর ও চর রহমত প্রতি বছর ভাঙনের কবলে পড়ছে। ভাঙনের কারণে গত কয়েক বছরের ব্যবধানে এসব গ্রামের শত শত একর ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। সেই সাথে বসতবাড়ি ও জমিজমা হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে অসংখ্য পরিবার।

শুধু বাসস্থান নয়, তাদের কর্মসংস্থান, খাদ্য, চিকিৎসা, শিক্ষা ও স্যানিটেশনের ভালো কোনও ব্যবস্থা নেই। দিনমজুরি করে তারা কোনরকমে জীবিকা নির্বাহ করছেন। অনেক পরিবার ১০-১৫ বছর ধরে চুক্তিভিত্তিক অন্যের জমিতে বসবাস করছে।
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/29/1564398852264.jpg
সোমবার (২৯ জুলাই) সরেজমিনে দেখা গেছে, তিস্তা নদীর ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। নদী ভাঙন ও বন্যায় সহায়-সম্বলহারা অসহায় মানুষ ঠিকানাবিহীন গন্তব্যে ছুটে চলছেন। নদী ভাঙনে বসতভিটা হারিয়ে শেষ সম্বলটুকু নিয়ে বাঁধসহ বিভিন্ন উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন অনেকে।

নতুন কোনও আশ্রয়স্থল না থাকায় হতাশ হয়ে পড়েছেন তারা। অনেকে আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিলেও তাদের স্থায়ীভাবে বসবাসের কোনও ব্যবস্থা নেই। ফলে ভূমিহীন পরিবারগুলো খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছে।

ভূমিহীন অনেক পরিবার পাশের গ্রামের বিত্তবানদের কাছ থেকে চুক্তিভিত্তিক জমি নিয়ে বসবাসের স্বপ্ন দেখছে। গড়ে একটি পরিবারের বসবাসের জন্য ৫-৬ শতাংশ জমির প্রয়োজন। ফলে প্রতিবছর ভাড়া বাবদ তাদের দিতে হবে চার থেকে সাড়ে চার হাজার টাকা। তবে যাদের চুক্তিভিত্তিক জমি নেওয়ার সামর্থ্য নেই তারা খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তবে অনেক পরিবার ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে ভাসমান মানুষের তালিকায় নাম লেখাচ্ছে।

এদিকে, গত সাত দিনে উপজেলার ছাওলা ইউনিয়নের গাবুরার চর, রামসিং, চর হরিরাম গ্রামে নতুন করে নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। এবারের ভাঙনে প্রায় একশ হেক্টর ফসলি জমি ও দুই শতাধিক বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/29/1564398874026.jpg
পাওটানা বাজারের পাশে আশ্রয় নেওয়া বাবু মিয়া, মজিদ আলী ও আকবর আলীসহ কয়েকজন জানান, নদী ভাঙনের শিকার হয়ে নিস্ব হয়েছেন তারা। এখন দিনমজুর হিসেবে কাজ করেন।

স্থানীয় ছাওলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, প্রতি বছর নদী ভাঙনে শত শত পরিবার নিঃস্ব হচ্ছে। এত সংখ্যক পরিবারের জন্য স্থায়ীভাবে বসবাসের ব্যবস্থা করা সম্ভব হচ্ছে না। আমরা ৪০ জন পরিবারের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেছি। আরও ৬০ জন ভূমিহীন পরিবারের বসবাসের জন্য আশ্রয়ন প্রকল্পের কাজ চলছে।

রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ও বরাদ্দ চেয়ে ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;