কুমেকে প্রতিদিন ভর্তি হচ্ছে ১৭ ডেঙ্গু রোগী



জাহিদ পাটোয়ারী, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, কুমিল্লা
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতাল। ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম।

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতাল। ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম।

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ১৭ জনেরও বেশি ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হচ্ছে। কুমেকের ভর্তি রেজিস্ট্রার খাতায় গত ৬ দিনের পাওয়া তথ্যে এ চিত্র দেখা গেছে। সব মিলিয়ে জুলাইয়ের ২২ তারিখ থেকে শনিবার (৩ আগস্ট) সকাল পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত ১৩২ জন রোগী চিকিৎসা নিতে আসে। এর মধ্যে রোববার (২৮ জুলাই) থেকে শনিবার পর্যন্ত ৬ দিনে ভর্তি হয়েছে ১০৪ জন। গত ২৭ জুলাই পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৭ জন।

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্র মতে, হাসপাতালটিতে বর্তমানে চিকিৎসাধীন ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ৭৮ জন। আর ৫৪ জন রোগী বিভিন্ন সময়ে চিকিৎসা শেষে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরেছে।

এছাড়াও তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন এবং হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫ জন ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা নেয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে চিকিৎসাধীন সবাই ঢাকায় আক্রান্ত হয়েছে।

এদিকে কুমিল্লায় ভয়াবহভাবে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে নগরবাসীসহ জেলায় বসবাসকারীরা।

কুমেকের রেকর্ড সূত্রে জানা যায়, ২৩ জুলাই পর্যন্ত কুমিল্লায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ছিল মাত্র ৪ জন। এরপর ২৭ জুলাই এর সংখ্যা দাঁড়ায় ২৭ জনে। মূলত ২৮ জুলাই থেকেই কুমেক হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর চাপ বাড়তে থাকে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/03/1564816037745.jpg

ক্রমেই বাড়তে থাকা রোগীর সংখ্যা ৩১ জুলাই এসে দাঁড়ায় ৯৪ জনে। আর চলতি মসের প্রথম দুই দিনসহ সব মিলিয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হন ১৩২ জন ডেঙ্গু রোগী। আর হোমনা ও তিতাস উপজেলা মিলিয়ে বর্তমানে এর সংখ্যা ১৪০ জন।

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. স্বপন কুমার অধিকারী বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, গত কয়েকদিনে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে প্রায় ৩০০ জন কুমেক হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগের পরীক্ষা করেছে। এদের মধ্যে ১৫ জনকে শনাক্ত করেছে হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগ। বাকি রোগীরা প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ডেঙ্গুর বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে চিকিৎসা নিতে এসেছে।

ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে যে পরিমাণ কিট রয়েছে তা দিয়ে শনিবার (৩ আগস্ট) পর্যন্ত কার্যক্রম চালানো যাবে। রোববার (৪ আগস্ট) আবার নতুন করে কিট সংগ্রহ করতে হবে।

এদিকে কুমিল্লায় ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ বৃদ্ধির খবরে অনেকটা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে নগরবাসীসহ জেলার বাসিন্দারা।

তবে এ বিষয়ে কুমিল্লার জেলা প্রশাসক আবুল ফজল মীর বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, ডেঙ্গু প্রতিরোধে কুমিল্লায় ব্যাপক সচেতনতা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। সিটি করপোরেশন, জেলা প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্যোগে ডেঙ্গুর ভয়াবহতা প্রতিরোধে নগরীতে সমন্বিতভাবে কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।

এছাড়াও জনগণকে সচেতন করতে লিফলেট বিতরণের পাশাপাশি নগরী ও নগরীর বাইরের বিভিন্ন স্কুল-কলেজসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোতেও আলাদাভাবে নানা কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে কুমিল্লার ১৭টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেঙ্গু বিষয়ে সচেতনতামূলক ‘হেল্প ডেস্ক’ চালু করা হয়েছে। কুমিল্লায় ডেঙ্গুর প্রকোপ নির্মূলে সরকারি বেসরকারি সংগঠনসহ সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;