ফরিদপুরে প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত ২
প্রতীকী ছবি
ফরিদপুরের নগরকান্দার কাইচাইল ইউনিয়নে পূর্ব শক্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের গুলিতে দুই জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন আরও আট জন। আহতদের মধ্যে দুই জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
শনিবার (১০ আগস্ট) বিকাল সাড়ে ৫টায় এ ঘটনা ঘটে। ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নগরকান্দা উপজেলার কাইচাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেন ঠান্ডু মিয়ার সাথে তার চাচাতো ভাই যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হানিফ হোসেন হৃদয়ের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল।
শনিবার (১০ আগস্ট) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে কাইচাইল পূর্ব পাড়া মাদরাসা মাঠে কবির হোসেনের সমর্থকরা উঠোন বৈঠক করছিলেন। এ সময় হানিফ হৃদয় ঢাকা থেকে ঈদ উপলক্ষে বাড়ি ফিরছিলেন।
পথে ঠান্ডুর লোকজন হানিফ হৃদয়ের গাড়ি এলাকায় ঢুকতে বাধা দিলে হৃদয়ের গাড়ি থেকে পিস্তল ও শর্টগান দিয়ে গুলি চালানো হয়। অতর্কিত এ হামলায় ১০ জন গুলিবিদ্ধ হয়।
আহতদের মধ্যে পাঁচ জনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এদের মধ্যে রওশন মিয়া (৫২) ও তুহিন মিয়া (২৫) নামের দুইজন মারা যান। আহতদের মধ্যে পাঁচ জনকে নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন গোলাম মাওলা, কামরুল মাতুব্বর, চুন্নু মিয়া, সুমন মিয়া, বাবলু মিয়া, রায়হান মিয়া, আনিস মিয়া ও বিপ্লব মিয়া।
হামলার পর খবর পেয়ে নগরকান্দা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। বর্তমানে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। হামলার খবর পেয়ে পুলিশ সুপারসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা হাসপাতালে ছুটে যান।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘ফরিদপুর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে মোতায়েন রাখা হয়েছে। হামলার পর আসামিরা যাতে পালিয়ে যেতে না পারে সেজন্য বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এই ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।’
নগরকান্দা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার এবিএম মহিউদ্দিন জানান, গুলির ঘটনায় পালিয়ে যাওয়ার সময় মাদারীপুরের শিবচর থেকে হানিফ ওরফে হৃদয়, তাপস ও সাত্তার নামে তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
আটককালে তাদের কাছে থেকে একটি শটগানও জব্দ করা হয় বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
