দশ বছর ধরে নষ্ট সদর হাসপাতালের এক্স-রে মেশিন



মোহাম্মদ রনি মিয়াজী, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, পঞ্চগড়, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পঞ্চগড় ১০০ শয্যা বিশিষ্ট আধুনিক সদর হাসপাতালের এক্স-রে মেশিনটি প্রায় ১০ বছর ধরে নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। অভিযোগ আছে, মেশিনটি মেরামত করার কোনো উদ্যোগ নেয় না কর্তৃপক্ষ। ফলে স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন জেলার হাজার হাজার রোগী।

জানা গেছে, পঞ্চগড় জেলার নিম্ন ও মধ্যবিত্তের মানুষের একমাত্র ভরসা এ হাসপাতালটি। তবে চিকিৎসা সেবা না পেয়ে ফিরে যেতে হয় তাদের। দীর্ঘ ১০ বছর ধরে সিমেন্স এক্স-রে ৫০০এমএ মেশিনটি বিকল হয়ে পড়ে আছে। সিএমএসডি থেকে বরাদ্দ আসা এক্স-রে মেশিনটি পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের ২০০৯ সালে স্থাপন করা হয়। প্রতিদিন ২০০-৩০০টি এক্স-রে করার ক্ষমতা থাকলেও এখন সেটা আর ব্যবহার করা যায় না।

আরও জানা গেছে, ২০০২ সালের দিকে ২০০ এমএ মেশিন দিয়ে এক্সে-রে করা হত। পরে ২০০৯ সালে ৫০০এমএ মিশনটি স্থাপন করা হয়। কিন্তু সেটিও কিছুদিনের মধ্যে বিকল হয়ে যায়। এরপর থেকে ১০০এমএ মেশিন দিয়ে এক্স-রে করা হচ্ছে। যেটি দিয়ে প্রতিদিন ১০টি এক্স-রে করা যায় না। কিন্তু প্রতিদিন চাহিদা আছে ৫০টি।

এদিকে এক্স-রের মান নিম্ন, ভোগান্তি ও কাঙ্ক্ষিত সেবা না পেয়ে পঞ্চগড়ের সাধারণ রোগীদের বাধ্য হয়ে প্রাইভেট প্যাথলজি ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে সেবা নিতে হচ্ছে।

দশ বছর ধরে নষ্ট সদর হাসপাতালের এক্স-রে মেশিন

জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলা দেবনগর এলাকার বাসিন্দা সেলিনা বেগম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, 'হাসপাতালে শুধু ফ্রি থাকা যায়। এখানে ডাক্তার নেই, এক্স-রে মেশিন থাকলেও বিকল।'

একই ভোগান্তির কথা জানান পঞ্চগড় পৌরসভার বাসিন্দা আবু সুফিয়ান। তিনি বলেন, 'এক্স-রে মেশিন দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। ফলে আমাদের অতিরিক্ত টাকা খরচ করে বাইরে থেকে এক্স-রে করাতে হচ্ছে।'

জানা গেছে, সরকারের কেন্দ্রীয় ঔষধাগারে (সিএএসডি) ৪৫টি ডিজিটাল এক্সে-রে মেশিন মজুদ থাকলেও প্রাইভেট প্যাথলজি ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকদের যোগসাজশে সেগুলো হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে না।

এ বিষয়ে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের এক্স-রে অপরেটর আরফান আলী বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, 'বর্তমানে ব্যবহৃত এক্স-রে মেশিনটি দিয়ে ভালো ও পরিষ্কার ছবি না আসায় রোগীরা বিভিন্ন অভিযোগ করেন।'

পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) প্রতীক কুমার বনিক বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, 'ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার এক্স-রে মেশিনের চাহিদাপত্র পাঠানো হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।'

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;